ঝুলন দত্ত, কাপ্তাই (রাঙামাটি)
দিগন্তবিস্তৃত সবুজ খেত, উঁচু-নিচু পাহাড়, পাখির কিচিরমিচির, ছোট-বড় অনেক গাছগাছালি, পাহাড়ি মাচাং ঘর, মারমা সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা! এককথায় প্রকৃতি যেন তার আপন মাধুরী দিয়ে সাজিয়েছে সীতা পাহাড়কে।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড়ের ওপরে মারমা-অধ্যুষিত একটি গ্রাম সীতা পাহাড়। সেই গ্রামে ৫৫টি মারমা পরিবারের বসবাস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত এই গ্রামের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। পাহাড়ের ওপর দাঁড়ালে এক দিকে দেখা যাবে কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি, অন্যদিকে কাপ্তাই লেক ও পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র। এ ছাড়া দেখা যাবে রাঙ্গুনিয়ার শস্যভান্ডারখ্যাত গোমাই বিল। এই পাহাড়ে আছে আদ্দিকালের বুড়ো বটগাছ। এত বড় আর বয়সী বট অনেকে হয়তো দেখেননি। এই সব প্রাচীন বৃক্ষের নিচে বসে জিরিয়ে নিতে পারবেন কিছুটা সময়।
চন্দ্রঘোনা মিশন ঘাট বা কর্ণফুলী পেপার মিলস এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ঘাট হয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপারে ডলুছড়ি গ্রাম। এরপর খাড়া পাহাড় বেয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা হেঁটে উপস্থিত হতে হবে সীতা পাহাড় এলাকায়। পথে রাস্তার দুই পাশে পড়বে সবুজ ঘন বন। সেখান থেকে ভেসে আসবে পাখির কলতান। মন চলে যাবে কল্পনার জগতে। মনে হবে এটি গ্রাম নয়, যেন স্বর্গরাজ্য!
আগেই বলেছি, সীতা পাহাড় এলাকায় ৫৫টি মারমা পরিবারের বসবাস। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল। অত্যন্ত পরিশ্রমী এই জনগোষ্ঠী। এখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধবিহার। এই বৌদ্ধবিহারের বাম পাশ থেকে সবুজ বন-বনানী চোখে পড়বে। আবার বৌদ্ধবিহারের ওপরে বড় বড় বটগাছের নিচে দাঁড়ালে চট্টগ্রাম শহরের শাহ আমানত সেতুর কিছু অংশ দেখতে পাওয়া যায়। এই পাড়ার সর্বোচ্চ চূড়া, যেটা বন বিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট নামে পরিচিত, সেই চূড়া থেকে কাপ্তাই চিৎমরম, সীতা মন্দির, কর্ণফুলী হাইড্রোলিক পাওয়ার স্টেশন দেখা যায়।
এই অদ্ভুত পাহাড়ে আসতে পারেন পাহাড়প্রেমীরা। এখানে একই সঙ্গে পাহাড়, বন, প্রকৃতি আর মারমাদের জীবন ও সংস্কৃতি দেখা যাবে খুব কাছ থেকে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকা বা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে রাঙামাটির কাপ্তাই কেপিএম বারভূঁইয়া গেট। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হবে ইঞ্জিনিয়ার ঘাট। এরপর কর্ণফুলী নদী নৌকায় পার হয়ে ডলুছড়ি গ্রাম। সেখান থেকে হেঁটে সীতা পাহাড়।
দিগন্তবিস্তৃত সবুজ খেত, উঁচু-নিচু পাহাড়, পাখির কিচিরমিচির, ছোট-বড় অনেক গাছগাছালি, পাহাড়ি মাচাং ঘর, মারমা সম্প্রদায়ের বৈচিত্র্যময় জীবনধারা! এককথায় প্রকৃতি যেন তার আপন মাধুরী দিয়ে সাজিয়েছে সীতা পাহাড়কে।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নম্বর রাইখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে পাহাড়ের ওপরে মারমা-অধ্যুষিত একটি গ্রাম সীতা পাহাড়। সেই গ্রামে ৫৫টি মারমা পরিবারের বসবাস। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুট ওপরে অবস্থিত এই গ্রামের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। পাহাড়ের ওপর দাঁড়ালে এক দিকে দেখা যাবে কর্ণফুলী নদীর স্বচ্ছ জলরাশি, অন্যদিকে কাপ্তাই লেক ও পানিবিদ্যুৎকেন্দ্র। এ ছাড়া দেখা যাবে রাঙ্গুনিয়ার শস্যভান্ডারখ্যাত গোমাই বিল। এই পাহাড়ে আছে আদ্দিকালের বুড়ো বটগাছ। এত বড় আর বয়সী বট অনেকে হয়তো দেখেননি। এই সব প্রাচীন বৃক্ষের নিচে বসে জিরিয়ে নিতে পারবেন কিছুটা সময়।
চন্দ্রঘোনা মিশন ঘাট বা কর্ণফুলী পেপার মিলস এলাকার ইঞ্জিনিয়ার ঘাট হয়ে কর্ণফুলী নদীর ওপারে ডলুছড়ি গ্রাম। এরপর খাড়া পাহাড় বেয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা হেঁটে উপস্থিত হতে হবে সীতা পাহাড় এলাকায়। পথে রাস্তার দুই পাশে পড়বে সবুজ ঘন বন। সেখান থেকে ভেসে আসবে পাখির কলতান। মন চলে যাবে কল্পনার জগতে। মনে হবে এটি গ্রাম নয়, যেন স্বর্গরাজ্য!
আগেই বলেছি, সীতা পাহাড় এলাকায় ৫৫টি মারমা পরিবারের বসবাস। এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ জুমচাষের ওপর নির্ভরশীল। অত্যন্ত পরিশ্রমী এই জনগোষ্ঠী। এখানে রয়েছে একটি বৌদ্ধবিহার। এই বৌদ্ধবিহারের বাম পাশ থেকে সবুজ বন-বনানী চোখে পড়বে। আবার বৌদ্ধবিহারের ওপরে বড় বড় বটগাছের নিচে দাঁড়ালে চট্টগ্রাম শহরের শাহ আমানত সেতুর কিছু অংশ দেখতে পাওয়া যায়। এই পাড়ার সর্বোচ্চ চূড়া, যেটা বন বিভাগের রিজার্ভ ফরেস্ট নামে পরিচিত, সেই চূড়া থেকে কাপ্তাই চিৎমরম, সীতা মন্দির, কর্ণফুলী হাইড্রোলিক পাওয়ার স্টেশন দেখা যায়।
এই অদ্ভুত পাহাড়ে আসতে পারেন পাহাড়প্রেমীরা। এখানে একই সঙ্গে পাহাড়, বন, প্রকৃতি আর মারমাদের জীবন ও সংস্কৃতি দেখা যাবে খুব কাছ থেকে।
যাবেন কীভাবে
ঢাকা বা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেতে হবে রাঙামাটির কাপ্তাই কেপিএম বারভূঁইয়া গেট। সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় যেতে হবে ইঞ্জিনিয়ার ঘাট। এরপর কর্ণফুলী নদী নৌকায় পার হয়ে ডলুছড়ি গ্রাম। সেখান থেকে হেঁটে সীতা পাহাড়।
সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১০ ঘণ্টা আগেখাসির মাংসের নানান পদ তো রেঁধেছেন, এবার অতিথি এলে না হয় ভিন্ন স্বাদেই খাসির মাংস রান্না করলেন। আপনাদের জন্য সহজ উপায়ে খাসির মাংস রান্নার রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেশরতের ভীষণ গরম। রাতের খাবারে মুখরোচক কোনো খাবার খেতে ইচ্ছা করছে? কিন্তু গরমে খেয়ে আরাম পাওয়া যাবে, এমন সহজ রান্না কী হতে পারে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না, তাই তো? আপনাদের জন্য ভাজা কই মাছের রসার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১ দিন আগেঋতুভেদে ত্বকযত্নের উপকরণ বদলাতে হয়। নইলে সেই প্রবাদের মতো, সময়ের গান অসময়ে হয়ে যায়। তাতে ত্বকের উপকার হয় না। শরৎকালের আবহাওয়া খানিক উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করে। এই প্রচণ্ড গরম তো এই বৃষ্টি। এদিকে সারাক্ষণ বইছে ঝিরিঝিরি হওয়া। ভ্যাপসা গরমে ঘাম হচ্ছে প্রচুর।
১ দিন আগে