তাসলিমা জাহান

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।
তাসলিমা জাহান

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। সৌভাগ্যবান মুসলমানরা ছুটবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে কাবা প্রাঙ্গণ মুখরিত করতে। পবিত্র এই সফরের আগে জেনে নেওয়া যাক হজবিষয়ক প্রয়োজনীয় কিছু কথা—
হজ নবীদের স্মৃতিবিজড়িত ইবাদত
ইসলামের বিধানমতে, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য জীবনে হজ একবার ফরজ। নবীজি (সা.) বলেন, ‘হজ একবার। যে একাধিকবার করবে, তা তার জন্য নফল হবে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৮৬)। হজ পালনকারীরা ইহরাম পরিধান করে তাওয়াফ করে, সাফা-মারওয়া সায়ি করে এবং আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে। হাজার বছরের স্মৃতিবিজড়িত এই বিধানের প্রতিটি কার্যক্রমে রয়েছে মানবজাতির প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য। ইসলামের আগেও হজ ফরজ ছিল। আল্লাহ তাআলা বলেন, স্মরণ করো যখন আমি ইবরাহিমকে (পবিত্র) ঘরের স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছিলাম—(তখন বলেছিলাম) আমার সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করবে না। আর আমার ঘর পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, নামাজ আদায়কারী, রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য। আর মানুষের মাঝে হজের ঘোষণা দাও, তারা তোমার কাছে আসবে হেঁটে, আর সব (পথ ক্লান্ত) শীর্ণ উটের পিঠে, বহু দূরের গভীর পর্বতসংকুল পথ বেয়ে। (সুরা হজ: ২৬-২৭)
গুরুত্বপূর্ণ এই বিধান ইসলাম ধর্মেও নবম হিজরিতে ফরজ করা হয়। আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাদের উদ্দেশে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, ‘হে মানব সকল, আল্লাহ তোমাদের ওপর হজ ফরজ করেছেন। সুতরাং তোমরা হজ করো।’ এক ব্যক্তি বলল, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ, প্রতিবছর কি হজ করতে হবে?’ তিনি চুপ রইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। এরপর রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘আমি যদি হ্যাঁ বলতাম, তাহলে প্রতিবছর হজ করা ফরজ হয়ে যেত, কিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৩৩৭)
যাঁদের ওপর হজ ফরজ
আরবি শব্দ হজের শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা বা সংকল্প করা। শরিয়তের পরিভাষায় হজ হলো, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করা।’ হজ ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির একটি। এই আয়াত অবতীর্ণ করার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ করেন—‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)
কোনো মুসলমান যদি স্বাধীন, প্রাপ্তবয়স্ক, বিবেকসম্পন্ন, শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হয় এবং তার হজে যাতায়াতের রাস্তা নিরাপদ থাকে—তাকে হজ পালন করতে হবে। তার ওপর হজ ফরজ। তবে নারীদের ক্ষেত্রে সঙ্গে যাওয়ার মতো মাহরাম (যেসব পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ) থাকতে হবে।
হজ পালনে অবহেলা নয়
হজ পালন করতে পারা, বায়তুল্লাহয় গিয়ে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ বলতে পারা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। সবার এই সৌভাগ্য হয় না। তাই সামর্থ্যবান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গড়িমসি না করে হজ আদায় করে ফেলা উচিত। কেননা সামর্থ্য থাকার পরও কেউ হজ না করলে, তার জন্য রয়েছে কঠিন বার্তা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার ঘর পর্যন্ত পৌঁছানোর মতো সম্বল ও বাহনের অধিকারী হওয়ার পরও যদি হজ না করে, তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিষ্টান হয়ে মারা যাক, তাতে কিছু আসে-যায় না।’ (সুনানে তিরমিজি: ৮১২)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব কোরো না। কেননা, তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে। (মুসনাদে আহমদ: ২৮৬৭)
হজের যত বৈশিষ্ট্য
বিশুদ্ধ নিয়তে যথাযথ নিয়ম মেনে হজ আদায় করলে রয়েছে নানা সুসংবাদ। কবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত। (সহিহ্ বুখারি: ১৭৭৩)। এ ছাড়া হজ আদায়কারীর পাপ মোচন হয় এই ইবাদতের মাধ্যমে। মহানবী (সা.) বলেন, যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এমনভাবে হজ আদায় করল যে কোনোরকম অশ্লীল কথা বা পাপের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে ওই দিনের মতো (নিষ্পাপ) হয়ে ফিরল; যেদিন তার মা তাকে জন্ম দিয়েছিল।’ (সহিহ্ বুখারি: ১৫২১)
প্রিয় নবী (সা.) আরও বলেন, ‘হজ ও ওমরাহযাত্রীগণ আল্লাহর মেহমান। তারা যদি দোয়া করে, আল্লাহ তা কবুল করেন। আর যদি ক্ষমা প্রার্থনা করে, তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯২)
আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো হাজি সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাঁকে সালাম দেবে, তার সঙ্গে মুসাফাহা করবে এবং তিনি নিজ ঘরে প্রবেশের আগে তাঁর কাছে দোয়া চাইবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০০৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের কাবা প্রাঙ্গণে যাওয়ার তৌফিক দিক। হজের ছোঁয়ায় আমাদের জীবন হোক পাপমুক্ত। অন্তরে জেগে উঠুক ভ্রাতৃত্ববোধ। জাতি, বর্ণ ও ভাষার ভেদাভেদ ভুলে একতা আসুক মুসলমানদের মাঝে।

নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৫ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। আর নামাজ হলো এই ব্যবস্থার প্রাণ। নামাজ শুধু একটি ধর্মীয় কর্তব্য নয়, এটি মানুষের আত্মার প্রশান্তি, নৈতিকতার ভিত্তি এবং সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যম। তাই সন্তানের চরিত্র গঠনের প্রথম পাঠই হওয়া উচিত নামাজের শিক্ষা।
প্রশ্ন হলো, কীভাবে মা-বাবা সন্তানকে নামাজপ্রিয় ও নামাজি হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন?
আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নামাজ হলো দ্বীনের স্তম্ভ।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি হাদিসে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমরা তোমাদের সন্তানদের ৭ বছর বয়সে নামাজের নির্দেশ দাও, আর ১০ বছর বয়সে তা না পড়লে শাসন করো।’ (সুনানে আবু দাউদ)
অতএব ছোটবেলা থেকে সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তোলার নির্দেশ ইসলাম দিয়েছে।
সন্তান কখনো এক দিনে নামাজি হয় না। এটি একটি ধৈর্য, ভালোবাসা ও উদাহরণের দীর্ঘ যাত্রা। এই যাত্রার প্রথম ধাপ হলো, নিজে নামাজি হওয়া। শিশুরা অনুকরণপ্রিয়; তারা যা দেখে, তা-ই শেখে। মা-বাবার নিয়মিত নামাজ তাদের চোখে সবচেয়ে বড় শিক্ষা। একটি পরিবারে নামাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে কিছু কার্যকর উপায় হলো, ঘরে নামাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা।
আজানের সময় আজান দেওয়া এবং সবাইকে একত্রে নামাজে আহ্বান করা। ছোটদের জন্য আলাদা জায়নামাজ, টুপি ও ওড়না দেওয়া, যাতে তারা উৎসাহ পায়। নামাজ শেষে সবাই মিলে দোয়া করা, এতে শিশুর মনে নামাজের প্রতি ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। শিশুর কাছে নামাজ যেন ভয় বা শাস্তি নয়, বরং আনন্দের একটি অভ্যাস হয়, তা নিশ্চিত করা জরুরি।
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’ এইভাবে ভালোবাসা ও পুরস্কারের ভাষায় সন্তানকে নামাজের প্রতি অনুরাগী করে তুলুন।
সন্তান যে পরিবেশে বড় হয়, তা তার চরিত্রে গভীর প্রভাব ফেলে। তাই নামাজি বন্ধু ও সঙ্গ তৈরি করুন। মসজিদভিত্তিক শিশু কার্যক্রম বা ইসলামিক সংগঠনে অংশ নিতে উৎসাহিত করুন। স্কুল ও সমাজে নামাজবান্ধব পরিবেশের জন্য উদ্যোগ নিন। সন্তানকে নামাজি বানানো মানে শুধু তাকে নামাজ শেখানো নয়; বরং তার হৃদয়ে আল্লাহভীতি, নৈতিকতা ও আত্মিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ জন্য প্রয়োজন ধারাবাহিক প্রচেষ্টা, ভালোবাসা ও সঠিক দিকনির্দেশনা।
আল্লাহ তাআলা কোরআনে মা-বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন, ‘তোমার পরিবারকে নামাজের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এতে স্থির থাকো।’ (সুরা তোহা: ১৩২)
সুতরাং মা-বাবা যদি নিজের ঘরে নামাজের আলো জ্বালান, তবে সেই আলো একদিন পুরো সমাজকে আলোকিত করবে নামাজি প্রজন্মের মাধ্যমে। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের সন্তানদের নামাজি হিসেবে কবুল করে নিন।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ী।

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৫ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের গৌরব ছড়িয়ে দেওয়া তিনবারের বিশ্বজয়ী হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকী।
আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
জানা যায়, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর হাফেজ ত্বকীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
বিশ্বজয়ী এই হাফেজ জর্ডান, কুয়েত ও বাহরাইনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছিলেন। দেশে-বিদেশে অসংখ্য কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি অর্জন করেন অসামান্য সাফল্য।
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
প্রতিভাবান এই হাফেজ ২০০০ সালে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ডালপা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় কিতাব বিভাগে পড়াশোনা করছিলেন। তাঁর বাবা মাওলানা বদিউল আলম একজন মাদ্রাসাশিক্ষক।
হাফেজ সাইফুর রহমান ত্বকীর মৃত্যুতে দেশজুড়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেকেই শোক প্রকাশ করছেন তরুণ এই হাফেজের জন্য।

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেমুফতি খালিদ কাসেমি

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যার আমানতদারি নেই, তার ইমানও নেই; যার কাছে অঙ্গীকারের মূল্য নেই, তার দ্বীনদারি নেই।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ)
আমানত রক্ষা করার অনেক ফজিলত কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
এক. আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসুল (সা.)-এর নির্দেশ পালন: এরশাদ হচ্ছে, ‘(হে মুসলিমগণ) নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের আদেশ করছেন, তোমরা আমানতসমূহ তার হকদারকে আদায় করে দেবে এবং যখন মানুষের মধ্যে বিচার করবে, তখন ইনসাফের সঙ্গে বিচার করবে। আল্লাহ তোমাদের যে বিষয়ে উপদেশ দেন, তা কতই-না উৎকৃষ্ট! নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮) মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘কেউ তোমার কাছে আমানত রাখলে তা তাকে ফেরত দাও। যে ব্যক্তি তোমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তার সঙ্গে তুমি বিশ্বাসঘাতকতা কোরো না।’ (জামে তিরমিজি)
দুই. রাসুলগণের গুণে গুণান্বিত হওয়া: রাসুলগণ আপন সম্প্রদায়ের লোকজনকে লক্ষ করে বলতেন, ‘নিশ্চয়ই আমি তোমাদের জন্য এক বিশ্বস্ত রাসুল।’ (সুরা শুআরা: ১০৭)
তিন. ইমানদার ও সফলদের গুণ অর্জন: যারা আমানত রক্ষা করে, মহান আল্লাহ তাদের ‘সফলকাম’ আখ্যা দিয়েছেন। এবং তাদের জন্য জান্নাতুল ফেরদাউসের সুসংবাদ দিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘...এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। এবং যারা নিজেদের নামাজের প্রতি যত্নবান থাকে। এরাই হলো সেই ওয়ারিশ, যারা জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিকারী হবে। তারা তাতে সর্বদা থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ৮-১১)

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৪৫ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৪৬ মিনিট | ০৬: ০১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৪৫ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৪৬ মিনিট | ০৫: ২১ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ২৩ মিনিট | ০৬: ৩৭ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৮ মিনিট | ০৪: ৪৫ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। এই ইবাদত মানুষকে আত্মশুদ্ধি, ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধ শেখায়। নানা জাতি, ভাষা ও বর্ণের মুসলমান একত্র হয় এ সময়। ত্যাগ, সততা, একতা ও সমতার জানান দেয় হজ পালনের প্রতিটি বিধানে। প্রতিবছর জিলহজ মাসে মক্কার পবিত্র স্থানসমূহে নির্দিষ্ট নিয়মে পালিত হয় হজ। চলতি সপ্তাহেই শুরু...
২৫ এপ্রিল ২০২৫
নামাজ পড়লে ছোট পুরস্কার দিন। নবী ও সাহাবাদের নামাজের কাহিনি গল্প আকারে বলুন। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, ইতিবাচক প্রেরণা ভয় বা শাস্তির চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর। তাই ‘নামাজ না পড়লে আল্লাহ রাগ করবেন’ বলার পরিবর্তে বলা উচিত—‘নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন, তোমার জন্য জান্নাত প্রস্তুত রাখেন।’
৩ ঘণ্টা আগে
২০১৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে জর্ডানে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ৬২টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেন হাফেজ ত্বকী। পরবর্তী সময় কুয়েত ও বাহরাইনেও তিনি কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।
৫ ঘণ্টা আগে
আরবি আমানত শব্দের অর্থ বিশ্বস্ততা, নিরাপত্তা, আশ্রয় ইত্যাদি। পরিভাষায় এমন হককে আমানত বলা হয়, যা আদায় করা এবং রক্ষা করা আবশ্যক। হাদিসে আমানত রক্ষা করাকে ইমানের নিদর্শন হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে