Ajker Patrika

সিটি থেকে বিদায়বেলায় কী বললেন ডি ব্রুইনা, কাঁদলেন গার্দিওলা

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২১ মে ২০২৫, ১১: ৪০
সিটি থেকে কেভিন ডি ব্রুইনার বিদায়বেলায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত
সিটি থেকে কেভিন ডি ব্রুইনার বিদায়বেলায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন পেপ গার্দিওলা। ছবি: সংগৃহীত

১০ বছর তো কম সময় নয়। একটা ক্লাবে এত দীর্ঘ সময় থাকলে তাঁর আশেপাশের পরিবেশ তখন হয়ে ওঠে পরিবারের মতো। কথাটা বলা হচ্ছে কেভিন ডি ব্রুইনাকে নিয়ে। যাঁর বিদায়বেলায় পুরো ম্যানচেস্টার সিটি গত রাতে হয়ে উঠেছে ডি ব্রুইনাময়।

গ্যালারি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডাগআউট—ইতিহাদ স্টেডিয়াম তো বটেই, ডি ব্রুইনা গত রাতে ছিলেন পুরো ম্যানচেস্টার জুড়ে। ১০ বছর যে ক্লাবে খেলেছেন, সেই ক্লাবের আনাচে-কানাচে এমনকি সেই শহর তাঁর কাছে ‘হাতের তালু’র মতো চেনা হয়ে গিয়েছে। ৩৩ বছর বয়সী এই তারকার বিদায়ে কান্না ধরে রাখতে পারেননি সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা।

সিটির সঙ্গে এক দশকের বন্ধন ছিন্ন করার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন ডি ব্রুইনা। ম্যাচ শেষে বেলজিয়ান এই মিডফিল্ডার বলেন, ‘একটু অন্যরকম লাগছে। অসাধারণ এক যাত্রা। মানুষকে আনন্দ দিতে চেয়েছি। ফুটবল উপভোগ করতে চেয়েছি। সবাই উপভোগ করেছেন বলে বিশ্বাস করি। এই ক্লাবের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে কিছু অর্জন করা আসলেই ভিন্ন কিছু। সত্যিই অনেক গর্বিত আমি। সৃজনশীল ফুটবল খেলে সবাইকে আনন্দ দিতে পেরেছি বলে মনে করি।’

ডি ব্রুইনাকে ইতিহাদ থেকে বিদায় জানাতে আয়োজনের কোনো ত্রুটি রাখেনি ম্যানচেস্টার সিটি। পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকার করে দেখানো হলো তাঁর অসাধারণ সব কীর্তি। এরপর সেই অন্ধকার ভেদ করে বেরিয়ে এলেন স্বয়ং ডি ব্রুইনা। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন সেখানে। সিটির ফুটবলার-কর্মকর্তারা অভিবাদন জানিয়েছেন এই তারকা মিডফিল্ডারকে। এমনকি ডি ব্রুইনার অবদান স্মরণীয় করে রাখতে ইতিহাদের বাইরে তাঁর ভাস্কর্য বানানো হবে বলে জানিয়েছে ম্যান সিটি।

ডি ব্রুইনা সিটিতে আসার এক বছর পরে ক্লাবটির কোচ হয়ে এসেছেন গার্দিওলা। দীর্ঘ এই ৯ বছরে গার্দিওলার সঙ্গে মনে রাখার মতো অনেক মুহূর্ত তৈরি হয়েছে ডি ব্রুইনা। গার্দিওলা সিটিতে আসার পর ক্লাবটি ছয়বার প্রিমিয়ার লিগ, দুইবার এফএ কাপ ও একবার জিতেছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। যাঁর মধ্যে ২০২২-২৩ মৌসুমে ম্যান সিটি জিতেছে ট্রেবল। সবকিছুতেই জড়িয়ে আছেন ডি ব্রুইনা।

চলতি মৌসুম শেষে ম্যান সিটি ছাড়ার ঘোষণা এ বছরের এপ্রিলে দিয়েছেন ডি ব্রুইনা। বিদায় গত রাতে নিলেন সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ থেকে। কিংবদন্তির বিদায়ী ম্যাচে প্রিমিয়ার লিগে গত রাতে বোর্নমাউথকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে সিটি। ওমর মারমুশ, নিকো গনজালেস, মাতেও কোভাচিচ—সিটির এই তিন ফুটবলার গোল করেছেন। বোর্নমাউথের একমাত্র গোল ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৬ মিনিটে করেছেন ড্যানিয়েল জেবিসন। ৩৭ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে সিটিজেনরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এমন বাজে সময় আশা করেননি লিভারপুল কোচ

ক্রীড়া ডেস্ক    
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচ হেরে গেছে লিভারপুল। ছবি: এক্স

লিভারপুলের শুরুটা হয়েছিল এককথায় দুর্দান্ত। এরপর হঠাৎই ছন্দপতন। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা চার ম্যাচে হেরে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে অলরেডরা। যেটা মেনে নিতে পারছেন না দলটির কোচ আর্নে স্লট। হারের দুষ্টচক্রে আটকে হতাশায় পুড়ছেন তিনি।

লিগে সবশেষ ব্রেন্টফোর্ডের মাঠ জিটেক কমিউনিটি স্টেডিয়াম থেকে ৩–২ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে লিভারপুল। এই হারে টেবিলের ছয়ে নেমে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর গত মৌসুমে চার ম্যাচ হেরে যায় লিভারপুল। এবার প্রথম ৯ ম্যাচেই পেল সমান হারের দেখা। তাতে শিরোপা ধরে রাখার পথটা কঠিন হয়ে গেল জায়ান্টদের। লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল।

গত গ্রীষ্মকালীন দলবদলে স্কোয়াডের শক্তি বাড়াতে বেশকিছু ফুটবলার টেনেছে লিভারপুল। নতুনরা দলে এসে এখনো নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না। যেটাকে টানা হারের একটা কারণ বলে মনে করছেন স্লট। টিএনটি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, ‘দলবদলে স্কোয়াডে বেশকিছু নতুন খেলোয়াড় যোগ করলে মাঠের পারফরম্যান্স সেটার প্রভাব পড়ে। তাই বলে আমি আশা করিনি যে পরপর চারটি ম্যাচ হেরে যাব।’

ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হার সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিচ্ছে স্লটকে, ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো টানা চার ম্যাচে হেরে যাওয়া। আপনি টানা চারবার হেরেছেন। ফলাফলটাই তো আসল। এরপর পারফরম্যান্স নিয়ে বিচার করা যেতে পারে। আমার মতে, আমাদের চারটি হারের মধ্যে ব্রেন্টফোর্ডের কাছে হারটি সবচেয়ে খারাপ ছিল।’

বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ব্রেন্টফোর্ডের ফুটবলাররা লিভারপুলের চেয়ে ভালো খেলেছে বলেই মনে করেন স্লট, ‘মাঠে ছেলেরা নিজেদের মৌলিক বিষয়গুলো সঠিকভাবে করতে পারেনি। এটা দুই অর্ধের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ দল আমাদের সঙ্গে বলেই লড়াইয়ে জিতেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কবে ও কোথায় পাওয়া যাবে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের টিকিট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৩: ০৯
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স
বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। ছবি: এক্স

এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে ওঠা হচ্ছে না বাংলাদেশের। বাছাইপর্বে প্রথম ৪ ম্যাচের একটিতেও জয়ের দেখা পায়নি হাভিয়ের কাবরেরার দল। পরবর্তী ম্যাচে আগামী ১৮ নভেম্বর নিজেদের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। মূল পর্বে ওঠার আশা না থাকলেও আসন্ন ম্যাচকে ঘিরে উন্মাদনার কমতি নেই ভক্তদের মধ্যে।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের ভেন্যু ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে। দুই প্রতিবেশী দেশের ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে আগামী ৯ নভেম্বর দুপুর ২ টা থেকে। টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইন মাধ্যম কুইকেটে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ১-১ গোল ড্র করে সফরকারী দল। এরপর ঘরের মাঠে টানা দুই ম্যাচে সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের কাছে হেরে যায় তারা। সর্বশেষ ম্যাচে হংকংয়ের মাঠ থেকে পয়েন্ট ভাগ করে ফেরে বাংলাদেশ। এই ড্র ছিল অতিথিদের জন্য জয় সমতুল্য। পিছিয়ে পড়ার পর শেষ দিকে রাকিবের গোলে হার এড়ায় দলটি।

হামজা চৌধুরী, শমিত সোম, ফাহামিদুল ইসলামদের মতো খেলোয়াড়দের আগমনে জেগে উঠেছে দেশের ফুটবল। এদের পেয়ে শক্তি বেড়েছে বাংলাদেশ দলের। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রতি ম্যাচে লড়াকু পারফরম্যান্স তারই প্রমাণ। প্রবাসী খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তিতে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ফুটবলপ্রেমীরা। বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে প্রতি ম্যাচেই জাতীয় স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। জয় উপহার দিতে না পারলেও মাঠের পারফরম্যান্সে হতাশ করেননি হামজা, জামাল, রাকিবরা।

বাছাইপর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হলেও ভারত ম্যাচকে হালকাভাবে নিচ্ছে না বাংলাদেশ। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভারতকে হারাতে মুখিয়ে আছেন হামজারা। হংকংয়ের বিপক্ষে ড্রয়ের পর ভারত ম্যাচ নিয়ে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা। এবার মাঠের লড়াইয়ের অপেক্ষা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ব্রুক দেখালেন কীভাবে একলা চলতে হয়

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ০২
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স
বাকিদের ব্যর্থতার দিনে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। ছবি: এক্স

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’–রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই গানটির সঙ্গে হ্যারি ব্রুকের পরিচিতি থাকার কথা না। এই গান না শুনলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে একাই চললেন তারকা ব্যাটার। ব্যাট হাতে অসামান্য দৃঢ়তায় দলকে এনে দিলেন সম্মানজনক পুঁজি।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভার টিকতে পারেনি ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ৩৫.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা। এর মধ্যে ব্রুক একাই করেছেন ১৩৫ রান। টস হারা সফরকারী দল শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। দলীয় ৩৩ রানেই তাদের ইনিংসের অর্ধেক সাজঘরে হাঁটে।

জেমি স্মিথ, বেন ডাকেট, জো রুট, জ্যাকব বেথেল, জস বাটলার–দলকে বিপদে রেখে একে একে বিদায় নেন সবাই। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ব্রুক। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাট করেন ইংলিশ দলপতি। ৩৬ বলে ফিফটি তুলে নেন অর্ধশতক করেও থামেননি। ৮২ বলে তিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান। ১৩৫ রানের ইনিংসে ১০১ বল খেলেন তিনি।

ব্রুকের ১৩৩.৬৬ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজানো ৯ চার ও ১১ ছয়ে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে সফরকারীদের ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছয় আছেন কেবল থিসারা পেরেরারা। ২০১৯ সালে ১৪০ রানের ইনিংস খেলার পথে ১৩ বার বলকে উড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেন এই লঙ্কান ক্রিকেটার। ব্রুকের সমান এক ইনিংসে ১১টি ছয় মেরেছেন মার্কাস স্টয়নিস।

মিচেল সান্টনারের বলে নাথান স্মিথের হাতে ধরা পড়ে শেষ ব্যাটার হিসেবে প্যাভিলিয়নে হাঁটেন ব্রুক। সেঞ্চুরি করার পথে এই সংস্করণে এক হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সপ্তম উইকেটে জিমে ওভারটনকে নিয়ে যোগ করেন মূল্যবান ৮৭ রান। ওভারটনের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান। বাকিদের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোনালদোর ৫০ গোলের অপেক্ষা

ক্রীড়া ডেস্ক    
ক্যারিয়ারের ৯৫০ তম গোলের দেখা পেয়েছেন সিআরসেভেন। ছবি: এক্স
ক্যারিয়ারের ৯৫০ তম গোলের দেখা পেয়েছেন সিআরসেভেন। ছবি: এক্স

অদম্য ইচ্ছাশক্তি, কঠোর পরিশ্রম আর হাল না ছাড়ার বড় উদাহরণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ৪০ এ এসেও মাঠে এই ফরোয়ার্ডের নিবেদন সেটাই প্রমাণ করে। বুটজোড়া তুলে রাখার বয়সেও ধারাবাহিকভাবে দলের জয়ের কারিগর বনে যাচ্ছেন সিআরসেভেন। তাড়া করে বেড়াচ্ছেন হাজারতম গোলের মাইলফলক। সেই লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন তিনি।

সৌদি প্রো লিগে আল হাজমকে ২–০ গোলে হারিয়েছে আল নাসর। দলের জয়ের দিনে একবার জালের দেখা পান রোনালদো। এটা পেশাদার ক্যারিয়ারে পর্তুগিজ তারকার ৯৫০ তম গোল। অর্থাৎ আর মাত্র ৫০ গোল করলে ইতিহাসের প্রথম ফুটবলার হিসেবে এক হাজার গোলের অসাধারণ কীর্তি গড়বেন সাত নম্বর জার্সিধারী।

কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্ট সিটি স্টেডিয়ামে স্কোরবোর্ড দেখে আল নাসরের পারফরম্যান্স কেমন ছিল সেটা বোঝার সুযোগ নেই। প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচজুড়ে দাপুটে ফুটবল খেলেছে রিয়াদের ক্লাবটি। ম্যাচে ৬৪ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখে আল হাজমের লক্ষ্য বরাবর সাতটি শট নেয় তারা। মূলত ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় জয়ের ব্যবধান বড় করতে পারেনি আল নাসর।

২৫ মিনিটে লিড নেয় আল নাসর। বাঁ পাশ দিয়ে আয়মান ইয়াহিয়ার ক্রস থেকে দারুণ এক হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন জোয়াও ফেলিক্স। সুযোগ নষ্টের ভীড়ে প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সফরকারী দল। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। সতীর্থ ওয়েসলি গাসোভার বাড়ানো বল থেকে বাঁ পায়ের টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন ইতিহাসের সেরা ফুটবলারদের একজন।

নতুন মৌসুমে লিগে প্রথম ৬ ম্যাচে টানা জয় তুলে নিল আল নাসর। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। দুইয়ে আছে আল তাইউন। তাদের সংগ্রহ ১৫ পয়েন্ট। এক পয়েন্ট কম নিয়ে তিনে আছে আল হিলাল। ৫ পয়েন্ট পাওয়া আল হাজমের অবস্থান ১৪ নম্বরে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত