কামরুল হাসান

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশানো মুড়ি খাচ্ছেন। সামনে অস্ত্র হাতে র্যাবের দুজন সদস্য। কাছে গিয়ে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা লোকটির সঙ্গে তাঁরা গল্প করছেন।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের গল্প শুনে হ্যান্ডকাপ পরা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম–আপনার নাম কী? লোকটি অস্ত্রধারীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, মো. আবদুল হান্নান। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন বললেন, আরে ব্যাটা বল, পিচ্চি হান্নান। লোকটি নীরব। আমি বললাম, ও! কারওয়ান বাজারের হান্নান? এবার তিনি মাথা নাড়লেন। একটু পরেই ডাক পড়ল অধিনায়কের কক্ষ থেকে। আমাকে দেখে চৌধুরী ফজলুল বারী বললেন, পিচ্চি হান্নানকে দেখলেন? ওকে নিয়ে অভিযানে বের হব, খবর পাবেন।
খবর পেলাম ঠিকই। সেই অভিযান হলো ২০০৪ সালের ২৬ জুন রাতে। পরদিন সব কাগজে বড় বড় হেডলাইনে ছাপা হলো—র্যাবের ক্রসফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত। ক্রসফায়ারের ‘হাতেখড়ি’ নিল র্যাব। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
আমরা যাঁরা ক্রাইম রিপোর্টিং করতাম, তাঁরা এই হান্নানদের অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতাম না। সেটা অবশ্য সন্ত্রাসী হুমকির জন্য নয়, তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। তখন প্রতি রাতেই গোলাগুলি হতো। আজ কারওয়ান বাজারে বন্দুকযুদ্ধ, তো কাল তেজকুনিপাড়ায়, পরশু রেলগেটে। পরদিন রাজাবাজারে। গোলাগুলি হলেই নাওয়া–খাওয়া বাদ দিয়ে ছুটতে হতো ঘটনাস্থলে। একদিন দেখা গেল, রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি গেছি, হঠাৎ অফিস থেকে ফোন— মালিবাগে গোলাগুলি হচ্ছে। দিলাম দৌড়। এভাবে চলছিল মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসীদের থামাতে প্রথম গঠন করল র্যাপিড অ্যাকশন টিম–সংক্ষেপে `র্যাট’। ডিসি মাজহারুল হক ছিলেন এর প্রধান। র্যাটের নাম নিয়ে লোকে হাসাহাসি করত। বলত ‘ইঁদুর বাহিনী’। পরে র্যাট বিলুপ্ত করে বানানো হলো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা মাঠে এসেই শুরু করে দিল ক্রসফায়ার। যদিও সে সময় সন্ত্রাসীদের একটি বড় অংশ বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রশ্রয় পেয়ে আসছিল। শীর্ষসন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানও ছিলেন সেই তালিকার একজন।
যত দূর মনে পড়ে, হাতিরপুলে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে ছিল হান্নানের শ্বশুরবাড়ি। এ এলাকায় আরেক হান্নান ছিলেন, যিনি লিয়াকতের ঘনিষ্ঠ। সেই হান্নান রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। দৈহিক গড়নে দুই হান্নানের মধ্যে কারওয়ান বাজারের হান্নান খাটো হওয়ায় সবাই তাঁকে পিচ্চি হান্নান নামে ডাকতে শুরু করে। সেই থেকে অপরাধজগতে তিনি পরিচয় পেয়ে যান পিচ্চি হান্নান নামে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা তখন বলেছিলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের চরদুখিয়া ইউনিয়নের ওয়াজিউল্লাহর পাঁচ সন্তানের দ্বিতীয় ছিলেন হান্নান। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর বাবার কাঁচামালের ব্যবসায় সহযোগিতা করতে চলে আসেন ঢাকায়, কারওয়ান বাজারে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়া। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে তখন মাদক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সেই আস্তানা পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন হান্নান। ওই সময় কারওয়ান বাজারের উল্টো দিকে স্টার বেকারির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় তাঁর দল। সেখানে গুলি করে রানা নামের এক যুবককে হত্যা করে। এরপরই ঢাকার অপরাধজগতে নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সরকারি দলের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তিদের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর।
‘৯৬–৯৭ সালের পর খুব অল্প দিনের মধ্যে রাজধানীর একটি বড় অংশের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে হান্নানের হাতে। শুরু করেন চাঁদাবাজি। খুব অল্প দিনেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। ব্যবসাও শুরু করেন।
পিচ্চি হান্নান চলাফেরা করতেন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেহরক্ষী চারপাশ ঘিরে থাকত। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। কোনো এলাকায় তিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে অগ্রবর্তী দল গিয়ে সংকেত দিত, এরপর তিনি রওনা হতেন। কেউ তাঁর কর্মকাণ্ডে বাধা দিলেই খুন করতেন। এভাবে তাঁর হাতে খুন হয়ে যান বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, ওয়ার্ড কমিশনার শাহাদাত হোসেন, এসআই হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে। ২০০৪ সালে ধরা পড়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি খুনের মামলা ছিল।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার যেসব সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে, তাঁদের অনেকের সঙ্গে পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এর মধ্যে মিল ব্যারাকের কচি একজন। এ ছাড়া সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, টিক্কা, জয়, কিলার আব্বাস, নিটেল, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই সাগরের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁরা রাজধানীতে এলাকা ভাগাভাগি করে চাঁদাবাজি করতেন।
ওই সময় চলচ্চিত্রেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পিচ্চি হান্নান। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে। শাহাবুদ্দিন পিচ্চি হান্নানকে সামাল দিতে আরেকটি গ্রুপ ভাড়া করেন। এ ছাড়া শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন দপ্তরে পিচ্চি হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতে শুরু করেন। এতে প্রশাসনের নজর পড়ে যায় হান্নানের ওপর। পিচ্চি হান্নান নিহত হওয়ার পর শাহাবুদ্দিনও ক্রসফায়ারে নিহত হন।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, একজন সাবেক সাংসদকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পিচ্চি হান্নান। তাঁকে ধরতেই হবে। ২০০৪ সালের ২৪ জুন রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। হান্নান সে সময় দলবল নিয়ে বৈঠকে বসে ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সবাই। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিতে হান্নান আহত হন। ভর্তি হন আশুলিয়ার ইনসাফ ক্লিনিকে।
পরদিন সেই ক্লিনিকে অভিযান চালান র্যাবের ক্যাপ্টেন কাজী আলমগীর ও লেফটেন্যান্ট আরমান। তাঁরা দেখতে পান, হাসপাতালের দোতলায় একটি ছোট ঘরে শুয়ে আছেন হান্নান। তিনি প্রথমে নিজেকে সাইফুল পরিচয় দেন। পাশের বিছানায় বসে থাকা সাহেব আলী নিজেকে হান্নানের ভাই পরিচয় দেন। তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিচয় প্রকাশ করেই উপস্থিত র্যাব কর্মকর্তাদের হান্নান বলেন, ‘স্যার, আমাকে গ্রেপ্তার করে লাভ নেই। তার চেয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। আপনাদের ৫০ লাখ টাকা দিই, নিয়ে চলে যান। যদি মনে করেন আরও বেশি টাকার দরকার, সেটাও বলতে পারেন।’ এ সময় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপাতত র্যাব কার্যালয়ে চলো। হান্নানের সঙ্গে ধরা পড়েন সাহেব আলী ও নিটেল। এই নিটেল ছিলেন কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী। কালা জাহাঙ্গীরের মা পেয়ারা বেগম আমাকে নিটেলের কথা বলেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করতেন নিটেল। পরে তিনিও ক্রসফায়ারে মারা যান।
২০০৪ সালের ২৬ জুন পিচ্চি হান্নানকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে সাংবাদিকদের ডাকা হয় র্যাব কার্যালয়ে। আমরা গিয়ে দেখি পিচ্চি হান্নানকে, সাদা শার্ট ও সাদা চাদর পরে মেঝেতে পড়ে আছে পিচ্চি হান্নানের দেহ। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। বাঁ পায়েও আরেকটি ব্যান্ডেজ। হাতে-পায়ে পুরোনো অসংখ্য কাটা চিহ্ন। বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল নেই।
অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে তৈরি সাম্রাজ্য ও বৈভব যার, সেই হান্নানের পরিণতি এমনই। নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুরে গ্রাম যার শেষ আশ্রয়।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশানো মুড়ি খাচ্ছেন। সামনে অস্ত্র হাতে র্যাবের দুজন সদস্য। কাছে গিয়ে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা লোকটির সঙ্গে তাঁরা গল্প করছেন।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের গল্প শুনে হ্যান্ডকাপ পরা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম–আপনার নাম কী? লোকটি অস্ত্রধারীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, মো. আবদুল হান্নান। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন বললেন, আরে ব্যাটা বল, পিচ্চি হান্নান। লোকটি নীরব। আমি বললাম, ও! কারওয়ান বাজারের হান্নান? এবার তিনি মাথা নাড়লেন। একটু পরেই ডাক পড়ল অধিনায়কের কক্ষ থেকে। আমাকে দেখে চৌধুরী ফজলুল বারী বললেন, পিচ্চি হান্নানকে দেখলেন? ওকে নিয়ে অভিযানে বের হব, খবর পাবেন।
খবর পেলাম ঠিকই। সেই অভিযান হলো ২০০৪ সালের ২৬ জুন রাতে। পরদিন সব কাগজে বড় বড় হেডলাইনে ছাপা হলো—র্যাবের ক্রসফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত। ক্রসফায়ারের ‘হাতেখড়ি’ নিল র্যাব। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
আমরা যাঁরা ক্রাইম রিপোর্টিং করতাম, তাঁরা এই হান্নানদের অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতাম না। সেটা অবশ্য সন্ত্রাসী হুমকির জন্য নয়, তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। তখন প্রতি রাতেই গোলাগুলি হতো। আজ কারওয়ান বাজারে বন্দুকযুদ্ধ, তো কাল তেজকুনিপাড়ায়, পরশু রেলগেটে। পরদিন রাজাবাজারে। গোলাগুলি হলেই নাওয়া–খাওয়া বাদ দিয়ে ছুটতে হতো ঘটনাস্থলে। একদিন দেখা গেল, রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি গেছি, হঠাৎ অফিস থেকে ফোন— মালিবাগে গোলাগুলি হচ্ছে। দিলাম দৌড়। এভাবে চলছিল মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসীদের থামাতে প্রথম গঠন করল র্যাপিড অ্যাকশন টিম–সংক্ষেপে `র্যাট’। ডিসি মাজহারুল হক ছিলেন এর প্রধান। র্যাটের নাম নিয়ে লোকে হাসাহাসি করত। বলত ‘ইঁদুর বাহিনী’। পরে র্যাট বিলুপ্ত করে বানানো হলো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা মাঠে এসেই শুরু করে দিল ক্রসফায়ার। যদিও সে সময় সন্ত্রাসীদের একটি বড় অংশ বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রশ্রয় পেয়ে আসছিল। শীর্ষসন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানও ছিলেন সেই তালিকার একজন।
যত দূর মনে পড়ে, হাতিরপুলে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে ছিল হান্নানের শ্বশুরবাড়ি। এ এলাকায় আরেক হান্নান ছিলেন, যিনি লিয়াকতের ঘনিষ্ঠ। সেই হান্নান রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। দৈহিক গড়নে দুই হান্নানের মধ্যে কারওয়ান বাজারের হান্নান খাটো হওয়ায় সবাই তাঁকে পিচ্চি হান্নান নামে ডাকতে শুরু করে। সেই থেকে অপরাধজগতে তিনি পরিচয় পেয়ে যান পিচ্চি হান্নান নামে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা তখন বলেছিলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের চরদুখিয়া ইউনিয়নের ওয়াজিউল্লাহর পাঁচ সন্তানের দ্বিতীয় ছিলেন হান্নান। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর বাবার কাঁচামালের ব্যবসায় সহযোগিতা করতে চলে আসেন ঢাকায়, কারওয়ান বাজারে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়া। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে তখন মাদক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সেই আস্তানা পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন হান্নান। ওই সময় কারওয়ান বাজারের উল্টো দিকে স্টার বেকারির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় তাঁর দল। সেখানে গুলি করে রানা নামের এক যুবককে হত্যা করে। এরপরই ঢাকার অপরাধজগতে নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সরকারি দলের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তিদের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর।
‘৯৬–৯৭ সালের পর খুব অল্প দিনের মধ্যে রাজধানীর একটি বড় অংশের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে হান্নানের হাতে। শুরু করেন চাঁদাবাজি। খুব অল্প দিনেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। ব্যবসাও শুরু করেন।
পিচ্চি হান্নান চলাফেরা করতেন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেহরক্ষী চারপাশ ঘিরে থাকত। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। কোনো এলাকায় তিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে অগ্রবর্তী দল গিয়ে সংকেত দিত, এরপর তিনি রওনা হতেন। কেউ তাঁর কর্মকাণ্ডে বাধা দিলেই খুন করতেন। এভাবে তাঁর হাতে খুন হয়ে যান বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, ওয়ার্ড কমিশনার শাহাদাত হোসেন, এসআই হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে। ২০০৪ সালে ধরা পড়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি খুনের মামলা ছিল।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার যেসব সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে, তাঁদের অনেকের সঙ্গে পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এর মধ্যে মিল ব্যারাকের কচি একজন। এ ছাড়া সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, টিক্কা, জয়, কিলার আব্বাস, নিটেল, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই সাগরের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁরা রাজধানীতে এলাকা ভাগাভাগি করে চাঁদাবাজি করতেন।
ওই সময় চলচ্চিত্রেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পিচ্চি হান্নান। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে। শাহাবুদ্দিন পিচ্চি হান্নানকে সামাল দিতে আরেকটি গ্রুপ ভাড়া করেন। এ ছাড়া শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন দপ্তরে পিচ্চি হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতে শুরু করেন। এতে প্রশাসনের নজর পড়ে যায় হান্নানের ওপর। পিচ্চি হান্নান নিহত হওয়ার পর শাহাবুদ্দিনও ক্রসফায়ারে নিহত হন।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, একজন সাবেক সাংসদকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পিচ্চি হান্নান। তাঁকে ধরতেই হবে। ২০০৪ সালের ২৪ জুন রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। হান্নান সে সময় দলবল নিয়ে বৈঠকে বসে ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সবাই। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিতে হান্নান আহত হন। ভর্তি হন আশুলিয়ার ইনসাফ ক্লিনিকে।
পরদিন সেই ক্লিনিকে অভিযান চালান র্যাবের ক্যাপ্টেন কাজী আলমগীর ও লেফটেন্যান্ট আরমান। তাঁরা দেখতে পান, হাসপাতালের দোতলায় একটি ছোট ঘরে শুয়ে আছেন হান্নান। তিনি প্রথমে নিজেকে সাইফুল পরিচয় দেন। পাশের বিছানায় বসে থাকা সাহেব আলী নিজেকে হান্নানের ভাই পরিচয় দেন। তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিচয় প্রকাশ করেই উপস্থিত র্যাব কর্মকর্তাদের হান্নান বলেন, ‘স্যার, আমাকে গ্রেপ্তার করে লাভ নেই। তার চেয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। আপনাদের ৫০ লাখ টাকা দিই, নিয়ে চলে যান। যদি মনে করেন আরও বেশি টাকার দরকার, সেটাও বলতে পারেন।’ এ সময় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপাতত র্যাব কার্যালয়ে চলো। হান্নানের সঙ্গে ধরা পড়েন সাহেব আলী ও নিটেল। এই নিটেল ছিলেন কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী। কালা জাহাঙ্গীরের মা পেয়ারা বেগম আমাকে নিটেলের কথা বলেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করতেন নিটেল। পরে তিনিও ক্রসফায়ারে মারা যান।
২০০৪ সালের ২৬ জুন পিচ্চি হান্নানকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে সাংবাদিকদের ডাকা হয় র্যাব কার্যালয়ে। আমরা গিয়ে দেখি পিচ্চি হান্নানকে, সাদা শার্ট ও সাদা চাদর পরে মেঝেতে পড়ে আছে পিচ্চি হান্নানের দেহ। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। বাঁ পায়েও আরেকটি ব্যান্ডেজ। হাতে-পায়ে পুরোনো অসংখ্য কাটা চিহ্ন। বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল নেই।
অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে তৈরি সাম্রাজ্য ও বৈভব যার, সেই হান্নানের পরিণতি এমনই। নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুরে গ্রাম যার শেষ আশ্রয়।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কামরুল হাসান

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশানো মুড়ি খাচ্ছেন। সামনে অস্ত্র হাতে র্যাবের দুজন সদস্য। কাছে গিয়ে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা লোকটির সঙ্গে তাঁরা গল্প করছেন।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের গল্প শুনে হ্যান্ডকাপ পরা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম–আপনার নাম কী? লোকটি অস্ত্রধারীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, মো. আবদুল হান্নান। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন বললেন, আরে ব্যাটা বল, পিচ্চি হান্নান। লোকটি নীরব। আমি বললাম, ও! কারওয়ান বাজারের হান্নান? এবার তিনি মাথা নাড়লেন। একটু পরেই ডাক পড়ল অধিনায়কের কক্ষ থেকে। আমাকে দেখে চৌধুরী ফজলুল বারী বললেন, পিচ্চি হান্নানকে দেখলেন? ওকে নিয়ে অভিযানে বের হব, খবর পাবেন।
খবর পেলাম ঠিকই। সেই অভিযান হলো ২০০৪ সালের ২৬ জুন রাতে। পরদিন সব কাগজে বড় বড় হেডলাইনে ছাপা হলো—র্যাবের ক্রসফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত। ক্রসফায়ারের ‘হাতেখড়ি’ নিল র্যাব। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
আমরা যাঁরা ক্রাইম রিপোর্টিং করতাম, তাঁরা এই হান্নানদের অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতাম না। সেটা অবশ্য সন্ত্রাসী হুমকির জন্য নয়, তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। তখন প্রতি রাতেই গোলাগুলি হতো। আজ কারওয়ান বাজারে বন্দুকযুদ্ধ, তো কাল তেজকুনিপাড়ায়, পরশু রেলগেটে। পরদিন রাজাবাজারে। গোলাগুলি হলেই নাওয়া–খাওয়া বাদ দিয়ে ছুটতে হতো ঘটনাস্থলে। একদিন দেখা গেল, রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি গেছি, হঠাৎ অফিস থেকে ফোন— মালিবাগে গোলাগুলি হচ্ছে। দিলাম দৌড়। এভাবে চলছিল মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসীদের থামাতে প্রথম গঠন করল র্যাপিড অ্যাকশন টিম–সংক্ষেপে `র্যাট’। ডিসি মাজহারুল হক ছিলেন এর প্রধান। র্যাটের নাম নিয়ে লোকে হাসাহাসি করত। বলত ‘ইঁদুর বাহিনী’। পরে র্যাট বিলুপ্ত করে বানানো হলো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা মাঠে এসেই শুরু করে দিল ক্রসফায়ার। যদিও সে সময় সন্ত্রাসীদের একটি বড় অংশ বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রশ্রয় পেয়ে আসছিল। শীর্ষসন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানও ছিলেন সেই তালিকার একজন।
যত দূর মনে পড়ে, হাতিরপুলে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে ছিল হান্নানের শ্বশুরবাড়ি। এ এলাকায় আরেক হান্নান ছিলেন, যিনি লিয়াকতের ঘনিষ্ঠ। সেই হান্নান রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। দৈহিক গড়নে দুই হান্নানের মধ্যে কারওয়ান বাজারের হান্নান খাটো হওয়ায় সবাই তাঁকে পিচ্চি হান্নান নামে ডাকতে শুরু করে। সেই থেকে অপরাধজগতে তিনি পরিচয় পেয়ে যান পিচ্চি হান্নান নামে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা তখন বলেছিলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের চরদুখিয়া ইউনিয়নের ওয়াজিউল্লাহর পাঁচ সন্তানের দ্বিতীয় ছিলেন হান্নান। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর বাবার কাঁচামালের ব্যবসায় সহযোগিতা করতে চলে আসেন ঢাকায়, কারওয়ান বাজারে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়া। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে তখন মাদক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সেই আস্তানা পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন হান্নান। ওই সময় কারওয়ান বাজারের উল্টো দিকে স্টার বেকারির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় তাঁর দল। সেখানে গুলি করে রানা নামের এক যুবককে হত্যা করে। এরপরই ঢাকার অপরাধজগতে নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সরকারি দলের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তিদের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর।
‘৯৬–৯৭ সালের পর খুব অল্প দিনের মধ্যে রাজধানীর একটি বড় অংশের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে হান্নানের হাতে। শুরু করেন চাঁদাবাজি। খুব অল্প দিনেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। ব্যবসাও শুরু করেন।
পিচ্চি হান্নান চলাফেরা করতেন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেহরক্ষী চারপাশ ঘিরে থাকত। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। কোনো এলাকায় তিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে অগ্রবর্তী দল গিয়ে সংকেত দিত, এরপর তিনি রওনা হতেন। কেউ তাঁর কর্মকাণ্ডে বাধা দিলেই খুন করতেন। এভাবে তাঁর হাতে খুন হয়ে যান বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, ওয়ার্ড কমিশনার শাহাদাত হোসেন, এসআই হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে। ২০০৪ সালে ধরা পড়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি খুনের মামলা ছিল।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার যেসব সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে, তাঁদের অনেকের সঙ্গে পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এর মধ্যে মিল ব্যারাকের কচি একজন। এ ছাড়া সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, টিক্কা, জয়, কিলার আব্বাস, নিটেল, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই সাগরের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁরা রাজধানীতে এলাকা ভাগাভাগি করে চাঁদাবাজি করতেন।
ওই সময় চলচ্চিত্রেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পিচ্চি হান্নান। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে। শাহাবুদ্দিন পিচ্চি হান্নানকে সামাল দিতে আরেকটি গ্রুপ ভাড়া করেন। এ ছাড়া শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন দপ্তরে পিচ্চি হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতে শুরু করেন। এতে প্রশাসনের নজর পড়ে যায় হান্নানের ওপর। পিচ্চি হান্নান নিহত হওয়ার পর শাহাবুদ্দিনও ক্রসফায়ারে নিহত হন।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, একজন সাবেক সাংসদকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পিচ্চি হান্নান। তাঁকে ধরতেই হবে। ২০০৪ সালের ২৪ জুন রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। হান্নান সে সময় দলবল নিয়ে বৈঠকে বসে ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সবাই। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিতে হান্নান আহত হন। ভর্তি হন আশুলিয়ার ইনসাফ ক্লিনিকে।
পরদিন সেই ক্লিনিকে অভিযান চালান র্যাবের ক্যাপ্টেন কাজী আলমগীর ও লেফটেন্যান্ট আরমান। তাঁরা দেখতে পান, হাসপাতালের দোতলায় একটি ছোট ঘরে শুয়ে আছেন হান্নান। তিনি প্রথমে নিজেকে সাইফুল পরিচয় দেন। পাশের বিছানায় বসে থাকা সাহেব আলী নিজেকে হান্নানের ভাই পরিচয় দেন। তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিচয় প্রকাশ করেই উপস্থিত র্যাব কর্মকর্তাদের হান্নান বলেন, ‘স্যার, আমাকে গ্রেপ্তার করে লাভ নেই। তার চেয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। আপনাদের ৫০ লাখ টাকা দিই, নিয়ে চলে যান। যদি মনে করেন আরও বেশি টাকার দরকার, সেটাও বলতে পারেন।’ এ সময় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপাতত র্যাব কার্যালয়ে চলো। হান্নানের সঙ্গে ধরা পড়েন সাহেব আলী ও নিটেল। এই নিটেল ছিলেন কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী। কালা জাহাঙ্গীরের মা পেয়ারা বেগম আমাকে নিটেলের কথা বলেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করতেন নিটেল। পরে তিনিও ক্রসফায়ারে মারা যান।
২০০৪ সালের ২৬ জুন পিচ্চি হান্নানকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে সাংবাদিকদের ডাকা হয় র্যাব কার্যালয়ে। আমরা গিয়ে দেখি পিচ্চি হান্নানকে, সাদা শার্ট ও সাদা চাদর পরে মেঝেতে পড়ে আছে পিচ্চি হান্নানের দেহ। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। বাঁ পায়েও আরেকটি ব্যান্ডেজ। হাতে-পায়ে পুরোনো অসংখ্য কাটা চিহ্ন। বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল নেই।
অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে তৈরি সাম্রাজ্য ও বৈভব যার, সেই হান্নানের পরিণতি এমনই। নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুরে গ্রাম যার শেষ আশ্রয়।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশানো মুড়ি খাচ্ছেন। সামনে অস্ত্র হাতে র্যাবের দুজন সদস্য। কাছে গিয়ে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা লোকটির সঙ্গে তাঁরা গল্প করছেন।
কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাঁদের গল্প শুনে হ্যান্ডকাপ পরা লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম–আপনার নাম কী? লোকটি অস্ত্রধারীদের দিকে তাকিয়ে বললেন, মো. আবদুল হান্নান। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রধারী একজন বললেন, আরে ব্যাটা বল, পিচ্চি হান্নান। লোকটি নীরব। আমি বললাম, ও! কারওয়ান বাজারের হান্নান? এবার তিনি মাথা নাড়লেন। একটু পরেই ডাক পড়ল অধিনায়কের কক্ষ থেকে। আমাকে দেখে চৌধুরী ফজলুল বারী বললেন, পিচ্চি হান্নানকে দেখলেন? ওকে নিয়ে অভিযানে বের হব, খবর পাবেন।
খবর পেলাম ঠিকই। সেই অভিযান হলো ২০০৪ সালের ২৬ জুন রাতে। পরদিন সব কাগজে বড় বড় হেডলাইনে ছাপা হলো—র্যাবের ক্রসফায়ারে শীর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান নিহত। ক্রসফায়ারের ‘হাতেখড়ি’ নিল র্যাব। এর পরের ইতিহাস সবার জানা।
আমরা যাঁরা ক্রাইম রিপোর্টিং করতাম, তাঁরা এই হান্নানদের অত্যাচারে ঠিকমতো ঘুমাতেও পারতাম না। সেটা অবশ্য সন্ত্রাসী হুমকির জন্য নয়, তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য। তখন প্রতি রাতেই গোলাগুলি হতো। আজ কারওয়ান বাজারে বন্দুকযুদ্ধ, তো কাল তেজকুনিপাড়ায়, পরশু রেলগেটে। পরদিন রাজাবাজারে। গোলাগুলি হলেই নাওয়া–খাওয়া বাদ দিয়ে ছুটতে হতো ঘটনাস্থলে। একদিন দেখা গেল, রাতে অফিসের কাজ শেষ করে বাড়ি গেছি, হঠাৎ অফিস থেকে ফোন— মালিবাগে গোলাগুলি হচ্ছে। দিলাম দৌড়। এভাবে চলছিল মাসের পর মাস, বছরের পর বছর।
বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাসীদের থামাতে প্রথম গঠন করল র্যাপিড অ্যাকশন টিম–সংক্ষেপে `র্যাট’। ডিসি মাজহারুল হক ছিলেন এর প্রধান। র্যাটের নাম নিয়ে লোকে হাসাহাসি করত। বলত ‘ইঁদুর বাহিনী’। পরে র্যাট বিলুপ্ত করে বানানো হলো র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তারা মাঠে এসেই শুরু করে দিল ক্রসফায়ার। যদিও সে সময় সন্ত্রাসীদের একটি বড় অংশ বিএনপির কয়েকজন নেতার প্রশ্রয় পেয়ে আসছিল। শীর্ষসন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নানও ছিলেন সেই তালিকার একজন।
যত দূর মনে পড়ে, হাতিরপুলে ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে ছিল হান্নানের শ্বশুরবাড়ি। এ এলাকায় আরেক হান্নান ছিলেন, যিনি লিয়াকতের ঘনিষ্ঠ। সেই হান্নান রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াতেন। দৈহিক গড়নে দুই হান্নানের মধ্যে কারওয়ান বাজারের হান্নান খাটো হওয়ায় সবাই তাঁকে পিচ্চি হান্নান নামে ডাকতে শুরু করে। সেই থেকে অপরাধজগতে তিনি পরিচয় পেয়ে যান পিচ্চি হান্নান নামে।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীরা তখন বলেছিলেন, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জের চরদুখিয়া ইউনিয়নের ওয়াজিউল্লাহর পাঁচ সন্তানের দ্বিতীয় ছিলেন হান্নান। ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া। এরপর বাবার কাঁচামালের ব্যবসায় সহযোগিতা করতে চলে আসেন ঢাকায়, কারওয়ান বাজারে। সেখান থেকে ধীরে ধীরে ছোটখাটো চুরি, ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়া। কারওয়ান বাজার রেললাইনের পাশে তখন মাদক বেচাকেনা শুরু হয়েছে। সেই আস্তানা পুরোপুরি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন হান্নান। ওই সময় কারওয়ান বাজারের উল্টো দিকে স্টার বেকারির পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হামলা চালায় তাঁর দল। সেখানে গুলি করে রানা নামের এক যুবককে হত্যা করে। এরপরই ঢাকার অপরাধজগতে নাম ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় সরকারি দলের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তিদের সঙ্গেও গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল তাঁর।
‘৯৬–৯৭ সালের পর খুব অল্প দিনের মধ্যে রাজধানীর একটি বড় অংশের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে হান্নানের হাতে। শুরু করেন চাঁদাবাজি। খুব অল্প দিনেই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হন। ব্যবসাও শুরু করেন।
পিচ্চি হান্নান চলাফেরা করতেন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দেহরক্ষী চারপাশ ঘিরে থাকত। তাদের প্রত্যেকের হাতে থাকত স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র। কোনো এলাকায় তিনি যাওয়ার পরিকল্পনা করলে অগ্রবর্তী দল গিয়ে সংকেত দিত, এরপর তিনি রওনা হতেন। কেউ তাঁর কর্মকাণ্ডে বাধা দিলেই খুন করতেন। এভাবে তাঁর হাতে খুন হয়ে যান বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মণ্ডল, ওয়ার্ড কমিশনার শাহাদাত হোসেন, এসআই হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে। ২০০৪ সালে ধরা পড়ার সময় তাঁর বিরুদ্ধে ২১টি খুনের মামলা ছিল।
২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার যেসব সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে, তাঁদের অনেকের সঙ্গে পিচ্চি হান্নানের ঘনিষ্ঠতা ছিল। এর মধ্যে মিল ব্যারাকের কচি একজন। এ ছাড়া সুব্রত বাইন, মোল্লা মাসুদ, টিক্কা, জয়, কিলার আব্বাস, নিটেল, কালা জাহাঙ্গীর, টোকাই সাগরের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। তাঁরা রাজধানীতে এলাকা ভাগাভাগি করে চাঁদাবাজি করতেন।
ওই সময় চলচ্চিত্রেও বিপুল টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন পিচ্চি হান্নান। তবে তিনি সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েন কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নেতা শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে। শাহাবুদ্দিন পিচ্চি হান্নানকে সামাল দিতে আরেকটি গ্রুপ ভাড়া করেন। এ ছাড়া শাহাবুদ্দিন বিভিন্ন দপ্তরে পিচ্চি হান্নানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিবরণ দিয়ে চিঠি পাঠাতে শুরু করেন। এতে প্রশাসনের নজর পড়ে যায় হান্নানের ওপর। পিচ্চি হান্নান নিহত হওয়ার পর শাহাবুদ্দিনও ক্রসফায়ারে নিহত হন।
র্যাবের একজন কর্মকর্তা আমাকে বলেছিলেন, একজন সাবেক সাংসদকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন পিচ্চি হান্নান। তাঁকে ধরতেই হবে। ২০০৪ সালের ২৪ জুন রাতে উত্তরার একটি বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। হান্নান সে সময় দলবল নিয়ে বৈঠকে বসে ছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায় সবাই। র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গুলিতে হান্নান আহত হন। ভর্তি হন আশুলিয়ার ইনসাফ ক্লিনিকে।
পরদিন সেই ক্লিনিকে অভিযান চালান র্যাবের ক্যাপ্টেন কাজী আলমগীর ও লেফটেন্যান্ট আরমান। তাঁরা দেখতে পান, হাসপাতালের দোতলায় একটি ছোট ঘরে শুয়ে আছেন হান্নান। তিনি প্রথমে নিজেকে সাইফুল পরিচয় দেন। পাশের বিছানায় বসে থাকা সাহেব আলী নিজেকে হান্নানের ভাই পরিচয় দেন। তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে র্যাব সদস্যরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরিচয় প্রকাশ করেই উপস্থিত র্যাব কর্মকর্তাদের হান্নান বলেন, ‘স্যার, আমাকে গ্রেপ্তার করে লাভ নেই। তার চেয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। আপনাদের ৫০ লাখ টাকা দিই, নিয়ে চলে যান। যদি মনে করেন আরও বেশি টাকার দরকার, সেটাও বলতে পারেন।’ এ সময় উপস্থিত একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আপাতত র্যাব কার্যালয়ে চলো। হান্নানের সঙ্গে ধরা পড়েন সাহেব আলী ও নিটেল। এই নিটেল ছিলেন কালা জাহাঙ্গীরের সহযোগী। কালা জাহাঙ্গীরের মা পেয়ারা বেগম আমাকে নিটেলের কথা বলেছিলেন। কালা জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পর তাঁর পরিবারকে দেখাশোনা করতেন নিটেল। পরে তিনিও ক্রসফায়ারে মারা যান।
২০০৪ সালের ২৬ জুন পিচ্চি হান্নানকে নিয়ে অভিযানে যায় র্যাব। অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে সাংবাদিকদের ডাকা হয় র্যাব কার্যালয়ে। আমরা গিয়ে দেখি পিচ্চি হান্নানকে, সাদা শার্ট ও সাদা চাদর পরে মেঝেতে পড়ে আছে পিচ্চি হান্নানের দেহ। বুক থেকে নাভি পর্যন্ত ব্যান্ডেজ বাঁধা। বাঁ পায়েও আরেকটি ব্যান্ডেজ। হাতে-পায়ে পুরোনো অসংখ্য কাটা চিহ্ন। বাঁ পায়ের তিনটি আঙুল নেই।
অবৈধ উপার্জনের মাধ্যমে তৈরি সাম্রাজ্য ও বৈভব যার, সেই হান্নানের পরিণতি এমনই। নিজের জন্মস্থান চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সন্তোষপুরে গ্রাম যার শেষ আশ্রয়।
আষাঢ়ে নয় সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশ
১৭ জুলাই ২০২১
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশ
১৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশ
১৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

বিমানবন্দর থেকে উত্তরার দিকে যেতে ডান পাশে র্যাব-১-এর যে ভবনটি চোখে পড়ে, তার দোতলায় বসতেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার (অধিনায়ক) লে. কর্নেল চৌধুরী ফজলুল বারী। অত শান-শওকত তখন ছিল না, চাইলে যে কেউ বিনা বাধায় ভেতরে যেতে পারত। দোতলার বারান্দায় উঠে দেখি হ্যান্ডকাফ পরা এক লোক টুলে বসে বাটিতে চানাচুর মেশ
১৭ জুলাই ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৯ দিন আগে