নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বলটা বাউন্ডারির পথ ধরতেই মুষ্টিবদ্ধ হাতে তামিম ইকবাল ঘুষি মারলেন আকাশে। এই বাউন্ডারিতেই যে বাঁহাতি ওপেনার পৌঁছে গেলেন তিন অংকে। শুধু কি তাই? বহু আরাধ্য এই সেঞ্চুরিতে যে হয়ে গেল বহু কিছুর জবাবও। সেজন্যই তো তামিমের এমন বুনো উদ্যাপন!
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকলে হয়তো আজ একটা ব্যানার-ফেস্টুন উড়ত গ্যালারিতে-‘প্লিজ টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসুন তামিম ইকবাল।’ স্ট্রাইক রেট নিয়ে চলতে থাকা সমালোচনা। এই বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েও ‘টি-টোয়েন্টিতে চলে না’ কথা উড়াউড়ি করা। কত কিছুই তো শুনতে হলো বাঁহাতি ওপেনারকে। ঘরের উঠোনে তামিম যেন সব কিছুর জবাবই দিলেন সেই ব্যাটে, দুর্দান্ত এক শতরানের সোনায় মোড়ানো ইনিংসে। তামিমের সেঞ্চুরিতেই তো সিলেটের ১৭৬ রানের চূড়া খুব সহজে ছুঁয়ে জয়ের ধারায় ফিরল ঢাকা। আর তাতে মুছে গেল লিন্ডল সিমন্সের অনবদ্য শতরানের ইনিংসটা।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা তামিমকে গত কয়েক বছর ধরে সমালোচনায় পড়তে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে। এসব থেকেই তো একদিন আগে বাঁহাতি ওপেনার বলে দিয়েছেন-আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর ফিরতে চান না। আর তার পরদিনই কিনা খেললেন একেবারে স্বভাববিরুদ্ধে এক ইনিংস। ঠাণ্ডা মাথায় উইকেটের চারপাশ দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন এই তামিমকে দেখে কে বলবে-তিনি টি-টোয়েন্টি খেলতে জানেন না! এই তামিম তো ২০০৭ সালের তামিম!
বিপিএলের ঢাকা পর্বে রানের হাপিত্যেশ ছিল প্রতি ম্যাচেই। ব্যাটাররা তাই পাখির চোখ করে রেখেছিলেন জহুর আহমেদের বাইশ গজকে। এই উইকেট চিরকালই যে তাদের ব্যাটে হাসি ফুটিয়ে গেছে। জহুর আহমেদের উইকেটকে আরও একবার রানপ্রসবা বানিয়ে সিমন্স তুলে নিয়েছেন এই বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে সিলেটও পায় ১৭৫ রান। তামিম ঝড়ে পরে সেই লক্ষ্যই কি না হয়ে গেল মামুলি।
রাতের জহুর আহমেদে শিশির পড়বে-সেই ভাবনাতেই হয়তো টস জিতে বোলিং নিলেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা-আন্দ্রে রাসেলদেরও ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে দুজনেই ৩৪ বলে তুলে নেন ৫০ রান। বিজয় ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন ও কলিন ইনগ্রামও। এরপরও যে সিলেটের এগিয়ে যাওয়ার পথটা দুর্গম হয়নি তার পেছনে ওই একজনই-সিমন্স। সেঞ্চুরির পথে ঢাকার প্রায় সব বোলারকেই ‘পিটুনি’ দিয়েছেন সিমন্স। তবে ‘ঘরের ছেলে’ রাসেলের ওপর দিয়েই স্টিম রোলারটা বেশি চালিয়েছেন সিমন্স। অবশ্য শেষমেশ ১৯ তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরেছেন ওই রাসেলেরে বলেই। তার আগেই সিমন্সের নামের পাশে ঝলঝল করছে ৬৫ বলে ১১৬।
জহুর আহমেদে ১৭৫ রান যে নিরাপদ নয় তা অতীতে অনেকবারেই দেখা গেছে। আর তামিম যদি জেগে উঠেন তাহলে তো আরও কম। শাহজাদকে দর্শক বানিয়ে চার-ছক্কার প্রদর্শনীতে ২৮ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৩তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। পরে সেটিকে সেঞ্চুরি বানিয়ে ৬৪ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যখন মাঠ ছাড়ছেন, তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে দলের জয়ও।
বলটা বাউন্ডারির পথ ধরতেই মুষ্টিবদ্ধ হাতে তামিম ইকবাল ঘুষি মারলেন আকাশে। এই বাউন্ডারিতেই যে বাঁহাতি ওপেনার পৌঁছে গেলেন তিন অংকে। শুধু কি তাই? বহু আরাধ্য এই সেঞ্চুরিতে যে হয়ে গেল বহু কিছুর জবাবও। সেজন্যই তো তামিমের এমন বুনো উদ্যাপন!
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকলে হয়তো আজ একটা ব্যানার-ফেস্টুন উড়ত গ্যালারিতে-‘প্লিজ টি-টোয়েন্টিতে ফিরে আসুন তামিম ইকবাল।’ স্ট্রাইক রেট নিয়ে চলতে থাকা সমালোচনা। এই বিপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে ফিফটি তুলে নিয়েও ‘টি-টোয়েন্টিতে চলে না’ কথা উড়াউড়ি করা। কত কিছুই তো শুনতে হলো বাঁহাতি ওপেনারকে। ঘরের উঠোনে তামিম যেন সব কিছুর জবাবই দিলেন সেই ব্যাটে, দুর্দান্ত এক শতরানের সোনায় মোড়ানো ইনিংসে। তামিমের সেঞ্চুরিতেই তো সিলেটের ১৭৬ রানের চূড়া খুব সহজে ছুঁয়ে জয়ের ধারায় ফিরল ঢাকা। আর তাতে মুছে গেল লিন্ডল সিমন্সের অনবদ্য শতরানের ইনিংসটা।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠা তামিমকে গত কয়েক বছর ধরে সমালোচনায় পড়তে হচ্ছিল টি-টোয়েন্টি সংস্করণে তাঁর ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়ে। এসব থেকেই তো একদিন আগে বাঁহাতি ওপেনার বলে দিয়েছেন-আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আর ফিরতে চান না। আর তার পরদিনই কিনা খেললেন একেবারে স্বভাববিরুদ্ধে এক ইনিংস। ঠাণ্ডা মাথায় উইকেটের চারপাশ দিয়ে বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠালেন এই তামিমকে দেখে কে বলবে-তিনি টি-টোয়েন্টি খেলতে জানেন না! এই তামিম তো ২০০৭ সালের তামিম!
বিপিএলের ঢাকা পর্বে রানের হাপিত্যেশ ছিল প্রতি ম্যাচেই। ব্যাটাররা তাই পাখির চোখ করে রেখেছিলেন জহুর আহমেদের বাইশ গজকে। এই উইকেট চিরকালই যে তাদের ব্যাটে হাসি ফুটিয়ে গেছে। জহুর আহমেদের উইকেটকে আরও একবার রানপ্রসবা বানিয়ে সিমন্স তুলে নিয়েছেন এই বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি। তাতে সিলেটও পায় ১৭৫ রান। তামিম ঝড়ে পরে সেই লক্ষ্যই কি না হয়ে গেল মামুলি।
রাতের জহুর আহমেদে শিশির পড়বে-সেই ভাবনাতেই হয়তো টস জিতে বোলিং নিলেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা-আন্দ্রে রাসেলদেরও ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে দুজনেই ৩৪ বলে তুলে নেন ৫০ রান। বিজয় ফেরার পর স্কোরবোর্ডে আর ১৫ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরেন মোহাম্মদ মিথুন ও কলিন ইনগ্রামও। এরপরও যে সিলেটের এগিয়ে যাওয়ার পথটা দুর্গম হয়নি তার পেছনে ওই একজনই-সিমন্স। সেঞ্চুরির পথে ঢাকার প্রায় সব বোলারকেই ‘পিটুনি’ দিয়েছেন সিমন্স। তবে ‘ঘরের ছেলে’ রাসেলের ওপর দিয়েই স্টিম রোলারটা বেশি চালিয়েছেন সিমন্স। অবশ্য শেষমেশ ১৯ তম ওভারের চতুর্থ বলে ফিরেছেন ওই রাসেলেরে বলেই। তার আগেই সিমন্সের নামের পাশে ঝলঝল করছে ৬৫ বলে ১১৬।
জহুর আহমেদে ১৭৫ রান যে নিরাপদ নয় তা অতীতে অনেকবারেই দেখা গেছে। আর তামিম যদি জেগে উঠেন তাহলে তো আরও কম। শাহজাদকে দর্শক বানিয়ে চার-ছক্কার প্রদর্শনীতে ২৮ বলেই তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৩তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। পরে সেটিকে সেঞ্চুরি বানিয়ে ৬৪ বলে ১১১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যখন মাঠ ছাড়ছেন, তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে দলের জয়ও।
ব্যালন ডি’অরের সোনালি ট্রফি উঠবে কার হাতে? তা জানা যাবে সেপ্টেম্বরে। মৌসুম যেহেতু শেষ, তাই এ নিয়ে আলোচনা বেড়ে গেছে। তবে দুটি নামই শোনা যাচ্ছে বেশি—পিএসজির ওসমান দেম্বেলে ও বার্সেলোনার লামিনে ইয়ামাল। দেম্বেলেকে বেশ ভালোভাবেই চেনা কিলিয়ান এমবাপ্পের। গত মৌসুমেও একসঙ্গে পিএসজিতে খেলেছেন তারা।
৫ ঘণ্টা আগেএশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে আজ ঢাকায় আসছে সিঙ্গাপুর ফুটবল দল। রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে তাদের। তবে এর আগে দলে যোগ ফারহান জুলকিফলি। গতি, ড্রিবলিং ও প্লেমেকিং সক্ষমতা দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য আছে ২২ বছর বয়সী প্রতিভাবান এই উইঙ্গারের। জাতীয় দলের হয়ে
৬ ঘণ্টা আগেদুজন একে অপরের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। খেলা বাদে একসঙ্গে খুব একটা দেখাও যায় না। তবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এসেছেন বরাবর। লিওনেল মেসিকে ভালো লাগার এটাই কারণ বলে জানিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
৮ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের কাছে গত মাসে প্রথম ম্যাচ হেরেও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ঐতিহাসিক এই জয়ে মুহাম্মদ ওয়াসিম ছিলেন। ‘ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) পুরস্কার পেলেন আমিরাত অধিনায়ক।
১০ ঘণ্টা আগে