Ajker Patrika

পলাতক ৩৫ রোহিঙ্গাকে ফিরতে হলো ভাসানচরে

হাতিয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ১৩
পলাতক ৩৫ রোহিঙ্গাকে ফিরতে হলো ভাসানচরে

ভাসানচর থেকে পালানোর সময় আটক ৩৫ রোহিঙ্গাকে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যেতে হলো। গত সোমবার রাতে আটকের পর তাদের ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। পরে ভাসানচরে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা এসব রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্লাস্টারে ফেরত পাঠান।

নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে পালানোর সময় ৩৫ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে আটক করেছে কোস্টগার্ড ও এপিবিএন সদস্যেরা। সোমবার বিকেলে ভাসানচর পার্শ্ববর্তী একটি জঙ্গল থেকে তাদের আটক করা হয়। এরা সবাই ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের বসবাসের জন্য নির্মিত আশ্রায়নের ৫০ নম্বর ক্লাস্টারে বসবাস করেন।

ভাসানচরে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা ইমতিয়াজ জানান, আটক রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু। জিজ্ঞাসাবাদে রোহিঙ্গারা জানায়, রাতে একটি ট্রলারে তারা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিল। এ জন্য ভাসানচরের দক্ষিণ পাশে কেউড়া বাগানে অপেক্ষা করতে ছিল। পরে তাদের সতর্ক করে নিজ নিজ আবাসস্থলে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, গত রোববার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ক্লাস্টার থেকে পালানোর উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায় ৩৫ রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশু। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সোমবার বিকেলে ভাসানচর থেকে ৫ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণের জঙ্গলে অভিযান চালায় এপিবিএন ও কোস্টগার্ডের সদস্যেরা। এ সময় ওই জঙ্গল থেকে ৩৫ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে ভাসানচর থানা পুলিশের মাধ্যমে আটককৃতদের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।

২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গার আগমন দিয়ে শুরু হয় ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আনুষ্ঠানিক স্থানান্তর কার্যক্রম। পরে আরও ৬টি ধাপে আসা নারী,পুরুষ ও শিশুসহ মোট ১৮ হাজার ৩৪৭ জন রোহিঙ্গা বর্তমানে ভাসানচরে অবস্থান করছে।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, ভাসানচরে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে। এতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা শুরু হলে পরের কয়েক মাসে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। এর আগে আসেন আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত