হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা হিসেবে প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় এই সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ পরিবার। এ ক্ষেত্রে অনেক জেলে পরিবারই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮০। এর মধ্যে কার্ডধারী ১২ হাজার ৩৭০ জন হলেও ভিজিএফের চাল দেওয়া হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ পরিবারকে। এ জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫০ মেট্রিক টন চাল। পরে জেলেদের সংখ্যা অনুপাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে তা বিভাজন করে দেওয়া হয়।
হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি মোজাম্মেল হোসেনের (৫৫)। দীর্ঘ ৩৫ বছর গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। অথচ জেলে হিসেবে তাঁর নামটি নিবন্ধিত হয়নি। সরকারি নির্দেশে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অনেকটা ঘাটে বসে বেকার সময় পার করছে। এতে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মাঝে মধ্যে ট্রলার মালিক থেকে অগ্রিম কিছু টাকা নিতে পারলে চলে সংসার।
মোজাম্মেল হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলামের মালিকানায় এমভি নুরইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝি কাজ করে। তাঁদের কারও নামে নিবন্ধন নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে বলেন, ‘আমরা ১২ মাস নদীতে থাকি। তীরে যেসব জেলেরা থাকে, তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের সঙ্গে সখ্য করে সব সুযোগ-সুবিধা নেন। আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাতিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল করিম রতন জানান, হাতিয়ায় ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ বড় ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে।
কিছু ট্রলারে ২০-২২ জন করে জেলে থাকে। এদের অনেকের নিবন্ধন নেই। সরকারের নির্দেশ মেনে এসব জেলে নৌকা তীরে বেকার সময় পার করলেও সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পরও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ উদ্দিন জানান, চরঈশ্বর ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ২ হাজার। কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১ হাজার ৩২০ জন। কিন্তু মা ইলিশ রক্ষায় মাছ শিকার বন্ধ রাখায় সরকারি সুবিধা বিজিএফএর চাল দেওয়া হয়েছে ৬০০ পরিবারকে। একটি পরিবারকে ২০ কেজি চাল দিয়ে ২২ দিন চলতে হবে। যা কোনোভাবেই সম্ভব না।
এসব বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জেলেরা সঠিকভাবে এই নির্দেশ পালন করছে। কার্ডধারী জেলেদের বাইরে আমরা কাউকে ইচ্ছা থাকলেও সরকারি সুবিধা দিতে পারি না। হাতিয়ায় যে পরিমাণ জেলে রয়েছে, সুবিধা বরাদ্দ অনুপাতে তা অনেক বেশি। এরপরও আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নে সঠিকভাবে বিতরণ করেছি। ইতিমধ্যে সব ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগিতা হিসেবে প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় এই সুবিধা পাচ্ছে মাত্র ৭ হাজার ৫০০ পরিবার। এ ক্ষেত্রে অনেক জেলে পরিবারই সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলেরা।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, হাতিয়ায় ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৮০। এর মধ্যে কার্ডধারী ১২ হাজার ৩৭০ জন হলেও ভিজিএফের চাল দেওয়া হচ্ছে ৭ হাজার ৫০০ পরিবারকে। এ জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৫০ মেট্রিক টন চাল। পরে জেলেদের সংখ্যা অনুপাতে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার মধ্যে তা বিভাজন করে দেওয়া হয়।
হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি মোজাম্মেল হোসেনের (৫৫)। দীর্ঘ ৩৫ বছর গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। অথচ জেলে হিসেবে তাঁর নামটি নিবন্ধিত হয়নি। সরকারি নির্দেশে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় অনেকটা ঘাটে বসে বেকার সময় পার করছে। এতে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাঁর। মাঝে মধ্যে ট্রলার মালিক থেকে অগ্রিম কিছু টাকা নিতে পারলে চলে সংসার।
মোজাম্মেল হাতিয়ার কাজির বাজারের নুর ইসলামের মালিকানায় এমভি নুরইসলাম-২ মাছধরা ট্রলারের মাঝি। তাঁর সঙ্গে একই ট্রলারে হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের আরও ১৮ জন মাঝি কাজ করে। তাঁদের কারও নামে নিবন্ধন নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে বলেন, ‘আমরা ১২ মাস নদীতে থাকি। তীরে যেসব জেলেরা থাকে, তারা ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যের সঙ্গে সখ্য করে সব সুযোগ-সুবিধা নেন। আমরা প্রকৃত জেলে হয়েও এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।’
জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতি হাতিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি নুরুল করিম রতন জানান, হাতিয়ায় ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে ইলিশ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর মধ্যে প্রায় ৪০০ বড় ট্রলার গভীর সমুদ্রে গিয়ে মাছ শিকার করে।
কিছু ট্রলারে ২০-২২ জন করে জেলে থাকে। এদের অনেকের নিবন্ধন নেই। সরকারের নির্দেশ মেনে এসব জেলে নৌকা তীরে বেকার সময় পার করলেও সুবিধা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছে। এসব বিষয়ে একাধিকবার মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার পরও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) রাশেদ উদ্দিন জানান, চরঈশ্বর ইউনিয়নে নিবন্ধিত জেলে সংখ্যা ২ হাজার। কার্ডধারী জেলের সংখ্যা ১ হাজার ৩২০ জন। কিন্তু মা ইলিশ রক্ষায় মাছ শিকার বন্ধ রাখায় সরকারি সুবিধা বিজিএফএর চাল দেওয়া হয়েছে ৬০০ পরিবারকে। একটি পরিবারকে ২০ কেজি চাল দিয়ে ২২ দিন চলতে হবে। যা কোনোভাবেই সম্ভব না।
এসব বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাস বলেন, ‘জেলেরা সঠিকভাবে এই নির্দেশ পালন করছে। কার্ডধারী জেলেদের বাইরে আমরা কাউকে ইচ্ছা থাকলেও সরকারি সুবিধা দিতে পারি না। হাতিয়ায় যে পরিমাণ জেলে রয়েছে, সুবিধা বরাদ্দ অনুপাতে তা অনেক বেশি। এরপরও আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নে সঠিকভাবে বিতরণ করেছি। ইতিমধ্যে সব ইউনিয়নে জেলেদের মাঝে ভিজিএফএর চাল বিতরণ করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪