দেশে আম উৎপাদনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর। এখানে অনেক নামী জাতের আম চাষ হচ্ছে, যা কয়েকবার বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই ফল রপ্তানিযোগ্য করতে স্থানীয় চাষিরা উৎপাদনে ব্যবহার করছেন ব্যাগ ও গ্যাপ পদ্ধতি।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আমের হাট বসে পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে। এক সপ্তাহ আগেও এই হাটে যে আম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হয়েছে, সেই আম এখন বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে। দামের এই তারতম্যের প্রধান কারণ বৃষ্টির প্রভাব।
আমের রং ও মৌসুম বাড়াতে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন জানিয়ে এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘আমাদের দেশের আম বেশ সুস্বাদু। কিন্তু আমের কালার (রং) নিয়ে বিদেশে কনফিউশন রয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তা বজায় রেখে কীভাবে আমের রং ও মৌসুম বাড়ানো যায়, তার জন্য আমাদের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।’
আজকে পাঁচ দেশে ১৩ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মে থেকে ২১ দেশে ১৬৫ টন আম রপ্তানি করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত গোপালভোগ ও হিমসাগর আম রপ্তানি হয়েছে বলে জানান তিনি।
পারফিউম মেকার ইলিয়াস নতুন নতুন সুগন্ধি নিয়ে প্রায়ই আমার অফিসে আসেন। গত সপ্তাহে এলেন একটা খুশির খবর জানাতে। তিনি সুগন্ধি তৈরির জন্য মধ্যপ্রাচ্যের একটা প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। গত ঈদুল ফিতরের আগে তাঁর সুগন্ধি বানানোর প্রক্রিয়া নিয়ে একটা অনুষ্ঠান নির্মাণ করেছিলাম। সেই অনুষ্ঠান দেখেই নাকি ওই প্রতি
হাত বাড়ালেই আম, তবু কেউ ছোঁয় না, ছিঁড়ে ফেলে না। চুরি যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমের মৌসুমে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ দৃশ্য অতি চেনা। অথচ চুরির ভয়ে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তুলসীপুরের ডিলারের বাড়ির একটি আমগাছ বরই ডাল দিয়ে ঘেরাও দিয়ে রাখা হয়েছে!
বিশ্বে আম উৎপাদনে সপ্তম অবস্থানে থাকলেও রপ্তানিতে এখনো পিছিয়ে বাংলাদেশ। অথচ বিশ্বজুড়ে তাজা ফলের বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে বাংলাদেশি ফল বিশেষ করে আম, লিচু ও অন্যান্য মৌসুমি ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেই বাজার ধরতেই প্রথমবারের মতো কাতারের দোহায়...
প্রশাসনের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে নওগাঁয় শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ মৌসুম। পরিপক্ব গুটি জাতের আম পাড়ার মধ্য দিয়ে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন চাষিরা।
চলতি মাসেই বাংলাদেশ থেকে চীনে প্রথমবারের মতো আম রপ্তানি শুরু হচ্ছে। দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর অবশেষে রপ্তানির এই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে, যা কৃষিপণ্য বাজারে বৈচিত্র্য ও সম্ভাবনার নতুন জানালা খুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভারতীয় আমের অন্তত ১৫টি চালান আটকে দিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। দেশে ফিরিয়ে আনতে গেলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে আশঙ্কায় আমগুলো ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রপ্তানিকারকেরা। লস অ্যাঞ্জেলেস, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টাসহ আরও কয়েকটি বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয় আমগুলো।
আমের মৌসুমে আচার হবে না, তা নয় নাকি? হাতে সময় কম থাকলে মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বানিয়ে রাখতে পারেন সহজ দুই পদের আচার।
সাতক্ষীরা জেলাব্যাপী আম পাড়ার ধুম পড়েছে। এবার আমের ব্যাপক ফলন হলেও দাম নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন চাষিরা। তাঁরা বলছেন, বাজারে পাইকারি যে দামে আম বিক্রি হচ্ছে, তাতে লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই উঠছে না।
গোমস্তাপুরে সড়কের পাশে বসে বিক্রি হচ্ছে আম—কেজি মাত্র সাড়ে ৩ টাকা! ঝড়ে ঝরে পড়া এসব অপরিপক্ব আম কিনছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা, পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের নানা প্রান্তে। অথচ এই আম কিছুদিন পর বাজারে উঠলে দেড়শ টাকা কেজিও মিলত।
রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও সাতক্ষীরার বিখ্যাত আম এবার ঢাকাবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছাবে সরাসরি চাষিদের হাত থেকে। ডাক বিভাগের বিশ্বস্ত নেটওয়ার্ক এবং পরিবহন ও সেবা কাঠামো ব্যবহার করে কওমি তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্যোগে এ কর্মকাণ্ড শুরু হতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার কেজি আম ঢাকার
রাজশাহীর আমের জন্য অপেক্ষা ফুরাল। আজ বৃহস্পতিবার হতে জেলার বাগানগুলো থেকে গাছপাকা আম নামানো শুরু হয়েছে। শুরুতে নামছে ‘গুটি’ হিসেবে পরিচিত সাধারণ জাতের আম। পরে পর্যায়ক্রমে আসবে নানা উন্নত জাত। বাগানিরা বলছেন, এবার ফলন কিছুটা বেশি, তবে দাম তুলনামূলক কম।
নওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। আগামি ২২ মে থেকে এ জেলায় আম সংগ্রহ শুরু করা যাবে। ওই দিন থেকে কেবল গুটি জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে। নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাত নিশ্চিতে কৃষি কর্মকর্তা, স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়
গরমের এই সময়ে কাঁচা আম যদি নিয়মিত খাওয়া যায়, তাহলে শরীরের নানা উপকার হয়। কাঁচা আমে রয়েছে প্রাকৃতিক কুলিং এজেন্ট, যা গ্রীষ্মের হিট স্ট্রোক থেকে শরীর রক্ষা করে। দেহ থাকে শীতল ও সতেজ। গরমে প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে কাঁচা আম খেলে হজমজনিত কোনো ধরনের সমস্যা থাকে না। তা ছাড়া গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে...