অনলাইন ডেস্ক
সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় গত ২ জানুয়ারি ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন পাঞ্জাবের লভপ্রীত কৌর। কিন্তু এক মাস না যেতেই লভপ্রীতের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গতকাল বুধবার, মার্কিন বিমানবাহিনীর সামরিক ফ্লাইটে ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসীর সঙ্গে দেশে ফিরতে হয়েছে লভপ্রীত ও তাঁর ছেলেকে। নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে, দালালের হাতে এক কোটি রুপি দিয়েছিলেন লভপ্রীত। কিন্তু সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন সর্বস্বান্ত।
লভপ্রীত কৌর পাঞ্জাবের কাপুরথলা জেলার ভোলাথ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘দালালেরা আমাকে বলেছিল, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল, তা কল্পনাতীত। আমি এখন সর্বস্বান্ত।’
লভপ্রীত কৌর জানান, ভারত থেকে প্রথমে তাঁদের কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রায় দুই সপ্তাহ আটকে রাখা হয়। এরপর সান সালভাদর (এল সালভাদরের রাজধানী) পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিন ঘণ্টার হাঁটাপথ পেরিয়ে গুয়াতেমালা পৌঁছান তাঁরা। তারপর ট্যাক্সিতে ম্যাক্সিকান সীমান্তে পৌঁছান। মেক্সিকোতে দুই দিন অবস্থানের পর, গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
কিন্তু সীমান্ত পেরোনোর পরপরই লভপ্রীতসহ অন্যদের আটক করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোনের সিম কার্ড খুলে ফেলতে বলা হয়, এমনকি কানের দুল ও চুড়ির মতো ছোট অলংকারও জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু আমি ইতিমধ্যেই আমার সব ব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তাই আমার কাছে জমা দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দিশিবিরে আমাদের পাঁচ দিন আটকে রাখা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি আমাদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত শিকল দিয়ে বেঁধে, হাতকড়া পরানো হয়। শুধু বাচ্চাদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল।’
লভপ্রীত বলেন, ‘টানা ৪০ ঘণ্টার বিমানযাত্রার পুরোটা সময় কোথায় নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমরা অবশেষে ভারতে পৌঁছালাম, তখন মনে হলো, আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
লভপ্রীত জানান, তিনি ছেলের ভবিষ্যৎ ও ভালো জীবনের কথা ভেবে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে দালালকে টাকা দিয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, ক্যালিফোর্নিয়ায় আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতে পারব। কিন্তু এখন শুধু যন্ত্রণা ছাড়া, আমাদের আর কিছুই রইল না।’
লভপ্রীতের পরিবার ভারতে দেড় একর জমির মালিক। তিনি তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সেখানেই থাকেন। তিনি মনে করেন, যে ঠকবাজ ট্রাভেল এজেন্ট ও দালালেরা তাঁকেসহ আরও অনেককে ঠকিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
লভপ্রীত বলেন, ‘যারা আমাদের নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে, সরকারের উচিত সেই অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া।’
লভপ্রীত আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জন্য সর্বোচ্চটা চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জানি না কী হবে। আমি শুধু চাই, ন্যায়বিচার হোক। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়।’
সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় গত ২ জানুয়ারি ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন পাঞ্জাবের লভপ্রীত কৌর। কিন্তু এক মাস না যেতেই লভপ্রীতের সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। গতকাল বুধবার, মার্কিন বিমানবাহিনীর সামরিক ফ্লাইটে ১০৪ জন অবৈধ অভিবাসীর সঙ্গে দেশে ফিরতে হয়েছে লভপ্রীত ও তাঁর ছেলেকে। নিজের ভিটেমাটি বিক্রি করে, দালালের হাতে এক কোটি রুপি দিয়েছিলেন লভপ্রীত। কিন্তু সবকিছু হারিয়ে তিনি এখন সর্বস্বান্ত।
লভপ্রীত কৌর পাঞ্জাবের কাপুরথলা জেলার ভোলাথ এলাকার বাসিন্দা। তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘দালালেরা আমাকে বলেছিল, সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে দেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটল, তা কল্পনাতীত। আমি এখন সর্বস্বান্ত।’
লভপ্রীত কৌর জানান, ভারত থেকে প্রথমে তাঁদের কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের প্রায় দুই সপ্তাহ আটকে রাখা হয়। এরপর সান সালভাদর (এল সালভাদরের রাজধানী) পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিন ঘণ্টার হাঁটাপথ পেরিয়ে গুয়াতেমালা পৌঁছান তাঁরা। তারপর ট্যাক্সিতে ম্যাক্সিকান সীমান্তে পৌঁছান। মেক্সিকোতে দুই দিন অবস্থানের পর, গত ২৭ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন।
কিন্তু সীমান্ত পেরোনোর পরপরই লভপ্রীতসহ অন্যদের আটক করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘আমাদের ফোনের সিম কার্ড খুলে ফেলতে বলা হয়, এমনকি কানের দুল ও চুড়ির মতো ছোট অলংকারও জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু আমি ইতিমধ্যেই আমার সব ব্যাগ হারিয়ে ফেলেছিলাম, তাই আমার কাছে জমা দেওয়ার মতো কিছুই ছিল না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দিশিবিরে আমাদের পাঁচ দিন আটকে রাখা হয়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি আমাদের কোমর থেকে পা পর্যন্ত শিকল দিয়ে বেঁধে, হাতকড়া পরানো হয়। শুধু বাচ্চাদের রেহাই দেওয়া হয়েছিল।’
লভপ্রীত বলেন, ‘টানা ৪০ ঘণ্টার বিমানযাত্রার পুরোটা সময় কোথায় নেওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। যখন আমরা অবশেষে ভারতে পৌঁছালাম, তখন মনে হলো, আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
লভপ্রীত জানান, তিনি ছেলের ভবিষ্যৎ ও ভালো জীবনের কথা ভেবে যুক্তরাষ্ট্র যেতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে দালালকে টাকা দিয়েছিল। আমরা ভেবেছিলাম, ক্যালিফোর্নিয়ায় আত্মীয়দের সঙ্গে থাকতে পারব। কিন্তু এখন শুধু যন্ত্রণা ছাড়া, আমাদের আর কিছুই রইল না।’
লভপ্রীতের পরিবার ভারতে দেড় একর জমির মালিক। তিনি তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে সেখানেই থাকেন। তিনি মনে করেন, যে ঠকবাজ ট্রাভেল এজেন্ট ও দালালেরা তাঁকেসহ আরও অনেককে ঠকিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
লভপ্রীত বলেন, ‘যারা আমাদের নতুন জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকিয়েছে, সরকারের উচিত সেই অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা ফেরত নেওয়া।’
লভপ্রীত আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলের জন্য সর্বোচ্চটা চেয়েছিলাম, কিন্তু এখন জানি না কী হবে। আমি শুধু চাই, ন্যায়বিচার হোক। ভবিষ্যতে অন্য কেউ যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হয়।’
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে এমন একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন গাজার যে কোনো বাসিন্দা চাইলে অন্য দেশে চলে যেতে পারেন। এই সিদ্ধান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন—
২৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারত এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সাড়া দেয়নি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্টের আগে সংঘটিত অপরাধের জন্য বাংলাদেশ সরকার শেখ হাসিনা
২৭ মিনিট আগেসিএনএন জানিয়েছে, স্টেইন তাঁর বাড়ির পেছনের বাগানে গাছের চারপাশে স্তূপ করে রাখা কাঠের গুঁড়োর মধ্যে একাধিক সাপ দেখতে পান। পরে তিনি ‘র্যাপটাইল রিলোকেশন সিডনি’ নামে একটি প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
১ ঘণ্টা আগেমাখন দিন (২৫) নামের ওই যুবক জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার বিলাওয়ার এলাকার আদিবাসী। মৃত্যুর আগে রেকর্ড করা ভিডিওতে মাখন দিন অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভয়ানক নির্যাতন করে। এরপর তাঁর কাছ থেকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার...
২ ঘণ্টা আগে