Ajker Patrika

কিশোয়ার হলেন দ্বিতীয় রানারআপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মতো আন্তর্জাতিক রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি খাবার তৈরি করে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। জিতে নিয়েছিলেন বিচারক ও বাঙালি দর্শকদের মন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কিশোয়ার চৌধুরী।

টানা দুই পর্ব ধরে চলে গ্র্যান্ড ফিনালে। প্রতিযোগীদের রান্নার জন্য দেওয়া হয় ৫ ঘণ্টা সময়। গ্র্যান্ড ফিনালেতে পান্তা, আলুভর্তা ও সার্ডিন মাছ ভাজা তৈরি করেছিলেন কিশোয়ার। প্রশংসাও পেয়েছিলেন বিচারকদের। প্রথম পর্বে ৫১ নম্বর নিয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্বে পিছিয়ে পড়েন কিশোয়ার। জাস্টিন নারায়াণ ১২৫ নম্বর পেয়ে বিজয়ী হন। দ্বিতীয় হওয়া পিট ক্যাম্পবেল ১২৪ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা কিশোয়ার পেয়েছেন ১১৪ নম্বর।

কিশোয়ার চৌধুরীর বাবা বাংলাদেশি ও মা ভারতীয়। তাই দুই দেশের দর্শকদেরই ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। কিশোয়ার চৌধুরীর জন্ম ও বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। বর্তমানে তিনি ভিক্টোরিয়া রাজ্যের মেলবোর্নে বসবাস করছেন।  

ছবি: কিশোয়ার চৌধুরীর ফেসবুক পেজকিশোয়ার তাঁর স্নাতক পর্বের লেখাপড়া শেষ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গ্রাফিকস ডিজাইনে স্নাতকোত্তর করেছেন লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস থেকে। ভিক্টোরিয়ায় তাঁর প্রিন্টিংয়ের ব্যবসা রয়েছে। তবে রেস্তোরাঁর ব্যবসা চালু করার কোনো পরিকল্পনা নেই কিশোয়ার চৌধুরীর। তিনি বরং বাঙালি খাবারের রেসিপি নিয়ে একটি বই লিখতে চান।

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম মৌসুমের শেষ পর্বে বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়েছে জাস্টিন নারায়াণের। ফিজিয়ান ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২৭ বছরের এই তরুণ
বাড়ি নিয়ে যান ট্রফি ও আড়াই লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার ১৩তম মৌসুম প্রচারিত হয় ডিজনি প্লাস হটস্টার প্রিমিয়ামে। তিন মাস ধরে চলে এই প্রতিযোগিতা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত