Ajker Patrika

যেভাবে দিন শুরু করতেন নবীজি (সা.)

ইসলাম ডেস্ক 
আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৮: ৩৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আমরা সবাই চাই, আমাদের প্রতিটি দিন ভালো কাটুক; সুন্দরভাবে অতিবাহিত হোক। এ জন্য দরকার ইবাদত, জিকির আর তিলাওয়াতে দিন শুরু করা। এর জন্য মহানবী (সা.) হতে পারেন আমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। নবীজির আদর্শ আমাদের জীবনের আলো, যা অন্ধকারে পথ দেখায় এবং পরকালের মুক্তির নিশ্চয়তা দেয়। আমরা যদি দিনের শুরুটা নবীজি (সা.)-এর দেখানো পথে করতে পারি, তাহলে আশা করা যায়, আমাদের দিনটি হবে কল্যাণময়।

নবী করিম (সা.)-এর দিন শুরু হতো তাহাজ্জুদের মাধ্যমে। তিনি শেষ রাতে ঘুম থেকে উঠে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতেন। এটা তাঁর প্রতি আল্লাহর নির্দেশও ছিল। আল্লাহ তাআলা নবী করিম (সা.)-কে উদ্দেশ করে পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘আর রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করো; এটি তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। শিগগির তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রশংসিত স্থানে উন্নীত করবেন।’ (সুরা ইসরা: ৭৯)। আমাদের দিনটিও শুরু হতে পারে তাহাজ্জুদের মাধ্যমে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজসমূহের পর উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদ।’ (সহিহ্ মুসলিম)। রাতে একটু দ্রুত ঘুমিয়ে গেলে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ আদায় করা সহজ হয়।

তাহাজ্জুদের পর ওয়াক্ত হলে নবীজি (সা.) আদায় করতেন ফজরের নামাজ। ঘুমের কারণে কোনোভাবেই যেন এ নামাজ কাজা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কেননা এটি ফরজ নামাজ। ফরজ নামাজ কাজা করার শাস্তি ভয়াবহ। পাশাপাশি এ নামাজ আদায়ের প্রতিদানও চমৎকার। আল্লাহর নবী বলেন, ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছু থেকে উত্তম।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৫৭৩)

নবীজি (সা.) ফজরের নামাজের পর কোরআন তিলাওয়াত করতেন। আমরাও তা করতে পারি। তিলাওয়াত শেষে আল্লাহর কাছে বরকতের দোয়া করে দৈনন্দিন কাজ শুরু করতে পারি। আল্লাহর রাসুল দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরু বরকতময় করুন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৬০৬)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত