রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)রাব্বিউল হাসান, কালাই (জয়পুরহাট)
লাগামহীন মুরগির খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাইয়ের মুরগির খামারিরা। পোলট্রি খাবার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাসের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৪০০-৪৫০ টাকা। আর এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম।
খামারিরা বলছেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুরগির বাজার ঠিক রাখতে হবে। তবেই এই পোলট্রিশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব। দিন দিন শুধু খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু মুরগির বাড়ছে না। এভাবে চলতে থাকলে তাঁদের পথে বসতে হবে।
এম মাস আগে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়, বর্তমানে হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকায়। খুরচা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা। এক মাস আগে ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকায়। এখন তা বেড়ে হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলায় সোনালি জাতের মুরগির খামার ৯০০টি, ব্রয়লারের ২০৪, লেয়ারের ৭ এবং প্যারেন্টস (ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হয়) জাতের রয়েছে ২টি খামার।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, গত রোববার বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমান তার দাম ৩ হাজার ৫০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। আর বর্তমানে ২ হাজার ৮৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির খাবারের প্রতি বস্তার দাম ছিল ২ হাজার ৪৫০ টাকা। বর্তমানে ২ হাজার ৫৫০ টাকা।
উপজেলার তিশরাপাড়ার খামারি সুজন আহম্মেদ বলেন, ‘সোনালি জাতের চার হাজার মুরগির খামার করেছিলাম। খাদ্য, ওষুধ, শেড ভাড়া মিলিয়ে যে খরচ হয়, তা মুরগি বিক্রি করে তোলা সম্ভব হয় না। এ জন্য সাত মাস ধরে মুরগির খামার বন্ধ রেখেছি। এখন খামারে মুরগি তুললে শুধু লোকসান গুনতে হবে।’
উপজেলার মাদাই গ্রামের খামারি মকবুল হোসেন জানান, তিনি সোনালি জাতের ১০ হাজার মুরগি তুলেছেন খামারে। বাচ্চা ফার্মে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। আছে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, তুষ ও শ্রমিকের মজুরি। বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এখন যে বাজার, তাতে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলার পুনটের মুরগির খাবার ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, এক মাসেই খাদ্যের দাম বেড়েছে তিনবার। গত রোববার বেড়েছে প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির ২ হাজার ৮৫০ এবং লেয়ার মুরগির খাবারের প্রতি বস্তা ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরেক খুচরা ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে লাগামহীন খাদ্যের দাম বাড়ায় অধিকাংশ খামারি খামার বন্ধ রেখেছেন।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলায় মোট ১ হাজার ১১৩টি খামার রয়েছে। ছোট খামারে তিনজন, বড় খামারগুলোতে প্রায় ১০-১৫ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের, এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাসান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুরগিগুলোকে নিয়মিত টিকা প্রদানের মাধ্যমে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে খামারিদের। ফলে মৃত্যুহার কমে যাবে। ওষুধের ব্যবহার কিছুটা কমে যাবে এবং মুরগির ওজন ভালো আসবে। এ ছাড়া জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে খামারিদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
লাগামহীন মুরগির খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন জয়পুরহাটের কালাইয়ের মুরগির খামারিরা। পোলট্রি খাবার ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাসের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৪০০-৪৫০ টাকা। আর এক দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ১০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম।
খামারিরা বলছেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে খাবারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মুরগির বাজার ঠিক রাখতে হবে। তবেই এই পোলট্রিশিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব। দিন দিন শুধু খাদ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু মুরগির বাড়ছে না। এভাবে চলতে থাকলে তাঁদের পথে বসতে হবে।
এম মাস আগে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকায়, বর্তমানে হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকায়। খুরচা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা। এক মাস আগে ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ১১৫-১২০ টাকায়। এখন তা বেড়ে হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকায়।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে জানা গেছে, উপজেলায় সোনালি জাতের মুরগির খামার ৯০০টি, ব্রয়লারের ২০৪, লেয়ারের ৭ এবং প্যারেন্টস (ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হয়) জাতের রয়েছে ২টি খামার।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ও খামার ঘুরে দেখা গেছে, গত রোববার বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৯৫০ টাকায়। বর্তমান তার দাম ৩ হাজার ৫০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। আর বর্তমানে ২ হাজার ৮৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির খাবারের প্রতি বস্তার দাম ছিল ২ হাজার ৪৫০ টাকা। বর্তমানে ২ হাজার ৫৫০ টাকা।
উপজেলার তিশরাপাড়ার খামারি সুজন আহম্মেদ বলেন, ‘সোনালি জাতের চার হাজার মুরগির খামার করেছিলাম। খাদ্য, ওষুধ, শেড ভাড়া মিলিয়ে যে খরচ হয়, তা মুরগি বিক্রি করে তোলা সম্ভব হয় না। এ জন্য সাত মাস ধরে মুরগির খামার বন্ধ রেখেছি। এখন খামারে মুরগি তুললে শুধু লোকসান গুনতে হবে।’
উপজেলার মাদাই গ্রামের খামারি মকবুল হোসেন জানান, তিনি সোনালি জাতের ১০ হাজার মুরগি তুলেছেন খামারে। বাচ্চা ফার্মে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা। আছে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, তুষ ও শ্রমিকের মজুরি। বাজারজাতকরণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হবে। এখন যে বাজার, তাতে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলার পুনটের মুরগির খাবার ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন বলেন, এক মাসেই খাদ্যের দাম বেড়েছে তিনবার। গত রোববার বেড়েছে প্রতি বস্তায় ১০০ টাকা। বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৫০ টাকায়। সোনালি মুরগির ২ হাজার ৮৫০ এবং লেয়ার মুরগির খাবারের প্রতি বস্তা ২ হাজার ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরেক খুচরা ব্যবসায়ী মিলন হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এভাবে লাগামহীন খাদ্যের দাম বাড়ায় অধিকাংশ খামারি খামার বন্ধ রেখেছেন।
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন মো. নুরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলায় মোট ১ হাজার ১১৩টি খামার রয়েছে। ছোট খামারে তিনজন, বড় খামারগুলোতে প্রায় ১০-১৫ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। খাবারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের, এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. হাসান আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, মুরগিগুলোকে নিয়মিত টিকা প্রদানের মাধ্যমে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব কমানোর জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে খামারিদের। ফলে মৃত্যুহার কমে যাবে। ওষুধের ব্যবহার কিছুটা কমে যাবে এবং মুরগির ওজন ভালো আসবে। এ ছাড়া জীবনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে খামারিদের সার্বিক বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫