সম্পাদকীয়
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, ২ এপ্রিল শুল্ক নিয়ে কথা বলবেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য করার সময় বাণিজ্য ঘাটতি থাকে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার।
সেই ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্যই তিনি শুল্ক বাড়িয়ে আমেরিকা লাভবান হতে পারে, এ রকম একটি আবহ সৃষ্টি করতে চাইছেন।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পৃথিবীর যে দেশগুলো বাণিজ্য করে আসছিল, তারা বিপদে পড়বে। ট্রাম্পের এই নীতির সঙ্গে বোঝাপড়া করার জন্য বিভিন্ন দেশ তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়েছে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেবে—এ রকম ভাবনাও আছে কারও কারও। তবে বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে—তা নিয়ে ভাবাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
আমরা জানি, এত দিন বাংলাদেশের পণ্য মার্কিন দেশে ঢোকার সময় ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। এখন দিতে হবে ৩৭ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এই শুল্কের অর্থ কী, তা হয়তো অনভিজ্ঞ মানুষের নজর এড়িয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের পোশাকশিল্প যে এতে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
মূলত পোশাকশিল্প সেক্টরে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোর জন্যও মার্কিনরা শুল্ক আরোপ করেছে। কিন্তু একমাত্র ভিয়েতনাম ছাড়া অন্য দুটি দেশে শুল্ক বৃদ্ধির পরিমাণ বাংলাদেশের চেয়ে কম। এতে যা হবে, তা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতার পর বাংলাদেশের পণ্য মার্কিন দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে। যে সংখ্যক কর্মচারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অনেকেই চাকরি হারাবেন। এমনিতেই বেকার সমস্যায় জর্জরিত এই দেশে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে যেতে পারেন। কীভাবে এই মহাসংকট এড়ানো যায়, তা নিয়ে অবিলম্বে ভেবে এ থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজতে হবে।
যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ওপরই বাড়তি শুল্ক আরোপ করার কথা ভেবেছে ট্রাম্প সরকার। যে ৪৮টি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন, মেক্সিকো আর ভিয়েতনাম। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাই হয় ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠায়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির তুলনায় এ পরিসংখ্যান খুবই নগণ্য। কিন্তু তারপরও ট্রাম্পের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য এ এক অশনিসংকেত। আমাদের সরকার, আমাদের অর্থনীতি ও পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষেরা এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এখনই কূটনৈতিকভাবে তৎপর হতে পারেন। বিশ্বের অন্য দেশগুলো কীভাবে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করে, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণা সারা বিশ্বের বাণিজ্যের জন্যই ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে। সতর্ক হওয়া দরকার।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলে রেখেছিলেন, ২ এপ্রিল শুল্ক নিয়ে কথা বলবেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য করার সময় বাণিজ্য ঘাটতি থাকে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার।
সেই ঘাটতি কমিয়ে আনার জন্যই তিনি শুল্ক বাড়িয়ে আমেরিকা লাভবান হতে পারে, এ রকম একটি আবহ সৃষ্টি করতে চাইছেন।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পৃথিবীর যে দেশগুলো বাণিজ্য করে আসছিল, তারা বিপদে পড়বে। ট্রাম্পের এই নীতির সঙ্গে বোঝাপড়া করার জন্য বিভিন্ন দেশ তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক বাড়িয়েছে, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেবে—এ রকম ভাবনাও আছে কারও কারও। তবে বাংলাদেশ এই পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করবে—তা নিয়ে ভাবাটাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
আমরা জানি, এত দিন বাংলাদেশের পণ্য মার্কিন দেশে ঢোকার সময় ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক দিতে হতো। এখন দিতে হবে ৩৭ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এই শুল্কের অর্থ কী, তা হয়তো অনভিজ্ঞ মানুষের নজর এড়িয়ে যাবে। কিন্তু আমাদের পোশাকশিল্প যে এতে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।
মূলত পোশাকশিল্প সেক্টরে আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী চীন, ভারত ও ভিয়েতনাম। এই দেশগুলোর জন্যও মার্কিনরা শুল্ক আরোপ করেছে। কিন্তু একমাত্র ভিয়েতনাম ছাড়া অন্য দুটি দেশে শুল্ক বৃদ্ধির পরিমাণ বাংলাদেশের চেয়ে কম। এতে যা হবে, তা হলো, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা প্রতিযোগিতার পর বাংলাদেশের পণ্য মার্কিন দেশে ঢোকার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বেগ পেতে হবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে আমাদের দেশের তৈরি পোশাকশিল্পে। যে সংখ্যক কর্মচারী এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অনেকেই চাকরি হারাবেন। এমনিতেই বেকার সমস্যায় জর্জরিত এই দেশে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে যেতে পারেন। কীভাবে এই মহাসংকট এড়ানো যায়, তা নিয়ে অবিলম্বে ভেবে এ থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজতে হবে।
যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি বেশি, তাদের ওপরই বাড়তি শুল্ক আরোপ করার কথা ভেবেছে ট্রাম্প সরকার। যে ৪৮টি দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি আছে, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চীন, মেক্সিকো আর ভিয়েতনাম। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি মাত্র ৬ বিলিয়ন ডলার। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাই হয় ১০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য পাঠায়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায় ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির তুলনায় এ পরিসংখ্যান খুবই নগণ্য। কিন্তু তারপরও ট্রাম্পের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়েছে।
বাংলাদেশের জন্য এ এক অশনিসংকেত। আমাদের সরকার, আমাদের অর্থনীতি ও পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষেরা এই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য এখনই কূটনৈতিকভাবে তৎপর হতে পারেন। বিশ্বের অন্য দেশগুলো কীভাবে এই বিপর্যয় মোকাবিলা করে, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে। ট্রাম্পের এই ঘোষণা সারা বিশ্বের বাণিজ্যের জন্যই ভয়াবহতা বয়ে আনতে পারে। সতর্ক হওয়া দরকার।
গত জুলাই-আগস্টের ঘটনাবলির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশন একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এটা এ বছরের শুরুর দিকের কথা। ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে হাসিনা সরকারের নির্মম কর্মকাণ্ডের একটা প্রাথমিক চিত্র পাওয়া যায়।
৯ ঘণ্টা আগেদিনাজপুরের মনি-মুক্তার কথা কারও মনে আছে কি, জন্মের পরপরই যারা সংবাদের শিরোনাম হয়েছিল? ২০০৯ সালে জন্ম নেওয়া দুই বোন, যারা একে অপরের পেটের সঙ্গে জোড়া লাগা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিল। এমন জোড়া সন্তান প্রসব করায় মা-বাবাসহ পুরো পরিবার ছিল তখন রীতিমতো দিশেহারা, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
৯ ঘণ্টা আগে৯২ বছর বয়সে মারা গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম। মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনে বীরত্ব দেখিয়েছিলেন যে নারীরা, সখিনা বেগম ছিলেন তাঁদের অন্যতম। পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেশুধু বাংলাদেশই না, সারা পৃথিবীটাই একটা রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। যুদ্ধ বলতে যা বোঝায়, তার একটা চরম প্রদর্শনী হচ্ছে ইসরায়েলে। যুদ্ধবাজ এক জাতি তার নিরপরাধ প্রতিবেশী গাজা উপত্যকায় একটা মৃত্যুফাঁদ রচনা করে রক্তের উন্মুক্ত খেলায় মেতেছে। সেই জায়গা থেকে তারা অস্ত্রের মাধ্যমে অগ্রসর হচ্ছে ইরানে। ইরানের ক্ষম
১ দিন আগে