নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আত্মবিশ্বাস নাকি জেদ—কোনটি বেশি কাজ করছিল মোসাম্মত সাগরিকার। জেদকে এগিয়ে রাখলে মন্দ হবে না। কারণ, নেপালের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ফেরার ম্যাচেও প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রতিশোধের মঞ্চে নেপালকে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন সাগরিকা। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে বাংলাদেশকে ভাসালেন শিরোপার আনন্দে।
দরকার ছিল শুধু ড্রয়ের। সাগরিকার জ্বলে ওঠার ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরে স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় মিনিটে সাগরিকার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। পরের মিনিটে স্বপ্নার কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন মুনকি আক্তার। কিন্তু লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম মিনিটে আবারও কর্নার পায় বাংলাদেশ। এবার সাগরিকার হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আনিশা রায়।
অষ্টম মিনিটে সাগরিকাকে আর আটকে রাখতে পারেনি নেপালের ফুটবলাররা। মাঝমাঠ থেকে স্বপ্নার থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে যান তিনি। তাঁর পেছনে ছুটছিলেন অন্য ফুটবলাররা। সামনে কেবল সুজাতা। তাঁকে সহজেই পরাস্ত করে জালে বল ফেলেন সাগরিকা। অবশ্য গোল হওয়ার আগেই উদ্যাপন শুরু করে দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন লাল কার্ডের জন্য আগের তিন ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কতটা গোলক্ষুধায় রেখেছিল তাঁকে।
১৯ মিনিটে বিপদের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। আনিশার শট তালুবন্দী করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিলি আক্তার। মিনার দুবার ওভারহেড কিক আফঈদা খন্দকার হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও বল চলে যায় পূর্ণিমা রায়ের কাছে ৷ তাঁর বল পোস্টে লাগার পর শুকরিয়া রায়ের হেড তালুবন্দী করেন মিলি।
২১ মিনিটে ফাঁকা জাল পেয়েছিলেন মুনকি। কিন্তু তাঁর শট গোললাইনের আগ থেকে ফেরান আনিশা। এরপর আক্রমণ হলেও সেভাবে আর বিপদ তৈরি করতে পারেনি দুই দল।
বিরতির পর দ্রুতই লিড দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পূজার পাসে ডান প্রান্তে বল পান উমেহলা। তাঁর পাস থেকে বক্সের সামনে বল পান সাগরিকা। দারুণভাবে নেপালের অধিনায়ক বীরসানা চৌধুরীকে কাটিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে কোনাকুনি শটে কাঁপান জাল। হ্যাটট্রিক পূরণ করতেও খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ৫৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে আনিশার আগে দৌড়ে এগিয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। চিপ শটে সুজাতার মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই মেয়ে।
৭২ মিনিটে সাগরিকা হালি পূরণ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ৭৪ মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন সুজাতা। ৭৭ মিনিটে আর কোনো ভুল করেননি সাগরিকা। মুনকির পাস থেকে দারুণ শটে পূরণ করেন হালি। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে এটি তাঁর অষ্টম গোল। শেষদিকে নেপাল চেষ্টা করলেও আর সফল হতে পারেনি।
আত্মবিশ্বাস নাকি জেদ—কোনটি বেশি কাজ করছিল মোসাম্মত সাগরিকার। জেদকে এগিয়ে রাখলে মন্দ হবে না। কারণ, নেপালের বিপক্ষেই লাল কার্ড দেখে তিন ম্যাচ মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। ফেরার ম্যাচেও প্রতিপক্ষ নেপাল। প্রতিশোধের মঞ্চে নেপালকে একাই গুঁড়িয়ে দিলেন সাগরিকা। হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে বাংলাদেশকে ভাসালেন শিরোপার আনন্দে।
দরকার ছিল শুধু ড্রয়ের। সাগরিকার জ্বলে ওঠার ম্যাচে নেপালকে ৪-০ গোলে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শেষ করে বাংলাদেশ। ৬ ম্যাচে পূর্ণ ১৮ পয়েন্ট অর্জন করে নিয়েছে পিটার বাটলারের দল।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকে নেপালকে চেপে ধরে স্বাগতিকেরা। দ্বিতীয় মিনিটে সাগরিকার নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন নেপাল গোলরক্ষক সুজাতা তামাং। পরের মিনিটে স্বপ্নার কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন মুনকি আক্তার। কিন্তু লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম মিনিটে আবারও কর্নার পায় বাংলাদেশ। এবার সাগরিকার হেড গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন আনিশা রায়।
অষ্টম মিনিটে সাগরিকাকে আর আটকে রাখতে পারেনি নেপালের ফুটবলাররা। মাঝমাঠ থেকে স্বপ্নার থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্রগতিতে এগিয়ে যান তিনি। তাঁর পেছনে ছুটছিলেন অন্য ফুটবলাররা। সামনে কেবল সুজাতা। তাঁকে সহজেই পরাস্ত করে জালে বল ফেলেন সাগরিকা। অবশ্য গোল হওয়ার আগেই উদ্যাপন শুরু করে দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন লাল কার্ডের জন্য আগের তিন ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কতটা গোলক্ষুধায় রেখেছিল তাঁকে।
১৯ মিনিটে বিপদের সামনে পড়ে বাংলাদেশ। আনিশার শট তালুবন্দী করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক মিলি আক্তার। মিনার দুবার ওভারহেড কিক আফঈদা খন্দকার হেডে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও বল চলে যায় পূর্ণিমা রায়ের কাছে ৷ তাঁর বল পোস্টে লাগার পর শুকরিয়া রায়ের হেড তালুবন্দী করেন মিলি।
২১ মিনিটে ফাঁকা জাল পেয়েছিলেন মুনকি। কিন্তু তাঁর শট গোললাইনের আগ থেকে ফেরান আনিশা। এরপর আক্রমণ হলেও সেভাবে আর বিপদ তৈরি করতে পারেনি দুই দল।
বিরতির পর দ্রুতই লিড দ্বিগুণ করে বাংলাদেশ। ৫১ মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে পূজার পাসে ডান প্রান্তে বল পান উমেহলা। তাঁর পাস থেকে বক্সের সামনে বল পান সাগরিকা। দারুণভাবে নেপালের অধিনায়ক বীরসানা চৌধুরীকে কাটিয়ে বক্সের ভেতর ঢুকে কোনাকুনি শটে কাঁপান জাল। হ্যাটট্রিক পূরণ করতেও খুব বেশি সময় নেননি তিনি। ৫৬ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে উড়ে আসা বলে আনিশার আগে দৌড়ে এগিয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। চিপ শটে সুজাতার মাথার ওপর দিয়ে বল পাঠিয়ে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিতই করে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই মেয়ে।
৭২ মিনিটে সাগরিকা হালি পূরণ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু অফসাইডে বাতিল হয় সেই গোল। ৭৪ মিনিটে তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন সুজাতা। ৭৭ মিনিটে আর কোনো ভুল করেননি সাগরিকা। মুনকির পাস থেকে দারুণ শটে পূরণ করেন হালি। টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচ খেলে এটি তাঁর অষ্টম গোল। শেষদিকে নেপাল চেষ্টা করলেও আর সফল হতে পারেনি।
দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন সাগরিকা। বাংলাদেশের মেয়েরা আবারও জিতেছেন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। হ্যাটট্রিকের প্রথম গোল ও জয় সাগরিকা উৎসর্গ করেছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ব্যক্তিদের প্রতি।
৪ ঘণ্টা আগেসমীকরণটা সহজ—ড্র করলেই মিলবে শিরোপা। শুধু ড্র নয়, বাংলাদেশ হাঁটছে জয়ের পথে। অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে শেষ ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে অলিখিত ফাইনাল। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রথমার্ধ শেষে নেপালের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
৭ ঘণ্টা আগেস্টেডিয়ামে বাইরের খাবার ও পানীয় নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের জন্য সেটা তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল—দর্শক চাইলে হালকা খাবার ও পানীয় সঙ্গে করে আনতে পারবেন। তবে গতকাল প্রথম টি-টোয়েন্টির পরই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে বোর্ড।
১০ ঘণ্টা আগেওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের (ডব্লিউসিএল) ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের না হলেও ভক্ত-সমর্থকদের আগ্রহ ছিল বেশি। কারণ, দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী যখন কালেভদ্রে মুখোমুখি হয়, তখন তাদের ম্যাচ মানেই ভিন্ন আবহ। কিন্তু এবার শেষ মুহূর্তে পানি ঢেলে দিয়েছে ভারত চ্যাম্পিয়নস।
১০ ঘণ্টা আগে