প্রমিতি কিবরিয়া ইসলাম, ঢাকা
পানিতে দীর্ঘসময় হাত চুবিয়ে রাখলে আঙুলের ত্বক কুঁচকে যেতে দেখা যায়। আবার দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটলেও এমন হয়। পায়ের আঙুলের ত্বকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু পানিতে দীর্ঘসময় ডুবে থাকলেও শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বক কিন্তু কুঁচকে যায় না। তাহলে শুধু হাত ও পায়ের আঙুলের ত্বক এমন হয় কেন? এ বিষয়ে বিজ্ঞানই কী বলছে জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এই কোঁচকানো ত্বক কোনো ডুবে থাকা বা ভেজা বস্তুকে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা গাড়ির টায়ার বেড়ে বৃষ্টি পানি ঝরার মতো!
সাধারণত মানুষের ধারণা, ত্বকের বাইরের স্তরে পানি প্রবেশ করে ফুলে যাওয়ার কারণেই ত্বক কুচকে যায়।
কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে গবেষকেরা লক্ষ্য করেন, আঙুলের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ত্বক এভাবে কোঁচকায় না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, দেহের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বক কুঁচকে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃৎস্পন্দন ও ঘাম নির্গমনের মতো বিষয়গুলো এই স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে ত্বকের নিচে রক্তনালি সংকুচিত হওয়ার কারণেই ত্বক কুঁচকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বোয়েস, ইডাহোর টুএআই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিবর্তনীয় নিউরোবায়োলজিস্ট মার্ক চাঙ্গিজি ও তাঁর সহকর্মীরা বলেন, ত্বকের কুঁচকে যাওয়ার পেছনে বিবর্তনীয় কারণ থাকতে পারে। মানুষের হাতের মুঠোয় কিছু আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ত্বকে কুঁচকে যাওয়া একটি ‘নিষ্কাশন ব্যবস্থা’ হিসেবে কাজ করে। যদিও আঙুলের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মধ্যে আসলেই কোনো সুবিধা আছে কিনা তা এখন অবধি প্রমাণিত হয়নি।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাত ৩০ মিনিটের জন্য গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে দেওয়া হয়। এরপর অংশগ্রহণকারীদের সেই কোঁচকানো ত্বকের আঙুল দিয়ে এবং স্বাভাবিক আঙুল দিয়ে বিভিন্ন আকারের মার্বেলসহ বিভিন্ন ভেজা বা শুকনো বস্তু তুলতে বলা হয়। স্বাভাবিক আঙুলের তুলনায় কোঁচকানো ত্বকের আঙুল দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা ভেজা মার্বেলগুলো দ্রুত তুলে ফেলে। তবে শুকনো বস্তুর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বা কুঁচকানো ত্বকের আঙুলে ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। গবেষণাটি বায়োলজি লেটারসে প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী ও গবেষণাপত্রের সহ–লেখক বলেছেন টম স্মুল্ডার্স বলেন, ‘কোঁচকানো ত্বকে আঙুলগুলো ভেজা অবস্থায় আরও বেশি আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা দেয়। এটি আপনার গাড়ির টায়ারের মতো কাজ করতে পারে। খাঁজগুলো টায়ারকে রাস্তার সংস্পর্শে থাকতে ও আরও আঁকড়ে থাকতে সহায়তা করে।’
স্মুল্ডার্স আরও বলেন, কোঁচকানো আঙুলগুলো আমাদের পূর্বপুরুষদের ভেজা গাছপালা বা পানি থেকে খাবার সংগ্রহ করতে সাহায্য করে থাকতে পারে। এভাবে বৃষ্টির সময়ে কোঁচকানো ত্বকের পায়ের আঙুলগুলো কোনো পৃষ্ঠকে (ভেজা মাটি বা রাস্তা) আরও ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে হাঁটাচলা করতে সাহায্য করতে পারে।
চাঙ্গিজি বলেন, বৃষ্টির সময়ে কুঁচকানো আঙুল গাড়ির টায়ারের মতো কাজ করে। এখন অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে কিনা তা জানতে হবে।
স্মুল্ডার্স বলেন, কোঁচকানো আঙুল ভেজা জিনিস আঁকড়ে ধরার ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়। অবশ্য শুষ্ক জিনিসের ক্ষেত্রে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না। তবে আমাদের আঙুলের ত্বক স্থায়ীভাবে কুঁচকে যায় না কেন তা স্পষ্ট নয়। সব সময় আঙুল কুঁচকে থাকলে আঙুলের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে ও শুকনো বস্তুকে আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এ জন্য আঙুলগুলো হয়তো স্থায়ীভাবে কুঁচকে যায় না।
তথ্যসূত্র: সায়েন্টিফিক আমেরিকান
পানিতে দীর্ঘসময় হাত চুবিয়ে রাখলে আঙুলের ত্বক কুঁচকে যেতে দেখা যায়। আবার দীর্ঘ সময় সাঁতার কাটলেও এমন হয়। পায়ের আঙুলের ত্বকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। কিন্তু পানিতে দীর্ঘসময় ডুবে থাকলেও শরীরের অন্যান্য অংশের ত্বক কিন্তু কুঁচকে যায় না। তাহলে শুধু হাত ও পায়ের আঙুলের ত্বক এমন হয় কেন? এ বিষয়ে বিজ্ঞানই কী বলছে জেনে নেওয়া যাক।
বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষায় দেখা গেছে, এই কোঁচকানো ত্বক কোনো ডুবে থাকা বা ভেজা বস্তুকে ভালোভাবে আঁকড়ে ধরতে সাহায্য করে। এটি অনেকটা গাড়ির টায়ার বেড়ে বৃষ্টি পানি ঝরার মতো!
সাধারণত মানুষের ধারণা, ত্বকের বাইরের স্তরে পানি প্রবেশ করে ফুলে যাওয়ার কারণেই ত্বক কুচকে যায়।
কিন্তু ১৯৩০ সাল থেকে গবেষকেরা লক্ষ্য করেন, আঙুলের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ত্বক এভাবে কোঁচকায় না। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, দেহের স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্রের অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বক কুঁচকে যায়। শ্বাসপ্রশ্বাস, হৃৎস্পন্দন ও ঘাম নির্গমনের মতো বিষয়গুলো এই স্নায়ুতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। প্রকৃতপক্ষে ত্বকের নিচে রক্তনালি সংকুচিত হওয়ার কারণেই ত্বক কুঁচকে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের বোয়েস, ইডাহোর টুএআই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিবর্তনীয় নিউরোবায়োলজিস্ট মার্ক চাঙ্গিজি ও তাঁর সহকর্মীরা বলেন, ত্বকের কুঁচকে যাওয়ার পেছনে বিবর্তনীয় কারণ থাকতে পারে। মানুষের হাতের মুঠোয় কিছু আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ত্বকে কুঁচকে যাওয়া একটি ‘নিষ্কাশন ব্যবস্থা’ হিসেবে কাজ করে। যদিও আঙুলের ত্বক কুঁচকে যাওয়ার মধ্যে আসলেই কোনো সুবিধা আছে কিনা তা এখন অবধি প্রমাণিত হয়নি।
২০১৩ সালের এক গবেষণায় বিষয়টি নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণ করা হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের হাত ৩০ মিনিটের জন্য গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে দেওয়া হয়। এরপর অংশগ্রহণকারীদের সেই কোঁচকানো ত্বকের আঙুল দিয়ে এবং স্বাভাবিক আঙুল দিয়ে বিভিন্ন আকারের মার্বেলসহ বিভিন্ন ভেজা বা শুকনো বস্তু তুলতে বলা হয়। স্বাভাবিক আঙুলের তুলনায় কোঁচকানো ত্বকের আঙুল দিয়ে অংশগ্রহণকারীরা ভেজা মার্বেলগুলো দ্রুত তুলে ফেলে। তবে শুকনো বস্তুর ক্ষেত্রে স্বাভাবিক বা কুঁচকানো ত্বকের আঙুলে ক্ষেত্রে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। গবেষণাটি বায়োলজি লেটারসে প্রকাশিত হয়।
যুক্তরাজ্যের নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির বিবর্তনীয় জীববিজ্ঞানী ও গবেষণাপত্রের সহ–লেখক বলেছেন টম স্মুল্ডার্স বলেন, ‘কোঁচকানো ত্বকে আঙুলগুলো ভেজা অবস্থায় আরও বেশি আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা দেয়। এটি আপনার গাড়ির টায়ারের মতো কাজ করতে পারে। খাঁজগুলো টায়ারকে রাস্তার সংস্পর্শে থাকতে ও আরও আঁকড়ে থাকতে সহায়তা করে।’
স্মুল্ডার্স আরও বলেন, কোঁচকানো আঙুলগুলো আমাদের পূর্বপুরুষদের ভেজা গাছপালা বা পানি থেকে খাবার সংগ্রহ করতে সাহায্য করে থাকতে পারে। এভাবে বৃষ্টির সময়ে কোঁচকানো ত্বকের পায়ের আঙুলগুলো কোনো পৃষ্ঠকে (ভেজা মাটি বা রাস্তা) আরও ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে হাঁটাচলা করতে সাহায্য করতে পারে।
চাঙ্গিজি বলেন, বৃষ্টির সময়ে কুঁচকানো আঙুল গাড়ির টায়ারের মতো কাজ করে। এখন অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে কিনা তা জানতে হবে।
স্মুল্ডার্স বলেন, কোঁচকানো আঙুল ভেজা জিনিস আঁকড়ে ধরার ক্ষেত্রে সুবিধা দেয়। অবশ্য শুষ্ক জিনিসের ক্ষেত্রে তেমন পার্থক্য দেখা যায় না। তবে আমাদের আঙুলের ত্বক স্থায়ীভাবে কুঁচকে যায় না কেন তা স্পষ্ট নয়। সব সময় আঙুল কুঁচকে থাকলে আঙুলের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে ও শুকনো বস্তুকে আঁকড়ে ধরার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এ জন্য আঙুলগুলো হয়তো স্থায়ীভাবে কুঁচকে যায় না।
তথ্যসূত্র: সায়েন্টিফিক আমেরিকান
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
১২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১৪ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে