Ajker Patrika

রোববার থেকে রংপুরের বাজারে মিলবে হাঁড়িভাঙা আম

প্রতিনিধি
Thumbnail image

মিঠাপুকুর (রংপুর): জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে আগামী রোববার থেকে হাঁড়িভাঙা আম বেচাকেনা শুরু করবেন মিঠাপুকুর এলাকার চাষি ও ব্যবসায়ীরা। এর আগে ২০ জুন থেকে হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

রংপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, রংপুর জেলায় এবার ১ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের ফলন হয়েছে। এর মধ্যে মিঠাপুকুর উপজেলায় ১ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান রয়েছে। এ এলাকায় বাগান ছাড়াও বাড়ির উঠান, পুকুর পাড় ও বসত বাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতেও হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে। এ জাতের আম চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় মিঠাপুকুর এলাকাসহ আশপাশের সকল এলাকাতে এর গাছ রয়েছে।

কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আরও জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৫ হাজার থেকে ২৭ হাজার টন হাঁড়িভাঙা আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। প্রতি কেজি আম ৪০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেচাকেনা হবে। 

আম চাষি আব্দুস সালাম সরকার জানান, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ জুন থেকে আম পাড়া শুরু হবে। তবে ৩০ জুন থেকে পুরোদমে শুরু হবে হাঁড়িভাঙা আমের বেচাকেনা। তাঁর দুটি এ জাতের আম বাগান ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন।

আম ব্যবসায়ী খাদেমুল ইসলাম জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যবসায়ীরা পদাগঞ্জ থেকে সরাসরি ট্রাকে করে এই আম ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র পাঠানো শুরু করবেন। উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের পদাগঞ্জ, আঁখিরা হাট, পাইকারের হাট, মাঠের হাট ও ময়েনপুর ইউনিয়নের শুকুরের হাটে এই আমের পাইকারি বাজার বসে। খোলা আকাশের নিচেই ব্যবসায়ীদের বেচাকেনা করতে হয়। ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য কোনো ছাউনি নির্মাণ করা হয়নি। তবে চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আমের ভাস্কর্য তৈরি করে আম চত্বর নামকরণ করেছেন। এ ছাড়াও রংপুর বাস টার্মিনাল সংলগ্ন পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের সামনেও হাঁড়িভাঙা আমের বাজার বসে। প্রত্যেকদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। গত বছর বিআরটিসির ট্রাকে কম দরে আম পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এ বছরও পরিবহন সুবিধা আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত