Ajker Patrika

ক্ষতির মুখে মুরগি খামারিরা

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ মার্চ ২০২২, ১৭: ৫৩
ক্ষতির মুখে মুরগি খামারিরা

বগুড়ায় খাবারের মূল্যবৃদ্ধিতে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন মুরগির খামারিরা। বেকার হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খামারি। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির খাবারের দাম বস্তায় বেড়েছে ৩০০ টাকা। সে অনুযায়ী বাড়েনি মুরগির দাম। এতে অনেক খামারি পথে বসেছেন। অনেক খামার রয়েছে বন্ধের পথে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলায় দেশীয় জাতের মুরগির খামার রয়েছে ১২২টি, সোনালি জাতের মুরগির খামার ৬৭টি, লেয়ার জাতের ৬৭টি, ব্রয়লার জাতের ৫৪টি এবং প্যারেন্টস (ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হয়) জাতের রয়েছে চারটি খামার।

উপজেলার বিভিন্ন বাজার এবং খামার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি দরে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি খামারে বিক্রি করা হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

উপজেলার মাঝিড়া ইউনিয়নের সাজাপুর চারমাথা এলাকার ফিড ব্যবসায়ী রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে বাজারে ব্রয়লার মুরগির খাবারের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। এক মাসের বাকিতে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির খাবারের বস্তা নগদ ২ হাজার ৫৫০ টাকা, বাকিতে ২ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। লেয়ার মুরগির খাবারের দামেরও একই অবস্থা।

আড়িয়াবাজার স্ট্যান্ডের খুচরা ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাইকারি বাজারে মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে। তাই খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

খামারি এমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘হাইব্রিড জাতের সোনালি মুরগির খামার করেছিলাম। খাদ্য, ওষুধ, শেড ভাড়া মিলিয়ে যে খরচ হয়, তা মুরগি বিক্রি করে তোলা সম্ভব হয় না।’

সাজাপুর দাড়িকামারি গ্রামের ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্রয়লারের এক হাজার বাচ্চা কেনা থেকে লালন-পালন পর্যন্ত ৩০ দিনে সব মিলিয়ে মোট খরচ হয় ২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিক ঠিকঠাক থাকলে এক মাসে মুরগির গড় ওজন হয় ১ কেজি ৮০০ গ্রাম। বাজারে বিক্রি করে পাওয়া যায় মোট ২ লাখ ২১ হাজার টাকা। সে হিসেবে ১ হাজার মুরগিতে লোকসান হয় ১৭ হাজার টাকা। যাঁরা বাকিতে খাবার কেনেন তাঁদের ঘাটতি আরও বেশি।’

খামারি মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, তিনি সোনালি জাতের ৪ হাজার মুরগি তুলেছেন খামারে। বাচ্চা ফার্মে তোলা পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৯৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৬০ দিনে খাবার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। আছে বিদ্যুৎ বিল, ওষুধ, তুষ ও শ্রমিকের মজুরি খরচও। সব মিলিয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা খরচ হবে। মুরগি বিক্রি করে যা পাবেন, তাতে পোষায় না বলে জানান তিনি।

জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সার্জন কানিজ ফারজানা মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় মোট ৪১৪টি খামার রয়েছে। ছোট খামারে তিনজন, বড় খামারগুলোতে প্রায় ২৫ জন পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করেন। সম্প্রতি মুরগির খাবারের দাম বাড়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। মূল্য নিয়ন্ত্রণে আমাদের কিছু করার নেই, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত