Ajker Patrika

বিদেশি ফলে স্বদেশ জয়, বাজারদরে চাষিরা বেজার

আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) 
মানিকছড়ি উপজেলার শেম্প্রুপাড়া এলাকার জেনারেল গার্ডেনে আমরুপালির হারভেস্ট চলছে। সোমবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মানিকছড়ি উপজেলার শেম্প্রুপাড়া এলাকার জেনারেল গার্ডেনে আমরুপালির হারভেস্ট চলছে। সোমবার সকালে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।

তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।

দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।

চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।

জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।

এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে।
খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’

তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।

মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’

এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাল চিনিতে ভেজাল মেশানোয় জরিমানা

ফুলবাড়িয়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় লাল চিনিতে ভেজাল মেশানোয় ২ হাজার কেজি চিনি জব্দ এবং আ. সালাম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

আ. সালামের বাড়ি ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড লাহেড়িপাড়া মহল্লায় পলাশতলী গ্রামে।

চিনিতে ভেজাল মেশানোর খবর পেয়ে ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় এক ড্রাম চিটাগুড় ও ভেজালমিশ্রিত ২ হাজার কেজি লাল চিনি জব্দ করা হয়।

ফুলবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চিনিতে ভেজাল মেশানোয় ২ হাজার কেজি চিনি জব্দ এবং আ. সালাম নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজবাড়ীতে পদ্মার চর থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ী-পাবনা সীমান্তবর্তী পাংশা উপজেলার হাবাসপুর খেয়াঘাট এলাকার অদূরে পদ্মার চর থেকে হাত-পা বাঁধা অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন জানান, পদ্মায় মাছ ধরার সময় দুপুরে জেলেরা চরে মরদেহটি দেখতে পান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। মরদেহটি পাবনা জেলার সীমানায় পাওয়ায় পাবনা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে।

ওসি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, দু-এক দিন আগে হত্যার পর লাশ চরে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। মরদেহের পরিচয় নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চীনা নাগরিককে ছুরিকাঘাত করা যুবক পালাল পুলিশকে ছুরিকাঘাত করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে চীনা নাগরিককে ছুরিকাঘাত করে পালানোর সময় গণধোলাইয়ে আহত ছিনতাইকারী এবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে ঘটনার পর পুলিশের একাধিক দলের সাঁড়াশি অভিযানে ছুরিকাঘাতকারী ওই যুবকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে চমেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে পাহারায় নিয়োজিত এক কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ইমাম হোসেন আকাশ (৩০) নামের ওই যুবক। তিনি আনোয়ারার দিঘীরপাড় বরুমছড়া এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং বন্দর এলাকার আজাদ কলোনির বাসিন্দা। পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার তাঁর দুই সহযোগীর নাম এখনো জানা যায়নি।

পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাওয়া ছিনতাইকারী ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিষয়ে একটি ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

পাঁচলাইশ থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, চমেক হাসপাতালে পুলিশের পাহারায় ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমাম হোসেন আকাশ। ওই দিন রাতে ইমামের সঙ্গে দুজন নারীসহ তিনজন দেখা করতে আসেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইমাম হোসেন রাজু সেখানে দায়িত্বরত একজন কনস্টেবলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর ওই দিন রাতেই নগর পুলিশের একাধিক টিম ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে মাঠে নামে। পরে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সীতাকুণ্ডের কুমিরা এলাকা থেকে তাঁকে দুই সহযোগীসহ আটক করা হয়।

গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতর সিপিআর ৫ নম্বর গেট-সংলগ্ন ব্রিজের সামনে এক চীনা নাগরিক ছিনতাইয়ের কবলে পড়েন। দুই-তিনজন ছিনতাইকারী ওই চীনা নাগরিককে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে তাঁর সঙ্গে থাকা পাসপোর্ট, ভিসা, নগদ অর্থ ও নথিপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত জনতা ধাওয়া দিয়ে দুই ছিনতাইকারীদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

বন্দর থানার পুলিশ জানায়, ঘটনার পর পুলিশের হাতে আটক দুই ছিনতাইকারীদের মধ্যে ইমাম হোসেন আকাশ গুরুতর আহত থাকায় তাঁকে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। শাহাদাত হোসেন (২৫) নামের আরেক ছিনতাইকারীকে হাজতে রাখা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘নির্যাতন সইতে না পেরে’ কেরোসিন ঢেলে গায়ে আগুন, গৃহবধূর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া মিতু বেগম। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। যৌতুকের জন্য স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মারা যাওয়া নারীর নাম মিতু বেগম (২০)। গায়ে আগুন দেওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মিতু বেগম ফরিদগঞ্জের উত্তর হাঁসা গ্রামের অটোরিকশাচালক রাকিবের স্ত্রী।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মিতু তাঁর স্বামীর বসতঘরে পারিবারিক কলহের জেরে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় তাঁর মা পারভীন বেগম ফরিদগঞ্জ থানায় মিতুর স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে যৌতুকের জন্য চাপ ও নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।

পারভীন বেগম বলেন, ‘তিন বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে জামাতা ও তার পরিবার আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়ও আমার মেয়েকে মারধর করলে নির্যাতন সইতে না পেরে নিজ শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পাঁচ দিন পর আমার মেয়ের মৃত্যু হয়। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। এ ঘটনায় উপযুক্ত বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মিতু বেগমের মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর স্বামী রাকিব ও পরিবারের সদস্যরা গা ঢাকা দিয়েছেন।

ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অগ্নিদগ্ধ মিতু ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর মায়ের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত