খামারি

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশুখাদ্যের দাম। এতে করে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে না পেরে গঙ্গাচড়ার খামারিরা ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছেন। ইতিমধ্যে অনেকে খামার থেকে গরু বিক্রি করে দিয়েছেন।

সাতক্ষীরার তালায় গোখাদ্য ছোলা, ভুট্টা, ভুসি ও খড়ের দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গত সপ্তাহে যে ভুসির দাম ছিল বস্তাপ্রতি ১ হাজার ৫৫০ টাকা; তা ৩৫০ টাকা বেড়ে এখন ১ হাজার ৯০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

সাতক্ষীরার তালায় গো-খাদ্য ছোলা, ভুট্টা, ভুসি, ফিড ও খড়ের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। গত সপ্তাহে যে ভুসির দাম ছিল বস্তাপ্রতি ১ হাজার ৫৫০ টাকা, এখন তা ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩ হাজার টাকার খৈল বৃদ্ধি পেয়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। এমনভাবে প্রায় সব গো-খাদ্য বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে

দুগ্ধ শীতলীকরণ কেন্দ্র বা চিলিং পয়েন্ট না থাকায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে ডেইরি খামারিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে তাঁরা উৎপাদিত দুধ প্রায় অর্ধেক দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।

নওগাঁর রাণীনগরে দফায় দফায় গোখাদ্যের দাম বাড়ায় কঠিন বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। অনেকেই খামার বন্ধের কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। মাসখানেক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা গোখাদ্যের দাম ছিল ১ হাজার টাকা।

রাজশাহীর চারঘাটে গোখাদ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় পশু পালনে হিমশিম খাচ্ছেন খামারিরা। এ ছাড়া খরা ও দাবদাহে মাঠে ঘাসের সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে চারঘাট উপজেলায় দুগ্ধ ও মোটাতাজাকরণ মিলে প্রায় ৮৮৩টি গরুর খামার ও  ২ হাজার ৫২০টি ছাগলের খামার রয়েছে।

ঈশ্বরগঞ্জে গোখাদ্যের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় গবাদিপশু পালনে হিমশিম খাচ্ছেন ছোট-বড় খামারিসহ কৃষকেরা। এ অবস্থায় প্রান্তিক কৃষকসহ খামারিদের টিকে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তাঁদের দাবি, দুই মাস আগেও গোখাদ্যের দাম সহনীয় ছিল। সম্প্রতি সেই দাম অনেক বেড়েছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক মুরগির খামার। খাবার, ওষুধ, বাচ্চা ও পোলট্রি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের।

মাস খানেক আগে ২৫ কেজির এক বস্তা গোখাদ্যের পাইকারি দাম ছিল ১ হাজার টাকা। এটা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২২৫ টাকায়। ৩৫ কেজির ভুসির বস্তায় ২৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার প্রান্তিক খামারিরা।

লাগামহীন মুরগির খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাইয়ের মুরগির খামারিরা। পোলট্রি খাবার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাসের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৪০০-৪৫০ টাকা। আর এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে খামারিদের গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণ বিষয়ক তিন দিনের প্রশিক্ষণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণার্থীরা বলছেন, তিন দিনের প্রশিক্ষণ একদিনেই শেষ করা হয়েছে।

বগুড়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুরগির খামারিরা। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খামারি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম। এতে অনেক খামারি পথে বসেছেন। অনেক খামার রয়েছে বন্ধের পথে।

পাবনার সাঁথিয়ায় পাঁচ বছর ধরে গোখাদ্যের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ সময় একটুও বাড়েনি দুধের দাম। এ নিয়ে হতাশ খামারিরা। তাঁরা চড়া দামে গোখাদ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব মিলাতে না পেরে অনেক খামারি গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় বেড়েছে ডিমের দাম। গত ১৫ দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ। হাঁস-মুরগির খাবার ও পরিবহন মূল্য বেড়ে যাওয়ায় ডিমের দামে প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধি পেয়েছে গোখাদ্য খড়ের দাম। ত্রিমুখী চাহিদার কারণে এ দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। এতে খরচ বেশি লাগছে গরুর খামারিদের।

শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিন শতাধিক মুরগির খামারে বিভিন্ন জাতের মুরগির ঠান্ডাজনিত নানা রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ফলে মুরগি পালন ও পরিচর্যা করতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খামারিরা।

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। পুরো মাঠ যেন হলুদ চাদরে ঢেকে আছে। এই সুযোগে প্রতিবারের মতো এবারও সরিষাখেত থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌ-খামারিরা।