সনি আজাদ, চারঘাট
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক মুরগির খামার। খাবার, ওষুধ, বাচ্চা ও পোলট্রি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। এরই মধ্যে উপজেলার অর্ধেকের বেশি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ রিবেট সুবিধা বাতিল করায় দিশেহারা খামারিরা।
এদিকে খাবার ও বাচ্চার দাম দফায় দফায় বাড়ায় সম্প্রতি উপজেলা পোলট্রি খামারিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। তাঁরা দাবি করেন, সিন্ডিকেট করে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ পেতে জামানতের ঝামেলা থাকায় এই ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন নতুন উদ্যোক্তারা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দেশে অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে কাঁচামালের দাম। সংকট আরও ঘনীভূত হলে চারঘাটের পোলট্রি শিল্পের প্রান্তিক খামারিদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬০০ মুরগির খামার ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিন শতাধিক খামার চালু আছে। চালু খামারগুলোও বিভিন্ন বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থেকে কার্যক্রম করছে। এতে খামারিদের চেয়ে কোম্পানিগুলো বেশি লাভবান হচ্ছে। এদিকে খামার বন্ধ হওয়া প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার মিয়াপুর এলাকার খামারি ওবাইদুর রহমান রিগেন জানান, ‘লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, খাবারসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় উপজেলার সম্ভাবনাময় এ শিল্প লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগেও একটি লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ২০ টাকা। বর্তমানে সেই বাচ্চার দাম ৪০ টাকা। একইভাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামের একটি বয়লার মুরগির বাচ্চা ৭০-৭৫ টাকা ও সোনালি জাতের বাচ্চা ৩০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। তা ছাড়া পোলট্রি মুরগির খাবার রেডি ফিট প্রতি বস্তা এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে তিন হাজার টাকা বস্তা হয়েছে।’
উপজেলার রাওথা এলাকার খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোকসান করতে করতে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। দামটাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। নির্ধারণ করছে অন্য একটি সিন্ডিকেট। পাঁচ বছর আগে একটি ডিম বিক্রি হতো ছয় থেকে সাত টাকা। এখনো খামারিরা সেই আগের দামেই ডিম বিক্রি করছেন। কিন্তু বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বেড়ে হয়েছে দুই তিন গুন। খামার করে বছরের পর বছর লোকসান গুনছি। মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।’
চারঘাট উপজেলা পোলট্রি খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, ‘উপজেলার প্রায় ৫০ ভাগ খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আর বাকি ২০ ভাগ বন্ধ হওয়ার পথে। ব্যক্তি মালিকানাধীন খামার নেই বললেই চলে, সবই বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। বেকার যুবকেরা ঋণ নিয়ে যে খামার করেছিলেন, এখন হঠাৎ করে মুরগির খাদ্যের দাম বাড়ায় তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নাজনীন নাহার বলেন, খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ায় ক্ষুদ্র খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। খামার টিকিয়ে রাখতে করোনাকালীন সময়ে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মচারীরা মাঠপর্যায়ে তদারকি চালিয়ে ও পরামর্শ দিয়ে খামারিদের এ ব্যবসায় ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় বন্ধ হচ্ছে একের পর এক মুরগির খামার। খাবার, ওষুধ, বাচ্চা ও পোলট্রি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে খামারিদের। এরই মধ্যে উপজেলার অর্ধেকের বেশি পোলট্রি খামার বন্ধ হয়ে গেছে। একই সঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ রিবেট সুবিধা বাতিল করায় দিশেহারা খামারিরা।
এদিকে খাবার ও বাচ্চার দাম দফায় দফায় বাড়ায় সম্প্রতি উপজেলা পোলট্রি খামারিরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। তাঁরা দাবি করেন, সিন্ডিকেট করে মুরগির বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্যাংক ঋণ পেতে জামানতের ঝামেলা থাকায় এই ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন নতুন উদ্যোক্তারা।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারিরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে দেশে অযৌক্তিকভাবে বাড়ানো হয়েছে কাঁচামালের দাম। সংকট আরও ঘনীভূত হলে চারঘাটের পোলট্রি শিল্পের প্রান্তিক খামারিদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন তাঁরা।
সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৬০০ মুরগির খামার ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিন শতাধিক খামার চালু আছে। চালু খামারগুলোও বিভিন্ন বড় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থেকে কার্যক্রম করছে। এতে খামারিদের চেয়ে কোম্পানিগুলো বেশি লাভবান হচ্ছে। এদিকে খামার বন্ধ হওয়া প্রায় তিন শতাধিক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার মিয়াপুর এলাকার খামারি ওবাইদুর রহমান রিগেন জানান, ‘লেয়ার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চা, খাবারসহ অন্য উপকরণের দাম বাড়ায় উপজেলার সম্ভাবনাময় এ শিল্প লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। কিছুদিন আগেও একটি লেয়ার মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ২০ টাকা। বর্তমানে সেই বাচ্চার দাম ৪০ টাকা। একইভাবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দামের একটি বয়লার মুরগির বাচ্চা ৭০-৭৫ টাকা ও সোনালি জাতের বাচ্চা ৩০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হয়েছে। তা ছাড়া পোলট্রি মুরগির খাবার রেডি ফিট প্রতি বস্তা এক হাজার ৮০০ টাকা থেকে বেড়ে তিন হাজার টাকা বস্তা হয়েছে।’
উপজেলার রাওথা এলাকার খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোকসান করতে করতে আমরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। দামটাও আমরা নির্ধারণ করতে পারছি না। নির্ধারণ করছে অন্য একটি সিন্ডিকেট। পাঁচ বছর আগে একটি ডিম বিক্রি হতো ছয় থেকে সাত টাকা। এখনো খামারিরা সেই আগের দামেই ডিম বিক্রি করছেন। কিন্তু বাচ্চা ও খাদ্যের দাম বেড়ে হয়েছে দুই তিন গুন। খামার করে বছরের পর বছর লোকসান গুনছি। মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা।’
চারঘাট উপজেলা পোলট্রি খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, ‘উপজেলার প্রায় ৫০ ভাগ খামার বন্ধ হয়ে গেছে। আর বাকি ২০ ভাগ বন্ধ হওয়ার পথে। ব্যক্তি মালিকানাধীন খামার নেই বললেই চলে, সবই বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। বেকার যুবকেরা ঋণ নিয়ে যে খামার করেছিলেন, এখন হঠাৎ করে মুরগির খাদ্যের দাম বাড়ায় তা বন্ধ হয়ে গেছে।’
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নাজনীন নাহার বলেন, খাদ্য ও ওষুধের দাম বাড়ায় ক্ষুদ্র খামারিরা লোকসানের মুখে পড়েছেন। খামার টিকিয়ে রাখতে করোনাকালীন সময়ে সরকারি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মচারীরা মাঠপর্যায়ে তদারকি চালিয়ে ও পরামর্শ দিয়ে খামারিদের এ ব্যবসায় ধরে রাখার চেষ্টা করছেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৯ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪