মধুপুর প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধি পেয়েছে গোখাদ্য খড়ের দাম। ত্রিমুখী চাহিদার কারণে এ দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। এতে খরচ বেশি লাগছে গরুর খামারিদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি আঁটি খড় চার-পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে তা বিক্রি হতো দু-তিন টাকায়।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানান, মধুপুরে বর্তমান আমন মৌসুমে প্রায় ৬৩ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন খড় উৎপাদিত হয়েছে। এই খড় দিয়েই গবাদিপশুর খাবার চাহিদা পূরণ সম্ভব ছিল। কিন্তু আনারসের ফলন রক্ষায় এবার প্রয়োজন হবে বেশি খড়ের। কারণ, এ বছর জেলায় আনারসের আবাদ বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এবার খড়ের চাহিদা বেশি। সে জন্য খড় কেনার ঝোঁক বেড়েছে চাষি ও খামারিদের মধ্যে। অপরদিকে সমতল ভূমির গৃহস্থদের সবুজ ঘাসের অভাব রয়েছে। ফলে তাঁদের খড়ের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়ে। তাই এ বছর খড় কিনতে গৃহস্থদেরও বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১ হাজার ৭৬৬টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহস্থরা গবাদিপশু পালন করে থাকেন। সব মিলিয়ে গরুর সংখ্যা ৯৭ হাজারের বেশি। অন্যদিকে মহিষ রয়েছে ২ হাজার ৫৫টি। প্রতিটি গরুর প্রতিদিন ২ কেজি খড় ও ৫ কেজি ঘাসের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী প্রতিবছর এসব গবাদিপশুর জন্য ৭১ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন খড় প্রয়োজন। ঘাস প্রয়োজন হয় ১৭ কোটি ৮০ লাখ ৬৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আনারস আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। অনেকে এখনো আনারসের চারা রোপণে ব্যস্ত।
আনারস বাগানে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ব্যাপক খড়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি আনারসকে রোদের উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে খড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। সে জন্য প্রচুর পরিমাণে খড়ের প্রয়োজন হয়। সেই চাহিদা মেটাতে এখনই চাষিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খড় সংগ্রহ করছেন।
আশুরা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, ‘আমি ধান কাটার আগেই খড় বিক্রি করে দিয়েছি। দুই বিঘা জমির খড় বিক্রি করেছি সাত হাজার টাকায়।’
একই গ্রামের শামছুল হক তাঁর খেতের ধান কেটেছেন টাকা ছাড়াই। যাঁদের খড় প্রয়োজন, তারাই ৬০০ টাকা করে প্রতিজন শ্রমিক এনে ধান কেটে মাড়াই করে খড় নিয়ে গেছেন। এখনো বাড়ি বাড়ি ঘুরে খড় কিনে নিচ্ছেন গৃহস্থ ও আনারসচাষিরা।
এদিকে খড়ের এই চাহিদার ফলে গরুর খামারিদের ব্যয় বেড়ে গেছে। খড় সংকটও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক আব্দুস সাত্তারসহ অনেকেই।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, মধুপুরে গোখাদ্যের সংকট মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারবে। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই গোখাদ্য মেটানোর চেষ্টা করেন। তবে সমতল ভূমির মানুষ খড়ের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা আমন ও বোরো মৌসুমে খড় কিনে তাঁদের চাহিদা পূরণ করেন। এ বছর আনারসের আবাদ বাড়ায় খড়ের একটু চাহিদা বাড়লেও কৃষকেরা তাঁদের খড়ের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে বৃদ্ধি পেয়েছে গোখাদ্য খড়ের দাম। ত্রিমুখী চাহিদার কারণে এ দাম বেড়েছে বলে জানা গেছে। এতে খরচ বেশি লাগছে গরুর খামারিদের।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রতি আঁটি খড় চার-পাঁচ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগে তা বিক্রি হতো দু-তিন টাকায়।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানান, মধুপুরে বর্তমান আমন মৌসুমে প্রায় ৬৩ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন খড় উৎপাদিত হয়েছে। এই খড় দিয়েই গবাদিপশুর খাবার চাহিদা পূরণ সম্ভব ছিল। কিন্তু আনারসের ফলন রক্ষায় এবার প্রয়োজন হবে বেশি খড়ের। কারণ, এ বছর জেলায় আনারসের আবাদ বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে তাই এবার খড়ের চাহিদা বেশি। সে জন্য খড় কেনার ঝোঁক বেড়েছে চাষি ও খামারিদের মধ্যে। অপরদিকে সমতল ভূমির গৃহস্থদের সবুজ ঘাসের অভাব রয়েছে। ফলে তাঁদের খড়ের ওপরই বেশি নির্ভর করতে হয়ে। তাই এ বছর খড় কিনতে গৃহস্থদেরও বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১ হাজার ৭৬৬টি গরুর খামার রয়েছে। এ ছাড়া গৃহস্থরা গবাদিপশু পালন করে থাকেন। সব মিলিয়ে গরুর সংখ্যা ৯৭ হাজারের বেশি। অন্যদিকে মহিষ রয়েছে ২ হাজার ৫৫টি। প্রতিটি গরুর প্রতিদিন ২ কেজি খড় ও ৫ কেজি ঘাসের প্রয়োজন হয়। সে অনুযায়ী প্রতিবছর এসব গবাদিপশুর জন্য ৭১ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন খড় প্রয়োজন। ঘাস প্রয়োজন হয় ১৭ কোটি ৮০ লাখ ৬৫ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছর আনারস আবাদ হয়েছিল ৫ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। চলতি মৌসুমে ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আনারসের চাষ হয়েছে। অনেকে এখনো আনারসের চারা রোপণে ব্যস্ত।
আনারস বাগানে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসে ব্যাপক খড়ের প্রয়োজন হয়। প্রতিটি আনারসকে রোদের উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে খড় দিয়ে ঢেকে দিতে হয়। সে জন্য প্রচুর পরিমাণে খড়ের প্রয়োজন হয়। সেই চাহিদা মেটাতে এখনই চাষিরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে খড় সংগ্রহ করছেন।
আশুরা গ্রামের কৃষক হাসান আলী জানান, ‘আমি ধান কাটার আগেই খড় বিক্রি করে দিয়েছি। দুই বিঘা জমির খড় বিক্রি করেছি সাত হাজার টাকায়।’
একই গ্রামের শামছুল হক তাঁর খেতের ধান কেটেছেন টাকা ছাড়াই। যাঁদের খড় প্রয়োজন, তারাই ৬০০ টাকা করে প্রতিজন শ্রমিক এনে ধান কেটে মাড়াই করে খড় নিয়ে গেছেন। এখনো বাড়ি বাড়ি ঘুরে খড় কিনে নিচ্ছেন গৃহস্থ ও আনারসচাষিরা।
এদিকে খড়ের এই চাহিদার ফলে গরুর খামারিদের ব্যয় বেড়ে গেছে। খড় সংকটও দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন কৃষক আব্দুস সাত্তারসহ অনেকেই।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, মধুপুরে গোখাদ্যের সংকট মানুষ কাটিয়ে উঠতে পারবে। পাহাড়ি অঞ্চলের মানুষ প্রাকৃতিকভাবেই গোখাদ্য মেটানোর চেষ্টা করেন। তবে সমতল ভূমির মানুষ খড়ের ওপর নির্ভরশীল। তাঁরা আমন ও বোরো মৌসুমে খড় কিনে তাঁদের চাহিদা পূরণ করেন। এ বছর আনারসের আবাদ বাড়ায় খড়ের একটু চাহিদা বাড়লেও কৃষকেরা তাঁদের খড়ের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫