Ajker Patrika

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাসমতী চালের জাত চুরির অভিযোগ ভারতের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২১ মার্চ ২০২৪, ২২: ০৪
Thumbnail image

বাসমতী চাল রপ্তানিতে একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত ভারত। এ অবস্থায় ভারতীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইএআরআই) বিজ্ঞানীরা অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের বাসমতী চালের জনপ্রিয় একাধিক জাত অন্য নামে অবৈধভাবে চাষ করা হচ্ছে পাকিস্তানে। 

এ বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইএআরআই পরিচালক এ কে সিং পাকিস্তানের অসাধু বীজ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এর ফলে দেশের কৃষক এবং রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। 

এ কে সিংয়ের নেতৃত্বাধীন আইএআরআই প্রতিষ্ঠানটি ভারতীয় সুগন্ধিযুক্ত বাসমতী চালের ৯০ শতাংশ জাত উদ্ভাবন করেছে। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মাত্র এক বছরের মধ্যে এসব চাল রপ্তানি করে ৫.৫ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্য পূরণ করতে যাচ্ছে ভারত। 

এ কে সিং অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তানে অবৈধভাবে ভারতীয় বাসমতী চালের বীজ বিক্রি ও চাষ শুরু হয়েছিল ‘পুসা বাসমতী-১১২১’ নামের একটি জাত দিয়ে। পাকিস্তানে এই জাতটি ‘পিকে-১১২১ অ্যারোমেটিক’ নামে নিবন্ধিত হয়েছে। এমনকি ওই চাল ‘কাইনাত-১১২১’ বাসমতী হিসেবেও বাজারজাত করা হচ্ছে। গুগলে এই শব্দটি সার্চ করে প্রায় ৬ লাখ ১৮ হাজার ফলাফল পাওয়া গেছে। এসব লিংকে দেখা গেছে, পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক লিলা ফুডস এবং লাহোরের লতিফ রাইস মিলস (প্রা.) লিমিটেডের কাছে ওই চালটি রয়েছে। 

তবে শুধু ওই চালটিই নয়, বাসমতীর আরও বেশ কয়েকটি উচ্চ ফলনশীল জাত পাকিস্তানে অন্য নামে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে বলে অভিযোগ আইএআরআই পরিচালকের। এসব জাতের মধ্যে কিছু আছে, যেগুলো ১৩৫ থেকে ১৪৫ দিনের বদলে মাত্র ১১৫ থেকে ১২০ দিনের মধ্যেই পরিপক্ব হয়ে ওঠে। 

আইএআরআই পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্ভাবন করা বেশির ভাগ চাল ‘উদ্ভিদের জাত এবং কৃষকদের অধিকার আইন-২০০১’-এর অধীনে নিবন্ধিত হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে শুধু ভারতীয় কৃষকেরা নিবন্ধিত জাতের বীজ বপন, সংরক্ষণ এবং পুনরায় বপন করার অনুমতি পায়। 

এ অবস্থায় এ কে সিং প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে পাকিস্তানে কীভাবে সুরক্ষিত এই জাতগুলো জন্মানো হচ্ছে?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত