কামরুল হাসান

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথম দিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌধুরী। এসবিতে ওসি ওয়াচ পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে তখন মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ছিল না, ব্যক্তিগত সুসম্পর্কই ছিল খবর জোগাড়ের প্রধান অবলম্বন।
রওনকুল হক চৌধুরী কথায় কথায় বললেন, বড় একটি তদন্তের কাজে গুলশানে এসেছেন। অতিরিক্ত আইজিপি তাড়া দিয়েছেন দুই দিনের মধ্যে সেটা শেষ করতে হবে। তাঁর হাতে একটি খাম, তাতে একটি পাসপোর্টের ফটোকপি।
রওনকুল হকের কাছে আবদার করলাম, আমাকেও সঙ্গে নিতে হবে। আজকের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা হলে হয়তো এ ধরনের প্রস্তাব শুনে অবাক হতেন; কিন্তু রওনকুল হক চৌধুরী কোনো কথা না বলে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, মোটরসাইকেল থানায় থাক, আমার গাড়িতে ওঠেন। গুলশানের ওসি ফারুক আহমেদ তাঁকে কিছু তথ্য দিলেন। সেই তথ্য যাচাই করতে আমরা প্রথমে গেলাম বনানীর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী মার্কেটে।
এই মার্কেট তখন বেশ জমজমাট। সেই মার্কেটে ঢোকার সময় বাম কোনায় একটি নতুন ফ্যাশন হাউস। নাম ‘বুটিক ইসাবেলা’। ঢাকায় তখন ফ্যাশন হাউস শব্দটি মানুষ অত ভালো করে রপ্ত করতে পারেনি। প্রথমে গেলাম বুটিক ইসাবেলার ভেতরে।
তার আগে একটি কথা বলে রাখি, তদন্ত নিয়ে আমি তখন পর্যন্ত রওনকুল হক চৌধুরীর কাছে কোনো কিছু জানতে চাইনি। শুধু তাঁকে অনুসরণ করছি। প্রশ্ন যা করার তিনিই করছেন। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বুটিক ইসাবেলার এক কর্মচারী বললেন, এই দোকানের মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এক নারীকে দোকানটি দিয়েছেন। কীভাবে দিয়েছেন তা তিনি জানেন না। সেই নারী তাঁর মেয়ের নামে দোকানের নাম রেখেছেন ‘বুটিক ইসাবেলা’। কী নাম সেই মালিকের? দোকানি থতমত খেলেন। জানালেন, তাঁর নাম মিসেস উইসন।
উইসন শুনে রওনকুল হক চৌধুরী পাসপোর্টের ফটোকপিটি নিজে দেখলেন, আমাকে দেখালেন। দেখি, ঝাঁকড়া চুলের এক নারীর ছবি। নাম বিদিশা সিদ্দিক উইসন। স্বামীর নাম পিটার স্টুয়ার্ট উইসন। কর্মচারীর কাছে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর বললেন, ম্যাডাম গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে থাকেন। বাড়ির নম্বরও দিলেন।
এবার আমাদের গন্তব্য সেই বাড়ি। তার আগে বিদিশা সিদ্দিকের পরিচয়টা একটু বলে রাখি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, নামকরা কবি আবুবকর সিদ্দিকের বড় মেয়ে বিদিশা।
১৯৮০ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হয়ে আসেন পিটার। ১৯৮৫ সালে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেন আবুবকর সিদ্দিক। পিটারের নাম হয় পারভেজ আহমেদ। বিয়ের পর পিটার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যান। সেখানে এক ছেলে ও এক মেয়ের মা হন বিদিশা। ইতিমধ্যে ফ্যাশনে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের দিকে ঢাকায় ফিরে এসে ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা শুরু করেন। তখন তিনি গুলশানে বাসা ভাড়া নেন।
গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের সেই বাড়িতে আমরা গিয়ে দেখি দোতলা বাড়ি, নিচতলায় বায়িং হাউস, ওপরে এক নারী একা থাকেন। কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, আমার নাম বিদিশা। বলেন, কী জানতে চান? শুরু হলো রওনকুল হকের জেরা। দু-একটি প্রশ্ন শুনেই একটা স্কুপ নিউজের গন্ধ নাকে লাগে। কান খাড়া করে রাখি। কোনো কিছুই যেন মিস না হয়।
প্রথম প্রশ্ন, আপনি তো লন্ডনে যাচ্ছিলেন? বিমানবন্দরে ঢুকে বোর্ডিং করলেন, তারপর কী হলো যে ফিরে এলেন? কী এমন ঘটল যে, লন্ডনযাত্রা স্থগিত করতে হলো?
সামনে বসা নারীকে দেখে বেশ ঋজু মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আমাকে অবাক করল। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। আমি কোথায় যাব, যাব না, সেটা আমার ব্যাপার। কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পারেন না।
রওনকুল হক চৌধুরীও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বললেন, ম্যাডাম, সবই ঠিক আছে। কিন্তু যে সন্দেহ করে এসবি আপনার পাসপোর্ট নিয়েছে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন না। আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এখন আপনার উচিত আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করা।
এবার সেই নারী কিছুটা নরম হলেন। কোনো রকম রাখঢাক না করে একে একে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
রওনকুল হক চৌধুরী আবার জানতে চাইলেন:
–কাল আপনার লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। বোর্ডিং পাস নেওয়ার পরও আপনি যাননি কেন?
–পারসোনাল কারণ।
–ওই একই ফ্লাইটে এরশাদেরও যাওয়ার কথা ছিল।
–হতে পারে, সেটা তাঁর ব্যাপার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।
–এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আপনার পরিচয় নেই?
–থাকবে না কেন! আছে। কিন্তু তাতে কী? পরিচয় থাকাটা কি অন্যায়?
–এরশাদ সাহেব তো আপনার এখানে প্রায়ই আসেন।
–হ্যাঁ, আসেন। উনি আমার বিজনেস পার্টনার।
–কীভাবে পরিচয়?
–ফ্রান্স দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয়। তারপর আমাদের অনেক কথাবার্তা হয়। তিনি আমার বাসায় আসা-যাওয়া করেন।
তারপর তিনি যা বললেন, তার সার কথা হলো–এরশাদ এ ঘটনার কিছুদিন আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। ফ্রান্স দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিজেই তাঁকে এরশাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
রওনকুল হক চৌধুরীর সেই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিদিশা তাঁর বই ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’-এ বিস্তারিত লিখেছেন। সেখান থেকে একটু তুলে দিলাম।
‘আমরা ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। তবে একসঙ্গে নয়, এয়ারপোর্টে ঢুকেছি আলাদা আলাদা। আমি বিদিশা উইসন হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আর এরশাদ সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে। পরিকল্পনা ছিল একই ফ্লাইটে যাব, লন্ডনে নেমে একত্রিত হব।
আমার বোর্ডিং পাস হয়ে গেছে, লাগেজ দিয়ে দিয়েছি। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনের সামনে। তখনই মোবাইলে ফোন এল এরশাদের।
–আমার একটু অসুবিধা হয়েছে। সরকার আমাকে আটকে দিয়েছে। আমি যেতে পারছি না। তুমি চলে যাও।
–আমি একা গিয়ে কী করব?
–না, না, তুমি চলে যাও। এখন তুমি না গেলে এ নিয়ে একটা স্ক্যান্ডাল হতে পারে।
–আমি ওসবের তোয়াক্কা করি না। তোমার যাওয়া না হলে আমিও যাব না।
আমি ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে এলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাউন্টারে। বললাম, আমি এই ফ্লাইটে যাচ্ছি না। আমার লাগেজ অফলোড করো।
বিদিশা লিখেছেন: ‘এই ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আর ফিসফিসানি নয়, চারদিকে সরব আলোচনা শুরু হয়। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়–এরশাদ ও বিদিশা উইসন একসঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন।
এয়ারপোর্টে এরশাদের যাওয়া বাধাগ্রস্ত হলে বিদিশাও আর যাননি।
পরদিন আমার বাসায় হাজির গোয়েন্দা সংস্থার লোক। নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা আমার পাসপোর্টটি চাইল। এরশাদ যে আমার বাসায় নিয়মিত আসেন, এটা গোপন করার কোনো বিষয় নয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তিনি যেখানেই যান, তাঁর পেছনে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও যায়। খেয়াল করেছি, আমার বাসায় থাকাকালে বাসার সামনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে অপেক্ষা করতে। তবে এ নিয়ে এরশাদের মধ্যে কোনো ধরনের লাজলজ্জা বা বিব্রতভাব দেখিনি। বরং তাঁর মতো একজন বয়স্ক লোকের প্রেমে পড়েছে আমার মতো একজন যুবতী–এ বিষয়টা প্রকাশ করার মধ্যে তিনি একধরনের বাহাদুরি অনুভব করতেন। সেটা প্রকাশও করতেন নির্দ্বিধায়।’
বিদিশার বাড়ি থেকে বের হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। পরদিন জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় দুই কলাম করে ছাপা হয় ‘নতুন বান্ধবী জোটালেন এরশাদ’। নতুন বান্ধবীর খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তুমুল আলোচনায় আসেন বিদিশা।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে বিদিশাকে ফোন করে পুরোনো তথ্যগুলো ঝালাই করে নিতেই স্বভাবসুলভ হো হো করে হাসলেন, তারপর বললেন, এত দিন পর এসব লিখে কী হবে?
আরও পড়ুন:

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথম দিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌধুরী। এসবিতে ওসি ওয়াচ পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে তখন মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ছিল না, ব্যক্তিগত সুসম্পর্কই ছিল খবর জোগাড়ের প্রধান অবলম্বন।
রওনকুল হক চৌধুরী কথায় কথায় বললেন, বড় একটি তদন্তের কাজে গুলশানে এসেছেন। অতিরিক্ত আইজিপি তাড়া দিয়েছেন দুই দিনের মধ্যে সেটা শেষ করতে হবে। তাঁর হাতে একটি খাম, তাতে একটি পাসপোর্টের ফটোকপি।
রওনকুল হকের কাছে আবদার করলাম, আমাকেও সঙ্গে নিতে হবে। আজকের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা হলে হয়তো এ ধরনের প্রস্তাব শুনে অবাক হতেন; কিন্তু রওনকুল হক চৌধুরী কোনো কথা না বলে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, মোটরসাইকেল থানায় থাক, আমার গাড়িতে ওঠেন। গুলশানের ওসি ফারুক আহমেদ তাঁকে কিছু তথ্য দিলেন। সেই তথ্য যাচাই করতে আমরা প্রথমে গেলাম বনানীর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী মার্কেটে।
এই মার্কেট তখন বেশ জমজমাট। সেই মার্কেটে ঢোকার সময় বাম কোনায় একটি নতুন ফ্যাশন হাউস। নাম ‘বুটিক ইসাবেলা’। ঢাকায় তখন ফ্যাশন হাউস শব্দটি মানুষ অত ভালো করে রপ্ত করতে পারেনি। প্রথমে গেলাম বুটিক ইসাবেলার ভেতরে।
তার আগে একটি কথা বলে রাখি, তদন্ত নিয়ে আমি তখন পর্যন্ত রওনকুল হক চৌধুরীর কাছে কোনো কিছু জানতে চাইনি। শুধু তাঁকে অনুসরণ করছি। প্রশ্ন যা করার তিনিই করছেন। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বুটিক ইসাবেলার এক কর্মচারী বললেন, এই দোকানের মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এক নারীকে দোকানটি দিয়েছেন। কীভাবে দিয়েছেন তা তিনি জানেন না। সেই নারী তাঁর মেয়ের নামে দোকানের নাম রেখেছেন ‘বুটিক ইসাবেলা’। কী নাম সেই মালিকের? দোকানি থতমত খেলেন। জানালেন, তাঁর নাম মিসেস উইসন।
উইসন শুনে রওনকুল হক চৌধুরী পাসপোর্টের ফটোকপিটি নিজে দেখলেন, আমাকে দেখালেন। দেখি, ঝাঁকড়া চুলের এক নারীর ছবি। নাম বিদিশা সিদ্দিক উইসন। স্বামীর নাম পিটার স্টুয়ার্ট উইসন। কর্মচারীর কাছে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর বললেন, ম্যাডাম গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে থাকেন। বাড়ির নম্বরও দিলেন।
এবার আমাদের গন্তব্য সেই বাড়ি। তার আগে বিদিশা সিদ্দিকের পরিচয়টা একটু বলে রাখি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, নামকরা কবি আবুবকর সিদ্দিকের বড় মেয়ে বিদিশা।
১৯৮০ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হয়ে আসেন পিটার। ১৯৮৫ সালে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেন আবুবকর সিদ্দিক। পিটারের নাম হয় পারভেজ আহমেদ। বিয়ের পর পিটার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যান। সেখানে এক ছেলে ও এক মেয়ের মা হন বিদিশা। ইতিমধ্যে ফ্যাশনে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের দিকে ঢাকায় ফিরে এসে ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা শুরু করেন। তখন তিনি গুলশানে বাসা ভাড়া নেন।
গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের সেই বাড়িতে আমরা গিয়ে দেখি দোতলা বাড়ি, নিচতলায় বায়িং হাউস, ওপরে এক নারী একা থাকেন। কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, আমার নাম বিদিশা। বলেন, কী জানতে চান? শুরু হলো রওনকুল হকের জেরা। দু-একটি প্রশ্ন শুনেই একটা স্কুপ নিউজের গন্ধ নাকে লাগে। কান খাড়া করে রাখি। কোনো কিছুই যেন মিস না হয়।
প্রথম প্রশ্ন, আপনি তো লন্ডনে যাচ্ছিলেন? বিমানবন্দরে ঢুকে বোর্ডিং করলেন, তারপর কী হলো যে ফিরে এলেন? কী এমন ঘটল যে, লন্ডনযাত্রা স্থগিত করতে হলো?
সামনে বসা নারীকে দেখে বেশ ঋজু মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আমাকে অবাক করল। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। আমি কোথায় যাব, যাব না, সেটা আমার ব্যাপার। কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পারেন না।
রওনকুল হক চৌধুরীও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বললেন, ম্যাডাম, সবই ঠিক আছে। কিন্তু যে সন্দেহ করে এসবি আপনার পাসপোর্ট নিয়েছে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন না। আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এখন আপনার উচিত আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করা।
এবার সেই নারী কিছুটা নরম হলেন। কোনো রকম রাখঢাক না করে একে একে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
রওনকুল হক চৌধুরী আবার জানতে চাইলেন:
–কাল আপনার লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। বোর্ডিং পাস নেওয়ার পরও আপনি যাননি কেন?
–পারসোনাল কারণ।
–ওই একই ফ্লাইটে এরশাদেরও যাওয়ার কথা ছিল।
–হতে পারে, সেটা তাঁর ব্যাপার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।
–এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আপনার পরিচয় নেই?
–থাকবে না কেন! আছে। কিন্তু তাতে কী? পরিচয় থাকাটা কি অন্যায়?
–এরশাদ সাহেব তো আপনার এখানে প্রায়ই আসেন।
–হ্যাঁ, আসেন। উনি আমার বিজনেস পার্টনার।
–কীভাবে পরিচয়?
–ফ্রান্স দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয়। তারপর আমাদের অনেক কথাবার্তা হয়। তিনি আমার বাসায় আসা-যাওয়া করেন।
তারপর তিনি যা বললেন, তার সার কথা হলো–এরশাদ এ ঘটনার কিছুদিন আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। ফ্রান্স দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিজেই তাঁকে এরশাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
রওনকুল হক চৌধুরীর সেই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিদিশা তাঁর বই ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’-এ বিস্তারিত লিখেছেন। সেখান থেকে একটু তুলে দিলাম।
‘আমরা ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। তবে একসঙ্গে নয়, এয়ারপোর্টে ঢুকেছি আলাদা আলাদা। আমি বিদিশা উইসন হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আর এরশাদ সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে। পরিকল্পনা ছিল একই ফ্লাইটে যাব, লন্ডনে নেমে একত্রিত হব।
আমার বোর্ডিং পাস হয়ে গেছে, লাগেজ দিয়ে দিয়েছি। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনের সামনে। তখনই মোবাইলে ফোন এল এরশাদের।
–আমার একটু অসুবিধা হয়েছে। সরকার আমাকে আটকে দিয়েছে। আমি যেতে পারছি না। তুমি চলে যাও।
–আমি একা গিয়ে কী করব?
–না, না, তুমি চলে যাও। এখন তুমি না গেলে এ নিয়ে একটা স্ক্যান্ডাল হতে পারে।
–আমি ওসবের তোয়াক্কা করি না। তোমার যাওয়া না হলে আমিও যাব না।
আমি ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে এলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাউন্টারে। বললাম, আমি এই ফ্লাইটে যাচ্ছি না। আমার লাগেজ অফলোড করো।
বিদিশা লিখেছেন: ‘এই ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আর ফিসফিসানি নয়, চারদিকে সরব আলোচনা শুরু হয়। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়–এরশাদ ও বিদিশা উইসন একসঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন।
এয়ারপোর্টে এরশাদের যাওয়া বাধাগ্রস্ত হলে বিদিশাও আর যাননি।
পরদিন আমার বাসায় হাজির গোয়েন্দা সংস্থার লোক। নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা আমার পাসপোর্টটি চাইল। এরশাদ যে আমার বাসায় নিয়মিত আসেন, এটা গোপন করার কোনো বিষয় নয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তিনি যেখানেই যান, তাঁর পেছনে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও যায়। খেয়াল করেছি, আমার বাসায় থাকাকালে বাসার সামনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে অপেক্ষা করতে। তবে এ নিয়ে এরশাদের মধ্যে কোনো ধরনের লাজলজ্জা বা বিব্রতভাব দেখিনি। বরং তাঁর মতো একজন বয়স্ক লোকের প্রেমে পড়েছে আমার মতো একজন যুবতী–এ বিষয়টা প্রকাশ করার মধ্যে তিনি একধরনের বাহাদুরি অনুভব করতেন। সেটা প্রকাশও করতেন নির্দ্বিধায়।’
বিদিশার বাড়ি থেকে বের হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। পরদিন জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় দুই কলাম করে ছাপা হয় ‘নতুন বান্ধবী জোটালেন এরশাদ’। নতুন বান্ধবীর খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তুমুল আলোচনায় আসেন বিদিশা।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে বিদিশাকে ফোন করে পুরোনো তথ্যগুলো ঝালাই করে নিতেই স্বভাবসুলভ হো হো করে হাসলেন, তারপর বললেন, এত দিন পর এসব লিখে কী হবে?
আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথম দিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌধুরী। এসবিতে ওসি ওয়াচ পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে তখন মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ছিল না, ব্যক্তিগত সুসম্পর্কই ছিল খবর জোগাড়ের প্রধান অবলম্বন।
রওনকুল হক চৌধুরী কথায় কথায় বললেন, বড় একটি তদন্তের কাজে গুলশানে এসেছেন। অতিরিক্ত আইজিপি তাড়া দিয়েছেন দুই দিনের মধ্যে সেটা শেষ করতে হবে। তাঁর হাতে একটি খাম, তাতে একটি পাসপোর্টের ফটোকপি।
রওনকুল হকের কাছে আবদার করলাম, আমাকেও সঙ্গে নিতে হবে। আজকের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা হলে হয়তো এ ধরনের প্রস্তাব শুনে অবাক হতেন; কিন্তু রওনকুল হক চৌধুরী কোনো কথা না বলে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, মোটরসাইকেল থানায় থাক, আমার গাড়িতে ওঠেন। গুলশানের ওসি ফারুক আহমেদ তাঁকে কিছু তথ্য দিলেন। সেই তথ্য যাচাই করতে আমরা প্রথমে গেলাম বনানীর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী মার্কেটে।
এই মার্কেট তখন বেশ জমজমাট। সেই মার্কেটে ঢোকার সময় বাম কোনায় একটি নতুন ফ্যাশন হাউস। নাম ‘বুটিক ইসাবেলা’। ঢাকায় তখন ফ্যাশন হাউস শব্দটি মানুষ অত ভালো করে রপ্ত করতে পারেনি। প্রথমে গেলাম বুটিক ইসাবেলার ভেতরে।
তার আগে একটি কথা বলে রাখি, তদন্ত নিয়ে আমি তখন পর্যন্ত রওনকুল হক চৌধুরীর কাছে কোনো কিছু জানতে চাইনি। শুধু তাঁকে অনুসরণ করছি। প্রশ্ন যা করার তিনিই করছেন। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বুটিক ইসাবেলার এক কর্মচারী বললেন, এই দোকানের মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এক নারীকে দোকানটি দিয়েছেন। কীভাবে দিয়েছেন তা তিনি জানেন না। সেই নারী তাঁর মেয়ের নামে দোকানের নাম রেখেছেন ‘বুটিক ইসাবেলা’। কী নাম সেই মালিকের? দোকানি থতমত খেলেন। জানালেন, তাঁর নাম মিসেস উইসন।
উইসন শুনে রওনকুল হক চৌধুরী পাসপোর্টের ফটোকপিটি নিজে দেখলেন, আমাকে দেখালেন। দেখি, ঝাঁকড়া চুলের এক নারীর ছবি। নাম বিদিশা সিদ্দিক উইসন। স্বামীর নাম পিটার স্টুয়ার্ট উইসন। কর্মচারীর কাছে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর বললেন, ম্যাডাম গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে থাকেন। বাড়ির নম্বরও দিলেন।
এবার আমাদের গন্তব্য সেই বাড়ি। তার আগে বিদিশা সিদ্দিকের পরিচয়টা একটু বলে রাখি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, নামকরা কবি আবুবকর সিদ্দিকের বড় মেয়ে বিদিশা।
১৯৮০ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হয়ে আসেন পিটার। ১৯৮৫ সালে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেন আবুবকর সিদ্দিক। পিটারের নাম হয় পারভেজ আহমেদ। বিয়ের পর পিটার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যান। সেখানে এক ছেলে ও এক মেয়ের মা হন বিদিশা। ইতিমধ্যে ফ্যাশনে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের দিকে ঢাকায় ফিরে এসে ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা শুরু করেন। তখন তিনি গুলশানে বাসা ভাড়া নেন।
গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের সেই বাড়িতে আমরা গিয়ে দেখি দোতলা বাড়ি, নিচতলায় বায়িং হাউস, ওপরে এক নারী একা থাকেন। কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, আমার নাম বিদিশা। বলেন, কী জানতে চান? শুরু হলো রওনকুল হকের জেরা। দু-একটি প্রশ্ন শুনেই একটা স্কুপ নিউজের গন্ধ নাকে লাগে। কান খাড়া করে রাখি। কোনো কিছুই যেন মিস না হয়।
প্রথম প্রশ্ন, আপনি তো লন্ডনে যাচ্ছিলেন? বিমানবন্দরে ঢুকে বোর্ডিং করলেন, তারপর কী হলো যে ফিরে এলেন? কী এমন ঘটল যে, লন্ডনযাত্রা স্থগিত করতে হলো?
সামনে বসা নারীকে দেখে বেশ ঋজু মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আমাকে অবাক করল। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। আমি কোথায় যাব, যাব না, সেটা আমার ব্যাপার। কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পারেন না।
রওনকুল হক চৌধুরীও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বললেন, ম্যাডাম, সবই ঠিক আছে। কিন্তু যে সন্দেহ করে এসবি আপনার পাসপোর্ট নিয়েছে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন না। আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এখন আপনার উচিত আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করা।
এবার সেই নারী কিছুটা নরম হলেন। কোনো রকম রাখঢাক না করে একে একে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
রওনকুল হক চৌধুরী আবার জানতে চাইলেন:
–কাল আপনার লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। বোর্ডিং পাস নেওয়ার পরও আপনি যাননি কেন?
–পারসোনাল কারণ।
–ওই একই ফ্লাইটে এরশাদেরও যাওয়ার কথা ছিল।
–হতে পারে, সেটা তাঁর ব্যাপার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।
–এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আপনার পরিচয় নেই?
–থাকবে না কেন! আছে। কিন্তু তাতে কী? পরিচয় থাকাটা কি অন্যায়?
–এরশাদ সাহেব তো আপনার এখানে প্রায়ই আসেন।
–হ্যাঁ, আসেন। উনি আমার বিজনেস পার্টনার।
–কীভাবে পরিচয়?
–ফ্রান্স দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয়। তারপর আমাদের অনেক কথাবার্তা হয়। তিনি আমার বাসায় আসা-যাওয়া করেন।
তারপর তিনি যা বললেন, তার সার কথা হলো–এরশাদ এ ঘটনার কিছুদিন আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। ফ্রান্স দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিজেই তাঁকে এরশাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
রওনকুল হক চৌধুরীর সেই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিদিশা তাঁর বই ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’-এ বিস্তারিত লিখেছেন। সেখান থেকে একটু তুলে দিলাম।
‘আমরা ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। তবে একসঙ্গে নয়, এয়ারপোর্টে ঢুকেছি আলাদা আলাদা। আমি বিদিশা উইসন হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আর এরশাদ সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে। পরিকল্পনা ছিল একই ফ্লাইটে যাব, লন্ডনে নেমে একত্রিত হব।
আমার বোর্ডিং পাস হয়ে গেছে, লাগেজ দিয়ে দিয়েছি। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনের সামনে। তখনই মোবাইলে ফোন এল এরশাদের।
–আমার একটু অসুবিধা হয়েছে। সরকার আমাকে আটকে দিয়েছে। আমি যেতে পারছি না। তুমি চলে যাও।
–আমি একা গিয়ে কী করব?
–না, না, তুমি চলে যাও। এখন তুমি না গেলে এ নিয়ে একটা স্ক্যান্ডাল হতে পারে।
–আমি ওসবের তোয়াক্কা করি না। তোমার যাওয়া না হলে আমিও যাব না।
আমি ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে এলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাউন্টারে। বললাম, আমি এই ফ্লাইটে যাচ্ছি না। আমার লাগেজ অফলোড করো।
বিদিশা লিখেছেন: ‘এই ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আর ফিসফিসানি নয়, চারদিকে সরব আলোচনা শুরু হয়। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়–এরশাদ ও বিদিশা উইসন একসঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন।
এয়ারপোর্টে এরশাদের যাওয়া বাধাগ্রস্ত হলে বিদিশাও আর যাননি।
পরদিন আমার বাসায় হাজির গোয়েন্দা সংস্থার লোক। নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা আমার পাসপোর্টটি চাইল। এরশাদ যে আমার বাসায় নিয়মিত আসেন, এটা গোপন করার কোনো বিষয় নয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তিনি যেখানেই যান, তাঁর পেছনে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও যায়। খেয়াল করেছি, আমার বাসায় থাকাকালে বাসার সামনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে অপেক্ষা করতে। তবে এ নিয়ে এরশাদের মধ্যে কোনো ধরনের লাজলজ্জা বা বিব্রতভাব দেখিনি। বরং তাঁর মতো একজন বয়স্ক লোকের প্রেমে পড়েছে আমার মতো একজন যুবতী–এ বিষয়টা প্রকাশ করার মধ্যে তিনি একধরনের বাহাদুরি অনুভব করতেন। সেটা প্রকাশও করতেন নির্দ্বিধায়।’
বিদিশার বাড়ি থেকে বের হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। পরদিন জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় দুই কলাম করে ছাপা হয় ‘নতুন বান্ধবী জোটালেন এরশাদ’। নতুন বান্ধবীর খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তুমুল আলোচনায় আসেন বিদিশা।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে বিদিশাকে ফোন করে পুরোনো তথ্যগুলো ঝালাই করে নিতেই স্বভাবসুলভ হো হো করে হাসলেন, তারপর বললেন, এত দিন পর এসব লিখে কী হবে?
আরও পড়ুন:

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথম দিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌধুরী। এসবিতে ওসি ওয়াচ পদটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের হাতে তখন মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ছিল না, ব্যক্তিগত সুসম্পর্কই ছিল খবর জোগাড়ের প্রধান অবলম্বন।
রওনকুল হক চৌধুরী কথায় কথায় বললেন, বড় একটি তদন্তের কাজে গুলশানে এসেছেন। অতিরিক্ত আইজিপি তাড়া দিয়েছেন দুই দিনের মধ্যে সেটা শেষ করতে হবে। তাঁর হাতে একটি খাম, তাতে একটি পাসপোর্টের ফটোকপি।
রওনকুল হকের কাছে আবদার করলাম, আমাকেও সঙ্গে নিতে হবে। আজকের দিনের পুলিশ কর্মকর্তারা হলে হয়তো এ ধরনের প্রস্তাব শুনে অবাক হতেন; কিন্তু রওনকুল হক চৌধুরী কোনো কথা না বলে রাজি হয়ে গেলেন। বললেন, মোটরসাইকেল থানায় থাক, আমার গাড়িতে ওঠেন। গুলশানের ওসি ফারুক আহমেদ তাঁকে কিছু তথ্য দিলেন। সেই তথ্য যাচাই করতে আমরা প্রথমে গেলাম বনানীর বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী মার্কেটে।
এই মার্কেট তখন বেশ জমজমাট। সেই মার্কেটে ঢোকার সময় বাম কোনায় একটি নতুন ফ্যাশন হাউস। নাম ‘বুটিক ইসাবেলা’। ঢাকায় তখন ফ্যাশন হাউস শব্দটি মানুষ অত ভালো করে রপ্ত করতে পারেনি। প্রথমে গেলাম বুটিক ইসাবেলার ভেতরে।
তার আগে একটি কথা বলে রাখি, তদন্ত নিয়ে আমি তখন পর্যন্ত রওনকুল হক চৌধুরীর কাছে কোনো কিছু জানতে চাইনি। শুধু তাঁকে অনুসরণ করছি। প্রশ্ন যা করার তিনিই করছেন। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বুটিক ইসাবেলার এক কর্মচারী বললেন, এই দোকানের মালিক সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি এক নারীকে দোকানটি দিয়েছেন। কীভাবে দিয়েছেন তা তিনি জানেন না। সেই নারী তাঁর মেয়ের নামে দোকানের নাম রেখেছেন ‘বুটিক ইসাবেলা’। কী নাম সেই মালিকের? দোকানি থতমত খেলেন। জানালেন, তাঁর নাম মিসেস উইসন।
উইসন শুনে রওনকুল হক চৌধুরী পাসপোর্টের ফটোকপিটি নিজে দেখলেন, আমাকে দেখালেন। দেখি, ঝাঁকড়া চুলের এক নারীর ছবি। নাম বিদিশা সিদ্দিক উইসন। স্বামীর নাম পিটার স্টুয়ার্ট উইসন। কর্মচারীর কাছে পুলিশ পরিচয় দেওয়ার পর বললেন, ম্যাডাম গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কে থাকেন। বাড়ির নম্বরও দিলেন।
এবার আমাদের গন্তব্য সেই বাড়ি। তার আগে বিদিশা সিদ্দিকের পরিচয়টা একটু বলে রাখি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক, নামকরা কবি আবুবকর সিদ্দিকের বড় মেয়ে বিদিশা।
১৯৮০ সালের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি শিক্ষক হয়ে আসেন পিটার। ১৯৮৫ সালে সেই শিক্ষকের সঙ্গে কিশোরী কন্যাকে বিয়ে দেন আবুবকর সিদ্দিক। পিটারের নাম হয় পারভেজ আহমেদ। বিয়ের পর পিটার তাঁকে লন্ডনে নিয়ে যান। সেখানে এক ছেলে ও এক মেয়ের মা হন বিদিশা। ইতিমধ্যে ফ্যাশনে উচ্চতর ডিগ্রি নেন তিনি। ১৯৯৫ সালের দিকে ঢাকায় ফিরে এসে ফ্যাশন হাউসের ব্যবসা শুরু করেন। তখন তিনি গুলশানে বাসা ভাড়া নেন।
গুলশানের ৯০ নম্বর সড়কের সেই বাড়িতে আমরা গিয়ে দেখি দোতলা বাড়ি, নিচতলায় বায়িং হাউস, ওপরে এক নারী একা থাকেন। কলিংবেল বাজাতেই দরজা খুলে দিলেন। পরিচয় দিয়ে বললেন, আমার নাম বিদিশা। বলেন, কী জানতে চান? শুরু হলো রওনকুল হকের জেরা। দু-একটি প্রশ্ন শুনেই একটা স্কুপ নিউজের গন্ধ নাকে লাগে। কান খাড়া করে রাখি। কোনো কিছুই যেন মিস না হয়।
প্রথম প্রশ্ন, আপনি তো লন্ডনে যাচ্ছিলেন? বিমানবন্দরে ঢুকে বোর্ডিং করলেন, তারপর কী হলো যে ফিরে এলেন? কী এমন ঘটল যে, লন্ডনযাত্রা স্থগিত করতে হলো?
সামনে বসা নারীকে দেখে বেশ ঋজু মনে হচ্ছিল। কিন্তু তাঁর দৃঢ় আত্মবিশ্বাস আমাকে অবাক করল। তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে বললেন, এটা আমার ব্যক্তিগত অধিকার। আমি কোথায় যাব, যাব না, সেটা আমার ব্যাপার। কাউকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নই। আপনি আমাকে এ প্রশ্ন করতে পারেন না।
রওনকুল হক চৌধুরীও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি বললেন, ম্যাডাম, সবই ঠিক আছে। কিন্তু যে সন্দেহ করে এসবি আপনার পাসপোর্ট নিয়েছে, সেটা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আপনি পাসপোর্ট ফেরত পাবেন না। আর দেশের বাইরেও যেতে পারবেন না। এখন আপনার উচিত আমার সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সহযোগিতা করা।
এবার সেই নারী কিছুটা নরম হলেন। কোনো রকম রাখঢাক না করে একে একে প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন।
রওনকুল হক চৌধুরী আবার জানতে চাইলেন:
–কাল আপনার লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল। বোর্ডিং পাস নেওয়ার পরও আপনি যাননি কেন?
–পারসোনাল কারণ।
–ওই একই ফ্লাইটে এরশাদেরও যাওয়ার কথা ছিল।
–হতে পারে, সেটা তাঁর ব্যাপার। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।
–এরশাদ সাহেবের সঙ্গে আপনার পরিচয় নেই?
–থাকবে না কেন! আছে। কিন্তু তাতে কী? পরিচয় থাকাটা কি অন্যায়?
–এরশাদ সাহেব তো আপনার এখানে প্রায়ই আসেন।
–হ্যাঁ, আসেন। উনি আমার বিজনেস পার্টনার।
–কীভাবে পরিচয়?
–ফ্রান্স দূতাবাসের একটি অনুষ্ঠানে পরিচয়। তারপর আমাদের অনেক কথাবার্তা হয়। তিনি আমার বাসায় আসা-যাওয়া করেন।
তারপর তিনি যা বললেন, তার সার কথা হলো–এরশাদ এ ঘটনার কিছুদিন আগে জেল থেকে বের হয়েছেন। ফ্রান্স দূতাবাসের এক অনুষ্ঠানে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত নিজেই তাঁকে এরশাদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। সেই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়।
রওনকুল হক চৌধুরীর সেই জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে বিদিশা তাঁর বই ‘শত্রুর সঙ্গে বসবাস’-এ বিস্তারিত লিখেছেন। সেখান থেকে একটু তুলে দিলাম।
‘আমরা ইংল্যান্ড যাচ্ছিলাম। তবে একসঙ্গে নয়, এয়ারপোর্টে ঢুকেছি আলাদা আলাদা। আমি বিদিশা উইসন হিসেবে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে। আর এরশাদ সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে। পরিকল্পনা ছিল একই ফ্লাইটে যাব, লন্ডনে নেমে একত্রিত হব।
আমার বোর্ডিং পাস হয়ে গেছে, লাগেজ দিয়ে দিয়েছি। বোর্ডিং পাস নিয়ে ইমিগ্রেশনের সামনে। তখনই মোবাইলে ফোন এল এরশাদের।
–আমার একটু অসুবিধা হয়েছে। সরকার আমাকে আটকে দিয়েছে। আমি যেতে পারছি না। তুমি চলে যাও।
–আমি একা গিয়ে কী করব?
–না, না, তুমি চলে যাও। এখন তুমি না গেলে এ নিয়ে একটা স্ক্যান্ডাল হতে পারে।
–আমি ওসবের তোয়াক্কা করি না। তোমার যাওয়া না হলে আমিও যাব না।
আমি ইমিগ্রেশন থেকে ফিরে এলাম ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাউন্টারে। বললাম, আমি এই ফ্লাইটে যাচ্ছি না। আমার লাগেজ অফলোড করো।
বিদিশা লিখেছেন: ‘এই ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক নিয়ে আর ফিসফিসানি নয়, চারদিকে সরব আলোচনা শুরু হয়। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হয়–এরশাদ ও বিদিশা উইসন একসঙ্গে লন্ডনে যাচ্ছিলেন।
এয়ারপোর্টে এরশাদের যাওয়া বাধাগ্রস্ত হলে বিদিশাও আর যাননি।
পরদিন আমার বাসায় হাজির গোয়েন্দা সংস্থার লোক। নিজেদের পরিচয় দিয়ে তাঁরা আমার পাসপোর্টটি চাইল। এরশাদ যে আমার বাসায় নিয়মিত আসেন, এটা গোপন করার কোনো বিষয় নয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট হওয়ার কারণে তিনি যেখানেই যান, তাঁর পেছনে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও যায়। খেয়াল করেছি, আমার বাসায় থাকাকালে বাসার সামনে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে অপেক্ষা করতে। তবে এ নিয়ে এরশাদের মধ্যে কোনো ধরনের লাজলজ্জা বা বিব্রতভাব দেখিনি। বরং তাঁর মতো একজন বয়স্ক লোকের প্রেমে পড়েছে আমার মতো একজন যুবতী–এ বিষয়টা প্রকাশ করার মধ্যে তিনি একধরনের বাহাদুরি অনুভব করতেন। সেটা প্রকাশও করতেন নির্দ্বিধায়।’
বিদিশার বাড়ি থেকে বের হতে হতে বিকেল হয়ে যায়। পরদিন জনকণ্ঠের প্রথম পাতায় দুই কলাম করে ছাপা হয় ‘নতুন বান্ধবী জোটালেন এরশাদ’। নতুন বান্ধবীর খবর ফাঁস হতেই চারদিকে হইচই পড়ে যায়। তুমুল আলোচনায় আসেন বিদিশা।
আজকের ‘আষাঢ়ে নয়’ লেখার আগে বিদিশাকে ফোন করে পুরোনো তথ্যগুলো ঝালাই করে নিতেই স্বভাবসুলভ হো হো করে হাসলেন, তারপর বললেন, এত দিন পর এসব লিখে কী হবে?
আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৬ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গুলশান-১ ও ২ গোলচত্বরের মাঝামাঝি একটি পুরোনো বাড়িতে ছিল গুলশান থানা। দোতলা বাড়ির নিচতলায় থানা, ওপরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিবার নিয়ে থাকেন। তখনকার ওসি ফারুক আহমেদের সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। ১৯৯৯ সালের প্রথমদিকে এক দুপুরে তাঁর সামনে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর সেখানে আসেন এসবির ওসি ওয়াচ রওনকুল হক চৌ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৫ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৫ দিন আগে