Ajker Patrika

নন্দীগ্রামে মধু সংগ্রহের ধুম

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১১: ৫০
নন্দীগ্রামে মধু সংগ্রহের ধুম

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন হলুদের সমারোহ। পুরো মাঠ যেন হলুদ চাদরে ঢেকে আছে। এই সুযোগে প্রতিবারের মতো এবারও সরিষাখেত থেকে মধু সংগ্রহ করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌ-খামারিরা।

উপজেলার বিভিন্ন মাঠে দেখা যায়, সরিষাখেতের পাশে ফাঁকা জমিতে পোষা মৌমাছির শত শত বাক্স সাজিয়ে রাখা হয়েছে। মৌমাছির দল ভু ভু শব্দ করে সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু আহরণ করছে। মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে ফিরে যাচ্ছে মৌ-খামারিদের মৌবাক্সে।

সেখানে তাদের সংগৃহীত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষাখেতে। এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা যেমন মধু সংগ্রহ করছে, তেমনি ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াতে গিয়ে ওই জমির সরিষা ফুলে পরাগায়ন করতে সহায়তা করছে মৌমাছির দল।

মৌ-খামারিরা জানান, একটি বাক্সে ৮-১০টি মোম দিয়ে তৈরি মৌচাকের ফ্রেম রাখা হয়। আর মৌ বাক্সের ভেতরে রাখা হয় রানি মৌমাছি। ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু এনে বাক্সের ভেতরের চাকে জমা করে। রানি মৌমাছির কারণে ওই বাক্সে মৌমাছিরা আসতে থাকে।

বাক্সের মাঝখানে নিচের দিকে ছিদ্র করে রাখা হয়। সে পথ দিয়ে মৌমাছিরা আসা-যাওয়া করতে থাকে। বাক্সের ভেতরের চাকগুলো মধুতে পরিপূর্ণ হতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। এরপর মধুচাষিরা বাক্স খুলে চাকের ফ্রেম থেকে মেশিনের সাহায্যে মধু সংগ্রহ করেন।

পঞ্চগড় জেলার ঝিটকিখুড়া গ্রাম থেকে আসা মৌ-খামারি সাদিত হোসেন বলেন, ‘আমরা ৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রামে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্য এসেছি। আশা করি ভালো পরিমাণ মধু সংগ্রহ করতে পারব।’

সাদিত হোসেন আরও জানান, সরিষা ফুলের জন্য তাঁরা বগুড়া ও সিরাজগঞ্জ, কালোজিরা ফুলের জন্য শরীয়তপুর, লিচু ফুলের জন্য দিনাজপুর ও নাটোর, কুমড়া ফুলের জন্য ঠাকুরগাঁও এবং তিলের ফুলের সময় নিজ এলাকাতেই মধু সংগ্রহ করেন। এ ছাড়া ৪-৫ মাস মৌমাছিদের চিনি খাইয়ে রাখতে হয়। বছর শেষে খরচ বাদে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা আয় হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, যেসব সরিষাখেতে মধু সংগ্রহ করা হচ্ছে সেই জমিগুলোতে অন্য জমির তুলনায় ১৫-২০ ভাগ ফলন বেশি হবে। কারণ, মৌমাছিরা ফুলে পরাগায়ন করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া এলাকাবাসী অল্প মূল্যে খাঁটি মধু পাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত