স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্লোভাকিয়ার রাজনীতিতে কয়েক দশক কাটানো ফিকো গতকাল একটি সরকারি বৈঠকের পর একাধিকবার গুলিবিদ্ধ হন।
স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী টমাস তারাবা বিবিসিকে বলেন, ফিকো এই আক্রমণ থেকে বেঁচে যাবেন বলেই তাঁর বিশ্বাস। তারাবা বলেন, এই মুহূর্তে ফিকোর জীবন নিয়ে সংশয় নেই।
৫৯ বছর বয়সী ফিকো ১৯৬৪ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে আইনের ডিগ্রি নেন ফিকো। ১৯৯২ সালে গণতান্ত্রিক বাম দলের সদস্য হিসেবে প্রথম স্লোভাকিয়ার সাংসদ নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯০-এর দশকে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত এবং ইউরোপীয় মানবাধিকার কমিশনে স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি স্মার পার্টির চেয়ারম্যান হন। ফিকো ও স্মার পার্টিকে প্রায়শই বামঘেঁষা জনতুষ্টিবাদী হিসেবে বর্ণনা করা হলেও ফিকোর সঙ্গে তার প্রতিবেশী হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতো ডানপন্থী রাজনীতিবিদদেরও তুলনা হয়।
গত বছর স্লোভাকিয়ার ক্ষমতায় ফিরে আসেন ফিকো। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১০ এবং ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে ফিকো স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সরকারপ্রধান হন।
পাঁচ বছর বিরোধী দলে থাকার পর ফিকোর স্মার পার্টি গত বছর রুশপন্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব কাজে লাগিয়ে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি ইউক্রেনে স্লোভাকিয়ার পক্ষ থেকে সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ফিকোর যুক্তি, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র মস্কোকে যুদ্ধে উসকে দিয়েছে।
নির্বাচনে ফিকোর দল জয়লাভের পর ইউক্রেনে স্লোভাক সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। ফিকোর এই রুশপন্থী অবস্থানসহ বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে স্লোভাকিয়ায় বিক্ষোভও হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ এক কৌঁসুলিকে অপসারণ এবং গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দণ্ডবিধির সংশোধনের ফিকোর গৃহীত নীতির বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়েছে স্লোভাকিয়ায়।
ফিকোর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে তাঁর সমালোচকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্লোভাকিয়াকে তিনি পশ্চিমাদের প্রভাববলয় থেকে দূরে নিয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে অনেকের। ফিকো একটি সার্বভৌম বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অভিবাসন এবং বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এলজিবিটিকিউ অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধেও প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য বিশেষ গোষ্ঠীগুলোর কাছে খ্যাতি আছে ফিকোর। ২০২২ সালে একটি অপরাধমূলক গোষ্ঠী তৈরি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হন তিনি। ২০১৮ সালে স্লোভাকিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জ্যান কুসিয়াক তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে খুন হন। কুসিয়াক দেশটির হাইপ্রোফাইল রাজনীতিবিদদের কর-সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে প্রতিবেদন করছিলেন। কুসিয়াকের হত্যার পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিতর্কে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ফিকো এবং তার স্মার পার্টি।
ফিকো বিবাহিত এবং তাঁর একটি সন্তান আছে।
স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার বিকেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। স্লোভাকিয়ার রাজনীতিতে কয়েক দশক কাটানো ফিকো গতকাল একটি সরকারি বৈঠকের পর একাধিকবার গুলিবিদ্ধ হন।
স্লোভাকিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী টমাস তারাবা বিবিসিকে বলেন, ফিকো এই আক্রমণ থেকে বেঁচে যাবেন বলেই তাঁর বিশ্বাস। তারাবা বলেন, এই মুহূর্তে ফিকোর জীবন নিয়ে সংশয় নেই।
৫৯ বছর বয়সী ফিকো ১৯৬৪ সালে তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। কমিউনিস্ট পার্টির একজন সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ সালে আইনের ডিগ্রি নেন ফিকো। ১৯৯২ সালে গণতান্ত্রিক বাম দলের সদস্য হিসেবে প্রথম স্লোভাকিয়ার সাংসদ নির্বাচিত হন।
তিনি ১৯৯০-এর দশকে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত এবং ইউরোপীয় মানবাধিকার কমিশনে স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি স্মার পার্টির চেয়ারম্যান হন। ফিকো ও স্মার পার্টিকে প্রায়শই বামঘেঁষা জনতুষ্টিবাদী হিসেবে বর্ণনা করা হলেও ফিকোর সঙ্গে তার প্রতিবেশী হাঙ্গেরির জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের মতো ডানপন্থী রাজনীতিবিদদেরও তুলনা হয়।
গত বছর স্লোভাকিয়ার ক্ষমতায় ফিরে আসেন ফিকো। এর আগে ২০০৬ থেকে ২০১০ এবং ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দুবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার মাধ্যমে ফিকো স্লোভাকিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি সরকারপ্রধান হন।
পাঁচ বছর বিরোধী দলে থাকার পর ফিকোর স্মার পার্টি গত বছর রুশপন্থী এবং যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী মনোভাব কাজে লাগিয়ে সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তিনি ইউক্রেনে স্লোভাকিয়ার পক্ষ থেকে সামরিক সহায়তা প্রদান বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ফিকোর যুক্তি, ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র মস্কোকে যুদ্ধে উসকে দিয়েছে।
নির্বাচনে ফিকোর দল জয়লাভের পর ইউক্রেনে স্লোভাক সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যায়। ফিকোর এই রুশপন্থী অবস্থানসহ বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে স্লোভাকিয়ায় বিক্ষোভও হয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ এক কৌঁসুলিকে অপসারণ এবং গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য দণ্ডবিধির সংশোধনের ফিকোর গৃহীত নীতির বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ হয়েছে স্লোভাকিয়ায়।
ফিকোর ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনে তাঁর সমালোচকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্লোভাকিয়াকে তিনি পশ্চিমাদের প্রভাববলয় থেকে দূরে নিয়ে যাবেন বলে আশঙ্কা রয়েছে অনেকের। ফিকো একটি সার্বভৌম বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অভিবাসন এবং বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধেও কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এলজিবিটিকিউ অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধেও প্রচারণা চালিয়েছেন তিনি।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য বিশেষ গোষ্ঠীগুলোর কাছে খ্যাতি আছে ফিকোর। ২০২২ সালে একটি অপরাধমূলক গোষ্ঠী তৈরি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ফৌজদারি মামলার সম্মুখীন হন তিনি। ২০১৮ সালে স্লোভাকিয়ার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জ্যান কুসিয়াক তাঁর বাগদত্তার সঙ্গে খুন হন। কুসিয়াক দেশটির হাইপ্রোফাইল রাজনীতিবিদদের কর-সংক্রান্ত অপরাধের বিষয়ে প্রতিবেদন করছিলেন। কুসিয়াকের হত্যার পর দেশজুড়ে শুরু হওয়া বিতর্কে সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ফিকো এবং তার স্মার পার্টি।
ফিকো বিবাহিত এবং তাঁর একটি সন্তান আছে।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৯ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
১০ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগে