সম্পাদকীয়
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা দিয়েছেন। তাঁর স্বামী দাবি করছেন যে তিনি নিজেও জানতেন স্ত্রী দেশের সবচেয়ে নামী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। অথচ ঢামেক প্রাঙ্গণে নিজেকে কখনো ছাত্রী আবার কখনো জুনিয়র চিকিৎসক পরিচয় দিতেন পাপিয়া। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সোমবার আজকের পত্রিকার শেষ পাতায়।
ছোটবেলায় অনেকেই হয়তো ‘ডাক্তার-ডাক্তার’ খেলা খেলেছেন। বন্ধুদের কেউ রোগী আর কেউ চিকিৎসক সেজেছেন, হিজিবিজি লিখে প্রেসক্রিপশন দেওয়া-নেওয়া করেছেন, কিংবা মিছেমিছি অস্ত্রোপচারও করেছেন। আধুনিককালে অনেকে হয়তো চিকিৎসকের খেলনা সরঞ্জাম কিনে দেন সন্তানদের জন্য। তারা খেলনা স্টেথোস্কোপ কানে লাগিয়ে আপনার হৃদ্স্পন্দন গুনে দেওয়ার ভান করে। শৈশবটা এমন সুন্দরভাবেই কাটানো উচিত।
হতে পারে পাপিয়ার চিকিৎসক হওয়ার সুপ্ত বাসনা ছিল। যেমনটা এই ডাক্তার সাজার খেলার মধ্য দিয়ে অনেক শিশু তা মনে লালন করতে পারে। সে তো খুবই ভালো ব্যাপার। কিন্তু গোল বাধে তখনই, যখন কেউ বড় হতে হতে নিজেকে যোগ্য না করে আদর্শ ভুলে গিয়ে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন। কেউ মোটা অঙ্কের টাকায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কিনে নিয়ে, কেউবা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভুয়া চিকিৎসক সেজে বা ভুয়া সনদ নিয়ে দিনের পর দিন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেন। গত বছরও ঢামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সেজে মুনিয়া আক্তার ভাইরাল হয়েছিলেন, পেয়েছিলেন শাস্তি।
প্রায়ই ভুয়া চিকিৎসকেরা ধরা পড়ে যান, শাস্তিও হয় কিন্তু তারপরও তাঁদের সংখ্যা শূন্যতে গিয়ে পৌঁছায় না। যাঁরা ধরা পড়েন, বিধান অনুযায়ী তাঁদের যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সেটি সম্ভবত যথেষ্ট নয়। যেকোনো অপরাধের শাস্তি এমন হওয়া উচিত যেন অপরাধী সেটাকে মামুলি মনে না করেন। অন্তরে অনুশোচনার জন্ম না নিলে শাস্তি শেষে আবারও একই বা ভিন্ন অপরাধ করতে তাঁরা দ্বিধা করেন না। মুনিয়ার কথাই ধরা যাক। জেলফেরত এই তরুণী বীরদর্পে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে তিনি ভুয়া চিকিৎসক নন। অথচ কোনো প্রমাণও দিতে পারেননি। আমরা চাইব, পাপিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যদি তাঁর বিধান মোতাবেক শাস্তি হয়, তাহলে সেই শাস্তি যেন তাঁকে অনুতপ্ত করতে সাহায্য করে এবং আর কখনোই যেন তিনি কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে না পড়েন।
এবার একটু রোগীর আলাপ করতে হয়। রোগীকে জানতে হবে হাসপাতালে সেবা পাওয়ার জন্য যাকে-তাকে টাকা দিতে হয় না, নির্দিষ্ট বিভাগে টাকা জমা দিতে হয়; কোনো ছাত্রী, নার্স এমনকি চিকিৎসকের হাতেও না। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিকেই দৃষ্টিপাত করতে হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রী পরিচয়ে দ্রুত অস্ত্রোপচারে সহায়তা করার কথা বলে পাপিয়া আক্তার রোগীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। তিনি যে ‘ভুয়া’ ছাত্রী, সেটি বুঝতে পেরে চিকিৎসকেরা তাঁকে আটক করেন। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। হয়তো তাঁর শাস্তিও হবে। পাপিয়া শুধু অচেনা রোগী ও তাদের স্বজনদের নয়, তাঁর স্বামীকেও ধোঁকা দিয়েছেন। তাঁর স্বামী দাবি করছেন যে তিনি নিজেও জানতেন স্ত্রী দেশের সবচেয়ে নামী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী। অথচ ঢামেক প্রাঙ্গণে নিজেকে কখনো ছাত্রী আবার কখনো জুনিয়র চিকিৎসক পরিচয় দিতেন পাপিয়া। এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে সোমবার আজকের পত্রিকার শেষ পাতায়।
ছোটবেলায় অনেকেই হয়তো ‘ডাক্তার-ডাক্তার’ খেলা খেলেছেন। বন্ধুদের কেউ রোগী আর কেউ চিকিৎসক সেজেছেন, হিজিবিজি লিখে প্রেসক্রিপশন দেওয়া-নেওয়া করেছেন, কিংবা মিছেমিছি অস্ত্রোপচারও করেছেন। আধুনিককালে অনেকে হয়তো চিকিৎসকের খেলনা সরঞ্জাম কিনে দেন সন্তানদের জন্য। তারা খেলনা স্টেথোস্কোপ কানে লাগিয়ে আপনার হৃদ্স্পন্দন গুনে দেওয়ার ভান করে। শৈশবটা এমন সুন্দরভাবেই কাটানো উচিত।
হতে পারে পাপিয়ার চিকিৎসক হওয়ার সুপ্ত বাসনা ছিল। যেমনটা এই ডাক্তার সাজার খেলার মধ্য দিয়ে অনেক শিশু তা মনে লালন করতে পারে। সে তো খুবই ভালো ব্যাপার। কিন্তু গোল বাধে তখনই, যখন কেউ বড় হতে হতে নিজেকে যোগ্য না করে আদর্শ ভুলে গিয়ে ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন। কেউ মোটা অঙ্কের টাকায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কিনে নিয়ে, কেউবা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ভুয়া চিকিৎসক সেজে বা ভুয়া সনদ নিয়ে দিনের পর দিন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করেন। গত বছরও ঢামেকের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সেজে মুনিয়া আক্তার ভাইরাল হয়েছিলেন, পেয়েছিলেন শাস্তি।
প্রায়ই ভুয়া চিকিৎসকেরা ধরা পড়ে যান, শাস্তিও হয় কিন্তু তারপরও তাঁদের সংখ্যা শূন্যতে গিয়ে পৌঁছায় না। যাঁরা ধরা পড়েন, বিধান অনুযায়ী তাঁদের যে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সেটি সম্ভবত যথেষ্ট নয়। যেকোনো অপরাধের শাস্তি এমন হওয়া উচিত যেন অপরাধী সেটাকে মামুলি মনে না করেন। অন্তরে অনুশোচনার জন্ম না নিলে শাস্তি শেষে আবারও একই বা ভিন্ন অপরাধ করতে তাঁরা দ্বিধা করেন না। মুনিয়ার কথাই ধরা যাক। জেলফেরত এই তরুণী বীরদর্পে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যে তিনি ভুয়া চিকিৎসক নন। অথচ কোনো প্রমাণও দিতে পারেননি। আমরা চাইব, পাপিয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে যদি তাঁর বিধান মোতাবেক শাস্তি হয়, তাহলে সেই শাস্তি যেন তাঁকে অনুতপ্ত করতে সাহায্য করে এবং আর কখনোই যেন তিনি কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত হয়ে না পড়েন।
এবার একটু রোগীর আলাপ করতে হয়। রোগীকে জানতে হবে হাসপাতালে সেবা পাওয়ার জন্য যাকে-তাকে টাকা দিতে হয় না, নির্দিষ্ট বিভাগে টাকা জমা দিতে হয়; কোনো ছাত্রী, নার্স এমনকি চিকিৎসকের হাতেও না। এ ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দিকেই দৃষ্টিপাত করতে হয়।
২০ বছর আগে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম শব্দটির অস্তিত্ব প্রায় খুঁজে পাওয়া যেত না। অটিজম বিষয়ে মানুষের ধারণা সীমিত ছিল। ঠিক সেই সময়ে অটিজম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরিচালিত বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ‘কানন’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের ৪ এপ্রিল, বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটির একটি চারতলা ভাড়া বাড়িতে...
৯ ঘণ্টা আগেমাঝে মাঝে মনে হয় দেশটা বুঝি ট্রায়াল অ্যান্ড এররের ভিত্তিতে চলছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, এমনকি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়েও নানা ধরনের পরীক্ষামূলক তত্ত্ব দেখতে পাচ্ছি। প্রথমে নতুন কিছু একটা বলা হয় বা চালু করা হয়। তারপর দেখা হয়—কতটা বিতর্ক হয় সেটা নিয়ে।
১৫ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেওয়া ও অস্থায়ী আবাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের ফলে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নেওয়ার পরও প্রত্যাশিত দাবির বাস্তবায়ন না দেখে আবারও...
১৫ ঘণ্টা আগেআকৃষ্ট করেছিল, সে বাণী যেন কথার কথায় পরিণত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ভালো একটি ভবিষ্যতের আশা ক্রমেই ধূসরতার দিকে যাচ্ছে। শীর্ষ সন্ত্রাসীরা রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোড ও নিউমার্কেট এলাকার মধ্যে থাকা ৫৭টি মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এই মার্কেটগুলো থেকে প্রতি মাসে সেবা খাত...
১৫ ঘণ্টা আগে