আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজা থেকে নিজেদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে চায় ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। শিগগিরই তাঁদের উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে ইসরায়েলের প্রতি আকুতি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে এএফপি।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এখন সাংবাদিকেরা ‘ভয়াবহ’ ও ‘অসহনীয়’ পরিস্থিতির মুখোমুখি। প্যারিসভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েল কর্তৃক বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে স্থানীয় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরাই বিশ্বকে গাজার বাস্তবতা জানিয়ে আসছেন। অথচ তারাই এখন চরম অনাহার, দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিবৃতিতে এএফপি বলেছে, ‘মাসের পর মাস ধরে আমরা আমাদের সাংবাদিকদের দুর্দশা শুধু চোখের সামনে দেখে গেছি। তারা তাদের সাহস, পেশাদারি এবং সহনশীলতার অসাধারণ নজির স্থাপন করেছেন, কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা আর সহনীয় নয়। তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।’
এএফপির সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সোসাইটি অব জার্নালিস্টস’ গত সোমবার সতর্ক করেছে যে যেকোনো মুহূর্তে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের। তারা বলেছে, ‘এই ভয়াবহতা আমাদের পক্ষে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। গাজায় যা ঘটছে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একমাত্র কণ্ঠস্বর তারাই। তাদের এমন মৃত্যু আমরা শুধু চুপচাপ দেখে যেতে রাজি নই।’
সংগঠনটি বলছে ১৯৪৪ সালে এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তাদের কোনো সাংবাদিকের অনাহারে মৃত্যুর দৃষ্টান্ত তৈরি হয়নি। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। নানাভাবে নিহত হয়েছেন তারা। কেউ আহত হয়েছেন, কাউকে বন্দী করা হয়েছে। কিন্তু না খেতে পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে কেউ মারা যায়নি। এমন নির্মমতার সাক্ষী কখনো হতে হয়নি আমাদের।’
এই বিবৃতিতে বাশার নামে এক আলোকচিত্রীর উদাহরণ টেনেছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাশারের বয়স মাত্র ৩০ বছর। সম্প্রতি সে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে যে তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। সে কাজ করার শক্তি পাচ্ছে না।’
পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও ক্ষুধাকে ব্যবহার করে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কও। এই পরিস্থিতির উন্নতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে তারা। আল জাজিরার মহাপরিচালক মোস্তফা সওয়াগ বলেন, ‘গাজার সাহসী সাংবাদিকদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের কণ্ঠকে আরও জোরালো করতে হবে এবং যে ভয়াবহ নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে তারা যাচ্ছেন, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামও জানিয়েছে, গাজায় অনাহারে রয়েছে সংস্থাটির বহু কর্মী। অক্সফামের গাজা ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের নীতিনির্ধারক বুশরা খালিদি আল জাজিরাকে বলেন, ‘গত শনিবার আমার এক সহকর্মী জানালেন, তিনি সারা দিনে শুধু একটি ফালাফেল (ছোলার চপ) খেয়েছেন। এমনকি পানিও জোটেনি কপালে।’
মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন আরও ১৫ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে চার শিশুও। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০১ জনের।
গাজা থেকে নিজেদের ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের সরিয়ে নিতে চায় ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি। শিগগিরই তাঁদের উপত্যকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে ইসরায়েলের প্রতি আকুতি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে এএফপি।
বিবৃতিতে তারা বলেছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে এখন সাংবাদিকেরা ‘ভয়াবহ’ ও ‘অসহনীয়’ পরিস্থিতির মুখোমুখি। প্যারিসভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েল কর্তৃক বিদেশি সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পর থেকে স্থানীয় ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকেরাই বিশ্বকে গাজার বাস্তবতা জানিয়ে আসছেন। অথচ তারাই এখন চরম অনাহার, দারিদ্র্য ও নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিবৃতিতে এএফপি বলেছে, ‘মাসের পর মাস ধরে আমরা আমাদের সাংবাদিকদের দুর্দশা শুধু চোখের সামনে দেখে গেছি। তারা তাদের সাহস, পেশাদারি এবং সহনশীলতার অসাধারণ নজির স্থাপন করেছেন, কিন্তু তাদের বর্তমান অবস্থা আর সহনীয় নয়। তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।’
এএফপির সাংবাদিকদের সংগঠন ‘সোসাইটি অব জার্নালিস্টস’ গত সোমবার সতর্ক করেছে যে যেকোনো মুহূর্তে অনাহারে মৃত্যু হতে পারে গাজায় কর্মরত সাংবাদিকদের। তারা বলেছে, ‘এই ভয়াবহতা আমাদের পক্ষে আর সহ্য করা যাচ্ছে না। গাজায় যা ঘটছে তা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার একমাত্র কণ্ঠস্বর তারাই। তাদের এমন মৃত্যু আমরা শুধু চুপচাপ দেখে যেতে রাজি নই।’
সংগঠনটি বলছে ১৯৪৪ সালে এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে কখনো তাদের কোনো সাংবাদিকের অনাহারে মৃত্যুর দৃষ্টান্ত তৈরি হয়নি। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘এএফপির প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক সহকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। নানাভাবে নিহত হয়েছেন তারা। কেউ আহত হয়েছেন, কাউকে বন্দী করা হয়েছে। কিন্তু না খেতে পেয়ে ধুঁকে ধুঁকে কেউ মারা যায়নি। এমন নির্মমতার সাক্ষী কখনো হতে হয়নি আমাদের।’
এই বিবৃতিতে বাশার নামে এক আলোকচিত্রীর উদাহরণ টেনেছে সংগঠনটি। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বাশারের বয়স মাত্র ৩০ বছর। সম্প্রতি সে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে যে তাঁর শরীর দুর্বল হয়ে পড়েছে। সে কাজ করার শক্তি পাচ্ছে না।’
পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও ক্ষুধাকে ব্যবহার করে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে আল-জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্কও। এই পরিস্থিতির উন্নতিতে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে তারা। আল জাজিরার মহাপরিচালক মোস্তফা সওয়াগ বলেন, ‘গাজার সাহসী সাংবাদিকদের কাছে আমরা ঋণী। তাদের কণ্ঠকে আরও জোরালো করতে হবে এবং যে ভয়াবহ নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে তারা যাচ্ছেন, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।’
এদিকে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থা অক্সফামও জানিয়েছে, গাজায় অনাহারে রয়েছে সংস্থাটির বহু কর্মী। অক্সফামের গাজা ও অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের নীতিনির্ধারক বুশরা খালিদি আল জাজিরাকে বলেন, ‘গত শনিবার আমার এক সহকর্মী জানালেন, তিনি সারা দিনে শুধু একটি ফালাফেল (ছোলার চপ) খেয়েছেন। এমনকি পানিও জোটেনি কপালে।’
মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মারা গেছেন আরও ১৫ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে চার শিশুও। চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এ নিয়ে অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০১ জনের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্রমেই পুরোনো আমলের রাজা–বাদশাহদের মতো আচরণ করছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ধ্বংস করে দিচ্ছেন। এমন অভিযোগ তুলে তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অন্তত ৭০ লাখ মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৪ মিনিট আগেসৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন এক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, যেখানে দেশটির ওপর আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ বলে গণ্য হবে। এ চুক্তিটি অনেকটা গত মাসে কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের করা এক চুক্তির মতো। যেখানে ঘোষিত হয়েছে, উপসাগরীয় দেশটির ওপর যেকোনো আক্রমণই আমেরিকার ‘শান্তি ও
২ ঘণ্টা আগেতাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কুয়োমিনতাংয়ের (কেএমটি) নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন চেং লি-ওন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে কাজ করেছেন। এক সময় চীন থেকে পালিয়ে আসা চিয়াং কাইশেক এই দলের নেতা ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হুমকি দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি ভারতের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের আওতায়। এর পরপরই, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশটি উসকানি দিলে পাকিস্তান পারমাণবিক বোমা ব্যবহারেও পিছপা হবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রত
৩ ঘণ্টা আগে