ধান

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় তালসার গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়া একটি রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন গ্রামবাসী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এমন কাজ করেন তাঁরা। গ্রামবাসীর দাবি, রাস্তাটি সংস্কার চেয়ে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো ফলাফল মেলেনি।

শ্রমিক সংকট, জাগ দেওয়ার জলাশয়ের অভাব, পাটের দরপতনসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় কৃষকেরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পাট চাষ থেকে। স্থানীয়ভাবে পাটের আবাদ উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পাটের সুদিন ফেরাতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

নতুন উদ্ভাবিত তিনটি জাত হচ্ছে—লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি-১১২, উচ্চফলনশীল বোরো ব্রি-১১৩ ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ব্রি-১১৪। আজ বুধবার জাতীয় বীজ বোর্ডের (এনএসবি) ১১৪তম সভায় নতুন তিনটি জাত অনুমোদন করা হয়।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটতে শ্রমিকসংকট দেখা দিয়েছে। দ্বিগুণ পারিশ্রমিক দিয়েও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন নিয়ে তাঁরা ধান কাটছেন। অনেকে আবার বাড়তি পারিশ্রমিক দিয়ে ধান কেটে ঘরে তুলছেন। এর ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে লোকসান হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

রংপুরের মিঠাপুকুরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ধান শুকানোর কাজ। উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক ও মিঠাপুকুর-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কেই ধান শুকাচ্ছেন চাষিরা। এতে ওইসব সড়ক দিয়ে যানবাহনকে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি রয়েছে সড়কে ধান শুকানোর কাজে নিয়োজিতদেরও।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বেশ কিছু এলাকার পাকা ধান এখন পানিতে ভাসছে। কাঁচা ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। মিলছে না শ্রমিক। মাঠেই পচে যাচ্ছে কৃষকের সোনালি ফসল।

নওগাঁর মান্দায় গত এক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পেকে থাকা বোরো ধান কাটতে পারছেন না কৃষকেরা। কোনো কোনো জমিতে ধান কাটলেও শুকাতে না পারায় তা আবার ভিজে যাচ্ছে।

টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দুটি ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের ১৫০০ বিঘা ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে কিছু ফসল তুলতে পারলেও এখনো প্রায় ৩০০ বিঘা জমির ইরি-বোরো পাকা ধান পানিতে ডুবে আছে। কষ্টের ফসল ঘরে তোলার আগে খেতে ডুবে যাওয়ায় দুই শতাধিক কৃষকের কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।

খেতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে পাকা ধান। দুই-তিন দিনের মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে না পারলে সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ৭ বিঘা জমিতে ধান করছিলাম। ধান পেকে গেছে, কিন্তু পানি ওঠায় কাটতে পারি না। চোখের সামনে ফসল নষ্ট হচ্ছে, কিছুই করতে পারছি না।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানান, বেশির ভাগ খেতে ধান পাকার উপক্রম হওয়ায় কীটনাশকও ছিটাতে পারছেন না তাঁরা। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরেক শঙ্কা—বৃষ্টি। ফলে ধান নষ্টের পাশাপাশি পশুখাদ্য বিচালি ঘরে তোলা নিয়েও তাঁরা চিন্তায় পড়েছেন।

একসময় সংসার চলত টানাটানিতে। বছরের দুই মৌসুমে ধান চাষ করেও পেছনে থাকত ঋণের বোঝা। সেই বাস্তবতা বদলে গেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিমের (৩২)। ধানখেতে হাঁস ও মাছের সমন্বিত চাষ করে এখন বছরে আয় করছেন প্রায় ৮ লাখ টাকা।