নীলফামারী ও ডিমলা প্রতিনিধি
নীলফামারীর ডিমলায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর পানি বেড়ে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে শ্রমিকেরা পানিতে নেমে ধান কাটতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তাই কৃষকদের বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের ধান বিক্রির সিংহ ভাগ টাকাই চলে যাচ্ছে শ্রমিকদের পকেটে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, শ্রমিক সংকটে কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের ধান কাটা শুরু করেছেন। শ্রমিকের বাড়তি মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস।
সরেজমিন উপজেলার সিংগাহারাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, গত মাসে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড়ে হেলে পড়া ধানসহ নিচু জমির ৯৫ শতাংশ ধান পেকে পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান পাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে বেশির ভাগ জমির ধান এখনো কাটতে পারেননি কৃষকেরা।
সুন্দর খাতা গ্রামের চাষি হাবিবুর রহমান জানান, তাঁদের এলাকায় মজুরের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় অনেক মাঠের নিচু জমির ধানখেত পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। হেলে পড়া ভেজা ধান কাটতে স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে অনীহা দেখা দিয়েছে। গত বছর বিঘাপ্রতি ধান কাটতে ২-৩ হাজার টাকা খরচ হলেও এ বছর স্থানীয় শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। ফলে চাষিদের ধানের টাকা চলে যাচ্ছে শ্রমিকদের পকেটে।
সর্দার হাট গ্রামের রাসেল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পেয়েছিলাম। তাই এ বছর বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ করে ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এরই মধ্যে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ ও ঝড়ে ধানগাছ হেলে পড়ায় ২৫ শতাংশ ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন জমির ধান সম্পূর্ণ পেকেছে, অথচ শ্রমিক সংকটের কারণে মাত্র পাঁচ বিঘা জমির ধান কাটতে পেরেছি। স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের সিরিয়াল পেতেও অনেক সময় লাগছে। যেকোনো সময় ঝড়-বৃষ্টি এসে ফসলের আরও ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বাড়তি টাকা দিয়েও এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
তমিজ উদ্দিনসহ ১৫-২০ জন শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গত বছর ধান ভালো থাকায় আমরা মাঠ থেকে ধান কেটেছিলাম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে। তারপরও আমাদের পুষিয়েছে। কিন্তু এবার ঝড়বৃষ্টিতে ধান হেলে পড়ায় ধান কাটতে খুব সময় লাগছে। এ জন্য এ বছর বিঘাপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকায় ধান কেটেও পোষাচ্ছে না।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে।
কৃষিবিদ আবু নোমান সায়েম বলেন, লাভজনক হওয়ায় কৃষি শ্রমিকেরা অটো ভ্যান চালানোর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এ কারণে শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। মজুরি বৃদ্ধি ও বাজারে ধানের দাম কম থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অবস্থায় কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।’
নীলফামারীর ডিমলায় গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে নদীর পানি বেড়ে গেছে। এতে নিম্নাঞ্চলের ধানখেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এ কারণে শ্রমিকেরা পানিতে নেমে ধান কাটতে অনীহা দেখাচ্ছেন। তাই কৃষকদের বাধ্য হয়ে বাড়তি টাকা দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে। মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের ধান বিক্রির সিংহ ভাগ টাকাই চলে যাচ্ছে শ্রমিকদের পকেটে। ফলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, শ্রমিক সংকটে কেউ কেউ নিজেরাই নিজেদের ধান কাটা শুরু করেছেন। শ্রমিকের বাড়তি মজুরির কারণে উৎপাদন খরচ না ওঠার আশঙ্কা করছেন তারা। এদিকে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজে আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি অফিস।
সরেজমিন উপজেলার সিংগাহারাসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, গত মাসে এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েক দফা কালবৈশাখী ঝড়ে হেলে পড়া ধানসহ নিচু জমির ৯৫ শতাংশ ধান পেকে পানিতে তলিয়ে গেছে। ধান পাকলেও শ্রমিক সংকটের কারণে বেশির ভাগ জমির ধান এখনো কাটতে পারেননি কৃষকেরা।
সুন্দর খাতা গ্রামের চাষি হাবিবুর রহমান জানান, তাঁদের এলাকায় মজুরের দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় অনেক মাঠের নিচু জমির ধানখেত পানিতে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। হেলে পড়া ভেজা ধান কাটতে স্থানীয় শ্রমিকদের মাঝে অনীহা দেখা দিয়েছে। গত বছর বিঘাপ্রতি ধান কাটতে ২-৩ হাজার টাকা খরচ হলেও এ বছর স্থানীয় শ্রমিকদের বিঘাপ্রতি ৫-৬ হাজার টাকা মজুরি দিতে হচ্ছে। ফলে চাষিদের ধানের টাকা চলে যাচ্ছে শ্রমিকদের পকেটে।
সর্দার হাট গ্রামের রাসেল ইসলাম বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন এবং ভালো দাম পেয়েছিলাম। তাই এ বছর বিঘাপ্রতি ১০ হাজার টাকা খরচ করে ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। এরই মধ্যে বিভিন্ন রোগের আক্রমণ ও ঝড়ে ধানগাছ হেলে পড়ায় ২৫ শতাংশ ধান চিটা হয়ে গেছে। এখন জমির ধান সম্পূর্ণ পেকেছে, অথচ শ্রমিক সংকটের কারণে মাত্র পাঁচ বিঘা জমির ধান কাটতে পেরেছি। স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তাদের সিরিয়াল পেতেও অনেক সময় লাগছে। যেকোনো সময় ঝড়-বৃষ্টি এসে ফসলের আরও ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু বাড়তি টাকা দিয়েও এখন শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।
তমিজ উদ্দিনসহ ১৫-২০ জন শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘গত বছর ধান ভালো থাকায় আমরা মাঠ থেকে ধান কেটেছিলাম আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা করে। তারপরও আমাদের পুষিয়েছে। কিন্তু এবার ঝড়বৃষ্টিতে ধান হেলে পড়ায় ধান কাটতে খুব সময় লাগছে। এ জন্য এ বছর বিঘাপ্রতি ৪-৫ হাজার টাকায় ধান কেটেও পোষাচ্ছে না।’
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ১১ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু আবাদ হয়েছে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে।
কৃষিবিদ আবু নোমান সায়েম বলেন, লাভজনক হওয়ায় কৃষি শ্রমিকেরা অটো ভ্যান চালানোর দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এ কারণে শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। মজুরি বৃদ্ধি ও বাজারে ধানের দাম কম থাকায় চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অবস্থায় কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি। বৃষ্টির কারণে কোনো কোনো এলাকায় ধান কাটা শ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমরা কৃষকদের আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করছি।’
কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিন সদস্যকে (মা, ছেলে ও মেয়ে) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক উপদেষ্টার বাবার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের পরিবার এই অভিযোগ করে হত্যাকাণ
১০ মিনিট আগেবরিশালের মুলাদীতে আফরিন আক্তার দিপুমনি নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের মধ্য গাছুয়া গ্রামের বোরহান খন্দকারের বাড়িতে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবার বলছে, কথা-কাটাকাটির জেরে দিপুমনি স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দেন।
১৫ মিনিট আগেগতকাল রোববার রাতে চট্টগ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদ। এরপর ক্লাবে এসে ৩০৮ নম্বর কক্ষে রাত্রি যাপন করছিলেন। আপাতত তাঁর মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। তাঁর বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে চট্টগ্রাম
১৭ মিনিট আগেনাছির উদ্দীন বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশে যেখানে ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে, সেখানে মুরাদনগরে দমন-পীড়নের রাজনীতি চলছে। আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মী জেলে নেই, অথচ বিএনপি ও ছাত্রদলের ১৩ জন নেতা-কর্মী এখনো কারাগারে বন্দী। এটা প্রমাণ করে, আসিফ মাহমুদ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী মুরাদনগরকে
৪২ মিনিট আগে