সহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন। তবে এই যন্ত্র স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চালুর পর মাস পেরোনোর আগেই কিছু যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণের কম দামে নিম্নমানের যন্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথাযথ উপস্থিতি ও সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এ জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে ৩২টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন স্থাপনের জন্য ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যন্ত্রগুলো স্থাপনের কাজ পায় সাদী ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি যন্ত্রের মূল্য ভ্যাটসহ ১৮ হাজার টাকা ধরা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডকেটিইকো কে৪০ মডেলের যন্ত্র সরবরাহ করেছে; যার প্রতিটির বাজারমূল্য ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৩০০ টাকা। এই নিম্নমানের যন্ত্রগুলো সরবরাহ করায় অল্প দিনেই দেখা দিয়েছে নানা ত্রুটি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, শায়েস্তাগঞ্জের ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের মেশিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। সেগুলো হলো লাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হামুয়া তাজুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারোলাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুদিয়াখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
লাদিয়া ও কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্থাপন করা যন্ত্র দুটি বন্ধ হয়ে আছে। দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা ১৫ জুন থেকে যন্ত্রগুলো ব্যবহার শুরু করেছিলেন। কিছুদিন ব্যবহারের পর এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তাঁরা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন বলেও জানান।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন স্থাপনের এক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটিতে সমস্যা দেখা দেয়। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেগুলো স্থাপন করেছে, তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করেনি।’
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফারুক মিয়া জানান, কত টাকা মূল্যের যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, তা ম্যানেজারের কাছ থেকে জেনে জানাতে হবে। তিনি দাবি করেন, ভালো মানের যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এখানে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের খরচ ধরা হয়নি। এটার সঙ্গে ইনস্টলেশন খরচও ধরা হয়েছে। মেশিনগুলোর এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। যেসব মেশিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে, সেগুলো মেরামত অথবা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন। তবে এই যন্ত্র স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চালুর পর মাস পেরোনোর আগেই কিছু যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণের কম দামে নিম্নমানের যন্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যথাযথ উপস্থিতি ও সঠিক সময়ে প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া নিশ্চিত করতে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। এ জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এডিপির অর্থায়নে ৩২টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিন স্থাপনের জন্য ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যন্ত্রগুলো স্থাপনের কাজ পায় সাদী ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিটি যন্ত্রের মূল্য ভ্যাটসহ ১৮ হাজার টাকা ধরা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডকেটিইকো কে৪০ মডেলের যন্ত্র সরবরাহ করেছে; যার প্রতিটির বাজারমূল্য ৬ হাজার থেকে ৬ হাজার ৩০০ টাকা। এই নিম্নমানের যন্ত্রগুলো সরবরাহ করায় অল্প দিনেই দেখা দিয়েছে নানা ত্রুটি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, শায়েস্তাগঞ্জের ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সাতটি প্রতিষ্ঠানের মেশিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। সেগুলো হলো লাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হামুয়া তাজুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বারোলাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুদিয়াখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিরামচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
লাদিয়া ও কাজিরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে স্থাপন করা যন্ত্র দুটি বন্ধ হয়ে আছে। দুই স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা জানান, তাঁরা ১৫ জুন থেকে যন্ত্রগুলো ব্যবহার শুরু করেছিলেন। কিছুদিন ব্যবহারের পর এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। বিষয়টি তাঁরা শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেছেন বলেও জানান।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজ মিয়া বলেন, ‘আমাদের ২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হাজিরা মেশিন স্থাপনের এক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকটিতে সমস্যা দেখা দেয়। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেগুলো স্থাপন করেছে, তারা এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কোনো সমন্বয় করেনি।’
জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ফারুক মিয়া জানান, কত টাকা মূল্যের যন্ত্র দেওয়া হয়েছে, তা ম্যানেজারের কাছ থেকে জেনে জানাতে হবে। তিনি দাবি করেন, ভালো মানের যন্ত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, এখানে শুধু ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেশিনের খরচ ধরা হয়নি। এটার সঙ্গে ইনস্টলেশন খরচও ধরা হয়েছে। মেশিনগুলোর এক বছরের ওয়ারেন্টি আছে। যেসব মেশিনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে, সেগুলো মেরামত অথবা পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত ৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় দগ্ধ ও আহত আরও দেড় শতাধিক চিকিৎসাধীন আছে।
৫ ঘণ্টা আগেনিম্নচাপ কেটে গেছে। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকলেও থেমেছে ভারী বর্ষণ। তবে উজানে ভারতের ত্রিপুরায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে বাড়ছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। উজানের সেই ঢলে আবার ডুবছে ফেনী। একাধিক ভাঙা বাঁধ দিয়ে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে‘মাদ্রাসা থেকে ফিরলেই বাবা কোলে তুলে নিত, আদর করত, টাকা দিত। রাতে বাবার গা ঘেঁষে ঘুমাতাম। এখন আর কেউ আমাকে বাবার মতো আদর করে না। বাবাকে অনেক মিস করি।’ ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কথাগুলো বলছিল সাত বছরের তাইবা খাতুন। ২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন তাঁর বাবা ইয়াহিয়া আলী।
৬ ঘণ্টা আগেভাগাড় উঁচু হয়ে গেছে পাহাড়ের সমান। সেখানে আর বর্জ্য ফেলার জায়গা নেই। ফলে রাজশাহী শহরের শত শত টন বর্জ্য প্রতিদিনই এলোমেলোভাবে ফেলা হচ্ছে সড়কের পাশে, কৃষিজমিতে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনেও। এসব বর্জ্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে