আবদুল আযীয কাসেমি
প্রতিটি সন্তানের জন্য মা-বাবা অনেক বড় নেয়ামত। মা-বাবার ছায়া হারিয়েছে যে সন্তান, সে-ই বুঝতে পারে আসলে মা-বাবা কত বড় নেয়ামত। যত দিন মা-বাবার শক্তি-সামর্থ্য থাকে, তত দিন পর্যন্ত তাঁদের তেমন কিছু অনুভব হয় না। তাঁরা কাজে ব্যস্ত থাকেন, আয়-উপার্জনে রত থাকেন দিনরাত। একসময় তাঁরা কাজের শক্তি হারান। হয়তো আর্থিক সংগতি তাঁদের থাকে, তবু তাঁদের অবসরে চলে যেতে হয়। সেই সময়টায় ভীষণ নিঃসঙ্গতায় ভোগেন তাঁরা। স্ত্রী-সন্তান ও নাতি-নাতনিরা কাছে থাকলে তাঁদের সেই নিঃসঙ্গতা কেটে যায়। আবহমান কাল থেকে এটাই আমাদের ঐতিহ্য।
তবে এখন সময় পাল্টেছে। বস্তুবাদী মানসিকতা আমাদের আচ্ছন্ন করে নিয়েছে। যে সন্তানদের মা-বাবা রক্ত পনি করে শরীরের ঘাম ফেলে বড় করেছেন, একটুখানি সময় হয় না তাঁদের দেওয়ার। কোনো কোনো হতভাগা তো মা-বাবাকে রেখে আসে বৃদ্ধাশ্রমে। যেখানে তাঁরা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করেন। ইসলাম ও মানবতা কোনোটাই একে সমর্থন করে না।
এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আগামী প্রজন্মকে গড়তে হবে এমনভাবে, যেন মুরুব্বিরা আলাদা থাকতে চাইলেও সন্তানেরা পরম শ্রদ্ধা ও মমতায় নিজেদের কাছে রাখে। তাঁদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকে। ব্যস্ততা যতই থাকুক, একটা সময় যেন মা-বাবা ও মুরুব্বিদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের (বিরক্তিসূচক) ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিও না। তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলো। তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক, তাঁদের প্রতি দয়া করুন, যেমনভাবে তাঁরা আমাকে শৈশবে লালনপালন করেছেন।’ (সুরা ইসরা: ২৩)
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
প্রতিটি সন্তানের জন্য মা-বাবা অনেক বড় নেয়ামত। মা-বাবার ছায়া হারিয়েছে যে সন্তান, সে-ই বুঝতে পারে আসলে মা-বাবা কত বড় নেয়ামত। যত দিন মা-বাবার শক্তি-সামর্থ্য থাকে, তত দিন পর্যন্ত তাঁদের তেমন কিছু অনুভব হয় না। তাঁরা কাজে ব্যস্ত থাকেন, আয়-উপার্জনে রত থাকেন দিনরাত। একসময় তাঁরা কাজের শক্তি হারান। হয়তো আর্থিক সংগতি তাঁদের থাকে, তবু তাঁদের অবসরে চলে যেতে হয়। সেই সময়টায় ভীষণ নিঃসঙ্গতায় ভোগেন তাঁরা। স্ত্রী-সন্তান ও নাতি-নাতনিরা কাছে থাকলে তাঁদের সেই নিঃসঙ্গতা কেটে যায়। আবহমান কাল থেকে এটাই আমাদের ঐতিহ্য।
তবে এখন সময় পাল্টেছে। বস্তুবাদী মানসিকতা আমাদের আচ্ছন্ন করে নিয়েছে। যে সন্তানদের মা-বাবা রক্ত পনি করে শরীরের ঘাম ফেলে বড় করেছেন, একটুখানি সময় হয় না তাঁদের দেওয়ার। কোনো কোনো হতভাগা তো মা-বাবাকে রেখে আসে বৃদ্ধাশ্রমে। যেখানে তাঁরা শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করা পর্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করেন। ইসলাম ও মানবতা কোনোটাই একে সমর্থন করে না।
এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আগামী প্রজন্মকে গড়তে হবে এমনভাবে, যেন মুরুব্বিরা আলাদা থাকতে চাইলেও সন্তানেরা পরম শ্রদ্ধা ও মমতায় নিজেদের কাছে রাখে। তাঁদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকে। ব্যস্ততা যতই থাকুক, একটা সময় যেন মা-বাবা ও মুরুব্বিদের জন্য বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মা-বাবার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদের (বিরক্তিসূচক) ‘উফ’ বলো না এবং তাদের ধমক দিও না। তাদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলো। তাদের জন্য সদয়ভাবে নম্রতার বাহু প্রসারিত করে দাও এবং বলো, হে আমার প্রতিপালক, তাঁদের প্রতি দয়া করুন, যেমনভাবে তাঁরা আমাকে শৈশবে লালনপালন করেছেন।’ (সুরা ইসরা: ২৩)
আবদুল আযীয কাসেমি, শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান । হজ - ওমরাহকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ছুটে যান মক্কায় । কেননা এই দুই ইবাদতের জন্য সফর করে মক্কায় যাওয়া আবশ্যক । তবে পবিত্র এই সফরে বাধাগ্রস্ত হলে এবং হজে যেতে না পারলে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে । ইহরাম বাঁধার পর হজ বা ওমরাহ সফরে যেতে
৯ ঘণ্টা আগেকোনো ধনি ব্যক্তি যদি হজ ফরজ হওয়ার পর শারীরিকভাবে সমর্থ থাকতে হজ করেননি, এখন স্থায়ীভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং কোনোভাবেই নিজে গিয়ে হজ আদায় করতে না পারছেন না—তাহলে শরিয়ত তাঁকে বিকল্প ব্যবস্থা দিয়েছে। এ বিকল্প ব্যবস্থার নাম ‘বদলি হজ।’
১ দিন আগেবছরজুড়ে ঋতুর পালাবদল ও সময়ের বৈচিত্র্য নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহর অনন্য দান। একেক মৌসুমে একেক রকম আলো-বাতাস আমরা পাই। শীত ও গ্রীষ্ম বছরের প্রধানতম দুটি ঋতু।
১ দিন আগেইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিধান হজ। আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান এবং শারীরিকভাবে সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানদের ওপর হজ ফরজ। ফরজ হজ যথাসম্ভব দ্রুত আদায় করা উচিত।
২ দিন আগে