Ajker Patrika

চেক জালিয়াতি: সাংবাদিক সুজনের ২ দিনের রিমান্ড

প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা
আপডেট : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪: ৫৯
চেক জালিয়াতি: সাংবাদিক সুজনের ২ দিনের রিমান্ড

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ৬ লাখ টাকা চেক জালিয়াতি ও আত্মসাতের মামলায় সাংবাদিক শেখ আমিনুর রশিদ সুজনকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল বুধবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. : হুমায়ূন কবীর তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রহিমের সাত দিনের রিমা-আবেদন শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুরকৃত শেখ আমিনুর রশিদ সুজন (৩৮) সদর উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের বুলারাটি গ্রামের সৈয়দুল আলমের ছেলে। তিনি ‘দি ডেইলি সান’ পত্রিকার সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ও ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ পত্রিকার সাতক্ষীরার বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি।

সাতক্ষীরা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন আলম চৌধুরী জানান, সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখায় জেলা পরিষদের নামে একটি অ্যাকাউন্টের চেকের তিনটি পাতা চুরি হয়। সেই চেকের পাতায় জাল স্বাক্ষর করে সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা থেকে একটি পাতায় ৬ লাখ টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে আরও একটি চেক নিয়ে টাকা উত্তোলনকালে ঘটনাটি জেলা পরিষদকে অবহিত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

ইয়াছিন আলম চৌধুরী আরও জানান, পরবর্তী এ ঘটনায় জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে গত বছরের ২৯ আগস্ট সাতক্ষীরা সদর থানায় ৭২ নং মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তকালে সোনালী ব্যাংকের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমিনুর রশিদ সুজনের সঙ্গে সম্ভাব্য টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তির শরীরের পেছনের অংশের মিল আছে ধারণায় সুজনকে গত ২৫ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের একজন কর্মচারী জানান, সোনালী ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখার ভিডিও ফুটেজে সুজনকে যেভাবে চেক উত্তোলনকারী হিসেবে ধরে নেওয়া হয়েছে তার চেয়ে বেশি মিল রয়েছে ওই প্রতিষ্ঠানের সার্ভেয়ার কাম বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মচারীর। বিষয়টি ভালোভাবে পরীক্ষা করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে অফিসের কার কার যোগসূত্রতা আছে তা খতিয়ে দেখা উচিত বলে তিনি মনে করে।

এদিকে সাংবাদিক সুজনের স্ত্রী চামেলি পারভিন মুক্তা জানান, সামগ্রিক বিষয় তুলে ধরে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করতে তিনি সংবাদ সম্মেলন করার জন্য সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সংবাদ সম্মেলনের অনুমতি দেয়নি।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, বিচারকের লিখিত আদেশ হাতে পাওয়ার পরপরই সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলখানা থেকে তাদের হেফাজতে আনা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত