Ajker Patrika

জেগে ওঠা চরে বাদামের চাষ, ভালো ফলনের আশা

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা 
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩: ২১
জেগে ওঠা চরে বাদামের চাষ, ভালো ফলনের আশা

গাইবান্ধায় জেলার সুন্দরগঞ্জের তিস্তা, সদরের ব্রহ্মপুত্র, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে জেগে উঠছে অনেক বালুচর। এসব চরে বাদাম চাষ করছেন চাষিরা। এবার বাদামের বাম্পার ফলনের আশা করছেন তাঁরা। 

গত বছর বাদামের বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় অনেক চাষি এবারও বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া চরাঞ্চলে পলি বেশি পড়ায় আগের চেয়ে বাদাম চাষ এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি অফিস। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার সদর উপজেলার কুন্দের পাড়া, কড়াইমারি, রায়দাসবাড়ি, খামারগোঘাট, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার লাটশাল্লা, কাপাসিয়াচর, বালাসেরা, কাজিয়ার, খয়দার এবং ফুলছড়ি উপজেলার এড়েন্ডাবাড়ী, আলগা, জিগাবাড়ি, গাবগাছি, খাটিয়ামারি চরাঞ্চলে বাদামের ব্যাপক আবাদ হয়েছে।

জেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার চার উপজেলায় তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র আর যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে ১৮০ টির মতো চর জেগে উঠেছে। এতে প্রায় ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গত বছরের চেয়ে ২৫ হেক্টর বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। এখনো নতুন করে আরও জমিতে বাদাম আবাদের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বাদাম উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় এই চরগুলোতে এভাবে বাদাম চাষ হতো না। ধানের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় অনেকেই বাদাম চাষে ঝুঁকছেন। বাদাম চাষের কারণে চরের জমির দামও বেড়েছে। এখানকার মানুষের জীবনমানও আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। 

চরাঞ্চলের বাদামচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প সময়ে বাদাম চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। প্রতিবছর বন্যা-পরবর্তী সময়ে জেগে ওঠা পলি মাটির চরে তাঁরা বাদাম চাষ করেন। খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ১৭ থেকে ২০ হাজার টাকা লাভ হয়। বাদামখেত থেকে আগাছা কেটে গবাদিপশুকে খাওয়ানো হয়। এ ছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে তেমন একটা সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। বীজ রোপণের আড়াই থেকে তিন মাসের মধ্যেই বাদাম তুলে সংগ্রহ ও হাট-বাজারে বিক্রি করা যায়। 

সদর উপজেলার কড়াইমারি চরের বাদামচাষি রানা মিয়া বলেন, গত বছর পনেরো বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে লাভ করছি। ভালো দাম পাওয়ার আশায় এবার সতেরো বিঘা জমিতে বাদাম লাগাইছি। আকাশের অবস্থা ভালো হলে এবারও ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। 

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার খয়দার চরের বাদামচাষি মো. মগবুল হোসেন বলেন, ‘নদীভাঙন এলাকার মানুষ হামরা। কয়েকবার আমন ধান লাগাইছিনু। বন্যাত তাক নষ্ট হয়ে গেছে। এখন জমিগুলোত বাদাম করছোম। এ সময়োত বন্যা হবা নয়। আর বাদাম মাটির নিচত হয় পোকামাকড় কামড়াবার পায় না। এ আবাদ ভালো। ওষুধপাতি তেমন একটা দেওয়া নাগে না।’

ফুলছড়ি উপজেলার গাবগাছি চরের বাদামচাষি আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, অল্প খরচে বাদাম চাষ করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় লাভ দ্বিগুণ। প্রতি একরে খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। বাদাম তুলে শুধু রোদে শুকালেই অনেক দিন রাখা যায়। ভালো দাম পাওয়ার সাথে সাথেই বিক্রি করা যায়। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম দৈনিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার চারটি উপজেলার চরাঞ্চলে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের মধ্যে বিনা মূল্যে সার ও বাদামের বীজ বিতরণ করেছি। ভালো ফলনের জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে বাদামচাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। অনেক জায়গায় আমরা প্রদর্শনী করছি। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লালপুরে বিশেষ অভিযানে তিন হ্যাকার গ্রেপ্তার

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরের লালপুরে মাদক ও সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ তিন হ্যাকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের পানসিপাড়া গ্রাম থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে নওপাড়া গ্রামের মো. সাইফুল ইসলাম তুহিন (২২), পানসিপাড়া গ্রামের বাচ্চু মণ্ডলের ছেলে আব্দুল আল বায়েজিদ (২০) এবং মো. সোলেমানের ছেলে মো. নাজমুল আলী (২০)।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, নাটোর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই এলাকায় মাদক ও হ্যাকিংবিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় বাচ্চু মণ্ডলের বাড়ির পাশের একটি আমবাগানে মাদক সেবন ও হ্যাকিং কার্যক্রম পরিচালনার সময় তিনজনকে হাতেনাতে ধরা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা বিকাশ ও নগদের পিন নম্বর জালিয়াতি, ব্যাংক রিসিট প্রতারণা, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু আইডি হ্যাক এবং মেয়েদের কণ্ঠ নকল করে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। অভিযান চলাকালে তাঁদের কাছ থেকে ছয়টি স্মার্টফোন, চারটি বাটন ফোন, ২৩টি মোবাইল সিম কার্ড, ১৯টি ইয়াবা বড়ি ও গাঁজা জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন হ্যাকিং ও প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে হ্যাকিং সরঞ্জাম ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের পর চলতি বছর আবারও লালপুরে হ্যাকিং চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। ৮ অক্টোবর উপজেলার বিলমাড়িয়া ও দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে নয়জনকে, ২৪ মে মোহরকয়া গ্রাম থেকে তিন, ২৭ মে মোহরকয়া ও পানসিপাড়া থেকে পাঁচ এবং ৯ জুলাই বিলমাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছিল যৌথ বাহিনী। তবে জামিনে মুক্ত হয়ে তাঁরা আবারও একই অপরাধে যুক্ত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
হেরোইনসহ গ্রেপ্তার দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা
হেরোইনসহ গ্রেপ্তার দুই মাদক কারবারি। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পৌরসভার কুঠিপাড়া এলাকার পদ্মা নদীর ধারে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ শুক্রবার সকালে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বকচর গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৪৬) ও আব্দুর বশির (৪০)।

পুলিশ জানায়, তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি প্যাকেটে রাখা ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। এর বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তার দুজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক এনে সরবরাহের কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কে পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি, অতঃপর ছিনতাই

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর-আড্ডা জেলা সড়কে পুলিশ পরিচয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশির নামে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেয়ামতপুর থেকে কানসাট যাওয়ার পথে রহনপুর-আড্ডা সড়কের নজরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় চার ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই সড়কে সন্ধ্যার পর প্রায়ই অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা দেখা যায়, যা নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী মোটরসাইকেলচালকের নাম রাব্বি হোসেন রাজা। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের ছেলে।

জানতে চাইলে রাব্বি বলেন, ‘আমি নেয়ামতপুর থেকে কানসাট যাচ্ছিলাম। নজরপুর ব্রিজের কাছে পৌঁছালে চার ব্যক্তি আমাকে থামায়। তারা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করে এবং আমার দুটি মোবাইল নিয়ে নেয়। মোবাইল ফেরত চাইলে তারা হুমকি দিয়ে বলে—“চলে যা, না হলে তোকে নিয়ে যাব।” এরপর তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।’

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওদুদ আলম বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ পাইনি। অনেক সময় মাদকদ্রব্য ব্যবসায়ী বা আনসার-ভিডিপি সদস্যরাও পুলিশ পরিচয় দেয়। তবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’ ওসি আরও বলেন, ‘এখন একটি খেলায় আছি। ভুক্তভোগীকে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সন্ধ্যার পর গ্রামে প্রবেশ করলেই চোর হিসেবে আটকের ঘোষণা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি 
সন্ধ্যার পর গ্রামে প্রবেশ করলেই চোর হিসেবে আটকের ঘোষণা

রংপুরের মিঠাপুকুরে সন্ধ্যার পর অপরিচিত কেউ গ্রামে প্রবেশ করলেই ‘চোর’ হিসেবে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কাশিপুর জামে মসজিদ কমিটি। সাম্প্রতিক সময়ে গরু চুরি ও মাদক ব্যবসা বেড়ে যাওয়ায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

মসজিদের মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাশিপুর গ্রামে বিশেষ করে ইয়াবা বেচাকেনা বেড়ে যাওয়ায় সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতদের আনাগোনা দেখা যায়। গত বুধবার রাতে গ্রামের আজহারুল ইসলামের গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি হওয়ার পর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মসজিদে অনুষ্ঠিত আলোচনায় মুসল্লিরা বলেন, মাদক বেচাকেনার কারণে গ্রামে অপরাধ বেড়েছে। উঠতি বয়সের তরুণেরা জড়িয়ে পড়ছে মাদকে, ফলে বহিরাগত ব্যক্তিদের যাতায়াতও বাড়ছে। এতে গ্রামের নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে।

মসজিদের মুসল্লি আশিকুর রহমান বলেন, ‘প্রতিদিনই বহিরাগত লোকজন আসে। ইয়াবার কারবার চলে। সাম্প্রতিক চুরির ঘটনাও বেড়েছে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, সন্ধ্যার পর কোনো অচেনা লোককে দেখা গেলে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

অন্য মুসল্লি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ইয়াবা বিক্রির কারণেই বাইরে থেকে লোক আসে। এখন যৌক্তিক কারণ ছাড়া সন্ধ্যার পর গ্রামে প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইয়াছিন আলী বলেন, ‘সামাজিক অবক্ষয় ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে। গ্রামের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘শীত আসায় কুয়াশার সুযোগে ছিঁচকে চোরদের তৎপরতা কিছুটা বেড়েছে। স্থানীয়দের উচিত মাদক কারবারি ও অপরাধীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করা। তবে কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত