পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম রাসেল হোসেন রিয়াদ (২২)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সহসভাপতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া জানান, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নম্বর কক্ষে থাকেন। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনা করে প্রতিদিন রাতে ২টা-৩টার দিকে তিনি কক্ষে আসেন। সোমবার রাত ৩টায় হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা করে কক্ষে আসেন।
কক্ষের বাইরে গিয়ে পাঁচ মিনিট পরে ফিরে এলে দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর খোলার জন্য দরজায় আঘাত করতে থাকলে একপর্যায়ে দরজা খুলে রিয়াদ তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তখন কক্ষের সামনে থাকা জুতা তুলে নিয়ে কিবরিয়াকে হাত এবং জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে কিবরিয়ার নাক ফেটে রক্ত বের হলে তিনি দৌড়ে ৩০৪ নম্বর কক্ষে চলে আসেন। এ সময় কাবরিয়ার ফোনও ভেঙে ফেলেন রিয়াদ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, ‘তিনি (রিয়াদ) প্রায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কক্ষে ঝামেলা করতেন। মাঝখানে আমাকে কক্ষ ছেড়ে দিতে বলছেন। এর আগে ৪০৭ নম্বর কক্ষে বাংলা বিভাগের এক জুনিয়র ছাত্রকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বের করে দিয়েছেন। আগে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আজকে গায়ে হাত তুলেছেন। এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
৩০৪ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা কক্ষের দরজা ধাক্কানোর শব্দ শুনতে পান। দরজা খুলে দেখেন কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স কল করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে ভর্তি করানো হয়।
অভিযুক্ত রিয়াদ বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো করেছে, এগুলো সত্য নয়। কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত কক্ষের বাইরে থাকে। আমরা যেহেতু রাজনীতি করি, আমাদের নিরাপত্তার একটা বিষয় আছে। রাত ৩টার সময় কক্ষে এসে দরজা ধাক্কাতে শুরু করলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। দরজা খুলে দেখি কিবরিয়া দাঁড়িয়ে আছে আর আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য কথা বলে। পরে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ও আমাকে আক্রমণ করে। আমার ঠোঁট ফেটে যায়, হাতে ব্যথা পাই। আমি দেখেছি ওর কিছুই হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এটা নিয়ে বসব।’
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থীকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতার নাম রাসেল হোসেন রিয়াদ (২২)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সহসভাপতি।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া জানান, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নম্বর কক্ষে থাকেন। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনা করে প্রতিদিন রাতে ২টা-৩টার দিকে তিনি কক্ষে আসেন। সোমবার রাত ৩টায় হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা করে কক্ষে আসেন।
কক্ষের বাইরে গিয়ে পাঁচ মিনিট পরে ফিরে এলে দেখেন দরজা বন্ধ। এরপর খোলার জন্য দরজায় আঘাত করতে থাকলে একপর্যায়ে দরজা খুলে রিয়াদ তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তখন কক্ষের সামনে থাকা জুতা তুলে নিয়ে কিবরিয়াকে হাত এবং জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। একপর্যায়ে কিবরিয়ার নাক ফেটে রক্ত বের হলে তিনি দৌড়ে ৩০৪ নম্বর কক্ষে চলে আসেন। এ সময় কাবরিয়ার ফোনও ভেঙে ফেলেন রিয়াদ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া আরও বলেন, ‘তিনি (রিয়াদ) প্রায় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কক্ষে ঝামেলা করতেন। মাঝখানে আমাকে কক্ষ ছেড়ে দিতে বলছেন। এর আগে ৪০৭ নম্বর কক্ষে বাংলা বিভাগের এক জুনিয়র ছাত্রকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বের করে দিয়েছেন। আগে আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন, কিন্তু আজকে গায়ে হাত তুলেছেন। এটা প্রত্যাশা করিনি। আমি প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
৩০৪ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাঁরা কক্ষের দরজা ধাক্কানোর শব্দ শুনতে পান। দরজা খুলে দেখেন কিবরিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁর নাক থেকে রক্ত বের হচ্ছে। দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স কল করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে তাঁকে ভর্তি করানো হয়।
অভিযুক্ত রিয়াদ বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো করেছে, এগুলো সত্য নয়। কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত কক্ষের বাইরে থাকে। আমরা যেহেতু রাজনীতি করি, আমাদের নিরাপত্তার একটা বিষয় আছে। রাত ৩টার সময় কক্ষে এসে দরজা ধাক্কাতে শুরু করলে আমরা ভয় পেয়ে যাই। দরজা খুলে দেখি কিবরিয়া দাঁড়িয়ে আছে আর আমার সঙ্গে উচ্চবাচ্য কথা বলে। পরে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ও আমাকে আক্রমণ করে। আমার ঠোঁট ফেটে যায়, হাতে ব্যথা পাই। আমি দেখেছি ওর কিছুই হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এটা নিয়ে বসব।’
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৮ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৬ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৬ দিন আগে