Ajker Patrika

কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব, ৩ দিনে বিক্রি প্রায় ৩০ টন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৪: ৫২
কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব। ছবি: সংগৃহীত
কাতারে চলছে বাংলাদেশি আম উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের সৌক ওয়াকিফে চলমান ‘বাংলাদেশি আম উৎসব’ (আল-হামবা প্রদর্শনী) শুরু হওয়ার পর থেকেই বেশ সাড়া ফেলেছে। তিন দিনেই এই উৎসবে ২৯ টনের বেশি আম বিক্রি হয়েছে। একই সময়ে ৩১ হাজার ৭০০ জন দর্শনার্থী সৌক ওয়াকিফে ভিড় করেছেন বাংলাদেশের আমের স্বাদ নিতে।

কাতারি সংবাদমাধ্যম গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, সৌক ওয়াকিফ কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, প্রথম দিনে ৮ হাজার ৭০০ কেজি আম বিক্রি হয়। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে যথাক্রমে ১১ হাজার ৩০০ কেজি এবং ৯ হাজার ৭০০ কেজি আম বিক্রি হয়। সব মিলিয়ে তিন দিনে মোট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ কেজিতে। প্রথম দিনে ৭ হাজার দর্শনার্থী এসেছিলেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে এসেছেন যথাক্রমে ১২ হাজার ২০০ এবং ১২ হাজার ৫০০ জন।

আগামী ১ জুলাই পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। সৌক ওয়াকিফের পূর্ব স্কয়ারে আয়োজিত উৎসবে বাংলাদেশের ২০ ধরনের আম প্রদর্শিত ও বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ দূতাবাস ও প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ারিং অফিসের (পিইও) সহযোগিতায় আয়োজিত এ উৎসবে রয়েছে নানা রকম আম ও বাংলাদেশ থেকে আনা বিভিন্ন ফলের পসরা।

উৎসবে বাংলাদেশের বিখ্যাত আমের মধ্যে রয়েছে আম্রপালি, ল্যাংড়া, কাটিমন, ক্ষীরসাপাত, ফজলি, গোবিন্দভোগ, হাঁড়িভাঙা, লেইম ম্যাঙ্গো, কলা আম, হিমসাগর ও লক্ষণভোগ। এ ছাড়া লিচু, কাঁঠাল, ড্রাগন ফল, পেয়ারা, বুবি (বাকাউরিয়া মোটলেয়ানা) এবং আনারসও রয়েছে বিক্রির জন্য। প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকে। তবে সরকারি ছুটির দিনে সময় বাড়িয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা হয়।

অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কাতারে এসেছেন শুধু এই উৎসবে অংশ নিতে। বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা উচ্চমানের ফল এই উৎসবে বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশের আমের মৌসুমের সঙ্গে মিল রেখে প্রথমবারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে। লক্ষ্য হলো অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা তৈরি করা এবং উচ্চমানের পণ্য ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখা।

বাংলাদেশ দূতাবাস ও উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির যৌথ পরিকল্পনায় আয়োজিত এ উৎসবটি বাংলাদেশি ও স্থানীয় কোম্পানিগুলোকে একটি আলাদা বাণিজ্যিক পরিবেশে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ করে দিয়েছে। প্রদর্শনীস্থলে পণ্য সতেজ রাখতে এবং দর্শনার্থীদের আরাম নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরওয়েতে থেকেও মাচাদো নোবেল শান্তি পুরস্কার নিতে গেলেন না যে কারণে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: এএফপি
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। ছবি: এএফপি

ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো নরওয়ের রাজধানী অসলোতেই ছিলেন। তবু নোবেল শান্তি পুরস্কার নেওয়ার জন্য অসলো সিটি হলের অনুষ্ঠানে যাননি। নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছেন।

৫৮ বছর বয়সী মাচাদোর আজ বুধবার নরওয়ের রাজপরিবার ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন নেতার উপস্থিতিতে পুরস্কার নেওয়ার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে আর্জেন্টিনার ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই ও ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল নোবোয়াও উপস্থিত ছিলেন।

ভেন্তে ভেনেজুয়েলা দলের এই নেতা গত অক্টোবর শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। নোবেল কমিটি তাঁর ভূমিকা ও গণতন্ত্রের প্রতি ‘অটল’ সমর্থনের জন্য তাঁকে সম্মানিত করে।

ডানপন্থী নানা মতাদর্শে বিশ্বাসী মাচাদো এ পুরস্কারের একটি অংশ উৎসর্গ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, পুরস্কারটি তাঁরই প্রাপ্য ছিল এবং না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।

নোবেল ইনস্টিটিউট জানায়, ‘যদিও অনুষ্ঠানে তিনি পৌঁছাতে পারবেন না, তবে মাচাদো নিরাপদ আছেন এবং অসলোতে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এটি নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’

ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হারপভিকেন এএফপিকে জানান, তিনি আজ সন্ধ্যা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালের কোনো এক সময়ে অসলো পৌঁছাতে পারেন। অনুষ্ঠানে তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন তাঁর মেয়ে আনা কোরিনা সোসা মাচাদো।

ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত এক অডিওবার্তায় মাচাদো বলেন, ‘আমি অসলোতে থাকব, পথে আছি।’

এ ঘোষণা পুরো বিষয়টিকে আরও নাটকীয় করে তুলেছে, কারণ, এর আগে ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, মাচাদোর অবস্থান অজানা। তাঁর অনুপস্থিতির কারণে আগের দিনের নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলনও বাতিল করা হয়।

মাচাদোর ওপর এক দশকের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং তিনি এক বছরের বেশি সময় ধরে লুকিয়ে আছেন।

ডানপন্থী কঠোর অবস্থানের সঙ্গে সমন্বয়

মাচাদো আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সমালোচকদের মতে, বিষয়টি লাতিন আমেরিকার অন্ধকার অতীত ফিরিয়ে আনছে।

বিশেষ করে, ১৯৮০-এর দশকে যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলজুড়ে স্বৈরশাসকদের সমর্থন দিয়েছিল। বিভিন্ন লাতিন দেশে অভ্যুত্থান এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করেছিল। এসব ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করা হয়।

মাচাদো মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও হস্তক্ষেপকে সমর্থন করায় ২০২৪ সালের নির্বাচনে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করে ভেনেজুয়েলা সরকার। তিনি ওই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন। মাচাদোর দাবি, মাদুরো নির্বাচনে জালিয়াতি করেছেন।

অক্টোবর মাসে নোবেল পাওয়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপে তিনি ইসরায়েলের পক্ষেও সমর্থন জানান—গাজায় চলমান গণহত্যার মধ্যেই।

মাচাদো আগেও বলেছেন, তাঁর রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে ভেনেজুয়েলার দূতাবাস ইসরায়েলের জেরুজালেমে স্থানান্তর করবেন, যেমনটি ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদে করেছিলেন। লাতিন আমেরিকার আরও কিছু ডানপন্থী নেতা, যেমন আর্জেন্টিনার মিলেই ও ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো একই অবস্থান নিয়েছিলেন।

মাচাদো আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছেন ট্রাম্পপন্থী ‘কট্টোর ডানপন্থী’ মহলের সঙ্গে। তাঁদের দাবি, মাদুরোর সরকার অপরাধী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি। তবে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এ বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।

গত কয়েক মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ক্যারিবিয়ান ও লাতিন আমেরিকার প্রশান্ত উপকূলে কথিত মাদকবাহী জাহাজে ২০টির বেশি সামরিক হামলা চালিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন, মার্কিন ডেমোক্র্যাট নেতা ও কিছু লাতিন দেশ এই হামলাকে বেআইনি এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিনা বিচারে হত্যার অভিযোগে নিন্দা করেছে।

হুগো শ্যাভেজের মৃত্যুর পর ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরো বলেছেন, ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার বিপুল তেলসম্পদের দখলের জন্য ‘ক্ষমতার পালাবদল’ করতে চাইছেন। তিনি এমন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার করেছেন।

রয়টার্সের দেখা নথি ও সূত্র অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য আকাশ বা স্থল হামলার ক্ষেত্রে ভেনেজুয়েলার সামরিক বাহিনী গেরিলা কৌশলে প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর পর কী ফল পেল নিউজিল্যান্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বাড়াতে এবং শ্রেণিকক্ষে বিশৃঙ্খলা কমাতে ২০২৪ সালের এপ্রিলে বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল নিউজিল্যান্ড সরকার। তবে এক বছর পর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের মিশ্র অনুভূতি দেখা গেছে।

ওই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনায় মনোযোগী হয় এবং প্রযুক্তিজনিত বিভ্রান্তি কমে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাকসন ঘোষণা করেছিলেন—শিশুদের শেখার পরিবেশ আরও ভালো করতেই এই উদ্যোগ। বিশ্বের আরও অনেক দেশ—যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যও এমন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে।

তবে গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, প্রত্যাশিত ফল সব সময় মিলছে না। উদাহরণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় পাওয়া গেছে—কঠোর নিষেধাজ্ঞা আর শিথিল নীতিমালার স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের ফলাফল বা মানসিক স্বাস্থ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো পার্থক্য নেই।

নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে গবেষকেরা ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী ৭৭ জন শিক্ষার্থীর মতামত নিয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ বলেছে, নিষেধাজ্ঞা তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করেছে এবং সামাজিক মাধ্যম থেকে বিরত রেখেছে। একজন মন্তব্য করেছে, ‘তা না হলে তো সারা দিন ফোনেই কেটে যাবে, যা মানসিকভাবে ভালো নয়।’

তবে অন্যদের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। কেউ কেউ জানিয়েছে, পরিবার বা অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় তারা উদ্বেগে থাকে। অনেকের অভিযোগ—নীতিমালা সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে প্রয়োগ করা হয় না। কিছু শিক্ষক নিজেরা ফোন ব্যবহার করলেও শিক্ষার্থীদের নিষেধ করা হয়, যা তাদের কাছে অন্যায্য মনে হয়। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই গোপনে ফোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে।

আরও একটি অভিযোগ হলো—নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হয়নি। কেউ কেউ বলেছে—‘বড়রা শুধু নিষেধ করে, যেন এতে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’

এদিকে, প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প পথও খুঁজে নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। যেমন অকল্যান্ডের একটি স্কুলে শিক্ষার্থীরা ফোনের পরিবর্তে ওয়াকি-টকি ব্যবহার শুরু করেছে।

গবেষকেরা বলছেন—সামগ্রিকভাবে ফোন নিষিদ্ধের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের সুস্থ ও দায়িত্বশীলভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা শেখানোই বেশি কার্যকর হতে পারে। খাবার বিরতি বা ক্লাসের বাইরে ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া এবং শিক্ষকদেরও স্বাস্থ্যকর ডিজিটাল অভ্যাসে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গবেষণাটির সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ বলছে—শিক্ষার্থীরা শুধু প্রযুক্তির ব্যবহারকারী নয়, বরং সমস্যা সমাধানকারীও। তাই নিষেধাজ্ঞার বদলে তাদের যুক্ত করে বাস্তবসম্মত নীতিমালা তৈরি করাই হবে অধিক কার্যকর পথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের সরকার নয়তো জঙ্গি—যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ আফগান তালেবানকে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) এর কয়েক যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) এর কয়েক যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে কঠোর বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন—কাবুলকে এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে নাকি পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি)-কে সমর্থন করবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানে বেড়ে ওঠা সহিংসতা ও হামলার পেছনে টিটিপি-কে দায়ী করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাওয়ালপিন্ডির সামরিক সদর দপ্তরে গার্ড অব অনার গ্রহণের সময় ওই বার্তা দেন আসিম মুনির। তিন বাহিনীর সমন্বয়ে নতুন যৌথ সামরিক কমান্ড গঠনকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা কাঠামোয় একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্মকর্তাদের দাবি—নতুন কাঠামো আর্মি, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সমন্বয় আরও শক্তিশালী করবে এবং সাইবার নিরাপত্তা থেকে তথ্যযুদ্ধ পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়াবে।

মুনির বলেন, আফগান সরকারকে ইতিমধ্যে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হয়েছে—পাকিস্তান আর টিটিপি—এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ টিটিপি-কে ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ নামে অভিহিত করে থাকে। আফগান তালেবান পৃথক সংগঠন হলেও তাদের সঙ্গে টিটিপি-র ঘনিষ্ঠ আদর্শিক সম্পর্ক রয়েছে এবং ২০২১ সালে তালেবানের ক্ষমতায় ফেরার পর টিটিপি আরও সক্রিয় হয়েছে।

আসিম মুনিরের বার্তার বিষয়ে কাবুল এখনো কোনো মন্তব্য করেনি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এই উত্তেজনার জেরে গত অক্টোবরে দুই দেশের সীমান্তে কয়েক দিনের সংঘর্ষে সৈন্য, বেসামরিক এবং সন্দেহভাজন জঙ্গিসহ বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। এরপর কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গত নভেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত আলোচনাগুলো দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।

জেনারেল মুনির বলেন—ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময় পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের সাফল্য ভবিষ্যৎ যুদ্ধনীতির দালিলিক উদাহরণ হয়ে থাকবে। তিনি কড়া ভাষায় সতর্ক করেন—পরবর্তী সংঘাতে পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া আরও দ্রুত এবং কঠোর হবে।

তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র হলেও সার্বভৌমত্ব, ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা এবং স্থিতিশীলতার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পর পাকিস্তান ও ভারত তিনবার যুদ্ধ করেছে। কাশ্মীর ইস্যু ঘিরে এখনো দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সময়মতো পৌঁছাননি মাচাদো, নোবেল শান্তি পুরস্কার নিলেন তাঁর মেয়ে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। ছবি: বিবিসি
এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদো। ছবি: বিবিসি

এই বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া করিনা মাচাদোর পক্ষে তাঁর মেয়ে আনা করিনা সোসা পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) নরওয়ের রাজধানী অসলো সিটি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সোসা তাঁর মায়ের পক্ষ থেকে লেখা একটি বক্তব্যও পড়ে শোনান।

নোবেল কমিটি জানিয়েছে, মাচাদো বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং অসলোর পথে রয়েছেন। তবে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি। নোবেল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্রিস্টিয়ান বার্গ হার্পভিকেন আশা করছেন, তিনি বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল—এই সময়ের মধ্যে অসলো পৌঁছাবেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় মাচাদোর কন্যা আনা করিনা সোসা জানান, তাঁর মা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ভেনেজুয়েলার স্বপ্ন দেখেন এবং সেই লক্ষ্য থেকে কখনো সরে দাঁড়াবেন না। মায়ের সম্পর্কে সোসা বলেন, ‘তিনি জানেন, তার সংগ্রাম শুধুমাত্র রাজনীতি নয়—এটা তার দেশের মানুষের মর্যাদা রক্ষার লড়াই।’

নোবেল কমিটি মাচাদোকে এবার পুরস্কৃত করেছে ভেনেজুয়েলায় ‘স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রে ন্যায়সংগত ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণের লড়াইয়ে তাঁর ভূমিকার’ স্বীকৃতি হিসেবে।

বিবিসি জানিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই মাচাদো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে নানা জল্পনা ছিল। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নির্বাচনটি দেশীয় বিরোধী দল এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জালিয়াতিপূর্ণ বলে প্রত্যাখ্যান করে।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর শপথগ্রহণের বিরুদ্ধে গত ৯ জানুয়ারি এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পর থেকেই মাচাদো আর জনসমক্ষে দেখা দেননি। নির্বাচনের পর দেশজুড়ে সহিংসতা ও দমন-পীড়নে প্রায় দুই হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মাচাদোর জোটের অনেক নেতা কর্মীও আছেন।

তবে লুকিয়ে থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকার দিয়ে সমর্থকদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে আসছিলেন মাচাদো। নোবেল শান্তি পুরস্কারের ঘোষণা তাঁর সমর্থকদের নতুন করে উজ্জীবিত করেছে। তবে এখনো সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয়েছে—তিনি কীভাবে আত্মগোপন থেকে বের হলেন এবং কোন পথে ইউরোপে পৌঁছালেন। তাঁর মা ও দুই সন্তান ইতিমধ্যেই অসলোতে অবস্থান করছেন—আবার দেখা হওয়ার অপেক্ষায়। সম্প্রতি তাঁর ছেলে দাবি করেছিলেন, মায়ের সঙ্গে তাঁর প্রায় দুই বছর দেখা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

বুমরার বিতর্কিত উইকেটে ‘জড়িত’ এক ভারতীয় আম্পায়ার

শ্রীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত