আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।
আবদুল মান্নান, মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি)

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

পাহাড়ি মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় খাগড়াছড়ির টিলা-উপত্যকায় বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ এখন রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও আমেরিকা থেকে আসা আমরুপালি, কিউজাই, মাহালিশা (ব্যানানা), রাংগুইন, ওয়েসটিং, চেয়াংমাইন, সাথোইরাজ, বারি-৪, সূর্যডিম, ব্রুনাইকিং, আমেরিকান, রেড ফালমার, কিংচাকাপাত, কাটিমনসহ দেশি হিমসাগর, হাঁড়িভাঙ্গা, ফজলি, ব্ল্যাকস্টোন ও মালির বাহারি স্বাদের আমে ছেয়ে গেছে পাহাড়। এখন চলছে জাতভেদে আম পাকার মৌসুম। তবে উৎপাদন ও স্বাদে অতুলনীয় হলেও বাজারদর নিয়ে চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
তাঁদের মতে, সরকারি সহযোগিতা ছাড়া স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম সঠিকভাবে বাজারজাত করা সম্ভব নয়।
দেশের এক-দশমাংশ এলাকা নিয়ে গঠিত পার্বত্য তিন জেলা—খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান। এখানকার জলবায়ু ও ভূমি মৌসুমি ফল উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বিশেষ করে খাগড়াছড়ির টিলাভূমি সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এখানেই ফল চাষের ব্যাপ্তিও সর্বাধিক। ফলের স্বাদে বৈচিত্র্য, উৎপাদনে বৃদ্ধি—সব মিলিয়ে পাহাড়ের ফলদ বাগান এখন সাফল্যের প্রতীক। তবে বাজারজাতকরণ ও রপ্তানিতে নেই কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি।
চাষিদের অভিযোগ, পচনশীল ফল বাজারজাত করতে গিয়ে তাঁদের পড়তে হচ্ছে নানা জটিলতায়। বিদেশে রপ্তানির সরকারি উদ্যোগ নেই। সমতলের বাজারে পৌঁছাতেও নেই পর্যাপ্ত লজিস্টিক সুবিধা। বাগান থেকে ফল সংগ্রহ, পরিবহন, চাঁদা আদায়, টোলসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তাঁদের লাভের পথ আটকে দিচ্ছে।
জানা গেছে, জেলার ছয়টি উপজেলা—মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, গুইমারা, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ির প্রায় ৩ হাজার হেক্টর টিলায় কয়েক হাজার চাষি গত দুই দশকে বিদেশি জাতের আমের বাগান গড়ে তুলেছেন। প্রতিটি জনপদ এখন রসালো আমের সুবাসে মুখর।
এর মধ্যে মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আমগাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়। কিন্তু বাজারে একসঙ্গে আম উঠলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ চাষিদের।

দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির সভাপতি ও জেনারেল গার্ডেনের মালিক আবু তাহের বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের মাটি, বাতাস, পরিবেশ সবই ফল চাষের জন্য অনুকূল। তবে বাগানে চাঁদা, টোল পয়েন্টে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়, পরিবহন সমস্যাসহ নানা বাধা পেরিয়ে আমাদের ফল বাজারে তুলতে হয়। আর বিদেশে বাজারজাত করার মতো সরকারি কোনো উদ্যোগ নেই।’
তিনি আরও জানান, গত বছর আমরুপালির মণ বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা কমে হয়েছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায়। পর্যায়ক্রমে আরও কমার আশঙ্কা আছে।
মানিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জহির রায়হান বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আমাদের উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও খরার কারণে কিছু মুকুল নষ্ট হয়েছে, তবে আমের আকার বড় হওয়ায় উৎপাদনে ঘাটতির সম্ভাবনা নেই।’
এখন শুধু প্রয়োজন সরকারি নীতিগত সহায়তা—বাজারজাতকরণে পরিকল্পিত ব্যবস্থা, পরিবহন খরচ কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করা।

বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।’
২৪ মিনিট আগে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
৩১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছ
৩৬ মিনিট আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমন আহমদ কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির নামনগর গ্রামের মুতলিব মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত রোববার ইমন আহমদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আশরাফুল (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে।
পুলিশ জানায়, গত রোববার ওই যুবক নিখোঁজ হন। পরদিন পরিবার থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ আশরাফুলকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে।
তাঁর দেওয়া তথ্যমতে আজ বুধবার দুপুরে ওই আড়তের পাশ থেকে ইমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইমন আহমদ একটি আইফোন ব্যবহার করতেন। ওই ফোনের প্রতি দুর্বলতা ছিল আশরাফুলের। মূলত ফোন ছিনতাই নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশরাফুলের দেওয়া তথ্যমতে ইমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তবে ওই আইফোন উদ্ধার করা যায়নি এখনো। ময়নাতদন্তের জন্য ইমনের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমনের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সিলেটের বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ইমন আহমদ কুড়ারবাজার ইউনিয়নের খশির নামনগর গ্রামের মুতলিব মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত রোববার ইমন আহমদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ আশরাফুল (২৩) নামের এক যুবককে আটক করে।
পুলিশ জানায়, গত রোববার ওই যুবক নিখোঁজ হন। পরদিন পরিবার থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। আর গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ আশরাফুলকে সন্দেহজনক হিসেবে আটক করে।
তাঁর দেওয়া তথ্যমতে আজ বুধবার দুপুরে ওই আড়তের পাশ থেকে ইমনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইমন আহমদ একটি আইফোন ব্যবহার করতেন। ওই ফোনের প্রতি দুর্বলতা ছিল আশরাফুলের। মূলত ফোন ছিনতাই নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, আশরাফুলের দেওয়া তথ্যমতে ইমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তবে ওই আইফোন উদ্ধার করা যায়নি এখনো। ময়নাতদন্তের জন্য ইমনের লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমনের পরিবারের লোকজন থানায় এসেছেন। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।’
২৪ মিনিট আগে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
৩১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছ
৩৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন তিনি করে দেখাবেন। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।’
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে এক হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগ ‘আঞ্চলিক পরামর্শ সভা’ শেষে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো সার্ভে (জরিপ) নেই, যার ভিত্তিতে আমি বলতে পারব—মানুষ মনে করে নির্বাচন হবে। আমি এর আগেও বলেছি, নির্বাচনটি ক্রমান্বয়ে একটা অবধারিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষের শক্তি অনেক বেশি। কারণ, দেশের নাগরিক, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্তর্বর্তী সরকারও নির্বাচন চায়।’
দেবপ্রিয় বলেন, ‘একদিকে অসম্ভব একটা পরিবর্তন সম্ভাবনার চিন্তা, অন্যদিকে একটা আস্থার সংকটও একই সঙ্গে আছে। এই দুটোর মধ্যেই আমরা বসবাস করছি। জনগণের ভূমিকা নিয়ে এই ফাঁকা আমাদের মেলাতে হবে। রাজনীতিবিদদের আয়-ব্যয়ের হিসাবগুলো আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে কীভাবে সামনে আনা যায়, পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের, আত্মীয়স্বজনদেরও সহায়-সম্পত্তির বিষয়টিও সামনে আসছে।’
দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে কী প্রত্যাশা, তা জানতে আমরা সপ্তমবারের মতো স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিকদের কাছে এসেছি। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি লক্ষণীয়, তা হলো—এখন আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা করে কতগুলো সাধারণ একই রকম অভিন্ন সুর খুঁজে পাচ্ছি। সবাই সুশাসনের জন্য, জবাবদিহির জন্য, আইনের শাসনের জন্য, নিরাপত্তার জন্য, অধিকারের জন্য ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সাধারণভাবে সামনে নিয়ে আসছেন। সবার প্রত্যাশা একটি দক্ষ প্রশাসন, একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, একটি নিরপেক্ষ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদির বিষয়ে সাধারণ ধারণা সকলের মধ্যে আছে। এই বিষয়গুলো রাজনীতিবিদেরা তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারের ভেতরে কীভাবে স্থান করে দেবেন, এটি জানার অপেক্ষায় আছেন সবাই।’
গণতন্ত্র বিশ্লেষক দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ঘোষণা দিয়েছিল, তারা তাদের মন্ত্রিপরিষদের বা সরকারপ্রধানের সম্পত্তির হিসাব দেবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মানুষের অনেক বড় হতাশা রয়েছে যে, আগের মতোই এবারও সরকার সেটা পালন করল না। ফলে আগামী সরকারকে একই কাজ না করার ক্ষেত্রে একটা উৎসাহ দিয়ে গেল কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, নাগরিক প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এ লক্ষ্যে আমরা দুটো কাজ করছি। এক, যেসব প্রতিশ্রুতি ও সংস্কারের কথা হচ্ছে, তা একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে গিয়ে আমরা রিফর্ম ওয়াচ তৈরি করেছি। সেটা ১৪ ডিসেম্বর আমরা উদ্বোধন করব। একইভাবে দেশব্যাপী যে আলোচনাগুলো হলো, এটার নাগরিক প্রত্যাশাগুলোকে একত্র করে একটি নির্বাচনী নাগরিক ইশতেহার তৈরি করে ২০ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাতে আমরা তুলে দেব। এটাকে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী অবস্থায় আমরা যাতে মনোযোগে রাখি, সেটার চেষ্টাও আমরা করব।’
এর আগে, পরামর্শ সভায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বক্তব্য দেন।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন তিনি করে দেখাবেন। আমরা তার অপেক্ষায় আছি।’
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে এক হোটেলে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের প্রাক-নির্বাচনী উদ্যোগ ‘আঞ্চলিক পরামর্শ সভা’ শেষে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমার কাছে এমন কোনো সার্ভে (জরিপ) নেই, যার ভিত্তিতে আমি বলতে পারব—মানুষ মনে করে নির্বাচন হবে। আমি এর আগেও বলেছি, নির্বাচনটি ক্রমান্বয়ে একটা অবধারিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। নির্বাচনের পক্ষের শক্তি অনেক বেশি। কারণ, দেশের নাগরিক, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্তর্বর্তী সরকারও নির্বাচন চায়।’
দেবপ্রিয় বলেন, ‘একদিকে অসম্ভব একটা পরিবর্তন সম্ভাবনার চিন্তা, অন্যদিকে একটা আস্থার সংকটও একই সঙ্গে আছে। এই দুটোর মধ্যেই আমরা বসবাস করছি। জনগণের ভূমিকা নিয়ে এই ফাঁকা আমাদের মেলাতে হবে। রাজনীতিবিদদের আয়-ব্যয়ের হিসাবগুলো আরও স্বচ্ছতার সঙ্গে কীভাবে সামনে আনা যায়, পাশাপাশি তাঁদের পরিবারের, আত্মীয়স্বজনদেরও সহায়-সম্পত্তির বিষয়টিও সামনে আসছে।’
দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে কী প্রত্যাশা, তা জানতে আমরা সপ্তমবারের মতো স্থানীয় পর্যায়ে নাগরিকদের কাছে এসেছি। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রদের সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। যে বিষয়টি লক্ষণীয়, তা হলো—এখন আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা করে কতগুলো সাধারণ একই রকম অভিন্ন সুর খুঁজে পাচ্ছি। সবাই সুশাসনের জন্য, জবাবদিহির জন্য, আইনের শাসনের জন্য, নিরাপত্তার জন্য, অধিকারের জন্য ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সাধারণভাবে সামনে নিয়ে আসছেন। সবার প্রত্যাশা একটি দক্ষ প্রশাসন, একটি স্বাধীন বিচারব্যবস্থা, একটি নিরপেক্ষ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইত্যাদির বিষয়ে সাধারণ ধারণা সকলের মধ্যে আছে। এই বিষয়গুলো রাজনীতিবিদেরা তাঁদের নির্বাচনী ইশতেহারের ভেতরে কীভাবে স্থান করে দেবেন, এটি জানার অপেক্ষায় আছেন সবাই।’
গণতন্ত্র বিশ্লেষক দেবপ্রিয় বলেন, বিগত সরকারের মতো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ঘোষণা দিয়েছিল, তারা তাদের মন্ত্রিপরিষদের বা সরকারপ্রধানের সম্পত্তির হিসাব দেবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে মানুষের অনেক বড় হতাশা রয়েছে যে, আগের মতোই এবারও সরকার সেটা পালন করল না। ফলে আগামী সরকারকে একই কাজ না করার ক্ষেত্রে একটা উৎসাহ দিয়ে গেল কি না, তা নিয়ে অনেকেই আশঙ্কা করছেন।
দেবপ্রিয় আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে, নাগরিক প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে এ লক্ষ্যে আমরা দুটো কাজ করছি। এক, যেসব প্রতিশ্রুতি ও সংস্কারের কথা হচ্ছে, তা একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে গিয়ে আমরা রিফর্ম ওয়াচ তৈরি করেছি। সেটা ১৪ ডিসেম্বর আমরা উদ্বোধন করব। একইভাবে দেশব্যাপী যে আলোচনাগুলো হলো, এটার নাগরিক প্রত্যাশাগুলোকে একত্র করে একটি নির্বাচনী নাগরিক ইশতেহার তৈরি করে ২০ ডিসেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হাতে আমরা তুলে দেব। এটাকে ধারাবাহিকভাবে পরবর্তী অবস্থায় আমরা যাতে মনোযোগে রাখি, সেটার চেষ্টাও আমরা করব।’
এর আগে, পরামর্শ সভায় শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বক্তব্য দেন।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
৩১ মিনিট আগে
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছ
৩৬ মিনিট আগেনবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
জানা গেছে, বিকেলে আউশকান্দি ইউনিয়নের জালালপুর এলাকায় অবস্থিত শিরিন ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম।
অভিযানকালে ইটভাটাটিতে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার, কৃষিজমির ভেতরে ইটভাটা স্থাপন এবং ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নবায়ন না করার মতো বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ইটভাটার মালিক সানুর মিয়াকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের প্রসিকিউটর ইন্সপেক্টর হরিপদ দাস সহযোগিতা করেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
জানা গেছে, বিকেলে আউশকান্দি ইউনিয়নের জালালপুর এলাকায় অবস্থিত শিরিন ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম।
অভিযানকালে ইটভাটাটিতে কৃষিজমি থেকে মাটি কেটে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার, ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার, কৃষিজমির ভেতরে ইটভাটা স্থাপন এবং ইট পোড়ানোর লাইসেন্স নবায়ন না করার মতো বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ইটভাটার মালিক সানুর মিয়াকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ কার্যালয়ের প্রসিকিউটর ইন্সপেক্টর হরিপদ দাস সহযোগিতা করেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।’
২৪ মিনিট আগে
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছ
৩৬ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া কলেজটির সিসি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ দৃশ্য ধরা পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক কলেজে প্রবেশ করে। পেছনে বসা আল সাদের হাতে বড় আকৃতির দেশীয় অস্ত্র, রামদা। এ সময় অনেকে দৌড়ে সরে যায়। এরপর কলেজের মূল ভবনে প্রবেশ করে তারা। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যায়।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার আলফডাঙ্গা পৌরসভার কামারগ্রামে অবস্থিত আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা কলেজে এসে অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। পূর্বে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক এবং তাঁর মামা মো. আমিরুল ইসলাম পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা অপর যুবকের নাম সাদি (২৫)। সে পৌরসভার শ্রীরামপুর এলাকার গফুর খাঁর ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান মুজিবের সঙ্গে। তিনি জানান, ওই যুবকের স্ত্রী ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা চলাকালে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন কলেজের পিয়ন নাজমুল বাধা দিলেও তা না মেনে কেন্দ্রের ভেতরে আসার চেষ্টা করেন।
অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আমি তাকে বের হওয়ার অনুরোধ করি। তখন সে বলে, আমার স্ত্রী কোথায় বসেছে দেখব এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমাকে হাত উঁচু করে বলতে থাকে, আমাকে চেনেন, আমি দেখে নেব, থানা পুলিশ দেখতেছি। তখন পরিসংখ্যানের শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস তার হাত ধরে বাধা দিলে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন সেখান থেকে বের হয়ে গিয়ে ২০ মিনিট পর একটি মোটরসাইকেলে রামদা নিয়ে কলেজের ভেতরে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করে। তখন আমিসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে ইউএনও, ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ আসে। এর আগেই সে চলে যায়।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতারা এসে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে ওই যুবক মুচলেকা দিয়েছেন।’
জানা গেছে, এ ঘটনায় আল সাদের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাত বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কলেজটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই যুবককে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আল সাদ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় ওই যুবক এমন কাণ্ড ঘটায় বলে কলেজ সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া কলেজটির সিসি ক্যামেরায় সম্পূর্ণ দৃশ্য ধরা পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, একটি মোটরসাইকেলে দুই যুবক কলেজে প্রবেশ করে। পেছনে বসা আল সাদের হাতে বড় আকৃতির দেশীয় অস্ত্র, রামদা। এ সময় অনেকে দৌড়ে সরে যায়। এরপর কলেজের মূল ভবনে প্রবেশ করে তারা। কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে যায়।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার আলফডাঙ্গা পৌরসভার কামারগ্রামে অবস্থিত আলফাডাঙ্গা আদর্শ ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতারা কলেজে এসে অধ্যক্ষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই যুবক পৌরসভার কুসুমদি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। পূর্বে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। বর্তমানে ফরিদপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক এবং তাঁর মামা মো. আমিরুল ইসলাম পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে থাকা অপর যুবকের নাম সাদি (২৫)। সে পৌরসভার শ্রীরামপুর এলাকার গফুর খাঁর ছেলে।
বিষয়টি নিয়ে আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে কথা হয় কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মজিবুর রহমান মুজিবের সঙ্গে। তিনি জানান, ওই যুবকের স্ত্রী ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থী। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষা চলাকালে গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। তখন কলেজের পিয়ন নাজমুল বাধা দিলেও তা না মেনে কেন্দ্রের ভেতরে আসার চেষ্টা করেন।
অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেন্দ্রে প্রবেশের সময় আমি তাকে বের হওয়ার অনুরোধ করি। তখন সে বলে, আমার স্ত্রী কোথায় বসেছে দেখব এবং উত্তেজিত হয়ে ওঠে। আমাকে হাত উঁচু করে বলতে থাকে, আমাকে চেনেন, আমি দেখে নেব, থানা পুলিশ দেখতেছি। তখন পরিসংখ্যানের শিক্ষক সমীর কুমার বিশ্বাস তার হাত ধরে বাধা দিলে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন সেখান থেকে বের হয়ে গিয়ে ২০ মিনিট পর একটি মোটরসাইকেলে রামদা নিয়ে কলেজের ভেতরে ঢুকে ত্রাস সৃষ্টি করে। তখন আমিসহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে ইউএনও, ওসিকে ফোন করে বিষয়টি জানালে পুলিশ আসে। এর আগেই সে চলে যায়।’
অধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতারা এসে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁদের মাধ্যমে ওই যুবক মুচলেকা দিয়েছেন।’
জানা গেছে, এ ঘটনায় আল সাদের পক্ষে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থক আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান খসরু। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।’
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসনাত বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে কলেজটিতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। ওই যুবককে গিয়ে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মানিকছড়ি উপজেলায় ৪৬৫ হেক্টর বাগানে চলতি মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার মেট্রিক টন। উপজেলা কৃষি অফিস ও দক্ষিণ খাগড়াছড়ি ফলদ বাগান মালিক সমিতির তথ্যমতে, পাহাড়ি মাটি ও জলবায়ুর কারণে সব জাতের আম গাছে ফল আসার সময় ও পাকার সময় ভিন্ন হয়। ফলে পর্যায়ক্রমে হারভেস্ট চালানো যায়।
১৩ জুন ২০২৫
বিয়ানীবাজারে ইমন আহমদ (২২) নামের এক যুবকের হাত-পা ও মুখ বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার উপজেলার শেওলা ইউনিয়নের কোনা শালেস্বর গ্রামের একটি মৎস্য আড়তের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগে
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘সুষ্ঠু একটি নির্বাচন করার জন্য সক্ষমতার ব্যাপারে যে শঙ্কা, সেই শঙ্কা দূর হচ্ছে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই শঙ্কা দূর করে মানুষের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে একটি ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই আয়োজন করতে হবে।’
২৪ মিনিট আগে
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমি নষ্ট ও পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে শিরিন ব্রিকস নামের একটি ইটভাটার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রত্যয় হাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এই জরিমানা করেন।
৩১ মিনিট আগে