Ajker Patrika

প্রচণ্ড ক্ষুধায় ‘নরক’ হয়ে উঠেছে গাজা, নিহত বেড়ে ২৬৭৫১ 

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১০: ০৩
প্রচণ্ড ক্ষুধায় ‘নরক’ হয়ে উঠেছে গাজা, নিহত বেড়ে ২৬৭৫১ 

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দেওয়া জাতিসংঘের ত্রাণসহায়তা তহবিলে অর্থ দেওয়া বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ। এই অবস্থায় অঞ্চলটিতে তীব্র খাদ্যসংকটের কারণে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস একে নরকের সঙ্গে তুলনা করেছেন। এদিকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা গাজা প্রশাসনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজায় গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় নিহতের সংখ্যা এখনো ক্রমেই বাড়ছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে অঞ্চলটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ৭৫১। 

একই সময়ে, ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ৬৫ হাজার ৬৩৬ জন। এ ছাড়া ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহত হয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। এই সময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি প্রায় ২৪০ জন ইসরায়েলি ও বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জিম্মি করে আনে। 

এদিকে গাজায় বর্তমানে প্রচণ্ড ক্ষুধার পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম ঘেব্রেইসাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে তিনি এ কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘চেক পয়েন্টের আশপাশে অহেতুক দেরি করার কারণে মানুষের মধ্যে খাবার পৌঁছে দিতে দেরি হচ্ছে। এটি গাজার মানুষের চরম হতাশার কথা তুলে ধরে, যারা প্রচণ্ড ক্ষুধাসহ নারকীয় পরিস্থিতিতে বাস করছে।’ 

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সঠিক সময়ের অপেক্ষায় আছে যুক্তরাজ্য। সেই সময়কে এগিয়ে আনতে দেশটি কাজ করতেও প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। গত সোমবার ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে ক্যামেরন এ ঘোষণা দেন। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতমুখর পরিস্থিতি, ফিলিস্তিনিদের নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির ন্যায্যতা, নিজেদের নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ইসরায়েলের ব্যর্থতাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ে জাতিসংঘেও ভূমিকা রাখবে ব্রিটেন ও তার মিত্ররা। 

ডেভিড ক্যামেরন বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেব এবং এ ইস্যুকে আরও গতিশীল করতে জাতিসংঘেও কাজ করব। আমাদের মিত্ররা এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। কারণ, যদি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি নিয়ে প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলে গত কয়েক দশকের অপেক্ষা শেষ হওয়ার পথ সুগম হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত