Ajker Patrika

রংপুরে সংঘর্ষে রসিক কাউন্সিলরসহ নিহত 8, আহত শতাধিক

রংপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ২০: ৫১
Thumbnail image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলাকালে রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) কাউন্সিলরসহ দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০০ জন। এর মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ রোববার সকাল ১০টা থেকেই পাবলিক লাইব্রেরি থেকে সিটি বাজার কৈলাশরঞ্জন মোড় এলাকা পর্যন্ত দখলে নিয়ে অবস্থান করতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন অভিভাবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। অন্যদিকে, বেতপট্টিতে অফিসে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। 

দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা কৈলাশরঞ্জন মোড়ে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে নগর ভবনের দিকে যেতে থাকে। পরে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পাল্টা তাদের ধাওয়া দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। 

এ সময় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের গুলি করতে দেখা যায়। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে চলে যান এবং কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায় আন্দোলনকারীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

 রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছেসংঘর্ষে নিহতরা হলেন– সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও পরশু থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারাধন রায় হারা (৪৯), তার ভাগ্নে শ্যামল রায় (৩০), খায়রুল ইসলাম সবুজ ওরফে খসরু (৩২) ও মাসুম (৩০)। আহত হয়েছেন অন্তত ১০০ জন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনার পর নগরীর প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। 

এর আগে বদরগঞ্জে এমপি ডিউক চৌধুরীর বাড়ি, মিঠাপুকুরে সাবেক এমপি আশিকুর রহমানের বাড়ি, উপজেলা অফিস, অডিটরিয়াম, আনসার–ভিডিপি অফিস, পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। 

 রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছেএ ব্যাপারে রংপুরের ডিসি মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় হারাধন রায় ও খসরু নামের দুজনের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জেনেছি।’ 

রংপুর মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বলেন, ‘শুনেছি দুজন মারা গেছেন। আমাদের সঙ্গে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত