আব্দুর রাজ্জাক
রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকদের সবচেয়ে যে বড় পাওনা সেটা হলো, নাগরিক সুরক্ষার অধিকার। রাষ্ট্র নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে সঠিক আইন প্রণয়ন করে ও যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করে। সমানভাবে নাগরিকদেরও কর্তব্য আছে—রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইনকে যথাযথভাবে মেনে চলা। রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইন যদি মেনে চলে তাহলে সেই নাগরিকদের সুনাগরিক বলা হয়। এই সমাজে আমরা সবাই সুনাগরিক হতে চাই। আমি আমার নাগরিক অধিকার যেমনভাবে সুরক্ষিত চাই, আমার আচার-আচরণ ও কর্মের মধ্য দিয়ে অন্যের নাগরিক অধিকারকে যেন ক্ষুণ্ন না করি, সেটাও সুনাগরিকের কর্তব্য।
আমার হস্ত সম্প্রসারণের অধিকার আছে, কিন্তু সেই হস্ত যেন অন্যের শরীরে কোনো রকম আঘাত না করে, আমাকে সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। সুনাগরিকের আরও যে কর্তব্য আছে সেটা হলো, রাষ্ট্র কর্তৃক বর্ণিত আইন জানা। এই আইন জেনে নিতে হবে নিজ দায়িত্বে। রাষ্ট্র যে ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছে জনগণকে অথবা যে কাজ করা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেগুলো অবশ্যই সুনাগরিকেরা জানতে বাধ্য।
যেমন ধরুন আমাদের পেনাল কোডে আছে, যদি ইচ্ছাকৃত কেউ কাউকে হত্যা করে, তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অথবা কেউ যদি কারও সঙ্গে প্রতারণা করে, এই প্রতারণার সাজা সাত বছর জেল। এই ধরনের আইনের প্রবিধান সবাই জানতে বাধ্য এবং মানতেও বাধ্য। এখন যদি উল্লিখিত কাজগুলো করে কেউ বলে ‘আমি জানতাম না এই অপরাধ করলে এই সাজা’, তবু এই ধরনের কথা বলে কেউ আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। সবার জানতে হবে—কী অপরাধ করলে কী ধরনের সাজা। এখানেই নাগরিক কর্তব্য হলো আইন জানা ও আইনের প্রবিধান মেনে চলা।
সব সমাজেই কিছু না কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়, আইনের ব্যত্যয় ঘটে। এই আইনের ব্যত্যয় যাঁরা ঘটান তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হন, রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সাজা ভোগ করেন, এটাই বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত নিয়ম, এটাই কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিপালিত হওয়া, এটাকেই বলে আইনের শাসন বহাল আছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আমরা লক্ষ করছি, কিছু কিছু মানুষ আরও সহজ করে বলতে গেলে, কিছু সঙ্ঘবদ্ধ মানুষ অথবা মানুষের দল রাষ্ট্রীয় সব আইনকানুনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তাদের ইচ্ছেমতো যখন যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। নিজের ইচ্ছেমতো আইনকে উপেক্ষা করে মানুষের ওপর বল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রীয় আইনকে তোয়াক্কা করে না, নিজের মতো করে আইনের ব্যাখ্যা দেয় এবং প্রয়োগ করে।
বর্তমানে আমাদের সমাজে এই আইনের অপপ্রয়োগ দুইভাবে হচ্ছে। প্রথমত, ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। অন্যটি হলো পরাজিত রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্রীয় আইন উপেক্ষা করে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে। একদল মানুষ ধর্মীয় লেবাস পরে, কিছু কিছু মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে। বলছে, তারা নাকি ধর্ম অবমাননা করছে, তাই তারা এই শাস্তি পাবেই। কোনো কোনো সময় তারা তৌহিদি জনতার রূপে অথবা ধর্মীয় কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ছদ্মবেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। যেমন, একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি নারীদের খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, বল প্রয়োগ করে খেলাধুলা বন্ধ করছে। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রোজার দিনে একেবারেই বদ্ধ রেস্টুরেন্টে যেখানে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায় না, সেখানে গিয়ে যারা খাওয়া-দাওয়া করছে, তাদের বের করে এনে শাস্তি দিচ্ছে, রীতিমতো অমানবিক অপমান করছে। তাদের কিছু বলা যাবে না, তারা নিজেদের তৌহিদি জনতা দাবি করে, তারা নাকি সমাজকে শুদ্ধ করছে, সমাজকে ধর্মের পথে নিয়ে আসছে। যদিও জোরপূর্বক এই রকম ধর্ম পালন করার বিধান আমার জানা মতে আমাদের ইসলাম ধর্মে নেই।
দ্বিতীয়ত, নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে। বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কারও আক্রোশ থাকলে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অন্যকে নিগৃহীত করছে। চাঁদাবাজি করছে, রাজনৈতিক ট্যাগ যুক্ত করছে একেবারেই নিরীহ মানুষের ওপর, হয়তো সে কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে সাপোর্ট করেছে কিন্তু সমাজের কোনো ক্ষতি করেনি, রাষ্ট্রীয় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি। তবু তাদের ওপর অনেক জায়গায় জোর-জুলুম চলছে, তাদের সম্পত্তি লুটপাট করা হচ্ছে, বাড়িঘর তছনছ করা হচ্ছে। যেসব গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসব করছেন, তাঁরা কেন যে রাষ্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন, সে কথাটা বোধগম্য নয়। মনে হয় আমাদের এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রের তকমা লাগাতে চান তাঁরা।
বেশ কয়েক মাস যাবৎ আরও একটা ব্যাপার সবার মুখে মুখে শোনা যায়, সেটা হলো মব জাস্টিস। কিছু সঙ্ঘবদ্ধ মানুষ নিরীহ মানুষের ওপর বল প্রয়োগ করে, নিজেদের মতামত অন্যের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়, ঠুনকো অজুহাতে মানুষকে অত্যাচার করে, মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে। অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ডাকলে সময়মতো পাওয়া যায় না। এই ধরনের মব যারা সৃষ্টি করে, তারা আরও উৎসাহিত হয়ে একই কাজ বারবার করতে পারছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতার কারণে। এ রকম মব জাস্টিস চলতে থাকলে রাষ্ট্র একসময় অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হবে। তবু এইসব রাষ্ট্রীয় আইনবহির্ভূত কাজ অচিরেই বন্ধ হবে বলে সাধারণ জনগণ আশা করছে।
আমাদের সবার সুনাগরিকের মতো ব্যবহার করা উচিত। রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত, রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা উচিত। রাষ্ট্রীয় আইন যদি কেউ লঙ্ঘন করে, রাষ্ট্র যেন বল প্রয়োগ করতে দ্বিধাবোধ না করে তার ওপর, সেটাই আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে আশা করছি।
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো, যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করলাম, সেইসব ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। তারা আইনের প্রয়োগ করতে পারছে না অথবা করছে না অথবা কোনো গোষ্ঠী দ্বারা তারা চাপে আছে বা ভয়ে আছে। যাই হোক না কেন, আমি আমার নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে দিতে পারি না, আমি এই দেশের নাগরিক হিসেবেই আমার নাগরিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। রাষ্ট্র যেন আমাকে এই সুবিচারটুকু করে, রাষ্ট্রের কাছে আমার এটাই প্রত্যাশা। আর এই প্রত্যাশা কি আমার একার? নিশ্চয়ই না। এই রাষ্ট্রের সব সচেতন নাগরিকের।
লেখক:– প্রকৌশলী
আরও খবর পড়ুন:
রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকদের সবচেয়ে যে বড় পাওনা সেটা হলো, নাগরিক সুরক্ষার অধিকার। রাষ্ট্র নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে সঠিক আইন প্রণয়ন করে ও যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করে। সমানভাবে নাগরিকদেরও কর্তব্য আছে—রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইনকে যথাযথভাবে মেনে চলা। রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইন যদি মেনে চলে তাহলে সেই নাগরিকদের সুনাগরিক বলা হয়। এই সমাজে আমরা সবাই সুনাগরিক হতে চাই। আমি আমার নাগরিক অধিকার যেমনভাবে সুরক্ষিত চাই, আমার আচার-আচরণ ও কর্মের মধ্য দিয়ে অন্যের নাগরিক অধিকারকে যেন ক্ষুণ্ন না করি, সেটাও সুনাগরিকের কর্তব্য।
আমার হস্ত সম্প্রসারণের অধিকার আছে, কিন্তু সেই হস্ত যেন অন্যের শরীরে কোনো রকম আঘাত না করে, আমাকে সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। সুনাগরিকের আরও যে কর্তব্য আছে সেটা হলো, রাষ্ট্র কর্তৃক বর্ণিত আইন জানা। এই আইন জেনে নিতে হবে নিজ দায়িত্বে। রাষ্ট্র যে ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছে জনগণকে অথবা যে কাজ করা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেগুলো অবশ্যই সুনাগরিকেরা জানতে বাধ্য।
যেমন ধরুন আমাদের পেনাল কোডে আছে, যদি ইচ্ছাকৃত কেউ কাউকে হত্যা করে, তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, অথবা কেউ যদি কারও সঙ্গে প্রতারণা করে, এই প্রতারণার সাজা সাত বছর জেল। এই ধরনের আইনের প্রবিধান সবাই জানতে বাধ্য এবং মানতেও বাধ্য। এখন যদি উল্লিখিত কাজগুলো করে কেউ বলে ‘আমি জানতাম না এই অপরাধ করলে এই সাজা’, তবু এই ধরনের কথা বলে কেউ আইনের হাত থেকে রক্ষা পাবে না। সবার জানতে হবে—কী অপরাধ করলে কী ধরনের সাজা। এখানেই নাগরিক কর্তব্য হলো আইন জানা ও আইনের প্রবিধান মেনে চলা।
সব সমাজেই কিছু না কিছু অপরাধ সংঘটিত হয়, আইনের ব্যত্যয় ঘটে। এই আইনের ব্যত্যয় যাঁরা ঘটান তাঁরা বিচারের মুখোমুখি হন, রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত সাজা ভোগ করেন, এটাই বর্তমান বিশ্বের প্রচলিত নিয়ম, এটাই কার্যকর রাষ্ট্র প্রতিপালিত হওয়া, এটাকেই বলে আইনের শাসন বহাল আছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আমরা লক্ষ করছি, কিছু কিছু মানুষ আরও সহজ করে বলতে গেলে, কিছু সঙ্ঘবদ্ধ মানুষ অথবা মানুষের দল রাষ্ট্রীয় সব আইনকানুনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। তাদের ইচ্ছেমতো যখন যা খুশি করে বেড়াচ্ছে। নিজের ইচ্ছেমতো আইনকে উপেক্ষা করে মানুষের ওপর বল প্রয়োগ করে যাচ্ছে। তারা রাষ্ট্রীয় আইনকে তোয়াক্কা করে না, নিজের মতো করে আইনের ব্যাখ্যা দেয় এবং প্রয়োগ করে।
বর্তমানে আমাদের সমাজে এই আইনের অপপ্রয়োগ দুইভাবে হচ্ছে। প্রথমত, ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। অন্যটি হলো পরাজিত রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্রীয় আইন উপেক্ষা করে বল প্রয়োগ করা হচ্ছে। একদল মানুষ ধর্মীয় লেবাস পরে, কিছু কিছু মানুষকে শাস্তি দিচ্ছে। বলছে, তারা নাকি ধর্ম অবমাননা করছে, তাই তারা এই শাস্তি পাবেই। কোনো কোনো সময় তারা তৌহিদি জনতার রূপে অথবা ধর্মীয় কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর ছদ্মবেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুণ্ন করছে। যেমন, একদল প্রভাবশালী ব্যক্তি নারীদের খেলাধুলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে, বল প্রয়োগ করে খেলাধুলা বন্ধ করছে। আবার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা রোজার দিনে একেবারেই বদ্ধ রেস্টুরেন্টে যেখানে বাইরে থেকে কিছু দেখা যায় না, সেখানে গিয়ে যারা খাওয়া-দাওয়া করছে, তাদের বের করে এনে শাস্তি দিচ্ছে, রীতিমতো অমানবিক অপমান করছে। তাদের কিছু বলা যাবে না, তারা নিজেদের তৌহিদি জনতা দাবি করে, তারা নাকি সমাজকে শুদ্ধ করছে, সমাজকে ধর্মের পথে নিয়ে আসছে। যদিও জোরপূর্বক এই রকম ধর্ম পালন করার বিধান আমার জানা মতে আমাদের ইসলাম ধর্মে নেই।
দ্বিতীয়ত, নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে রাজনৈতিক কারণে। বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কারও আক্রোশ থাকলে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অন্যকে নিগৃহীত করছে। চাঁদাবাজি করছে, রাজনৈতিক ট্যাগ যুক্ত করছে একেবারেই নিরীহ মানুষের ওপর, হয়তো সে কোনো একটি নির্দিষ্ট দলকে সাপোর্ট করেছে কিন্তু সমাজের কোনো ক্ষতি করেনি, রাষ্ট্রীয় আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি। তবু তাদের ওপর অনেক জায়গায় জোর-জুলুম চলছে, তাদের সম্পত্তি লুটপাট করা হচ্ছে, বাড়িঘর তছনছ করা হচ্ছে। যেসব গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এসব করছেন, তাঁরা কেন যে রাষ্ট্রীয় আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন, সে কথাটা বোধগম্য নয়। মনে হয় আমাদের এই রাষ্ট্রকে অকার্যকর রাষ্ট্রের তকমা লাগাতে চান তাঁরা।
বেশ কয়েক মাস যাবৎ আরও একটা ব্যাপার সবার মুখে মুখে শোনা যায়, সেটা হলো মব জাস্টিস। কিছু সঙ্ঘবদ্ধ মানুষ নিরীহ মানুষের ওপর বল প্রয়োগ করে, নিজেদের মতামত অন্যের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়, ঠুনকো অজুহাতে মানুষকে অত্যাচার করে, মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করে। অনেক ক্ষেত্রেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ডাকলে সময়মতো পাওয়া যায় না। এই ধরনের মব যারা সৃষ্টি করে, তারা আরও উৎসাহিত হয়ে একই কাজ বারবার করতে পারছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদাসীনতার কারণে। এ রকম মব জাস্টিস চলতে থাকলে রাষ্ট্র একসময় অকার্যকর রাষ্ট্রের দিকে ধাবিত হবে। তবু এইসব রাষ্ট্রীয় আইনবহির্ভূত কাজ অচিরেই বন্ধ হবে বলে সাধারণ জনগণ আশা করছে।
আমাদের সবার সুনাগরিকের মতো ব্যবহার করা উচিত। রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি সবার শ্রদ্ধা থাকা উচিত, রাষ্ট্রীয় আইন মেনে চলা উচিত। রাষ্ট্রীয় আইন যদি কেউ লঙ্ঘন করে, রাষ্ট্র যেন বল প্রয়োগ করতে দ্বিধাবোধ না করে তার ওপর, সেটাই আমরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে আশা করছি।
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হলো, যেসব ঘটনার কথা উল্লেখ করলাম, সেইসব ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। তারা আইনের প্রয়োগ করতে পারছে না অথবা করছে না অথবা কোনো গোষ্ঠী দ্বারা তারা চাপে আছে বা ভয়ে আছে। যাই হোক না কেন, আমি আমার নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন হতে দিতে পারি না, আমি এই দেশের নাগরিক হিসেবেই আমার নাগরিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচতে চাই। রাষ্ট্র যেন আমাকে এই সুবিচারটুকু করে, রাষ্ট্রের কাছে আমার এটাই প্রত্যাশা। আর এই প্রত্যাশা কি আমার একার? নিশ্চয়ই না। এই রাষ্ট্রের সব সচেতন নাগরিকের।
লেখক:– প্রকৌশলী
আরও খবর পড়ুন:
রুমিন ফারহানা বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও রাজনীতি বিশ্লেষক। তিনি সংরক্ষিত নারী আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৩ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর বহু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বাস্তবায়নের সময় মাঝে মাঝে সংবাদ চোখে পড়ে যে প্রকল্পের ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে গাছ কাটা পড়ছে, বনভূমি উজাড় হচ্ছে, খাল ও জলাভূমি ভরাট হচ্ছে, নির্মাণস্থলে নির্মাণকাজের ফলে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, এমনকি কোনো কোনো প্রকল্প গ্রহণের ফলে পরিবেশের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব...
৩ ঘণ্টা আগেপাহাড় রক্ষা করা যখন খুবই জরুরি, তখন সে পাহাড় কেটে গোটা অঞ্চলের জন্য বিপদ ডেকে আনছে একদল দুর্বৃত্ত। খাগড়াছড়ির পানছড়ি এলাকায় অবাধে পাহাড় কাটা হচ্ছে, অথচ সরকারি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে দায়সারা বক্তব্য দিয়ে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
৩ ঘণ্টা আগে১৯৪৯ সালের ২৩ জুন মওলানা ভাসানীকে সভাপতি এবং শামসুল হককে সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। তখন শেখ মুজিবুর রহমান জেলে ছিলেন, তাঁকে করা হয়েছিল দলের যুগ্ম সম্পাদক। পরবর্তী সময়ে শামসুল হক অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যাওয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানকে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
১ দিন আগে