Ajker Patrika

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা-ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৫৪
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনের অবস্থা। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সরকারি গাড়িতে আগুন এবং জেলারের বাসভবনেও লুটপাট চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো আসামি পালানোর খবর পাওয়া যায়নি।

আজ বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলের এ ঘটনায় কারাকর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কারাগারের মূল ফটকে ভাঙচুর চালানো হয় এবং একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। হামলার দায়িত্বরত বেশ কয়েকজন কারারক্ষী আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ভারপ্রাপ্ত জেলার তানিয়া জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে প্রথমে হামলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে জেলা কারাগারেও হামলা হয়। এ সময় কারাগারের প্রধান ফটক বন্ধ ছিল। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালানো হয়। তবে কোনো আসামি পালাতে পারেনি। এর আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে। তবে কারারক্ষীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

জেলার জানান, এ সময় চারটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বাসা বাড়িতে লুটপাট করা হয়। তাঁর বাসায়ও লুটপাট করা হয়েছে। তিনি নিজেও এ সময় আহত হয়েছেন।

এর আগে এ দিন দুপুরে গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশস্থলে এবং পরে দলটির নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিন পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা হয়।

এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত ছিল গোপালগঞ্জ। বেলা পৌনে ৩টার দিকে শহরের পৌর পার্কে সমাবেশ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল ব্যক্তি নেতা-কর্মীদের ঘিরে ধরে হামলার চেষ্টা করেন। চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ সদস্যদের বহনকারী গাড়ি আটকে দেন।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

এ পরিস্থিতিতে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. কামরুজ্জামান গোপালগঞ্জ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এর আগে বেলা পৌনে ২টার দিকে ২০০ থেকে ৩০০ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে এনসিপির সমাবেশস্থলে যান। সে সময় মঞ্চের আশপাশে থাকা পুলিশ সদস্যরা সেখান থেকে দ্রুত আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। একই সময়ে মঞ্চে ও মঞ্চের সামনে থাকা এনসিপির নেতা-কর্মীরাও দৌড়ে সরে যান।

হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। একপর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে যান। এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশ এক হয়ে ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

হামলাকারীরা সবাই ‘আওয়ামী লীগের সমর্থক’ বলে এনসিপির নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন।এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। বলা হয়েছিল, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু তাঁরা সমাবেশস্থলে এসে দেখেন পরিস্থিতি ঠিক নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত