শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
প্রযুক্তি
গ্যাজেট
সোশ্যাল মিডিয়া
নো হাউ
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
আষাঢ়ে-নয়
আষাঢ়ে-নয়
বোকা বানানোর কারিগর
বাড়ির নাম দ্য প্যালেস, ঢাকা। গুলশানের ১০৪ নম্বর সড়কের এই বাড়িটি খুঁজতে খুব বেশি সময় লাগল না। নীল রঙের জিংফু মোটরবাইকটি গেটের এক পাশে রেখে সামনের চাকায় তালা লাগাতেই দারোয়ান বললেন, ‘এখানে বাইক রাখা নিষেধ। এটা প্রিন্সের বাড়ি।’
ফাঁসির আসামির মুক্ত জীবন
জেলখানায় ঢুকতে না ঢুকতেই ক্ষমা পেয়ে বেরিয়ে গেলেন ফাঁসির দণ্ড পাওয়া খুনের এক আসামি। খবর বলতে ছিল এটুকুই। আদালত, প্রসিকিউশন, আইনজীবী—কারও কাছে কোনো তথ্য নেই। কারাগারও মুখ খোলে না। ভাবছি হাল ছেড়ে দেব, ঠিক তখনই সুড়ঙ্গের মুখে আলোর দেখা।
সোনার খোঁজে আদার ব্যাপারী
লোকটা চিৎকার করেই যাচ্ছেন। কোনো কথা শুনছেন না, জবাবও দিচ্ছেন। একবার বললেন, এই রশি আনতো, একে বেঁধে ফেলি। মালিকের হাঁকডাক শুনে কর্মচারীদের সবাই এলেন দলবেঁধে। খালি হাতে। তাঁরা অবাক হয়ে আমাকে দেখছেন, কেউ কিছু বলছেন না। আমি খুব ঠান্ডা মাথায় তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি আরও উত্তেজিত। আপনি থেকে ত
নিশ্চিন্তে দেশ ছাড়লেন টোকাই সাগর
অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে কে যেন ফোন করে বললেন, এক নারী দুই বাচ্চা নিয়ে দেখা করতে এসেছেন। সঙ্গে এক বন্ধু-সাংবাদিক। একটু পর এলেন সেই নারী–সঙ্গে এক ছেলে, এক মেয়ে। মার্জিত পোশাক, কথাবার্তায় ভীষণ বিনয়ী। পরিচয় দিয়ে বললেন, ‘আমি মাহবুবা রসুল লিপি।’
এরশাদের নতুন বান্ধবী
গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌ
কর্নেলের সঙ্গে শেষ ফোনালাপ
বায়তুল মোকাররম মার্কেটে কেনাকাটা তখনো জমেনি। নিচতলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠাগারে লোকজন কম। পাঠাগারের সিঁড়ি ও প্রবেশমুখে অচেনা হকার, টুপিবিক্রেতা, চশমার ফেরিওয়ালা।সবারই শিকারি চোখ। কার জন্য যেন অপেক্ষা করছেন। আশপাশের দোকানিদের উৎসুক দৃষ্টি। ফিসফাস শব্দ, ‘এরা কারা?’
লিমনের মধুর প্রতিশোধ
আপনি যে সাংবাদিক তার কোনো প্রমাণ আছে? পঙ্গু হাসপাতালের ভেতরের একটি অপারেশন থিয়েটারের সামনে এ প্রশ্ন করলেন এক যুবক। বললাম, কার্ড আছে, সেটা তো গাড়িতে। নিয়ে আসব?
কই শহীদ হলেন না যে
দুই মাস ধরে চলছিল চোর-পুলিশ খেলা। জেএমবিপ্রধান শায়খ আবদুর রহমান তাঁর স্ত্রী আর চার সন্তানকে নিয়ে দিব্যি এখানে-ওখানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু বাঘা বাঘা গোয়েন্দা তাঁর টিকিটিও ছুঁতে পারছিলেন না। অথচ আবদুর রহমানকে ধরা না গেলে জেএমবিকে কোনোভাবে বাগে আনা যাবে না
ভেস্তে যাওয়া এক ‘আষাঢ়ে গল্প’
বন্ধুমহলে আরিফ রহমানের নাম ছিল ‘মটু আরিফ’। যেমন দেহ তেমন খায়, উচ্চতাও সেই রকম। কথায় কথায় নিজেকে বলত ‘বোগরার ছৈল’ (বগুড়ার ছেলে)। যেন বগুড়া বাড়ি হওয়া বিরাট কিছু। খাওয়ার শেষপাতে বাচ্চাদের মুখে যেভাবে দুধভাত লেগে থাকে, আরিফের মুখেও সেভাবে লেপটে থাকত বগুড়ার আঞ্চলিক উচ্চারণ। ৯০-এর পর ঢাকায় থানা গাড়তে এসেছ
মুরগি মিলনের সম্পদ অন্যের হাতে
‘দায়িত্ববান’ এই লোকটি একসময় নিজ দায়িত্বে ঢাকা শহর দাপিয়ে বেড়াতেন। চলতেন দলেবলে গাড়ি হাঁকিয়ে, আগে-পিছে অস্ত্রসমেত পাহারা নিয়ে। বছরে দু-তিনবার গ্রেপ্তার হয়ে সংবাদপত্রের শিরোনামও হতেন। বিমানবন্দর থেকে সূত্রাপুর–সবই ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দাপিয়ে বেড়ানো এক সন্ত্রাসী
হাতে কোনো কাজ নেই। চিফ রিপোর্টার বারবার তাগাদা দিচ্ছেন কিছু একটা করে দেওয়ার জন্য। কী করব ভাবছি আর বন্ধু-সহকর্মীদের ফোন করছি। ফোন দিলাম প্রথম আলোর অপরাধ বিভাগের রিপোর্টিং প্রধান বন্ধু পারভেজ খানকে। পারভেজ তখন খাবার নিয়ে ব্যস্ত, কথা বলার সময় নেই
নবজাতকের সূত্রে মিলল বাংলা ভাইয়ের খোঁজ
ভোর হয়ে আসছে। নীরব চারদিক। ময়মনসিংহ শহরের চোখে ভোররাতের আদুরে ঘুম। এ রকম নীরবতা ভেঙে ঝড়ের গতিতে ছুটে চলেছে আটটি গাড়ির বহর। আকুয়াপাড়ার আঁকাবাঁকা পথ ধরে গাড়িগুলো এসে থেমে গেল শেষ মাথায়।
পিচ্চি হান্নানকে দিয়েই ‘হাতেখড়ি’ র্যাবের
বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশ
মা জানতেন, কালা জাহাঙ্গীর মারা গেছে
খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমোতে যাব, হঠাৎ বেল বাজল। একবার-দুবার নয়, বেজেই চলেছে। মেয়েকে বললাম, দেখ তো মা, এত রাতে কে এল? মেয়ে বলল, মনে হয় পুলিশ। কটা হবে তখন?
আমি তো শীর্ষ সন্ত্রাসীর মা...
ঘণ্টা দুয়েক বসিয়ে রেখে রাত ১০টার পর কথা বলতে রাজি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান, নামকরা চিকিৎসক সুলতানা জাহান। একে একে সব রোগী বিদায় করলেন, তারপর ডাকলেন আমাকে। দেখি, বিশাল ঘরটার এক কোণে তিনি একাই বসে।