Ajker Patrika

অনুমোদন হারাল কেয়ার মেডিকেল কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অনুমোদন হারাল কেয়ার মেডিকেল কলেজ

বিধিমালা অনুযায়ী মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা না মানায় অবশেষে রাজধানীর কেয়ার মেডিকেল কলেজের অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। কলেজটির পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব বিলকিস স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নানা সংকট আর জটিলতার কারণে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে পারেনি কলেজটি। বর্তমানে বিভিন্ন বর্ষে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন। গত আগস্ট থেকে কলেজটির বিএমডিসির অনুমোদন না থাকা ও একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় মাইগ্রেশনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও বারবার সেটি রক্ষা করতে না পারায় কলেজের প্রিন্সিপালকে অবরুদ্ধও করেছিল শিক্ষার্থীরা। 

এর আগেও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা না মানায় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে সরকার। পরে হাইকোর্টে রিট পিটিশন করে কার্যক্রম চলমান রাখে প্রতিষ্ঠানটি। পরে সেই আদেশও প্রত্যাহার করা হয়। স্থগিতাদেশের পর ৫ বছর পরও কলেজটির মানোন্নয়ন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

গত ১৪ জুন কেয়ার মেডিকেল কলেজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি। এ সময় সুষ্ঠু একাডেমিক পরিবেশ না থাকা, শিক্ষকের ঘাটতি, বিদ্যমান হাসপাতাল ও কলেজের নামে নিজস্ব জমি না থাকা, মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ভিন্ন ক্যাম্পাসসহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। 

গত ২৩ অক্টোবর কেয়ার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যের উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিদপ্তরে জরুরি এক সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় ঘাটতির চিত্র তুলে ধরা হয়। সেখানেই কলেজটির অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এদিকে অনুমোদন বাতিল হলেও কবে নাগাদ মাইগ্রেশন শুরু হবে সেটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় কলেজটির শিক্ষার্থীরা। 

অনুমোদন বাতিল হওয়া কলেজটির পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী সিলভিয়া মীম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অনুমোদন যে বাতিল হবে সেটি কয়েক দিন আগে মৌখিকভাবে জেনেছি। এখন লিখিতভাবে দেখলাম। কিন্তু আমাদের মাইগ্রেশন কবে নাগাদ শুরু হবে তা এখনো জানি না। এমনিতেই আমরা অনেক পিছিয়েছি, দ্রুত অন্য কলেজে নেওয়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’ 

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম আমিরুল মোরশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অন্য কলেজে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে আদেশপত্র তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদের ডিন দেখে থাকেন। আশা করি দু-এক দিনের মধ্যেই কার্যক্রম শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বঙ্গবন্ধু ও মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকছে

‘তুমি ঘুমাও কীভাবে’, সৌদি যুবরাজকে নিয়ে ট্রাম্পের বিস্ময়

বিদায় বিশ্বের দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, ইউএনওর কাছে অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

কুয়েটে ক্লাস বর্জন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে মতবিরোধ, এক শিক্ষকের পদত্যাগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত