তাসলিমা জাহান
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি, যা মুসলমানদের জীবনে এক অনন্য রুহানি অভিজ্ঞতা। এটি শুধু শরীরের পরিশ্রম নয়, বরং আত্মার প্রশান্তি ও গুনাহ মোচনের সুবর্ণ সুযোগ। হজ যেন শুধুই একটি ভ্রমণ না হয়, বরং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের এক বাস্তব মাধ্যম হয়ে ওঠে; সে জন্য প্রয়োজন পূর্ণ প্রস্তুতি। নিচে হজের সফরের আগে...
১ দিন আগেমিনারের সঙ্গে ইসলামি স্থাপত্যের এক নিবিড় সম্পর্ক জড়িয়ে আছে। এর অবয়ব যেন মনে করিয়ে দেয় ইসলামি শাসন ও মুসলিম শাসকদের নানা কীর্তিগাথা। ইসলামের ইতিহাসে মূলত আজানের শব্দ দূরে পৌঁছানোর জন্য মিনারের ব্যবহার শুরু হয়। একসময় মিনারগুলো থেকে ভেসে আসত ‘আস-সালাতু খাইরুম মিনান নাউম’-এর মায়াবি ধ্বনি।
১ দিন আগেনামাজ ইসলামের এক গুরুত্বপূর্ণ বিধান। নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করে নেওয়া আবশ্যক। আকাশপথে সফরের সময় ফরজ নামাজ সম্ভব হলে কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে রুকু-সিজদাসহ আদায় করবেন। দাঁড়ানো সম্ভব না হলে বসে স্বাভাবিকভাবে কিবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদা করে আদায় করবেন। এভাবে নামাজ আদায় করতে পারলে পরবর্তী সময়ে তা পুনরায় আদা
১ দিন আগেদান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ আমল। এই আমল মানুষকে আত্মিক পরিশুদ্ধি ও সামাজিক ভারসাম্যের দিকে নিয়ে যায়। দান গরিব-দুঃখীর কষ্ট লাঘব করে, সমাজে সহমর্মিতা গড়ে তোলে, ধনীর সম্পদে বরকত আনে এবং বিপদ-আপদ দূর করে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অতিসত্বর দানের দিকে ধাবিত...
২ দিন আগে