রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্বজুড়ে ডিজেলের দাম বেড়েছে। বেড়ে গেছে পরিশোধনকারীদের মুনাফার পরিমাণও। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষক ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের বরাতে আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈশ্বিক জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি এসপেক্টসের বিশ্লেষক নাতালিয়া লোসাদা বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার ডিজেল রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেশটির গ্যাজপ্রম নেফট ও সারগুটনেফটেগাস পরিশোধন কারখানা থেকে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ডিজেল রপ্তানির কথা রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক রাশিয়ার আয় কমাতে ১০ জানুয়ারি দেশটির তেল উৎপাদক ও ট্যাংকারের ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ভারত ও চীনে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ জাহাজগুলো, যেগুলো সাধারণত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউরোপে রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ফলে চীন ও ভারতের পরিশোধনাগারগুলো সস্তায় রাশিয়ার তেল আমদানি করে লাভবান হচ্ছিল।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সরবরাহের সংকটে ভুগছে ডিজেলের বাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজেল পরিশোধনে মুনাফার পরিমাণ ছিল গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
এদিকে রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা বাড়তেই গত সোমবার এশিয়ার ডিজেল পরিশোধনে লাভের মাত্রা ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার এটি কিছুটা কমে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১৬ দশমিক ৫০ ডলারে নামে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুটি বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ী ও পরিশোধনকারীরা জ্বালানি মূল্যে এবং পরিশোধন কার্যক্রমে অপরিশোধিত তেলের খরচ যুক্ত করছেন। রাশিয়ার ডিজেলের প্রবাহ কমে যাওয়া এশিয়ার বাজারে সরাসরি বড় প্রভাব ফেলবে না।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, ডিজেলে উচ্চ লাভের পরও এশিয়ার পরিশোধন খাতে লাভ কমে গেছে। কারণ, অপরিশোধিত তেলের দাম পরিশোধিত তেলের চেয়ে অনেক দ্রুত বেড়েছে।
দুবাইয়ের তেল বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত শুক্রবার থেকে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের ডিজেল বাজারে দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের তেল পরিশোধনে লাভের পরিমাণ ব্যারেলপ্রতি মাত্র ১৭ সেন্টে নেমে এসেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আগে রাশিয়ার ডিজেলের প্রধান ক্রেতা ছিল ইউরোপ। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার পর ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
স্পার্টা কমোডিটিজের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল-বেসউইক বলেন, ১৮৩টি নিষিদ্ধ জাহাজের মধ্যে অধিকাংশই অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে, ডিজেল নয়। তবে নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারত ও চীনের পরিশোধন কার্যক্রম কমতে পারে। তারা ইউরোপে ডিজেল উৎপাদন ও রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে।
রাশিয়ার ডিজেলের ক্রেতা তুরস্ক ও ব্রাজিল। যদি রাশিয়ার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো বিকল্প বিক্রেতাদের সন্ধান করতে হবে। এতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তবে অন্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বৈশ্বিক বাজার শিগগির নতুন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
জার্মানির তেল, গ্যাস ও জ্বালানি বাজারের বিশ্লেষণ ও পরামর্শদানকারী সংস্থা ফেরোস্টাল গ্রুপ এনার্জির বিশ্লেষক ইউজিন লিন্ডেল বলেন, ‘রাশিয়ার পণ্য প্রবাহে কোনো বড় পরিবর্তন আমরা প্রত্যাশা করছি না। কারণ, নিষেধাজ্ঞার অধীনে নয় এমন ট্যাংকার ব্যবহার করে একই পরিমাণ পণ্য একই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।’
রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্বজুড়ে ডিজেলের দাম বেড়েছে। বেড়ে গেছে পরিশোধনকারীদের মুনাফার পরিমাণও। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বিশ্লেষক ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের বরাতে আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈশ্বিক জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এনার্জি এসপেক্টসের বিশ্লেষক নাতালিয়া লোসাদা বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার ডিজেল রপ্তানি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। দেশটির গ্যাজপ্রম নেফট ও সারগুটনেফটেগাস পরিশোধন কারখানা থেকে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ডিজেল রপ্তানির কথা রয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক রাশিয়ার আয় কমাতে ১০ জানুয়ারি দেশটির তেল উৎপাদক ও ট্যাংকারের ওপর সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে অর্থনৈতিকভাবে চাপের মুখে ফেলতেই যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশল।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছে ভারত ও চীনে তেল পরিবহনে ব্যবহৃত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ জাহাজগুলো, যেগুলো সাধারণত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে চলে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর ইউরোপে রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। ফলে চীন ও ভারতের পরিশোধনাগারগুলো সস্তায় রাশিয়ার তেল আমদানি করে লাভবান হচ্ছিল।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই সরবরাহের সংকটে ভুগছে ডিজেলের বাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজেল পরিশোধনে মুনাফার পরিমাণ ছিল গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, যা ব্যারেলপ্রতি ২০ ডলারে দাঁড়িয়েছিল।
এদিকে রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা বাড়তেই গত সোমবার এশিয়ার ডিজেল পরিশোধনে লাভের মাত্রা ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ১৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরের পর এটিই সর্বোচ্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার এটি কিছুটা কমে ব্যারেলপ্রতি প্রায় ১৬ দশমিক ৫০ ডলারে নামে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুটি বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে, ব্যবসায়ী ও পরিশোধনকারীরা জ্বালানি মূল্যে এবং পরিশোধন কার্যক্রমে অপরিশোধিত তেলের খরচ যুক্ত করছেন। রাশিয়ার ডিজেলের প্রবাহ কমে যাওয়া এশিয়ার বাজারে সরাসরি বড় প্রভাব ফেলবে না।
অন্য একটি সূত্রে জানা যায়, ডিজেলে উচ্চ লাভের পরও এশিয়ার পরিশোধন খাতে লাভ কমে গেছে। কারণ, অপরিশোধিত তেলের দাম পরিশোধিত তেলের চেয়ে অনেক দ্রুত বেড়েছে।
দুবাইয়ের তেল বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম গত শুক্রবার থেকে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। তবে সিঙ্গাপুরের ডিজেল বাজারে দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের তেল পরিশোধনে লাভের পরিমাণ ব্যারেলপ্রতি মাত্র ১৭ সেন্টে নেমে এসেছে, যা পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আগে রাশিয়ার ডিজেলের প্রধান ক্রেতা ছিল ইউরোপ। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার পর ভারত, মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহের দিকে ঝুঁকে পড়ে।
স্পার্টা কমোডিটিজের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল-বেসউইক বলেন, ১৮৩টি নিষিদ্ধ জাহাজের মধ্যে অধিকাংশই অপরিশোধিত তেল ও জ্বালানি তেল পরিবহনে ব্যবহৃত হয়েছে, ডিজেল নয়। তবে নিষেধাজ্ঞা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারত ও চীনের পরিশোধন কার্যক্রম কমতে পারে। তারা ইউরোপে ডিজেল উৎপাদন ও রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে।
রাশিয়ার ডিজেলের ক্রেতা তুরস্ক ও ব্রাজিল। যদি রাশিয়ার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো বিকল্প বিক্রেতাদের সন্ধান করতে হবে। এতে ইউরোপীয় ক্রেতাদের তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তবে অন্য বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, বৈশ্বিক বাজার শিগগির নতুন নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে।
জার্মানির তেল, গ্যাস ও জ্বালানি বাজারের বিশ্লেষণ ও পরামর্শদানকারী সংস্থা ফেরোস্টাল গ্রুপ এনার্জির বিশ্লেষক ইউজিন লিন্ডেল বলেন, ‘রাশিয়ার পণ্য প্রবাহে কোনো বড় পরিবর্তন আমরা প্রত্যাশা করছি না। কারণ, নিষেধাজ্ঞার অধীনে নয় এমন ট্যাংকার ব্যবহার করে একই পরিমাণ পণ্য একই গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।’
সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চলতি মাসের ২৭ এপ্রিল থেকে কার্গো অপারেশন চালুর প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এ কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আজ বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
১০ ঘণ্টা আগেচলতি মাসে উচ্চপর্যায়ের একটি জার্মান ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে। এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা। এই প্রতিনিধিদলে জার্মান পররাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, দেশটির রপ্তানি ঋণ সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর
১৭ ঘণ্টা আগেবিশ্বখ্যাত অডিট ফার্ম পিডব্লিউসি বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিচ্ছে। বিশালাকার এই অ্যাকাউন্টিং ফার্মটির কর্তাব্যক্তিদের মতে, ছোট, ঝুঁকিপূর্ণ বা অলাভজনক বিবেচিত এক ডজনের বেশি দেশে ব্যবসা বন্ধ করেছে। কেলেঙ্কারির পুনরাবৃত্তি এড়াতেই তাদের এই পদক্ষেপ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল...
২০ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের মাত্র তিন মাস বাকি থাকলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে এখনো খরচ করা বাকি রয়েছে ১ লাখ ৪৩ হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে খরচ হয়েছে ৮২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা, যা মোট সংশোধিত এডিপির...
১ দিন আগে