চীনের বৈদ্যুতিক গাড়িকে নিজেদের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর তাতে ইউরোপের বাজারে বেড়ে যেতে পারে চীনা গাড়ির দাম। ইইউ ‘আপাতত’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর সমাধান না হলে ৪ জুলাই থেকে চীনা উৎপাদনকারীদের শুল্ক বাবদ বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। চীনে উৎপাদিত টেসলার গাড়ির ওপরও বাড়তি কর আরোপের কথা বলা হচ্ছে।
গত অক্টোবরে শুরু হওয়া ইউরোপিয়ান কমিশনের তদন্তে যারা সহযোগিতা করছে, তাঁদের জন্য শুল্ক হার হবে ২১ শতাংশ। আর যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি, তাদের জন্য শুল্ক হার ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ।
এরই মধ্যে তিন চীনা কোম্পানির জন্য সুনির্দিষ্ট শুল্ক হার ঠিক করা হয়েছে। বিওয়াইডি ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, গিলি ২০ শতাংশ, এসএআইসির গাড়ির ওপর ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের সরকারি প্রণোদনা সুবিধা পাওয়া গাড়ি পানির দরে ইউরোপের বাজারে বিক্রি হচ্ছে—এমন অভিযোগে তদন্ত চলার মধ্যেই ইইউ এ ঘোষণা দিল।
এই তদন্তকে ‘অর্থনৈতিক সংরক্ষণবাদ’ আখ্যা দিয়ে চীন বলছে, নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হলে তা হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির লঙ্ঘন। নতুন মাশুল কার্যকর হলে চীনে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনকারী বিদেশি কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে ইউরোপের বিএমডব্লিউও আছে।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, টেসলার আবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানিটির জন্য আলাদা শুল্ক হার ঠিক করা হতে পারে। চীনে উৎপাদন করা সব ইলেকট্রিক গাড়িতে বর্তমানে যে ১০ শতাংশ শুল্ক আছে, নতুন হার তার চাইতে বেশি হবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা ইলেকট্রিক গাড়িতে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ইইউ শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিল।
কেবল চীনই এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছে না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিদ এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট কয়েকজনও মুখ খুলেছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইন জিয়ান বলেছেন, তাদের ভর্তুকির বিপরীতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটা হবে সুরক্ষাবাদেরই নামান্তর। নতুন শুল্ক আরোপের কারণে চীন-ইইউ অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অটোমোবাইল উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাও ঝুঁকিতে পড়বে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৫টি দেশ, যাদের জনসংখ্যা এই অঞ্চলের ৬৫ শতাংশ—তাঁরা এই পদক্ষেপের বিপক্ষে ভোট না দিলে আগামী নভেম্বর থেকে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপে বেইজিংয়ের সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ ঝুঁকি দেখছেন জার্মানির পরিবহনমন্ত্রী ভলকার উইচিং। তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ইউরোপিয়ান কমিশনের শাস্তিমূলক শুল্কারোপে জার্মানির কোম্পানি ও তাদের শীর্ষ পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ইউরোপিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ইউরোপের গাড়ি শিল্পে প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে ‘অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্য’ জরুরি। তারা বলছে, ইলেকট্রিক গাড়ির চল বাড়ানোর জন্য যখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন এ ধরনের পদক্ষেপ বিভ্রান্তিকর।
অবাধ বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে মার্সিডিজ-বেনজ অ্যান্ড স্টেল্যান্টাস। স্টেল্যান্টাস বলেছে, তারা এমন পদক্ষেপকে সমর্থন করে না যেটি বিশ্ব বাণিজ্যকে বিভক্ত করে।
ইউরোপের কিছু গাড়ি কোম্পানি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মেলাতে আঞ্চলিক শিল্পনীতির দাবি তুলেছে। গত বছর কেবল চীনে ৮০ লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা বিশ্বে বিক্রি হওয়া এমন মোট গাড়ির ৬০ শতাংশ।
চীনের বৈদ্যুতিক গাড়িকে নিজেদের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আর তাতে ইউরোপের বাজারে বেড়ে যেতে পারে চীনা গাড়ির দাম। ইইউ ‘আপাতত’ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চীনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কার্যকর সমাধান না হলে ৪ জুলাই থেকে চীনা উৎপাদনকারীদের শুল্ক বাবদ বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। চীনে উৎপাদিত টেসলার গাড়ির ওপরও বাড়তি কর আরোপের কথা বলা হচ্ছে।
গত অক্টোবরে শুরু হওয়া ইউরোপিয়ান কমিশনের তদন্তে যারা সহযোগিতা করছে, তাঁদের জন্য শুল্ক হার হবে ২১ শতাংশ। আর যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি, তাদের জন্য শুল্ক হার ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ।
এরই মধ্যে তিন চীনা কোম্পানির জন্য সুনির্দিষ্ট শুল্ক হার ঠিক করা হয়েছে। বিওয়াইডি ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, গিলি ২০ শতাংশ, এসএআইসির গাড়ির ওপর ৩৮ দশমিক ১ শতাংশ।
বিবিসি জানিয়েছে, চীনের সরকারি প্রণোদনা সুবিধা পাওয়া গাড়ি পানির দরে ইউরোপের বাজারে বিক্রি হচ্ছে—এমন অভিযোগে তদন্ত চলার মধ্যেই ইইউ এ ঘোষণা দিল।
এই তদন্তকে ‘অর্থনৈতিক সংরক্ষণবাদ’ আখ্যা দিয়ে চীন বলছে, নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হলে তা হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির লঙ্ঘন। নতুন মাশুল কার্যকর হলে চীনে ইলেকট্রিক গাড়ি উৎপাদনকারী বিদেশি কোম্পানিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যার মধ্যে ইউরোপের বিএমডব্লিউও আছে।
এদিকে ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, টেসলার আবেদনের ভিত্তিতে কোম্পানিটির জন্য আলাদা শুল্ক হার ঠিক করা হতে পারে। চীনে উৎপাদন করা সব ইলেকট্রিক গাড়িতে বর্তমানে যে ১০ শতাংশ শুল্ক আছে, নতুন হার তার চাইতে বেশি হবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা ইলেকট্রিক গাড়িতে ২৫ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ইইউ শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিল।
কেবল চীনই এ পদক্ষেপের সমালোচনা করছে না, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতিবিদ এবং এ খাত সংশ্লিষ্ট কয়েকজনও মুখ খুলেছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইন জিয়ান বলেছেন, তাদের ভর্তুকির বিপরীতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হলে সেটা হবে সুরক্ষাবাদেরই নামান্তর। নতুন শুল্ক আরোপের কারণে চীন-ইইউ অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে বৈশ্বিক অটোমোবাইল উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাও ঝুঁকিতে পড়বে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৫টি দেশ, যাদের জনসংখ্যা এই অঞ্চলের ৬৫ শতাংশ—তাঁরা এই পদক্ষেপের বিপক্ষে ভোট না দিলে আগামী নভেম্বর থেকে নতুন শুল্ক হার কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপে বেইজিংয়ের সঙ্গে ‘বাণিজ্য যুদ্ধের’ ঝুঁকি দেখছেন জার্মানির পরিবহনমন্ত্রী ভলকার উইচিং। তিনি এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘ইউরোপিয়ান কমিশনের শাস্তিমূলক শুল্কারোপে জার্মানির কোম্পানি ও তাদের শীর্ষ পণ্যগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
ইউরোপিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ইউরোপের গাড়ি শিল্পে প্রতিযোগিতা ধরে রাখতে ‘অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্য’ জরুরি। তারা বলছে, ইলেকট্রিক গাড়ির চল বাড়ানোর জন্য যখন পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তখন এ ধরনের পদক্ষেপ বিভ্রান্তিকর।
অবাধ বাণিজ্যের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে মার্সিডিজ-বেনজ অ্যান্ড স্টেল্যান্টাস। স্টেল্যান্টাস বলেছে, তারা এমন পদক্ষেপকে সমর্থন করে না যেটি বিশ্ব বাণিজ্যকে বিভক্ত করে।
ইউরোপের কিছু গাড়ি কোম্পানি বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মেলাতে আঞ্চলিক শিল্পনীতির দাবি তুলেছে। গত বছর কেবল চীনে ৮০ লাখ ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে, যা বিশ্বে বিক্রি হওয়া এমন মোট গাড়ির ৬০ শতাংশ।
জীবনবিমা গ্রাহকদের দাবির টাকা বছরের পর বছর আটকে রাখছে বেশির ভাগ কোম্পানি। সব মিলিয়ে দাবির অঙ্ক ৪ হাজার ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। আর এর প্রায় ৯১ শতাংশই আটকে আছে মাত্র সাতটি কোম্পানির হাতে। এই চিত্র স্পষ্ট করে দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদন।
৪ ঘণ্টা আগেকৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ওএমএসের মাধ্যমে আলু বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সরকার। কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আজ সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেসরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে মোট ৯ লাখ টন চাল আমদানির পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের এই পরিকল্পনায় আশায় বুক বাঁধছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে ভারতীয় রপ্তানি...
১৯ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির সুযোগ থেকে এখনো বঞ্চিত কোটি কোটি মানুষ। আধুনিক ব্যাংকিং ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুবিধা নিতে না পারার কারণে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী রয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থার বাইরে।
১ দিন আগে