তাসনিম মহসিন, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে
একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘর। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয়। এগুলোয় আসামি করা হয় পাঁচ শতাধিক লোককে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে চলছে অভিযান। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জনজীবনে। সবখানেই একটা ভয়ের আবহ বিরাজ করছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মন থেকে ভয় কাটেনি এখনো। আর হামলাকারী হিসেবে যাদের দিকে সন্দেহের তির, তারাও অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে চেরাগপুরের পাশের বাজারে গিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম মানুষ দেখা গেছে। পুরো এলাকায় ভয়ের আবহ। একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে সবখানে। বাজারে শুধু দলীয় পরিচয়ের লোকজন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বয়স্ক মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীদেরই শুধু দেখা মিলল। নতুন মানুষ দেখলেই সবাই সন্দেহ, ভয় ও কৌতূহলের চোখে দেখছে। স্থানীয়রা পুলিশ দেখে অভ্যস্ত হলেও তাদের সবচেয়ে বেশি ভড়কে দিয়েছে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি।
বাজারেই কথা হলো রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বললেন, সবাই খুবই ভয়ে রয়েছে। গ্রাম পুরুষ-শূন্য হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। একটা আতঙ্ক সবার মধ্যে কাজ করছে বলে জানালেন তিনি। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই কথা হলো। তাঁরা বলেন, ‘এখানকার পুলিশ আমাদের সবাইকে চেনে। কিন্তু আমরা এখানে প্রথমবারের মতো বিজিবি দেখেছি। তারা আমাদের চেনেও না। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে অজানা ভয় বেড়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, এখানকার মানুষ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারণ, এখানকার মানুষ তখন ধর্মীয় অবমাননার বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করছিল, আন্দোলন করছিল। সেখানে ৪০০-৫০০ মানুষ ছিল। যেখানে আন্দোলন ও বৈঠক হচ্ছিল, সেখান থেকে ঘটনাস্থল আধা মাইল দূরে। আর সেখানে যাওয়ার যে রাস্তা, তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিল। অন্য যে পথ রয়েছে, তা তিন কিলোমিটার ঘুরে প্রধান সড়ক দিয়ে আসতে হয়। এখন বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ভিডিও ধরে এখানে ধরপাকড় চলছে। আর আগুনের সময় যে লুটপাট চলেছে, সেখানকার লুট করা গরু পাওয়া গেছে অন্য গ্রামে।
তাহলে আগুন দিল কারা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর সেখানে উপস্থিত মানুষ দিতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, ‘মাগরিবের পর থানার ওসি ও সেখানকার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। শত শত মানুষকে আমরা জেলেপাড়ার দিকে এগোতে দিইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেও নিয়ে আসি। কিন্তু আলোচনার মাঝখানেই দেখি উত্তর জেলেপাড়ায় আগুন জ্বলছে।’
তাহলে আগুন দিল কে
ঘটনার সূত্রপাত হয় চেরাগপুর গ্রামের সৈকত মণ্ডল ও দক্ষিণ জেলেপল্লির পরিতোষ রায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে। এলাকাবাসী জানান, শুরুতে পূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত মণ্ডল হিন্দুধর্মের অবমাননা করে একটি ছবি পরিতোষ রায়কে পাঠান। এর জেরে পরিতোষ রায়ও মুসলিম ধর্মের অবমাননা করে সৈকতকে একটি ছবি পাঠান। সেই ছবি এলাকার নানা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন সৈকত মণ্ডল।
১৭ অক্টোবর দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে ছবির অবমাননা নিয়ে একত্র হওয়া শুরু করে পীরগঞ্জ ১৩ নম্বর ইউনিয়ন ও এর আশপাশের লোকজন। এ সময়ে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ ডাকা হয়। বেলা ৩টার দিকে বিশাল এক জমায়েত তৈরি হয়। বিকেলের দিকে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হন। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে ও যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে পরিতোষ রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাগরিবের পর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। দক্ষিণ জেলেপল্লি পরিতোষের বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তায় কোনো মানুষকে যেতে দিইনি। আমাদের আলোচনা চলছিল। জনতা শান্তও হয়ে এসেছিল। হঠাৎ সেখান থেকে আধা মাইল দূরে আড়াই ঘণ্টা পর উত্তর জেলেপল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। উত্তর জেলেপল্লিতে যেতে হলে দক্ষিণ জেলেপল্লি হয়েই যেতে হবে। এ ছাড়া আরেকটি যে রাস্তা রয়েছে, তা অনেক ঘুরে যেতে হয়।’
তাহলে আগুন দিল কে? এর উত্তরে মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এর উত্তর আমরাও খুঁজছি। আগুন দেওয়ার সময়ে জেলেপল্লির মানুষ দুজনকে আটক করেছিল। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনা উত্তর জেলেপল্লির না। কিন্তু তাদের গ্রামে আগুন দেওয়া হলো। তাদের বাসাবাড়ি লুট করা হলো। ঘটনা শান্ত হওয়ার পর রাত ৪টার দিকে বাসায় ফেরত আসি।’
একদিকে সব পুড়ে খাক। বিধ্বস্ত সবকিছু। মানুষ ও মানুষের আবাস কোনো কিছুই আর স্বাভাবিক নেই। সবকিছুতেই একটা অচেনা আবহ। একদিকে মানুষের নিষ্ঠুরতায় বিহ্বল সব হারানো মানুষ। এই ক্ষত তো সহজে ঘুচবার নয়। অন্যদিকে গ্রেপ্তার ও আটকের আতঙ্কে রয়েছে বাকিরা। বলা হচ্ছে, রংপুরের পীরগঞ্জের কথা।
১৭ অক্টোবর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় করিমপুরের জেলেপল্লিতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় ২৪টি পরিবারের বসতঘর। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয়। এগুলোয় আসামি করা হয় পাঁচ শতাধিক লোককে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে চলছে অভিযান। এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় জনজীবনে। সবখানেই একটা ভয়ের আবহ বিরাজ করছে। যারা আক্রান্ত হয়েছে, তাদের মন থেকে ভয় কাটেনি এখনো। আর হামলাকারী হিসেবে যাদের দিকে সন্দেহের তির, তারাও অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে চেরাগপুরের পাশের বাজারে গিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক কম মানুষ দেখা গেছে। পুরো এলাকায় ভয়ের আবহ। একটা গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে সবখানে। বাজারে শুধু দলীয় পরিচয়ের লোকজন। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, বয়স্ক মানুষ ও দোকান ব্যবসায়ীদেরই শুধু দেখা মিলল। নতুন মানুষ দেখলেই সবাই সন্দেহ, ভয় ও কৌতূহলের চোখে দেখছে। স্থানীয়রা পুলিশ দেখে অভ্যস্ত হলেও তাদের সবচেয়ে বেশি ভড়কে দিয়েছে বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি।
বাজারেই কথা হলো রামনাথপুর ১৩ নম্বর ইউনিয়নের কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বললেন, সবাই খুবই ভয়ে রয়েছে। গ্রাম পুরুষ-শূন্য হয়ে গেছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম পীরগঞ্জে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে।
একই কথা বললেন কৃষক লীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আনোয়ারুল মণ্ডল। একটা আতঙ্ক সবার মধ্যে কাজ করছে বলে জানালেন তিনি। এমন কিছু এর আগে দেখেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বছরের পর বছর হিন্দু-মুসলিম একত্রে বসবাস করে আসছি। তারা মাছ ধরে, মাছ ব্যবসা করে। আর সেই মাছ আমরাই কিনে থাকি। ফলে একজন আরেকজনের ওপর নির্ভরশীল।’
উপস্থিত অনেকের সঙ্গেই কথা হলো। তাঁরা বলেন, ‘এখানকার পুলিশ আমাদের সবাইকে চেনে। কিন্তু আমরা এখানে প্রথমবারের মতো বিজিবি দেখেছি। তারা আমাদের চেনেও না। স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে অজানা ভয় বেড়েছে।’
স্থানীয়দের দাবি, এখানকার মানুষ এ ঘটনা ঘটায়নি। কারণ, এখানকার মানুষ তখন ধর্মীয় অবমাননার বিষয়টি সমাধানের জন্য প্রশাসনের লোকদের সঙ্গে বৈঠক করছিল, আন্দোলন করছিল। সেখানে ৪০০-৫০০ মানুষ ছিল। যেখানে আন্দোলন ও বৈঠক হচ্ছিল, সেখান থেকে ঘটনাস্থল আধা মাইল দূরে। আর সেখানে যাওয়ার যে রাস্তা, তা পুলিশ বন্ধ করে রেখেছিল। অন্য যে পথ রয়েছে, তা তিন কিলোমিটার ঘুরে প্রধান সড়ক দিয়ে আসতে হয়। এখন বৈঠকে যারা উপস্থিত ছিল, তাদের ভিডিও ধরে এখানে ধরপাকড় চলছে। আর আগুনের সময় যে লুটপাট চলেছে, সেখানকার লুট করা গরু পাওয়া গেছে অন্য গ্রামে।
তাহলে আগুন দিল কারা? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর সেখানে উপস্থিত মানুষ দিতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম সাদেক বলেন, ‘মাগরিবের পর থানার ওসি ও সেখানকার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি। শত শত মানুষকে আমরা জেলেপাড়ার দিকে এগোতে দিইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানেও নিয়ে আসি। কিন্তু আলোচনার মাঝখানেই দেখি উত্তর জেলেপাড়ায় আগুন জ্বলছে।’
তাহলে আগুন দিল কে
ঘটনার সূত্রপাত হয় চেরাগপুর গ্রামের সৈকত মণ্ডল ও দক্ষিণ জেলেপল্লির পরিতোষ রায়ের মধ্যে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে। এলাকাবাসী জানান, শুরুতে পূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত মণ্ডল হিন্দুধর্মের অবমাননা করে একটি ছবি পরিতোষ রায়কে পাঠান। এর জেরে পরিতোষ রায়ও মুসলিম ধর্মের অবমাননা করে সৈকতকে একটি ছবি পাঠান। সেই ছবি এলাকার নানা মানুষের কাছে ছড়িয়ে দেন সৈকত মণ্ডল।
১৭ অক্টোবর দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে ছবির অবমাননা নিয়ে একত্র হওয়া শুরু করে পীরগঞ্জ ১৩ নম্বর ইউনিয়ন ও এর আশপাশের লোকজন। এ সময়ে মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানুষ ডাকা হয়। বেলা ৩টার দিকে বিশাল এক জমায়েত তৈরি হয়। বিকেলের দিকে সেখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত হন। তাঁরা উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে ও যার যার বাসায় ফিরে যেতে বলেন। সন্ধ্যার দিকে সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত হয়ে পরিতোষ রায়কে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘মাগরিবের পর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করি। দক্ষিণ জেলেপল্লি পরিতোষের বাড়ির দিকে যাওয়ার রাস্তায় কোনো মানুষকে যেতে দিইনি। আমাদের আলোচনা চলছিল। জনতা শান্তও হয়ে এসেছিল। হঠাৎ সেখান থেকে আধা মাইল দূরে আড়াই ঘণ্টা পর উত্তর জেলেপল্লিতে আগুন দেওয়া হয়। উত্তর জেলেপল্লিতে যেতে হলে দক্ষিণ জেলেপল্লি হয়েই যেতে হবে। এ ছাড়া আরেকটি যে রাস্তা রয়েছে, তা অনেক ঘুরে যেতে হয়।’
তাহলে আগুন দিল কে? এর উত্তরে মো. ছাদেকুল ইসলাম বলেন, ‘এর উত্তর আমরাও খুঁজছি। আগুন দেওয়ার সময়ে জেলেপল্লির মানুষ দুজনকে আটক করেছিল। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ঘটনা উত্তর জেলেপল্লির না। কিন্তু তাদের গ্রামে আগুন দেওয়া হলো। তাদের বাসাবাড়ি লুট করা হলো। ঘটনা শান্ত হওয়ার পর রাত ৪টার দিকে বাসায় ফেরত আসি।’
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
৪ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫