আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
১. সফলতার নিশ্চয়তা
সফলতা। মানবহৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত অনুষঙ্গ। আমরা সবাই সফল হতে চাই। সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে চাই। জীবনকে ফুলে ফলে সাজিয়ে তুলতে চাই। জীবন হোক কর্মের দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল, সফলতার সৌরভে সুরভিত—এই কামনা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। জীবনজুড়ে আমাদের অনিঃশেষ ছুটে চলাও সেই একই উদ্দেশ্যে—সফলতার স্নিগ্ধ ফল্গুধারার স্পর্শ পাওয়া। কাঙ্ক্ষিত পরম আরাধ্য সেই সফলতার দেখা মিলবে কীভাবে? কোন সে পথ যেখানে চললে সফলতার মানজিলে পৌঁছে যাওয়া সহজ হবে? সর্বোপরি দুনিয়ার জীবন হবে প্রশান্তিময় আর আখেরাতে মিলবে চূড়ান্ত সফলতা তথা জান্নাতের হৃদয়কাড়া অকল্পনীয় নেয়ামত?
আসুন মানবজাতির সফলতার মূলমন্ত্র কোরআন মাজীদের কাছ থেকে জেনে নেই সফলতা লাভের অব্যর্থ সেই পাথেয়র গল্প।
নামাজ। হ্যাঁ, মানবজীবনে সফলতার অনন্য পাথেয় এই নামাজ। নামাজ মানুষের জীবন সুন্দর করে। আলোকিত করে। যাপিত জীবনে মনোমুগ্ধকর সুরভি ছড়ায় এই নামাজ। নামাজ ব্যক্তিকে সফলতার কাঙ্ক্ষিত মানজিলে পৌঁছে দেয়। নামাজ সফল মোমিনের প্রধান গুণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ; যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
এখানে সফল মোমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে সালাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজ মোমিনের জীবন সফল ও অর্থবহ করে তুলে।
২. পবিত্র জীবন লাভ
নামাজ ব্যক্তিকে পবিত্র জীবন বোধে উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহর অবাধ্য ও নাফরমানির অন্ধকার থেকে পুণ্যের আলোকময় রাজপথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। যথার্থভাবে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত ব্যক্তির মনন ও মানসে অনির্বচনীয় সুখানুভূতি ও পবিত্র আমেজ বিরাজ করে। ফলে তার জন্য অন্যায় অশ্লীল গর্হিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
৩. রহমতপ্রাপ্তি
আমরা সবাই আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আল্লাহর রহমত পেতে চাতক পাখির মত সবাই অপেক্ষায় থাকি। আর এই রহমতপ্রাপ্তির অনন্য উপায় হচ্ছে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য কর। এতে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করা হবে।’ (সুরা নুর: ৫৬)
৪. পরিচ্ছন্নতার সৌরভ
নামাজ ব্যক্তির জীবনকে গুনাহ থেকে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে তোলে। আর গুনাহমুক্ত স্বচ্ছ জীবন আমাদের সবারই পরম পাওয়া। এই আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে, আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে?’ সবাই বলল ‘না, তার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এটিই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৮)
৫. গোনাহমুক্ত নির্মল জীবন
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়। এটা প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম। একজন মানুষ যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার গোনাহগুলোও গাছের পাতার মতো ঝরে যায়।
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, শীতকালে একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বাইরে বের হলেন। আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। গাছ থেকে তখন পাতা ঝরছিল। নবীজি (সা.) গাছের দুটো ডাল হাত দিয়ে ধরলে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবেই পাতা ঝরতে থাকে। তখন তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘আবু জর, একজন মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তখন এই গাছের পাতাগুলোর মতো তার পাপগুলোও ঝরে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫৬)
ছয়. জান্নাত লাভের প্রতিশ্রুতি
আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। জান্নাতের মনোমুগ্ধকর নহরের পাশে বসে গল্পে গল্পে কেটে যাবে বেলা, আনন্দের উচ্ছলতায় মেতে উঠব আমরা—আমাদের সবার হৃদয় কোণে এ স্বপ্ন দোলা দিয়ে যায় প্রায়শই। কল্প পাখায় ভর করে যেন উড়তে থাকি জান্নাতের সবুজ প্রান্তরে। মানব হৃদয়ের পরম আরাধ্য এই জান্নাতের দেখা মিলবে কীভাবে? জান্নাতের অকল্পনীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে মেতে উঠতে আমাদের করণীয় কী?
আপনি নামাজে নিয়মিত হোন। একাগ্রচিত্তে ধীরস্থিরভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। আপনার রব আপনাকে আপনার পরম আকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে পৌঁছে দেবেন।
হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহ যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আবশ্যক করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি তা গুরুত্বপূর্ণ সহকারে আদায় করবে কোনোরূপ অবহেলা ছাড়া, আল্লাহ সে ব্যক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪২০)
এভাবে নামাজ ব্যক্তির জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে, জীবনে রহমতের ফল্গুধারা বয়ে আনে এবং জীবনের চূড়ান্ত সফলতা জান্নাতের নয়নাভিরাম উদ্যানে পৌঁছে দেয়।
তাই আসুন আমরা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মনোযোগী হই। জীবন সফল ও সুরভিত করে তুলি। পবিত্র জীবনবোধে উদ্দীপ্ত হই। আলোকিত জীবন গড়ে পরকালের নাজাত লাভ করি। জান্নাতের পথে এগিয়ে যাই।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
১. সফলতার নিশ্চয়তা
সফলতা। মানবহৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত অনুষঙ্গ। আমরা সবাই সফল হতে চাই। সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে চাই। জীবনকে ফুলে ফলে সাজিয়ে তুলতে চাই। জীবন হোক কর্মের দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল, সফলতার সৌরভে সুরভিত—এই কামনা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। জীবনজুড়ে আমাদের অনিঃশেষ ছুটে চলাও সেই একই উদ্দেশ্যে—সফলতার স্নিগ্ধ ফল্গুধারার স্পর্শ পাওয়া। কাঙ্ক্ষিত পরম আরাধ্য সেই সফলতার দেখা মিলবে কীভাবে? কোন সে পথ যেখানে চললে সফলতার মানজিলে পৌঁছে যাওয়া সহজ হবে? সর্বোপরি দুনিয়ার জীবন হবে প্রশান্তিময় আর আখেরাতে মিলবে চূড়ান্ত সফলতা তথা জান্নাতের হৃদয়কাড়া অকল্পনীয় নেয়ামত?
আসুন মানবজাতির সফলতার মূলমন্ত্র কোরআন মাজীদের কাছ থেকে জেনে নেই সফলতা লাভের অব্যর্থ সেই পাথেয়র গল্প।
নামাজ। হ্যাঁ, মানবজীবনে সফলতার অনন্য পাথেয় এই নামাজ। নামাজ মানুষের জীবন সুন্দর করে। আলোকিত করে। যাপিত জীবনে মনোমুগ্ধকর সুরভি ছড়ায় এই নামাজ। নামাজ ব্যক্তিকে সফলতার কাঙ্ক্ষিত মানজিলে পৌঁছে দেয়। নামাজ সফল মোমিনের প্রধান গুণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ; যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
এখানে সফল মোমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে সালাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজ মোমিনের জীবন সফল ও অর্থবহ করে তুলে।
২. পবিত্র জীবন লাভ
নামাজ ব্যক্তিকে পবিত্র জীবন বোধে উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহর অবাধ্য ও নাফরমানির অন্ধকার থেকে পুণ্যের আলোকময় রাজপথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। যথার্থভাবে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত ব্যক্তির মনন ও মানসে অনির্বচনীয় সুখানুভূতি ও পবিত্র আমেজ বিরাজ করে। ফলে তার জন্য অন্যায় অশ্লীল গর্হিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
৩. রহমতপ্রাপ্তি
আমরা সবাই আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আল্লাহর রহমত পেতে চাতক পাখির মত সবাই অপেক্ষায় থাকি। আর এই রহমতপ্রাপ্তির অনন্য উপায় হচ্ছে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য কর। এতে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করা হবে।’ (সুরা নুর: ৫৬)
৪. পরিচ্ছন্নতার সৌরভ
নামাজ ব্যক্তির জীবনকে গুনাহ থেকে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে তোলে। আর গুনাহমুক্ত স্বচ্ছ জীবন আমাদের সবারই পরম পাওয়া। এই আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে, আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে?’ সবাই বলল ‘না, তার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এটিই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৮)
৫. গোনাহমুক্ত নির্মল জীবন
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়। এটা প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম। একজন মানুষ যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার গোনাহগুলোও গাছের পাতার মতো ঝরে যায়।
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, শীতকালে একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বাইরে বের হলেন। আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। গাছ থেকে তখন পাতা ঝরছিল। নবীজি (সা.) গাছের দুটো ডাল হাত দিয়ে ধরলে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবেই পাতা ঝরতে থাকে। তখন তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘আবু জর, একজন মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তখন এই গাছের পাতাগুলোর মতো তার পাপগুলোও ঝরে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫৬)
ছয়. জান্নাত লাভের প্রতিশ্রুতি
আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। জান্নাতের মনোমুগ্ধকর নহরের পাশে বসে গল্পে গল্পে কেটে যাবে বেলা, আনন্দের উচ্ছলতায় মেতে উঠব আমরা—আমাদের সবার হৃদয় কোণে এ স্বপ্ন দোলা দিয়ে যায় প্রায়শই। কল্প পাখায় ভর করে যেন উড়তে থাকি জান্নাতের সবুজ প্রান্তরে। মানব হৃদয়ের পরম আরাধ্য এই জান্নাতের দেখা মিলবে কীভাবে? জান্নাতের অকল্পনীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে মেতে উঠতে আমাদের করণীয় কী?
আপনি নামাজে নিয়মিত হোন। একাগ্রচিত্তে ধীরস্থিরভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। আপনার রব আপনাকে আপনার পরম আকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে পৌঁছে দেবেন।
হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহ যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আবশ্যক করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি তা গুরুত্বপূর্ণ সহকারে আদায় করবে কোনোরূপ অবহেলা ছাড়া, আল্লাহ সে ব্যক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪২০)
এভাবে নামাজ ব্যক্তির জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে, জীবনে রহমতের ফল্গুধারা বয়ে আনে এবং জীবনের চূড়ান্ত সফলতা জান্নাতের নয়নাভিরাম উদ্যানে পৌঁছে দেয়।
তাই আসুন আমরা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মনোযোগী হই। জীবন সফল ও সুরভিত করে তুলি। পবিত্র জীবনবোধে উদ্দীপ্ত হই। আলোকিত জীবন গড়ে পরকালের নাজাত লাভ করি। জান্নাতের পথে এগিয়ে যাই।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব
আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
১. সফলতার নিশ্চয়তা
সফলতা। মানবহৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত অনুষঙ্গ। আমরা সবাই সফল হতে চাই। সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে চাই। জীবনকে ফুলে ফলে সাজিয়ে তুলতে চাই। জীবন হোক কর্মের দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল, সফলতার সৌরভে সুরভিত—এই কামনা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। জীবনজুড়ে আমাদের অনিঃশেষ ছুটে চলাও সেই একই উদ্দেশ্যে—সফলতার স্নিগ্ধ ফল্গুধারার স্পর্শ পাওয়া। কাঙ্ক্ষিত পরম আরাধ্য সেই সফলতার দেখা মিলবে কীভাবে? কোন সে পথ যেখানে চললে সফলতার মানজিলে পৌঁছে যাওয়া সহজ হবে? সর্বোপরি দুনিয়ার জীবন হবে প্রশান্তিময় আর আখেরাতে মিলবে চূড়ান্ত সফলতা তথা জান্নাতের হৃদয়কাড়া অকল্পনীয় নেয়ামত?
আসুন মানবজাতির সফলতার মূলমন্ত্র কোরআন মাজীদের কাছ থেকে জেনে নেই সফলতা লাভের অব্যর্থ সেই পাথেয়র গল্প।
নামাজ। হ্যাঁ, মানবজীবনে সফলতার অনন্য পাথেয় এই নামাজ। নামাজ মানুষের জীবন সুন্দর করে। আলোকিত করে। যাপিত জীবনে মনোমুগ্ধকর সুরভি ছড়ায় এই নামাজ। নামাজ ব্যক্তিকে সফলতার কাঙ্ক্ষিত মানজিলে পৌঁছে দেয়। নামাজ সফল মোমিনের প্রধান গুণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ; যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
এখানে সফল মোমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে সালাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজ মোমিনের জীবন সফল ও অর্থবহ করে তুলে।
২. পবিত্র জীবন লাভ
নামাজ ব্যক্তিকে পবিত্র জীবন বোধে উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহর অবাধ্য ও নাফরমানির অন্ধকার থেকে পুণ্যের আলোকময় রাজপথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। যথার্থভাবে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত ব্যক্তির মনন ও মানসে অনির্বচনীয় সুখানুভূতি ও পবিত্র আমেজ বিরাজ করে। ফলে তার জন্য অন্যায় অশ্লীল গর্হিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
৩. রহমতপ্রাপ্তি
আমরা সবাই আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আল্লাহর রহমত পেতে চাতক পাখির মত সবাই অপেক্ষায় থাকি। আর এই রহমতপ্রাপ্তির অনন্য উপায় হচ্ছে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য কর। এতে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করা হবে।’ (সুরা নুর: ৫৬)
৪. পরিচ্ছন্নতার সৌরভ
নামাজ ব্যক্তির জীবনকে গুনাহ থেকে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে তোলে। আর গুনাহমুক্ত স্বচ্ছ জীবন আমাদের সবারই পরম পাওয়া। এই আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে, আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে?’ সবাই বলল ‘না, তার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এটিই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৮)
৫. গোনাহমুক্ত নির্মল জীবন
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়। এটা প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম। একজন মানুষ যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার গোনাহগুলোও গাছের পাতার মতো ঝরে যায়।
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, শীতকালে একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বাইরে বের হলেন। আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। গাছ থেকে তখন পাতা ঝরছিল। নবীজি (সা.) গাছের দুটো ডাল হাত দিয়ে ধরলে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবেই পাতা ঝরতে থাকে। তখন তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘আবু জর, একজন মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তখন এই গাছের পাতাগুলোর মতো তার পাপগুলোও ঝরে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫৬)
ছয়. জান্নাত লাভের প্রতিশ্রুতি
আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। জান্নাতের মনোমুগ্ধকর নহরের পাশে বসে গল্পে গল্পে কেটে যাবে বেলা, আনন্দের উচ্ছলতায় মেতে উঠব আমরা—আমাদের সবার হৃদয় কোণে এ স্বপ্ন দোলা দিয়ে যায় প্রায়শই। কল্প পাখায় ভর করে যেন উড়তে থাকি জান্নাতের সবুজ প্রান্তরে। মানব হৃদয়ের পরম আরাধ্য এই জান্নাতের দেখা মিলবে কীভাবে? জান্নাতের অকল্পনীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে মেতে উঠতে আমাদের করণীয় কী?
আপনি নামাজে নিয়মিত হোন। একাগ্রচিত্তে ধীরস্থিরভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। আপনার রব আপনাকে আপনার পরম আকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে পৌঁছে দেবেন।
হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহ যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আবশ্যক করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি তা গুরুত্বপূর্ণ সহকারে আদায় করবে কোনোরূপ অবহেলা ছাড়া, আল্লাহ সে ব্যক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪২০)
এভাবে নামাজ ব্যক্তির জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে, জীবনে রহমতের ফল্গুধারা বয়ে আনে এবং জীবনের চূড়ান্ত সফলতা জান্নাতের নয়নাভিরাম উদ্যানে পৌঁছে দেয়।
তাই আসুন আমরা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মনোযোগী হই। জীবন সফল ও সুরভিত করে তুলি। পবিত্র জীবনবোধে উদ্দীপ্ত হই। আলোকিত জীবন গড়ে পরকালের নাজাত লাভ করি। জান্নাতের পথে এগিয়ে যাই।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
১. সফলতার নিশ্চয়তা
সফলতা। মানবহৃদয়ের কাঙ্ক্ষিত অনুষঙ্গ। আমরা সবাই সফল হতে চাই। সফলতার সর্বোচ্চ চূড়ায় উঠতে চাই। জীবনকে ফুলে ফলে সাজিয়ে তুলতে চাই। জীবন হোক কর্মের দীপ্তিতে সমুজ্জ্বল, সফলতার সৌরভে সুরভিত—এই কামনা প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে। জীবনজুড়ে আমাদের অনিঃশেষ ছুটে চলাও সেই একই উদ্দেশ্যে—সফলতার স্নিগ্ধ ফল্গুধারার স্পর্শ পাওয়া। কাঙ্ক্ষিত পরম আরাধ্য সেই সফলতার দেখা মিলবে কীভাবে? কোন সে পথ যেখানে চললে সফলতার মানজিলে পৌঁছে যাওয়া সহজ হবে? সর্বোপরি দুনিয়ার জীবন হবে প্রশান্তিময় আর আখেরাতে মিলবে চূড়ান্ত সফলতা তথা জান্নাতের হৃদয়কাড়া অকল্পনীয় নেয়ামত?
আসুন মানবজাতির সফলতার মূলমন্ত্র কোরআন মাজীদের কাছ থেকে জেনে নেই সফলতা লাভের অব্যর্থ সেই পাথেয়র গল্প।
নামাজ। হ্যাঁ, মানবজীবনে সফলতার অনন্য পাথেয় এই নামাজ। নামাজ মানুষের জীবন সুন্দর করে। আলোকিত করে। যাপিত জীবনে মনোমুগ্ধকর সুরভি ছড়ায় এই নামাজ। নামাজ ব্যক্তিকে সফলতার কাঙ্ক্ষিত মানজিলে পৌঁছে দেয়। নামাজ সফল মোমিনের প্রধান গুণ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা লাভ করেছে মুমিনগণ; যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
এখানে সফল মোমিনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে সালাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নামাজ মোমিনের জীবন সফল ও অর্থবহ করে তুলে।
২. পবিত্র জীবন লাভ
নামাজ ব্যক্তিকে পবিত্র জীবন বোধে উদ্দীপ্ত করে। আল্লাহর অবাধ্য ও নাফরমানির অন্ধকার থেকে পুণ্যের আলোকময় রাজপথে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জোগায়। যথার্থভাবে নামাজ আদায়ে অভ্যস্ত ব্যক্তির মনন ও মানসে অনির্বচনীয় সুখানুভূতি ও পবিত্র আমেজ বিরাজ করে। ফলে তার জন্য অন্যায় অশ্লীল গর্হিত কাজ থেকে বেঁচে থাকা সহজ হয়ে যায়।
এভাবে নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও গোনাহের কাজ থেকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ ব্যক্তিকে অশ্লীল ও পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ (সুরা আনকাবুত: ৪৫)
৩. রহমতপ্রাপ্তি
আমরা সবাই আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। আল্লাহর রহমত পেতে চাতক পাখির মত সবাই অপেক্ষায় থাকি। আর এই রহমতপ্রাপ্তির অনন্য উপায় হচ্ছে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করে যাওয়া। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা নামাজ কায়েম কর, জাকাত দাও এবং রাসুলের আনুগত্য কর। এতে তোমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করা হবে।’ (সুরা নুর: ৫৬)
৪. পরিচ্ছন্নতার সৌরভ
নামাজ ব্যক্তির জীবনকে গুনাহ থেকে ধুয়ে মুছে পরিচ্ছন্ন করে তোলে। আর গুনাহমুক্ত স্বচ্ছ জীবন আমাদের সবারই পরম পাওয়া। এই আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে একাগ্রচিত্তে নামাজ আদায়ের বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের বললেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির দরজার সামনে যদি একটি নদী থাকে, আর সে ওই নদীতে প্রতিদিন পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে?’ সবাই বলল ‘না, তার শরীরে কোনো প্রকার ময়লা থাকবে না।’ তখন রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘এটিই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের দৃষ্টান্ত। এর দ্বারা আল্লাহ তাআলা সকল পাপ মুছে নিঃশেষ করে দেন।’ (সহিহ্ মুসলিম: ১৪০৮)
৫. গোনাহমুক্ত নির্মল জীবন
শীতকালে গাছের পাতা ঝরে যায়। এটা প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম। একজন মানুষ যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে তার গোনাহগুলোও গাছের পাতার মতো ঝরে যায়।
হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, শীতকালে একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) বাইরে বের হলেন। আমি তার সঙ্গেই ছিলাম। গাছ থেকে তখন পাতা ঝরছিল। নবীজি (সা.) গাছের দুটো ডাল হাত দিয়ে ধরলে সেখান থেকে স্বাভাবিকভাবেই পাতা ঝরতে থাকে। তখন তিনি আমাকে ডাক দিয়ে বলেন, ‘আবু জর, একজন মুসলমান যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, তখন এই গাছের পাতাগুলোর মতো তার পাপগুলোও ঝরে যায়। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৫৬)
ছয়. জান্নাত লাভের প্রতিশ্রুতি
আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। জান্নাতের মনোমুগ্ধকর নহরের পাশে বসে গল্পে গল্পে কেটে যাবে বেলা, আনন্দের উচ্ছলতায় মেতে উঠব আমরা—আমাদের সবার হৃদয় কোণে এ স্বপ্ন দোলা দিয়ে যায় প্রায়শই। কল্প পাখায় ভর করে যেন উড়তে থাকি জান্নাতের সবুজ প্রান্তরে। মানব হৃদয়ের পরম আরাধ্য এই জান্নাতের দেখা মিলবে কীভাবে? জান্নাতের অকল্পনীয় সুখ স্বাচ্ছন্দ্যে মেতে উঠতে আমাদের করণীয় কী?
আপনি নামাজে নিয়মিত হোন। একাগ্রচিত্তে ধীরস্থিরভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করুন। আপনার রব আপনাকে আপনার পরম আকাঙ্ক্ষিত জান্নাতে পৌঁছে দেবেন।
হজরত উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘বান্দার ওপর আল্লাহ যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আবশ্যক করে দিয়েছেন যে ব্যক্তি তা গুরুত্বপূর্ণ সহকারে আদায় করবে কোনোরূপ অবহেলা ছাড়া, আল্লাহ সে ব্যক্তির জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন—তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১৪২০)
এভাবে নামাজ ব্যক্তির জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে তুলে, জীবনে রহমতের ফল্গুধারা বয়ে আনে এবং জীবনের চূড়ান্ত সফলতা জান্নাতের নয়নাভিরাম উদ্যানে পৌঁছে দেয়।
তাই আসুন আমরা আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মনোযোগী হই। জীবন সফল ও সুরভিত করে তুলি। পবিত্র জীবনবোধে উদ্দীপ্ত হই। আলোকিত জীবন গড়ে পরকালের নাজাত লাভ করি। জান্নাতের পথে এগিয়ে যাই।
লেখক: মুহাদ্দিস ও খতিব

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
২৪ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
২৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হাফেজ আনাস বিন আতিককে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় প্রথমে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর তাঁকে ছাদখোলা বাসে ঢাকার রাজপথে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় বিশ্বজয়ী হাফেজ আনাস তাঁর অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমরা যে দেশের ক্বারীদের তিলাওয়াত শুনে কেরাত শিখি, সে দেশের প্রতিযোগিতায় আমার এই অর্জন সত্যিই অনেক আনন্দের। কেরাতের রাজধানীখ্যাত মিসরে গিয়ে এ বিজয় অর্জন বেশ কঠিন ছিল। তবে আমার ওস্তাদ, মা-বাবা এবং দেশের মানুষের দোয়ায় তা সম্ভব হয়েছে।’
হাফেজ আনাসের ওস্তাদ শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী বলেন, ‘তৃতীয়বারের মতো আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্ব জয় করেছে আমার প্রিয় ছাত্র হাফেজ আনাস। সে বারবার বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করছে। এবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সে আবারও সবাইকে অবাক করে দিয়েছে।’

শায়খ নেছার আহমদ আন নাছিরী জানান, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) কায়রোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৩২তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। চার দিনব্যাপী এই আয়োজনে বিশ্বের ৭০টি দেশের প্রতিযোগীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে প্রথম হয় বাংলাদেশ।
নেছার আহমদ আরও জানান, হাফেজ আনাস বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত জাতীয় বাছাইপর্বে প্রথম স্থান অর্জন করে এই বৈশ্বিক মঞ্চে অংশগ্রহণের যোগ্যতা লাভ করেন।
প্রসঙ্গত, হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
২৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার...
১ দিন আগেশরিফ আহমাদ

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক। জুমার নামাজ প্রসঙ্গে কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, জুমার দিন যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং বেচাকেনা ত্যাগ করো। এটিই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি করতে পারো।’ (সুরা জুমুআ: ৯) তাই আল্লাহর আদেশ মেনে পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করতে হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর এই আদেশ অমান্য করে, জুমার নামাজ ত্যাগ করে, তার পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তাঁরা রাসুল (সা.)-কে মিম্বরের সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছেন, ‘মানুষ যেন জুমার নামাজ ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকে। অন্যথায় আল্লাহ তাআলা তাদের অন্তরে মোহর এঁটে দেবেন। এরপর তারা গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৮৬৫)
মুনাফিক ব্যক্তি ছাড়া কোনো মুসলমান ফরজ নামাজ ত্যাগ করতে পারে না। নামাজ আদায়ে বিলম্ব হলে প্রকৃত মুমিনের হৃদয়ে অপরাধপ্রবণতা কাজ করে। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি বিশেষ অপারগতা ছাড়া জুমার নামাজ তরক করে, তার নামে মুনাফিক উপাধি লেখা হয় এমন কিতাবে, যার লেখা মোছা যায় না এবং পরিবর্তনও করা যায় না।’ (কিতাবুল উম্ম: ১/২৩৯)
শুক্রবার জুমার নামাজ ছুটে গেলে সেদিনের জোহরের নামাজ আদায় করতে হয়। নামাজের কাফফারা দিতে হয়। সামুরা ইবনে জুনদুব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি বিনা ওজরে জুমার নামাজ ত্যাগ করে, সে যেন এক দিনার সদকা করে। যদি তার পক্ষে এক দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) সদকা করা সম্ভব না হয়, তবে যেন অর্ধ দিনার সদকা করে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৫৩)

ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সুগভীর সম্পর্ক স্থাপনের অব্যর্থ উপায় এটি। নামাজ জীবন সাজিয়ে তোলে। যাপিত জীবনকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে। কোরআন-হাদিসে নামাজ আদায়কারীর জন্য অনেক পুরস্কারের ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। সেখান থেকে নির্বাচিত ৬টি পুরস্কারের গল্প শুনুন।
২৪ জুন ২০২৫
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগে
হাফেজ আনাস রাজধানীর মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে। এর আগেও হাফেজ আনাস বিন আতিক সৌদি আরব ও লিবিয়ায় অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে এনেছিলেন।
১ দিন আগে