অনলাইন ডেস্ক
অনেকেই পোষা বিড়ালের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলেন। মনে হয় যেন, কোনো শিশুর সঙ্গে কথা বলছেন। পোষাপ্রেমীদের এই আচরণে অনেকেই বিরক্ত হলেও বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা ইতিবাচক তথ্য দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চাদের মতোই আহ্লাদী কথা শুনতে পছন্দ করে বিড়াল।
২০২২ সালে অ্যানিমেল কগনিশন নামের সাময়িকীতে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়, বিড়ালেরা অপরিচিতদের থেকে মালিকের কণ্ঠস্বর আলাদা করতে পারে ও তাদের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বললে তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। তবে শুধু মালিকের আহ্লাদী কথায় সাড়া দেয়, অপরিচিতদের এই ধরনের কথায় সাড়া দেয় না বিড়াল।
গবেষণার জন্য ৮ থেকে ২ বছর বয়সী ১৬টি বিড়াল নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। ‘তুমি কী ট্রিট (খাবার) পেতে চাও?’ —এই ধরনের কিছু বাক্য বিড়ালের মালিকদের দুই ধরনের কণ্ঠে রেকর্ড করতে বলেন গবেষকেরা। বাক্যগুলো একবার আহ্লাদী কণ্ঠে রেকর্ড করা হয় ও আরেকবার স্বাভাবিক কণ্ঠে। ১৬ জনের অপরিচিত ব্যক্তিদের আহ্লাদী কণ্ঠে ও স্বাভাবিক কণ্ঠে একই বাক্য রেকর্ড করা হয়।
অপরিচিতদের রেকর্ড করা কণ্ঠগুলো মালিকদের উপস্থিতিতেই বিড়ালদের শোনানো হয়। তবে এতে বিড়ালগুলো তেমন কোনো সাড়া দেয়নি। এ সময় শূন্য থেকে ২০ পর্যন্ত স্কেলে বিড়ালের প্রতিক্রিয়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেন গবেষকেরা। এ ক্ষেত্রে বিড়ালদের চোখের মণি, কান বাঁকানো ও রেকর্ড করা কণ্ঠের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলোর ওপর নম্বর দেন।
এসব পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অপরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই বিড়ালগুলোর। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তির আহ্লাদী কণ্ঠে গান শুনেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তবে বিড়ালের মালিকেরা যখন আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলে, তখন ১৬টি বিড়ালের মধ্যে ১০টি উৎফুল্ল হয় ও মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে।
গবেষণাটির প্রধান শার্লট ডি মৌজন বলেন, ‘দীর্ঘদিনের ধারণা হচ্ছে যে, বিড়ালেরা খুবই স্বাধীন প্রাণী, শুধু খাওয়া এবং আশ্রয়ের জন্য (মানুষের প্রতি) আগ্রহী। তবে বিড়ালেরা মালিকের প্রতি বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখায় ও অপরিচিতদের ক্ষেত্রে এমন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, এগুলো মালিকের প্রতি অনুরক্ত বা আসক্ত।
অবশ্য এমন তথ্য জেনে অবাক হচ্ছেন না বিড়াল আচরণবিদ মিকেল ডেলগাডো। হাফিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, বিড়াল নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা হলো, এরা শান্ত, কম ভীতিমূলক উচ্চ কণ্ঠ বা উচ্চ স্বরের কথায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ডেলগাডো আরও বলেন, কুকুরসহ অনেক প্রজাতি উচস্বরের আহ্লাদী কণ্ঠে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়। মালিকের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত বিড়ালেরা। কখন মালিকেরা স্বাভাবিক কণ্ঠ পরিবর্তন করে তাদের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলছে তা তারা বুঝতে পারে। এর মাধ্যমে তারা বুঝতে পারে কখন ট্রিট বা খাবার পাবে ও মালিকেরা তাদের সঙ্গে খেলা করবে বা তাদের প্রতি মনোযোগ দেবে।
জেসি হকিংস নামের এক ব্যক্তি বলেন, শুধু আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বললেই তাঁর ১ বছর বয়সী বিড়াল প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই ধরনের কণ্ঠ শুনলেই বিড়ালটি হকিংসের চোখের দিকে তাকিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও লেজ নাড়ায়।
টিকটকার আমিরা স্প্যান বলেন, তাঁর দুটি বিড়ালই ভালোমতো কণ্ঠস্বর শনাক্ত করতে পারে।
আহ্লাদী কণ্ঠ ছাড়াও বিড়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো—বিড়ালের চোখের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে পলক ফেলা। ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরে ধীরে পলক ফেলার মাধ্যমে বিড়ালেরা স্বস্তি বোধ করে
ডেলগাডো বলেন, অনেক গবেষণায় দেখা যায় যে, বিড়াল তার মালিকের প্রতি আসক্ত। মানুষের প্রতি আসক্তি নিয়ে কুকুরের ওপর প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে। তবে বিড়ালের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বিড়ালকে ভালোভাবে বোঝা বা বৈজ্ঞানিকভাবে এদের নিয়ে গবেষণা করা কঠিন বলে প্রচলিত ধারণা রয়েছে। কারণ গবেষণাগারে বিড়ালের চেয়ে কুকুরকে রাখা বেশি সহজ।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কুকুরের তুলনায় অনেক পরে বিড়াল পোষা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য কুকুরে চেয়ে বিড়ালের কম ব্রিডিং করা হয়েছে।
ডেলগাডো বলেন, কুকুরকে পোষ মানানোর পুরা প্রক্রিয়া জুড়ে এরা অনেক পরিবর্তনের মধ্যে গেছে। সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করা ও যোগাযোগের সঙ্গে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ছিল। তবে বিড়ালের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি। তাই মানুষের কাছে বিড়াল কিছুটা রহস্যময়ী প্রাণী।
তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট
অনেকেই পোষা বিড়ালের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলেন। মনে হয় যেন, কোনো শিশুর সঙ্গে কথা বলছেন। পোষাপ্রেমীদের এই আচরণে অনেকেই বিরক্ত হলেও বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞানীরা ইতিবাচক তথ্য দিয়েছেন। গবেষণায় দেখা গেছে, বাচ্চাদের মতোই আহ্লাদী কথা শুনতে পছন্দ করে বিড়াল।
২০২২ সালে অ্যানিমেল কগনিশন নামের সাময়িকীতে এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। গবেষণাপত্রে বলা হয়, বিড়ালেরা অপরিচিতদের থেকে মালিকের কণ্ঠস্বর আলাদা করতে পারে ও তাদের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বললে তারা ইতিবাচকভাবে সাড়া দেয়। তবে শুধু মালিকের আহ্লাদী কথায় সাড়া দেয়, অপরিচিতদের এই ধরনের কথায় সাড়া দেয় না বিড়াল।
গবেষণার জন্য ৮ থেকে ২ বছর বয়সী ১৬টি বিড়াল নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। ‘তুমি কী ট্রিট (খাবার) পেতে চাও?’ —এই ধরনের কিছু বাক্য বিড়ালের মালিকদের দুই ধরনের কণ্ঠে রেকর্ড করতে বলেন গবেষকেরা। বাক্যগুলো একবার আহ্লাদী কণ্ঠে রেকর্ড করা হয় ও আরেকবার স্বাভাবিক কণ্ঠে। ১৬ জনের অপরিচিত ব্যক্তিদের আহ্লাদী কণ্ঠে ও স্বাভাবিক কণ্ঠে একই বাক্য রেকর্ড করা হয়।
অপরিচিতদের রেকর্ড করা কণ্ঠগুলো মালিকদের উপস্থিতিতেই বিড়ালদের শোনানো হয়। তবে এতে বিড়ালগুলো তেমন কোনো সাড়া দেয়নি। এ সময় শূন্য থেকে ২০ পর্যন্ত স্কেলে বিড়ালের প্রতিক্রিয়াগুলোর ওপর ভিত্তি করে নম্বর দেন গবেষকেরা। এ ক্ষেত্রে বিড়ালদের চোখের মণি, কান বাঁকানো ও রেকর্ড করা কণ্ঠের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মতো বিষয়গুলোর ওপর নম্বর দেন।
এসব পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, অপরিচিত ব্যক্তির কণ্ঠস্বরের প্রতি তেমন আগ্রহ নেই বিড়ালগুলোর। এমনকি অপরিচিত ব্যক্তির আহ্লাদী কণ্ঠে গান শুনেও তারা কোনো সাড়া দেয়নি। তবে বিড়ালের মালিকেরা যখন আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলে, তখন ১৬টি বিড়ালের মধ্যে ১০টি উৎফুল্ল হয় ও মনোযোগ দিয়ে কথা শোনে।
গবেষণাটির প্রধান শার্লট ডি মৌজন বলেন, ‘দীর্ঘদিনের ধারণা হচ্ছে যে, বিড়ালেরা খুবই স্বাধীন প্রাণী, শুধু খাওয়া এবং আশ্রয়ের জন্য (মানুষের প্রতি) আগ্রহী। তবে বিড়ালেরা মালিকের প্রতি বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখায় ও অপরিচিতদের ক্ষেত্রে এমন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। এর মাধ্যমে বোঝা যায় যে, এগুলো মালিকের প্রতি অনুরক্ত বা আসক্ত।
অবশ্য এমন তথ্য জেনে অবাক হচ্ছেন না বিড়াল আচরণবিদ মিকেল ডেলগাডো। হাফিংটন পোস্টকে তিনি বলেন, বিড়াল নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা হলো, এরা শান্ত, কম ভীতিমূলক উচ্চ কণ্ঠ বা উচ্চ স্বরের কথায় বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
ডেলগাডো আরও বলেন, কুকুরসহ অনেক প্রজাতি উচস্বরের আহ্লাদী কণ্ঠে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখায়। মালিকের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে ভালোভাবে পরিচিত বিড়ালেরা। কখন মালিকেরা স্বাভাবিক কণ্ঠ পরিবর্তন করে তাদের সঙ্গে আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বলছে তা তারা বুঝতে পারে। এর মাধ্যমে তারা বুঝতে পারে কখন ট্রিট বা খাবার পাবে ও মালিকেরা তাদের সঙ্গে খেলা করবে বা তাদের প্রতি মনোযোগ দেবে।
জেসি হকিংস নামের এক ব্যক্তি বলেন, শুধু আহ্লাদী কণ্ঠে কথা বললেই তাঁর ১ বছর বয়সী বিড়াল প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই ধরনের কণ্ঠ শুনলেই বিড়ালটি হকিংসের চোখের দিকে তাকিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও লেজ নাড়ায়।
টিকটকার আমিরা স্প্যান বলেন, তাঁর দুটি বিড়ালই ভালোমতো কণ্ঠস্বর শনাক্ত করতে পারে।
আহ্লাদী কণ্ঠ ছাড়াও বিড়ালদের সঙ্গে যোগাযোগ করার আরেকটি কার্যকর উপায় হলো—বিড়ালের চোখের দিকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে পলক ফেলা। ২০২০ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধীরে ধীরে পলক ফেলার মাধ্যমে বিড়ালেরা স্বস্তি বোধ করে
ডেলগাডো বলেন, অনেক গবেষণায় দেখা যায় যে, বিড়াল তার মালিকের প্রতি আসক্ত। মানুষের প্রতি আসক্তি নিয়ে কুকুরের ওপর প্রচুর গবেষণা করা হয়েছে। তবে বিড়ালের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। বিড়ালকে ভালোভাবে বোঝা বা বৈজ্ঞানিকভাবে এদের নিয়ে গবেষণা করা কঠিন বলে প্রচলিত ধারণা রয়েছে। কারণ গবেষণাগারে বিড়ালের চেয়ে কুকুরকে রাখা বেশি সহজ।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, কুকুরের তুলনায় অনেক পরে বিড়াল পোষা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য প্রকাশের জন্য কুকুরে চেয়ে বিড়ালের কম ব্রিডিং করা হয়েছে।
ডেলগাডো বলেন, কুকুরকে পোষ মানানোর পুরা প্রক্রিয়া জুড়ে এরা অনেক পরিবর্তনের মধ্যে গেছে। সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করা ও যোগাযোগের সঙ্গে এই প্রক্রিয়া সম্পর্কিত ছিল। তবে বিড়ালের ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি। তাই মানুষের কাছে বিড়াল কিছুটা রহস্যময়ী প্রাণী।
তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট
আমাদের গ্রহের অভ্যন্তরে ঘটছে অসংখ্য জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়াটি পৃথিবীর উপরিভাগের চেয়ে অনেক বেশি রহস্যময়। ভূপৃষ্ঠের পাতলা স্তর এবং উত্তপ্ত কেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ম্যান্টল অঞ্চলটি প্রায় ২ হাজার ৯০০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত।
৯ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) প্রায় সাত মাস ধরে আটকে রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী বুচ উইলমোর। এত দীর্ঘ সময় মহাকাশে থাকার কারণে সুনিতা এখন বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি ভুলে গেছেন কীভাবে হাঁটতে হয়! এই চ্যালেঞ্জটি তাঁর শরীরের ওপর দীর্ঘ মহাকাশ অভিযানের প্র
১১ ঘণ্টা আগেমহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া নভোচারী বাচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামসকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে ইলন মাস্ককে নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এ তথ্য জানান মাস্ক। তবে এই ঘোষণার ফলে নাসার...
২ দিন আগেচাঁদে গিয়ে অক্সিজেনের সংকটে পড়েন নভোচারীরা। এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যায় কীভাবে, সেই উদ্যোগ নিয়েছেন একদল প্রকৌশলী। তাঁরা চাইছেন, সেখানে যে অক্সিজেন পাওয়া যায়, এ জন্য একটি যন্ত্রের নকশা তৈরি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা স্পেসের প্রকৌশলীরা। তাঁরা আশা করছেন
৪ দিন আগে