Ajker Patrika

ইউক্রেনের পথে ট্রেনে মাখোঁর বিরুদ্ধে কোকেন সেবনের অভিযোগ, প্রতিবাদ ফ্রান্সের

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ মে ২০২৫, ২৩: ৪২
পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেন যাওয়ার পথে ট্রেনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎসের ইমানুয়েল মাখো। ছবি: সংগৃহীত
পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেন যাওয়ার পথে ট্রেনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর মের্ৎসের ইমানুয়েল মাখো। ছবি: সংগৃহীত

একটি ভিডিও ও ছবি ঘিরে অভিযোগ উঠেছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ তাঁর সামনে রাখা কোকেন লুকানোর চেষ্টা করছেন। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও ভুয়া সংবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ফ্রান্স। একটি ট্রেনের কামরায় মাখোঁর পাশে সেই সময়টিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান রাজনীতিক ফ্রিডরিখ মের্ৎস উপস্থিত ছিলেন।

ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের ওই তিন নেতা সে সময় পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেন যাচ্ছিলেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করানোর কূটনৈতিক প্রয়াসই ছিল এই সফরের উদ্দেশ্য।

এদিকে সফরের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে রাশিয়াপন্থী কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দাবি করা হয়—ভিডিওতে টেবিলের ওপর একটি সাদা পাউডারের ব্যাগ দেখা যায় এবং ক্যামেরা দেখে এটি মাখোঁ দ্রুত তুলে নেন, পরে নিজের বাহুর নিচে লুকিয়ে ফেলেন।

কেউ কেউ দাবি করেন, সেটি কোকেনের ব্যাগ, আর ফ্রিডরিখ মের্ৎস কোকেন খাওয়ায় ব্যবহৃত একটি চামচ লুকিয়ে ফেলেছেন।

একটি এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়, ‘মাখোঁ, স্টারমার এবং মের্ৎস কিয়েভ থেকে ফেরার পথে ভিডিওতে ধরা পড়েছেন। টেবিলে সাদা পাউডারের ব্যাগ, মাখোঁ সেটি পকেটে পুরে ফেলেন, মের্ৎস লুকান চামচ। কোনো ব্যাখ্যা নেই।’

এই দাবি দ্রুতই ফরাসি সরকারের পক্ষ থেকে খণ্ডন করা হয়। এলিসি প্রাসাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘যখন ইউরোপীয় ঐক্য কিছু পক্ষের কাছে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে, তখন মিথ্যা তথ্য এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, একটি সাধারণ টিস্যুকেও মাদক হিসেবে দেখানো হয়।’

আরও বলা হয়, ছবিতে দেখা যাওয়া বস্তুটি ছিল একটি সাদা রুমাল বা টিস্যু। প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে এক্সে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যেখানে তিন নেতা হাত মেলাচ্ছেন। ক্যাপশনে লেখা হয়—‘এটাই ইউরোপীয় ঐক্য।’

ফরাসি সরকারের দাবি, দেশের ভেতরে এবং বাইরে থাকা শত্রুরাই এই ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছে। এদের মধ্যে ইউরোপের চরম ডানপন্থী প্রোপাগান্ডাকারীরাও রয়েছে।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার এবং ইউরোপের অন্যান্য নেতারা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, পুতিন যদি এতে রাজি না হন, তাহলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এদিকে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইউরোপীয় নেতাদের প্রস্তাবকে ‘বিভ্রান্তিকর ও বিরোধিতামূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন। তবে রুশ সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি জানান, রাশিয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বিবেচনায় নেবে এবং তাদের নিজস্ব অবস্থানও রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তোরা যারা রাজাকার, সময় থাকতে বাংলা ছাড়: ফেসবুকে বাকের মজুমদার

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

যুক্তরাষ্ট্র-চীন সমঝোতায় এক দিনে ১০০ ডলার কমল সোনার দাম

যুদ্ধ বলিউডের সিনেমা নয়: ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্যের অভিবাসন নীতি, স্থায়ী বসবাসের আবেদনে অপেক্ষা ১০ বছর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত