Ajker Patrika

নিহতের বাবার অভিযোগ

ছেলের লাশ পেতে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে

রাঙামাটি প্রতিনিধি 
উক্য চিং মারমা
উক্য চিং মারমা

উসাই মং মারমা ও ডেজি মারমা। দুজনই শিক্ষক। তাঁদের একমাত্র সন্তান উক্য চিং মারমা। চলতি বছরে ইংলিশ ভার্সনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করেন উক্য চিং মারমাকে। হোস্টেলে থাকত ছেলে। এরপর সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। তবে গত সোমবার মাইলস্টোনের দুর্ঘটনায় দগ্ধ হয় উক্য চিং মারমা। নেওয়া হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে দিবাগত রাত ৩টায় মারা যায় উক্য চিং মারমা।

ছেলে দুর্ঘটনার খবর শুনে ওই রাতেই ঢাকায় আসেন বাবা উসাই মং মারমা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছেলের লাশ গ্রহণ করেন তিনি। বলেন, ‘আমাদের স্বপ্ন ছিল ছেলেকে মানুষ করা। মাইলস্টোনে ভালো ফলাফল করার পর সেন্ট জোসেফ বা নটর ডেমে ভর্তি করানো। কিন্তু সোমবারের দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল আমাদের।’

রাঙামাটির একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক উসাই মং। আর ডেজি মারমা বান্দরবানের রুমায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। উসাই মং মারমা বলেন, ‘ছেলের লাশ গ্রহণ করেছি। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়েছে। আমাদের পাশে ঢাকায় এক আত্মীয় ছাড়া কেউই ছিল না। এত বড় দুর্ঘটনা, অভিভাবকদের সরকারিভাবে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে, এমন কোনো পরিবেশ ছিল না। ছিল না সরকারের বা প্রশাসনের কেউ। আমাকে সমবেদনা জানানো বা সহযোগিতা করা তো দূরের কথা, লাশ গ্রহণে আমাকে পুলিশের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে উল্টো।’

এ দুর্ঘটনার দায় সরকার এড়াতে পারে না অভিযোগ করে উসাই মং মারমা বলেন, ‘জনবহুল এলাকায় যুদ্ধবিমান নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে—এটা কোনো ধরনের দেশ।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু তো শেষ হয়ে গেল আমার। এ ক্ষতি তো কেউ পূরণ করে দিতে পারবে না। আমাদের তো সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। আমাদের মতো যেন আর কেউ এভাবে সন্তান-হারা না হয়, সেটা চাওয়া ছাড়া আমার আর কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচার করা ৭৮১ কোটি টাকা ফেরত দিতে চেয়েও জামিন পেলেন না নাসার চেয়ারম্যান নজরুল

জীবন বিলিয়ে দিয়ে উত্তরার মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীদের বাঁচালেন, কে এই মাহরীন চৌধুরী

পাইলটের শেষ বার্তা: বিমান ভাসছে না, নিচে পড়ছে

মেয়ের কফিনে বাবার চুমু

মাইলস্টোনের শিক্ষার্থীরাই ছিল ৩৭ বছরের মাসুকার ‘সংসার’, যুদ্ধবিমান তছনছ করে দিল

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত