সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে সর্বোচ্চ ফি ধরা হয়েছে ৮৫ ডলার, আর সর্বনিম্ন ১০ ডলার। কাজগুলোকে তিন ভাগ করে জরুরি সেবা ও সাধারণ সেবার জন্য আলাদা ফি ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অঞ্চলভিত্তিক ফি নির্ধারণের প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদনের কথা গত ২৪ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনোয়ারা পারভীন মিতু স্বাক্ষরিত স্মারকে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে মিশনগুলোয় সেবাগ্রহীতাদের ধরন ও বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান বিবেচনায় রেখে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস ও ফ্লোরিডা, কানাডার অটোয়া ও টরন্টো, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভার মোট নয়টি মিশনকে প্রথম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–১) করা হয়েছে।
গ্রুপ–১ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণ ও বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটির প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার করে নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৪৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৬৫ ডলার নেবে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন, গ্রিসের এথেন্স, ইতালির রোম ও মিলান, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ, পর্তুগালের লিসবন, স্পেনের মাদ্রিদ ও সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–২) করা হয়েছে।
গ্রুপ–২ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
রাশিয়ার মস্কো, রোমানিয়ার বুখারেস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, তুরস্কের আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অবস্থিত পাঁচটি মিশনকে তৃতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৩) করা হয়েছে।
গ্রুপ–৩ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
ভারতের নয়াদিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা ও গুয়াহাটি, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি, নেপালের কাঠমান্ডু, ভুটানের থিম্পু ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অবস্থিত ১১টি মিশনকে চতুর্থ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৪) করা হয়েছে। গ্রুপ–৪ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ২৫ ডলার নেবে।
সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, কুয়েত, ওমানের মাসকাট, বাহরাইনের মানামা, ইরাকের বাগদাদ, কাতারের দোহা, জর্ডানের আম্মান, বৈরুত, ইরানের তেহরান, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, মালদ্বীপের মালে ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে পঞ্চম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৫) করা হয়েছে। গ্রুপ–৫ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
চীনের বেইজিং, হংকং ও কুনমিং, জাপানের টোকিও, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ব্রুনেইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ান, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও সিটোয়ে, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরায় অবস্থিত ১৫টি মিশনকে ষষ্ঠ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৬) করা হয়েছে। গ্রুপ–৬ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
আফ্রিকার আলজেরিয়ায় আলজিয়ার্স, মিসরের কায়রো, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, নাইরোবি, লিবিয়ার ত্রিপোলি, মরিশাসের পোর্ট লুইস, মরক্কোর রাবাত, নাইজেরিয়ায় আবুজা, সুদানের খার্তুম ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অবস্থিত ১০টি মিশনকে সপ্তম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৭) করা হয়েছে। গ্রুপ–৭ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
সব গ্রুপের সব মিশন ষষ্ঠ পাতা থেকে অতিরিক্ত প্রতি পাতার জন্য আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার করে নেবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক কাগজপত্র, শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে নেবে দুই ডলার করে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ সেবায় আবেদনের সর্বোচ্চ তিন কর্মদিবসের মধ্যে ও জরুরি ক্ষেত্রে আবেদনের দিনই অথবা পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সেবা দিতে হবে। সব গ্রুপের সব ফি মার্কিন ডলারে ধার্য করা হয়েছে। এই ফি মার্কিন ডলারে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া যাবে।

বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে সর্বোচ্চ ফি ধরা হয়েছে ৮৫ ডলার, আর সর্বনিম্ন ১০ ডলার। কাজগুলোকে তিন ভাগ করে জরুরি সেবা ও সাধারণ সেবার জন্য আলাদা ফি ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অঞ্চলভিত্তিক ফি নির্ধারণের প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদনের কথা গত ২৪ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনোয়ারা পারভীন মিতু স্বাক্ষরিত স্মারকে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে মিশনগুলোয় সেবাগ্রহীতাদের ধরন ও বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান বিবেচনায় রেখে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস ও ফ্লোরিডা, কানাডার অটোয়া ও টরন্টো, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভার মোট নয়টি মিশনকে প্রথম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–১) করা হয়েছে।
গ্রুপ–১ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণ ও বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটির প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার করে নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৪৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৬৫ ডলার নেবে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন, গ্রিসের এথেন্স, ইতালির রোম ও মিলান, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ, পর্তুগালের লিসবন, স্পেনের মাদ্রিদ ও সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–২) করা হয়েছে।
গ্রুপ–২ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
রাশিয়ার মস্কো, রোমানিয়ার বুখারেস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, তুরস্কের আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অবস্থিত পাঁচটি মিশনকে তৃতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৩) করা হয়েছে।
গ্রুপ–৩ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
ভারতের নয়াদিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা ও গুয়াহাটি, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি, নেপালের কাঠমান্ডু, ভুটানের থিম্পু ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অবস্থিত ১১টি মিশনকে চতুর্থ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৪) করা হয়েছে। গ্রুপ–৪ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ২৫ ডলার নেবে।
সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, কুয়েত, ওমানের মাসকাট, বাহরাইনের মানামা, ইরাকের বাগদাদ, কাতারের দোহা, জর্ডানের আম্মান, বৈরুত, ইরানের তেহরান, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, মালদ্বীপের মালে ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে পঞ্চম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৫) করা হয়েছে। গ্রুপ–৫ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
চীনের বেইজিং, হংকং ও কুনমিং, জাপানের টোকিও, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ব্রুনেইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ান, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও সিটোয়ে, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরায় অবস্থিত ১৫টি মিশনকে ষষ্ঠ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৬) করা হয়েছে। গ্রুপ–৬ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
আফ্রিকার আলজেরিয়ায় আলজিয়ার্স, মিসরের কায়রো, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, নাইরোবি, লিবিয়ার ত্রিপোলি, মরিশাসের পোর্ট লুইস, মরক্কোর রাবাত, নাইজেরিয়ায় আবুজা, সুদানের খার্তুম ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অবস্থিত ১০টি মিশনকে সপ্তম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৭) করা হয়েছে। গ্রুপ–৭ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
সব গ্রুপের সব মিশন ষষ্ঠ পাতা থেকে অতিরিক্ত প্রতি পাতার জন্য আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার করে নেবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক কাগজপত্র, শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে নেবে দুই ডলার করে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ সেবায় আবেদনের সর্বোচ্চ তিন কর্মদিবসের মধ্যে ও জরুরি ক্ষেত্রে আবেদনের দিনই অথবা পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সেবা দিতে হবে। সব গ্রুপের সব ফি মার্কিন ডলারে ধার্য করা হয়েছে। এই ফি মার্কিন ডলারে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া যাবে।
সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা

বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে সর্বোচ্চ ফি ধরা হয়েছে ৮৫ ডলার, আর সর্বনিম্ন ১০ ডলার। কাজগুলোকে তিন ভাগ করে জরুরি সেবা ও সাধারণ সেবার জন্য আলাদা ফি ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অঞ্চলভিত্তিক ফি নির্ধারণের প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদনের কথা গত ২৪ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনোয়ারা পারভীন মিতু স্বাক্ষরিত স্মারকে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে মিশনগুলোয় সেবাগ্রহীতাদের ধরন ও বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান বিবেচনায় রেখে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস ও ফ্লোরিডা, কানাডার অটোয়া ও টরন্টো, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভার মোট নয়টি মিশনকে প্রথম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–১) করা হয়েছে।
গ্রুপ–১ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণ ও বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটির প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার করে নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৪৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৬৫ ডলার নেবে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন, গ্রিসের এথেন্স, ইতালির রোম ও মিলান, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ, পর্তুগালের লিসবন, স্পেনের মাদ্রিদ ও সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–২) করা হয়েছে।
গ্রুপ–২ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
রাশিয়ার মস্কো, রোমানিয়ার বুখারেস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, তুরস্কের আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অবস্থিত পাঁচটি মিশনকে তৃতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৩) করা হয়েছে।
গ্রুপ–৩ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
ভারতের নয়াদিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা ও গুয়াহাটি, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি, নেপালের কাঠমান্ডু, ভুটানের থিম্পু ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অবস্থিত ১১টি মিশনকে চতুর্থ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৪) করা হয়েছে। গ্রুপ–৪ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ২৫ ডলার নেবে।
সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, কুয়েত, ওমানের মাসকাট, বাহরাইনের মানামা, ইরাকের বাগদাদ, কাতারের দোহা, জর্ডানের আম্মান, বৈরুত, ইরানের তেহরান, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, মালদ্বীপের মালে ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে পঞ্চম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৫) করা হয়েছে। গ্রুপ–৫ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
চীনের বেইজিং, হংকং ও কুনমিং, জাপানের টোকিও, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ব্রুনেইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ান, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও সিটোয়ে, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরায় অবস্থিত ১৫টি মিশনকে ষষ্ঠ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৬) করা হয়েছে। গ্রুপ–৬ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
আফ্রিকার আলজেরিয়ায় আলজিয়ার্স, মিসরের কায়রো, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, নাইরোবি, লিবিয়ার ত্রিপোলি, মরিশাসের পোর্ট লুইস, মরক্কোর রাবাত, নাইজেরিয়ায় আবুজা, সুদানের খার্তুম ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অবস্থিত ১০টি মিশনকে সপ্তম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৭) করা হয়েছে। গ্রুপ–৭ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
সব গ্রুপের সব মিশন ষষ্ঠ পাতা থেকে অতিরিক্ত প্রতি পাতার জন্য আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার করে নেবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক কাগজপত্র, শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে নেবে দুই ডলার করে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ সেবায় আবেদনের সর্বোচ্চ তিন কর্মদিবসের মধ্যে ও জরুরি ক্ষেত্রে আবেদনের দিনই অথবা পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সেবা দিতে হবে। সব গ্রুপের সব ফি মার্কিন ডলারে ধার্য করা হয়েছে। এই ফি মার্কিন ডলারে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া যাবে।

বিদেশে বাংলাদেশের মোট ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে বিভিন্ন ধরনের কনস্যুলার সেবার জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এতে সর্বোচ্চ ফি ধরা হয়েছে ৮৫ ডলার, আর সর্বনিম্ন ১০ ডলার। কাজগুলোকে তিন ভাগ করে জরুরি সেবা ও সাধারণ সেবার জন্য আলাদা ফি ধরা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অঞ্চলভিত্তিক ফি নির্ধারণের প্রস্তাব সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাব অনুমোদনের কথা গত ২৪ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মনোয়ারা পারভীন মিতু স্বাক্ষরিত স্মারকে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিদেশে মিশনগুলোয় সেবাগ্রহীতাদের ধরন ও বাংলাদেশি কর্মীদের অবস্থান বিবেচনায় রেখে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলস ও ফ্লোরিডা, কানাডার অটোয়া ও টরন্টো, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভার মোট নয়টি মিশনকে প্রথম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–১) করা হয়েছে।
গ্রুপ–১ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণ ও বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিটির প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার করে নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৪৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৬৫ ডলার নেবে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডন, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা, বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্লিন, গ্রিসের এথেন্স, ইতালির রোম ও মিলান, নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ, পর্তুগালের লিসবন, স্পেনের মাদ্রিদ ও সুইডেনের স্টকহোমে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে দ্বিতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–২) করা হয়েছে।
গ্রুপ–২ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৮৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
রাশিয়ার মস্কো, রোমানিয়ার বুখারেস্ট, পোল্যান্ডের ওয়ারশ, তুরস্কের আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে অবস্থিত পাঁচটি মিশনকে তৃতীয় গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৩) করা হয়েছে।
গ্রুপ–৩ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
ভারতের নয়াদিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাই, আগরতলা ও গুয়াহাটি, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ ও করাচি, নেপালের কাঠমান্ডু, ভুটানের থিম্পু ও শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় অবস্থিত ১১টি মিশনকে চতুর্থ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৪) করা হয়েছে। গ্রুপ–৪ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১৫ ডলার ও জরুরি সেবায় ২৫ ডলার নেবে।
সৌদি আরবের রিয়াদ ও জেদ্দা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, কুয়েত, ওমানের মাসকাট, বাহরাইনের মানামা, ইরাকের বাগদাদ, কাতারের দোহা, জর্ডানের আম্মান, বৈরুত, ইরানের তেহরান, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর, মালদ্বীপের মালে ও উজবেকিস্তানের তাসখন্দে অবস্থিত ১৫টি মিশনকে পঞ্চম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৫) করা হয়েছে। গ্রুপ–৫ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৫৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
চীনের বেইজিং, হংকং ও কুনমিং, জাপানের টোকিও, দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, ব্রুনেইয়ের বন্দর সেরি বেগাওয়ান, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও সিটোয়ে, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনামের হ্যানয়, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ফিলিপাইনের ম্যানিলা, থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ক্যানবেরায় অবস্থিত ১৫টি মিশনকে ষষ্ঠ গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৬) করা হয়েছে। গ্রুপ–৬ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৫০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৭৫ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ৩০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৪৫ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে।
আফ্রিকার আলজেরিয়ায় আলজিয়ার্স, মিসরের কায়রো, ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, নাইরোবি, লিবিয়ার ত্রিপোলি, মরিশাসের পোর্ট লুইস, মরক্কোর রাবাত, নাইজেরিয়ায় আবুজা, সুদানের খার্তুম ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়াতে অবস্থিত ১০টি মিশনকে সপ্তম গ্রুপভুক্ত (গ্রুপ–৭) করা হয়েছে। গ্রুপ–৭ মিশনগুলো আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ২০ ডলার নেবে। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়নের ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ২০ ডলার ও জরুরি সেবায় ৩০ ডলার নেবে। শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ পাতার জন্য সাধারণ সেবায় ১০ ডলার ও জরুরি সেবায় ১৫ ডলার নেবে।
সব গ্রুপের সব মিশন ষষ্ঠ পাতা থেকে অতিরিক্ত প্রতি পাতার জন্য আমমোক্তারনামা প্রমাণীকরণের ক্ষেত্রে পাঁচ ডলার করে নেবে। এ ছাড়া বাণিজ্যিক কাগজপত্র, শিক্ষা ও অন্য বিষয়ের কাগজপত্র সত্যায়ন ও সনদ ইস্যুর ক্ষেত্রে নেবে দুই ডলার করে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, সাধারণ সেবায় আবেদনের সর্বোচ্চ তিন কর্মদিবসের মধ্যে ও জরুরি ক্ষেত্রে আবেদনের দিনই অথবা পরবর্তী কর্মদিবসের মধ্যে সেবা দিতে হবে। সব গ্রুপের সব ফি মার্কিন ডলারে ধার্য করা হয়েছে। এই ফি মার্কিন ডলারে বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে স্থানীয় মুদ্রায় নেওয়া যাবে।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সুপারিশে বলা হয়েছে, ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’ জারির মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ইচ্ছা ও অভিপ্রায়কে আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাংবিধানিক রূপ দেওয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
ঐকমত্য কমিশন মনে করে, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন সম্পন্ন করার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক আইনি দলিল আবশ্যক ছিল। সে কারণেই সরকার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা ও অভিপ্রায়ের ভিত্তিতে সরকার এই বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। অবিলম্বে সরকার এই আদেশ গ্যাজেট আকারে জারি করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
গণভোটের বিষয়ে আদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে এই আদেশ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত জুলাই জাতীয় সনদের সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত অংশ গণভোটে উপস্থাপন করা হইবে।’
গণভোটের ব্যালটের প্রশ্ন হবে— ‘আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং ইহার তফসিল-১ এ সন্নিবেশিত সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?’
ব্যালটের মাধ্যমে গণভোট অনুষ্ঠিত হইবে এবং নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত ব্যালটে প্রত্যেক ভোটার গোপনে ভোটদান করিবেন।
গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে সে বিষয়ে খসড়ায় বলা হয়, এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।
গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যথোপযুক্ত আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার সেবার নতুন ফি নির্ধারণ করেছে সরকার, যেখানে সর্বোচ্চ ফি ৮৫ ডলার ও সর্বনিম্ন ১০ ডলার। বিশ্বের ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সেবার ধরন ও জরুরি চাহিদা অনুযায়ী এই ফি নির্ধারিত।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল।
আজ মঙ্গলবার সেনাসদরে সেনাবাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
এ ছাড়া যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও পরিদর্শনের মাধ্যমে সামরিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও তাঁরা মতবিনিময় করেন।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার সেবার নতুন ফি নির্ধারণ করেছে সরকার, যেখানে সর্বোচ্চ ফি ৮৫ ডলার ও সর্বনিম্ন ১০ ডলার। বিশ্বের ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সেবার ধরন ও জরুরি চাহিদা অনুযায়ী এই ফি নির্ধারিত।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

বিসিএসে রিপিট ক্যাডারে নিয়োগের পথ বন্ধ করে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সঙ্গে পরামর্শ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪ সংশোধন করে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
এ ছাড়া আগের কোনো বিসিএসে কোনো ক্যাডারে যোগদানে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অন্য বিসিএসেও সেই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না। পিএসসি চাইলে এমন প্রার্থীদের চূড়ান্ত ফলাফল থেকেও বাদ দিতে পারবে।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালার ১৭ বিধিতে বলা ছিল—কৃতকার্য প্রার্থীদের মধ্য থেকে কমিশন উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করবে এবং সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য প্রার্থীদের নাম সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
নতুন বিধিতে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো বিসিএসে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করার আগে বা কোনো বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল তৈরির সময় পিএসসি তিনটি বিষয় বিবেচনায় নেবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর দেওয়া লিখিত তথ্য, কমিশনের নিজস্ব তথ্য ও প্রার্থীর আগের বিসিএস পরীক্ষার তথ্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
নতুন বিধিতে আরও বলা হয়, কোনো প্রার্থী যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে কর্মরত রয়েছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য; আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষায় যে সার্ভিস বা ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, কিন্তু যোগদান করেননি, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য এবং আগের কোনো বিসিএস পরীক্ষার মতো একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে বা ওই প্রার্থীর আগ্রহ নেই—এমন কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে পুনরায় মনোনীত হওয়ার কারণে মনোনীত সার্ভিস বা ক্যাডার পদে যোগদান করতে অনিচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন, সেই একই সার্ভিস বা ক্যাডার পদে তিনি মনোনয়নযোগ্য।
তবে কমিশন এ ধরনের প্রার্থীদের নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা থেকে বিরত থাকতে পারবে বা ক্ষেত্রমতে চূড়ান্ত ফলাফলে উক্ত প্রার্থীকে বাদ দিতে পারবে।
তিন কারণে কোনো প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য পিএসসি সুপারিশ না করলে সেসব শূন্য পদে ওই বিসিএসে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে মেধাক্রম ও পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করে কমিশন সম্পূরক ফলাফল প্রকাশ করে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করতে পারবে।
সম্পূরক ফলাফলের কারণে প্রথম ঘোষিত ফলাফলে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডার পদের জন্য মনোনীত কোনো প্রার্থীর মেধাক্রম ও পছন্দক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলে নতুন বিধিতে জানানো হয়েছে।
আরও খবর পড়ুন:

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার সেবার নতুন ফি নির্ধারণ করেছে সরকার, যেখানে সর্বোচ্চ ফি ৮৫ ডলার ও সর্বনিম্ন ১০ ডলার। বিশ্বের ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সেবার ধরন ও জরুরি চাহিদা অনুযায়ী এই ফি নির্ধারিত।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
১ ঘণ্টা আগেজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে কাজ করবে। এই পরিষদের মেয়াদ হবে ২৭০ দিন (৯ মাস)। এই মেয়াদের মধ্যে পরিষদ গণভোটে পাস হওয়া প্রস্তাবগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় এমন সুপারিশ করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ জমা দেয় ঐকমত্য কমিশন। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো খসড়া বিল (সংবিধান সংশোধনী আইনের খসড়া) আকারে তৈরি করবে সরকার। বিলটি গণভোটে পাস হলে সংবিধান সংস্কার পরিষদ মূল ভাব ঠিক রেখে প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করবে। কিন্ত সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মেয়াদের মধ্যে তা অনুমোদন না করলেও প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হয়ে যাবে।
তবে গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারকে নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা বেঁধে দেয়নি ঐকমত্য কমিশন। সংবাদ সম্মেলনে আলী রীয়াজ বলেন, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ’ জারির পর থেকে জাতীয় নির্বাচনের দিন পর্যন্ত যেকোনো দিন গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে।
সুপারিশে কমিশন বলেছে, ‘এই আদেশ জারির অব্যবহিত পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে যথোপযুক্ত সময়ে অথবা উক্ত নির্বাচনের দিন এই আদেশ অনুসারে গণভোট অনুষ্ঠান করা হইবে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু নিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, প্যাকেজ আকারে একটি প্রশ্নে গণভোট হবে। সেখানে সনদ ও খসড়া বিল সমর্থন করা হচ্ছে কি না, তা জানতে চাওয়া হবে।
ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় রাজনৈতিক দলগুলোর ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নিয়ে কী হবে—এমন প্রশ্ন করা হয়। জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, তাঁরা সরকারকে বলেছেন, এগুলো জনগণের কাছে নিয়ে যেতে। জনগণের রায় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত নেবে।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কনস্যুলার সেবার নতুন ফি নির্ধারণ করেছে সরকার, যেখানে সর্বোচ্চ ফি ৮৫ ডলার ও সর্বনিম্ন ১০ ডলার। বিশ্বের ৮০টি মিশনকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে এই ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ভিন্ন ভিন্ন সেবার ধরন ও জরুরি চাহিদা অনুযায়ী এই ফি নির্ধারিত।
২৬ এপ্রিল ২০২৫
জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাবগুলো নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গণভোটের প্রস্তাব করলেও কবে তা অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট দিন সুপারিশ করেনি। আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন একইসঙ্গে গণভোট হতে পারে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
এর ফলে বিসিএসে কোনো সার্ভিস বা ক্যাডারে কর্মরতদের মধ্যে কাউকে অন্য বিসিএসের একই ক্যাডারে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না। আগের বিসিএসে কোনো ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়ার পরেও যোগদান না করলে অন্য বিসিএসে তাঁকে ওই ক্যাডারে আর নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না।
১ ঘণ্টা আগে