Ajker Patrika

ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটা রক্ষায় মোদির হস্তক্ষেপ চান মমতা

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০: ২৫
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক বাড়ি ভেঙে ফেলছে বাংলাদেশ সরকার। আজ মঙ্গলবার এই ঘটনা নিয়ে দুঃখপ্রকাশের পাশাপাশি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ময়মনসিংহ শহরের হরিকিশোর রায় চৌধুরী রোডে অবস্থিত শতবর্ষী এই বাড়ি সত্যজিৎ রায়ের দাদা বিখ্যাত সাহিত্যিক উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর সম্পত্তি ছিল।

হরিকিশোর রায় ছিলেন কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া জমিদারবাড়ির জমিদার। তিনি বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী, সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষ। এ সড়কে প্রাচীন একতলা ভবনটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ব্যবহার করা শুরু করে। একতলাবিশিষ্ট বাড়িটির সামনে ছোট একটি মাঠ আছে। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত বাড়িটি আগাছায় ছেয়ে যায় এবং মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়। কয়েক দিন ধরে বাড়িটি ভাঙতে শুরু করেছে শিশু একাডেমি।

বাড়িটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে এক্স মাধ্যমে এক পোস্টে মমতা লিখেছেন, ‘এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের। রায় পরিবার বাংলার সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক। উপেন্দ্রকিশোর বাংলার নবজাগরণের একজন স্তম্ভ। তাই আমি মনে করি, এই বাড়ি বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাসের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ সরকার এবং ওই দেশের সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের কাছে আবেদন করব এই ঐতিহ্যশালী বাড়ি রক্ষা করার জন্য। ভারত সরকার বিষয়টিতে নজর দিন।’

ইতিপূর্বে আজকের পত্রিকাসহ বাংলাদেশি অন্যান্য সংবাদমাধ্যমেও এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকার ময়মনসিংহ শিশু একাডেমি হিসেবে ব্যবহৃত এই বাড়ি বহু বছর ধরে অবহেলিত থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। এই অবস্থায় আধা পাকা একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বাড়িটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাড়িটি শত বছরের বেশি পুরোনো। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর এটি সরকারি মালিকানায় আসে।

দেশের গণমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে ঢাকার শিশুবিষয়ক কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান বলেছেন, ১০ বছর ধরে এই বাড়ি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর শিশু একাডেমির কার্যক্রম চলছে ভাড়া করা একটি স্থানে।

মেহেদী জানান, কয়েকটি কক্ষবিশিষ্ট আধা পাকা ভবন নির্মাণ করে সেখানে একাডেমির কার্যক্রম চালানো হবে। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়েই এই ভাঙার কাজ চলছে।

তবে ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এমন একটি ভবন কেন ভেঙে ফেলা হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভবনটি শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ, তারা প্রায়ই ওই চত্বরে একত্র হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

বাংলাদেশের সোনালি মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া: গবেষণা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

প্রেক্ষাপটবিহীন প্রতিবেদন কি সাংবাদিকতা হতে পারে?

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত